মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

দ্রব্যমূল্য: মধ্যবিত্তের হাঁসফাঁস আর গরীবের নাভিশ্বাস

দাম বাড়ছে সব কিছুর কিন্তু আয় বাড়ছে না সাধারণ মানুষের। দাম বাড়ছে খাদ্যপণ্যের, বাড়বে বলে আশংকা আছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির। জীবনযাপনের ব্যয়ের নদীতে নৌকা চালাতে আয়ের লগি তল খুঁজে পাচ্ছে না কোনমতেই। ছুটি গল্পের সেই কথাটি পাঠকদের মনে দাগ কেটেছিল নিশ্চয়ই। নৌকার মাঝিরা সুর করে বলছিল, এক বাও মেলেনা, দুই বাও মেলে না। জীবন নৌকা বাইতে গিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ আজ সুর করে নয় বিলাপ করে এই ধরণের কথা বলছেন। রবীন্দ্রনাথ নদীর গভীরতা মাপতে মাঝির মুখের কথা সাহিত্যে তুলে এনেছিলেন আর সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে, আয় ব্যয়ের ফারাক মাপতে যেন এই কথা দুঃখের সঙ্গে বলে যাচ্ছেন প্রতিদিন। তাদের মাস শেষের আয় আর সারা মাসের ব্যয়ের হিসাব মিলছে না যেন কোনোভাবেই।

নতুন বছর এসেছে যতটা সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে তার চেয়ে বেশি জীবন যাপনের উপকরনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা নিয়ে। গ্যাস, বিদ্যুৎসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে নাকাল মানুষের জীবনে আবারও আঘাত আসবে এসবের দাম বাড়ানোর কারণে। বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন দুই চুলার গ্যাসের জন্য দাম দিতে হতো ৪০০ টাকা, পাঁচ দফায় দাম বাড়ানোর পর এখন দিতে হচ্ছে ৯৭৫ টাকা। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ২১০০ টাকা। বিদ্যুৎপ্রতি ইউনিট দাম দিতে হতো ৩.৭৬ টাকা ১০ বার দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.১৩ টাকা, একটি মাঝারিপরিবারে ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে মাসে বিদ্যুতের জন্য খরচ বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টাকা। এখন বলা হচ্ছেএর দাম আরও বাড়বে। ডিজেল প্রতি লিটার ৪৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। বাসের ভাড়া বেড়েছে ২৭ শতাংশ। উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা, যাত্রী প্রতি ভাড়া বেড়েছে ১৫০ টাকা, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্য পরিবহণ ব্যয় যারপ্রভাব পড়েছে খাদ্য পণ্যের দামে। ঢাকা নগরে ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহণ শ্রমিকের ঝগড়া ঝাটি লেগেই আছে। পানির দেশ আর চার দিকে পাঁচটি নদী দিয়ে ঘেরা ঢাকা নগরে পানি দুর্মূল্য হয়ে পড়ছে। ২০০৮ সালে প্রতি ইউনিটপানির দাম ছিল ৫.৭৫ টাকা ১৪ বার দাম বাড়ানোর পর এখন তা ১৫.১৮ টাকা। একটি পরিবারে মাসে ১ হাজার ৮০০টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে পানির বিল দিতে। পানির সাথে সমপরিমান বাড়ে সুয়ারেজ বিল। এবার আবারও পানিরদাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে ৪০ শতাংশ। চাকরিজীবীদের মাসের শুরুতে বেতন আর মাসের শেষে পকেট মিলছেনা তো কোনভাবেই। শ্রমিক এবং দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের জীবন কেমন চলছে জিজ্ঞেস করলে মলিন হেসে বললেন একজন। কেমন আছি, শুনবেন ? এক গ্লাস পানি খাইতে লাগে ২ টাকা আর সিটি করপোরেশন টয়লেটবানাইছে, সেইখানে প্রস্রাব করতে লাগে ৫ টাকা। বুইঝা লন এবার, আয় আর ব্যায়ের ফারাক কত?

সরকারের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতির অগ্রগতি হচ্ছে, সব সুচকেই ঊর্ধ্বমুখী। সাধারণ মানুষ জীবন দিয়ে বুঝছেন জীবন যাপনের সব ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী। সরকারের দায়িত্ব যেন দাম বাড়ানোকে যুক্তিসঙ্গত বলে সাফাই গাওয়া। ওয়াসারএমডি ১৩ বছরে শুধু ১৪ বার পানির দাম বাড়াননি, তার কাজের দক্ষতার কারণে তার বেতন ভাতাও বেড়েছে ৪২১শতাংশ। এখন তিনি সর্বোচ্চ বেতন ভাতা প্রাপ্ত কর্মকর্তা। তার মাসিক বেতন ভাতা ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনি একটা দারুণ কথা বলেছেন। ভর্তুকি দিয়ে পানি দেয়া যাবে না। ভিক্ষা নিয়ে কি কোন প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারে? কিন্তু এই কথা কি একবারও ভাবলেন না, যে প্রতিষ্ঠান ভিক্ষা নিয়ে চলে সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তা আরঅন্যান্য কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা এত বেশি কেন?

আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় বাড়ছে, মানুষ ছুটছে টিসিবি’র ট্রাকের পিছে

শুধু দাম বৃদ্ধি নয় আয় বৃদ্ধির নতুন সুখবর জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নাকি থামছেই না। সর্বশেষ হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৯১ ডলার অর্থাৎ ৮৭ টাকা ডলারধরলে ২ লাখ ২৫ হাজার ৪১৭ টাকা মাত্র। টাকার পরে মাত্র লিখতে হয়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। তারপর মাথাপিছু আয় বেড়েছে আরও ৩২৭ ডলার, হয়েছিল ২ হাজার ৫৫৪ ডলার। এখনআরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলার এবং আরো বাড়বে। করোনায় মানুষ কাজ হারিয়েছে, বেকারত্ব বেড়েছে কিন্তু মানুষের আয় বেড়ে যাওয়াকে কেউ ঠেকাতে পারে নাই। তবে একটা ব্যাপারও ঘটেছে, মাথাপিছু আয়ের হিসাব শুনেমাথা ঘুরে যাবার উপক্রম হলেও পকেটে হাত দিয়ে মানুষ দেখছে টাকা নেই।

কেমন করে আয় বেড়ে গেলো এতো? এর একটা কারণ সরকার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হিসাব করার জন্যসম্প্রতি নতুন ভিত্তিবছর চূড়ান্ত করেছে। ২০১৫-২০১৬ ভিত্তিবছর ধরে এখন থেকে জিডিপি, প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, মাথাপিছু আয় গণনা করা শুরু হয়েছে। এতদিন ২০০৫-২০০৬ ভিত্তিবছর ধরে মাথাপিছু আয় হিসেব করা হতো। ভিত্তি পাল্টানোর ফলে হিসেবে আয় তো বেড়ে গেল কিন্তু বাস্তবে সাধারণ মানুষের আয় কি বেড়েছে? ২০১৫-২০১৬ ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করায় আগের কয়েক বছরের মাথাপিছু আয়ও বেড়ে গেছে। যেমন, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। নতুন হিসাবে হয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ ডলার। এর পরের প্রতি বছরই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আগের হিসাবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২৪ ডলার। এখনতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯১ ডলারে। এই হিসেব অনুযায়ী ৫ সদস্যের একটি পরিবারে এখন মাসিক আয় ৯৩ হাজার টাকার বেশি। অর্থাৎ গড়ে প্রতি পরিবারের বার্ষিক আয় ১১ লাখ টাকারও বেশি। জিডিপির সাথে রেমিটেন্সযোগ করে দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন যে ১ কোটি৩৬ লাখ শ্রমজীবী, দেশের অভ্যন্তরে ৬ কোটি ৮২ লাখ শ্রমজীবী, ৩ কোটির উপর কর্মক্ষম বেকার, ১ কোটির উপরবৃদ্ধ, ৪ কোটি ছাত্র ছাত্রী কার কার আয় বেড়েছে তার সাথে দেশের গড় আয় বৃদ্ধি কি মিলবে? কিছু মানুষের আয় এত বেড়েছে যে গড় আয় বেড়ে গেছে। হিসেব করে আমাদের দেশের কর্তা ব্যক্তিরা গর্ব করে বলেন, মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশ এখন নাকি ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি মানুষের মাঝে জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করছে না। একদিকে শোষণ অন্যদিকে কোভিডসহ নানা কারণে বৈষম্য বেড়েছে।

কিছুদিন আগে করোনার প্রভাব নিয়ে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চসেন্টারের (পিপিআরসি) একটি যৌথ জরিপে জানিয়েছিল, দেশে করোনাকালে তিন কোটি ২৪ লাখ মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। করোনা চলমান, কর্মহীনেরা অনেকে কাজ ফিরে পায়নি, করোনার অজুহাতে বেতনকমানো হয়েছে বেসরকারি খাতের কর্মজীবীদের, দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের আনার সক্ষমতা বাড়েনি কিন্তুখাবারের জিনিসের দাম বেড়েছে বহুগুণ।

এমন পরিস্থিতিতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ জনজীবনকে স্থবির করে দেবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি কৃষি, পরিবহন, দ্রব্যমূল্য, শিল্পউৎপাদন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় সব সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বাড়ে, ক্রয় ক্ষমতা কমে, থমকে যায় অর্থনীতির অগ্রযাত্রা। এরই মধ্যে চাল, ডাল, চিনি, তেল, ওষুধসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার সংকুচিত হয়েছে। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দেবে। মূল্যবৃদ্ধির নিচে চাপা পড়ে হাঁসফাঁস করতে থাকা জনগণের জন্য তা চরম আঘাত হিসেবে দেখা দেবে।

লোকসান হচ্ছে বলে লোকসান কমাতে দাম বৃদ্ধির কোন বিকল্প নাই একথা কথা বলা হলেও, তথ্য বলছে গ্যাস ও বিদ্যুতের কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই লাভজনক। তারাপ্রতি বছর সরকারি কোষাগারে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা দিচ্ছে। উদ্বৃত্ত অর্থ, ট্যাক্স-ভ্যাট ও বিভিন্ন ফি হিসেবে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাত থেকে আয় করেছে সরকার। লাভ হয়েছে বলে গ্যাস খাতের কোম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশও দিয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসও বাড়ছে ফি বছর। তাহলে দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা কেন?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং নীতিনির্ধারকদের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তেরকারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ব্যয় বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার অতিরিক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হওয়ায় বসিয়েবসিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা দিতে হচ্ছে তথাকথিত উদ্যোক্তা নামের বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে নজর না দিয়ে এবং আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস উত্তোলনের উদ্যোগ না নিয়ে গ্যাস আমদানিরসুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। এতেও বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ বাড়ছে। কে দিচ্ছে এই টাকা? টাকা যাচ্ছে জনগণের দেয়া ট্যাক্স থেকে। অদক্ষতা, অনিয়ম আর অব্যস্থাপনা দূর না করে, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা না নিয়ে প্রতিবছর দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ মূলত সরকারের ব্যর্থতার দায় জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার নামান্তর।

সংকট জিইয়ে রাখলে দাম বাড়ানোর অজুহাত শক্তিশালী হয়। এভাবেই গ্যাস সংকট জিইয়ে রেখে এলএনজি ব্যবসার দ্বার খোলা হয়েছিল এখন তা লুণ্ঠন ও দাম বাড়ানোর মৃগয়াক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। জনগণ হয়েছে সুন্দর এবং অসহায় হরিণের মত। সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভরছেন। এটা স্পষ্ট যে, গ্যাস, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, পানি সকল খাতের লোকসান আসলে দুর্নীতির ফল। কিন্তু এর দায় নিচ্ছে না সরকার বরংসকল দায়িত্ব জনগণের চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।

নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, জীবন যাপনের কষ্ট বৃদ্ধি, সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রতিদিন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে এই করোনা মহামারী সব কিছুকে শ্লথ করে দিলেও নতুন কোটিপতি বৃদ্ধিরগতিকে থামাতে পারছে না। করোনাকালেও নতুন কোটিপতি বেড়েছে ১৭ হাজারের বেশি। ধনীদের ধন বৃদ্ধি আর সাধারণ মানুষের দুর্দশা বৃদ্ধি যেন সমানতালেই বাড়ছে। তাহলে কার চোখে দেখবো মূল্য বৃদ্ধির অভিঘাতকে? ধনীদের চোখে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি যে সাধারণ মানুষের জীবনে প্রচণ্ড আঘাত সেটা বুঝার মন আর আঘাত দুর করার উদ্যোগ কি আছে নীতিনির্ধারকদের?

 

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির আয়োজনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় দর্শনা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতে বিজিবি চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান উপস্থিত সকলের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সীমান্ত এলাকায় বসবাস কারী জনসাধারণের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সীমান্ত অতিক্রম রোধ, আন্ত সীমান্ত অপরাধ দমন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নে অবদান রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভা আরম্ভ করেন।

পরবর্তীতে সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি এর ভূমিকা, চোরাচালান প্রতিরোধ কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত প্রয়াস, সীমান্ত এলাকার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা, সীমান্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সম্মিলিত প্রয়াস, অর্থ সামাজিক উন্নয়নের সম্মিলিত প্রয়াস, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য সমাধান ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা, কারিগরি ও কর্মমুক্তি প্রশিক্ষণ, কৃষি ও পশু পালন খাতে সহায়তা, নারী উন্নয়ন কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ও কর্পোরেটর সংযোগ ইত্যাদি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। শেষে উপস্থিত- দামুড়হুদা ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের মাঝে পয়েন্ট আহ্বান করেন।

সীমান্ত এলাকায় বাল্যবিবাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দমন করা, মহিলা বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা, ইভটিজিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে একটু কম যাতে না বাড়তে পারে সেদিকে সর্বপ্রকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বপ্রকার তথ্য দিয়ে সকল প্রশাসনকে সহযোগিতা করা, এছাড়াও যেকোনো প্রকার অসঙ্গতিপূর্ণ কাজের তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করা। সীমান্তবর্তী এলাকায় সকল প্রকার অটো বাইক, অটো ভ্যান পৌরসভার মাধ্যমে লাইসেন্স কার্ড করা যাতে তার নাম ঠিকানা সকল তথ্য থাকে এবং যে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশির জন্য ডাকলে সহজে তারা এগিয়ে আসে এবং নাম পরিচয় সহজে যাতে পাওয়া যায়।

মাদক ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় ভয়-ভীতি দেখানো, মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনব কায়দায় ছোট ছেলেমেয়েদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছেন, শিক্ষকদের মাধ্যমে জনশ্বাসনতা বৃদ্ধি করা, জনসংযোগ বৃদ্ধি করা, মাদক ব্যবসায়ীদের মূল গডফাদারকে ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক প্রতিরোধ করা, প্রতিপক্ষ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের সাথে কি ধরনের আচরণ করেন সেই সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করা, কুরআন ও হাদিসের আলোকে সীমান্ত পাহারায় সুফল সম্পর্কে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী পরকালে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানানো, ১৬ বছরের নিচে প্রকাশ্যে বিড়ি-সিগারেট সেবনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা, মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারিদের অন্য কোন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) দর্শনা চেকপোস্ট এবং মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর নিমতলা বিওপির মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবি চেক পোস্ট বসানো, দর্শনা কেউ কোম্পানি হতে মদ চোরাকারবারিরা যাহাতে নিতে না পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে মাদক এর কুফল সম্পর্কে জনসাধারণ এর মাঝে জানানো, মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয়-ভীতি দেখানো, ১৫ হতে ১৬ বছরের ছেলে মেয়ে মাদক ব্যবসায়ী এবং ইভটিজিং এর সাথে জড়িত হচ্ছে তাদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা, বাল্য বিবাহের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এছাড়াও দৃশ্যমান শাস্তি প্রদান করা, স্বর্ণ এবং রূপ্য চোরাকারবারিদের গডফাদার দের চিহ্নিত করা, দারিদ্র বিমোচনের জন্য প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে দক্ষ করে গড়ে তোলা, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মাদকসহ বিভিন্ন চোরাকারবারি নির্মূলে কমিটি গঠন করা, মাঝে মাঝে এ ধরনের সেমিনার মত বিনিময় সবার আয়োজন করা, সীমান্ত এলাকায় এনজিওদের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রোগ্রাম ও সেমিনারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, বিভিন্ন চোরাকারবারিদের ব্যবসা পরিচালনাকারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সীমান্ত এলাকায় দেড়শো গজের মধ্যে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ফসল আবাদ না করা এবং ভারতের ১৫০ গজ সীমান্ত এলাকায় কলাগাছের বাগান তৈরিতে বাধা দেওয়া যাতে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করতে না পারে- এই বিষয়গুলো মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সুধীজনের আলোচনায় উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, এসি ল্যান্ড তাসফিকুর রহমান, বিজিবি ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক হায়দার আলী, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার জাকির হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়াও মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষক, এনজিও কর্মী এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ ও সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলার দাবি জানিয়েছে।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘‘জাতিগত নির্মূল’’ অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান থেকে নির্বিচার বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

গত মাসে একতরফা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, যা ওই অঞ্চলটিকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের প্রতি বারবার আহ্বান জানানো হলেও তারা এতে কোনো গুরুত্বই দেয়নি; বরং তারা ক্রমবর্ধমান হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য তাৎক্ষণিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তাদের নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে সব ধরনের যুদ্ধবিরতি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আলোচনার প্রয়োজনীয়তার বিষয় পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে বলেছে, এটা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা ও তাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি ও সংলাপের পথে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশ তার আহ্বানে অবিচল ও দ্ব্যর্থহীন।

Header Ad
Header Ad

সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার নিরাপত্তা সতর্কতার স্তর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিশ্চিত করেছেন, দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে, পরিস্থিতির গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ‘বহিরাগত হুমকির’ সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন খামেনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের প্রতি হুমকির পাশাপাশি ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহরাইনের মতো নিজের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিও সরাসরি সতর্কবার্তা জারি করেছে ইরান।

তেহরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আকাশসীমা বা আঞ্চলিক ক্ষেত্র ব্যবহারসহ ইরানের মাটিতে আক্রমণ শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রকে যেকোনো সহায়তা দেয়া হলে তা একটি ‘শত্রুতাপূর্ণ কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলোকে ‘আক্রমণের তালিকায়’ রাখবে ইরান।

অঞ্চলটিতে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন বার্তা দিলো তেহরান, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল