বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বাংলাদেশ এক উদীয়মান বাঘ

এশিয়ার দুই বৃহত্তর শক্তি চীন ও ভারতের সার্বক্ষণিক দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। বাংলাদেশকে কব্জায় রাখতে উভয় দেশই বেশ তৎপর রয়েছে। কোনো দেশই বাংলাদেশকে হাতছাড়া করতে চায় না। হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ভয়ে কখনো কখনো উভয় দেশকেই অতি তৎপর হতে দেখা যায়। আবার এই তৎপরতায় ছন্দপতন ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রকেও বেশ সরব হতে দেখা যায়। ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও নানাভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে হিসাব কষছে। বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছে; কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে শক্তিধর দেশগুলোর এত আগ্রহ কেন? নিশ্চয়ই এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।

ভূরাজনৈতিক অবস্থানগত কারণেই বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে কিংবা ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ে চিন্তাও করা যায় না। এ বিষয়টি নিয়ে ইউএন-এসকাপ নানা পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বিগত এক দশকে অনেক কাজ এগিয়েছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সড়ক যোগাযোগের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এশিয়া ও ইউরোপ এক সুতায় গাথা সম্ভব হবে। তা ছাড়া চট্টগ্রাম নৌবন্দর ব্যবহার করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বিপুল বাণিজ্য সুবিধা লাভ করতে পারে। এর আগে বেশ কয়েকবার নেপাল ও ভুটান তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রাম বন্দব ব্যবহার করেছে। তাতে তারা দেখেছে, কলকাতা বন্দরের চেয়ে কম খরচে পণ্য পরিবহন পড়ছে। তাই এই দুই দেশের সরকার চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধা চেয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর একটা বড় সুযোগ এনে দেবে।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগ থেকেই ভূরাজনৈতিক কারণে বিশেষ করে চীনের উপর নজরদারি বাড়াতে বঙ্গোপসাগরে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল। নানা সময় নানাভাবে চাপও দিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সম্মত হয়নি। এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সেই চাপ অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের গ্যাস রপ্তানির ব্যাপারেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে আসছিল। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্যাস রপ্তানির ব্যাপারে চাপ দিয়েছিলেন; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন অত্যন্ত সাহস ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছিলেন। এ কারণেই বাংলাদেশ বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায়।

বলতে দ্বিধা নেই, বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেলসহ কমপক্ষ দশটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর আগে আমরা দেখেছি, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সেই সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হয় বন্ধ অথবা স্থগিত হয়ে যায়। থমকে যায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। আসলে সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অসম্ভব হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকার তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার কারণে দীর্ঘমেয়াদি অনেক প্রকল্প হাতে নিতে পেরেছে। পদ্মা সেতু, মেট্ট্রোরেল এবং কর্ণফুলি টানেল প্রকল্প শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে এই তিনটি প্রকল্পের কাজই শেষ হয়ে যাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার ‘ইমার্জিং টাইগার’ বা উদীয়মান বাঘ। এই স্বীকৃতির পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে চলেছে। বিগত দুই বছর করোনা মহামারির ধকল সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশটি। যদিও বিগত দুই বছরে উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। দারিদ্র বেড়েছে। বেকার সমস্যা প্রকট হয়েছে। অর্থনীতির চাকা থমকে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। বিস্ময়করভাবে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। যদিও কিছু মানুষ ধারা করেছিল, দেশে মারাত্মক খাদ্য সংকট তৈরি হবে। বেকার সমস্যা প্রকট হবে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। কিন্তু এর কোনোটাই ঘটেনি।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের চলমান গতিশীল অর্থনীতির মূলে নানাবিধ কারণ রয়েছে। টানা কয়েক বছর বাম্পার ফসল উৎপাদন হয়েছে। ধীরে ধীরে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে এগিয়ে চলছে। আপাতত খাদ্য সংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। দেশের আপামর মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। মঙ্গা নামক শব্দটি বাংলাদেশের ডিকশনারি থেকে প্রায় উঠে গেছে। না খেয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা এখন আর ঘটছে না। করোনার কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। দারিদ্রের থাবায় বেশ কিছু দেশ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

করোনায় রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তৈরি পোশাক রপ্তানি কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে। স্বস্তি দিয়েছে বৈদেশিক আয় বা রেমিটেন্স। তা ছাড়া দেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো করোনার মধ্যেও চলমান ছিল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, মাতারবাড়ি কয়লাখনি প্রকল্পসহ অন্তত ১০টি প্রকল্পে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পদ্মা সেতু চলতি বছরের জুনে সম্পন্ন হওয়ার কথা। এটি সম্পন্ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় দেড় শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন, ২০০৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়টি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। শুরুতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তবে মাঝনদীতে এসে তরী ডুবানোর মতো অবস্থা সৃষ্টি করল বিশ্বব্যাংক। তখনো প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। নানা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করল, তারা পদ্মা সেতুতে ঋণ দেবে না। কারণ, তখনকার সেতু মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন নাকি ঘুষ গ্রহণের ‘ইনটেনশন’ পেয়েছে তারা। তখনো কিন্তু বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য কোনো অর্থছাড় করেনি। দেশের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ আমলে নিয়েছিলেন। তিনি সেতুমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। সেতু বিভাগের সচিবকেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাতে সরকার এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছিল।

তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ নিলেন। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন বলে বীরোচিত ঘোষণা দিলেন তিনি। তার সেই সাহসী ঘোষণায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের কিছু প্রতিনিধি বিদ্রুপের হাসি হেসেছিল। তারা বলেছিল, বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়া পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়; কিন্তু সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সেদিনের স্বপ্ন আজ বাস্তব হয়েছে। করোনার মতো মহামারিকে রুখে দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দেশের এই উন্নয়ন অভিযাত্রা আগামী দশ বছর অব্যাহত থাকলে সিঙ্গাপুর-মালেয়েশিয়ার চেয়েও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। তখন আর বাংলাদেশকে শ্রমিক হিসেবে কাউকে বিদেশে পাঠাতে হবে না। দেশেই আরও শিল্পায়ন হবে। অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ঘটবে। বিগত ৫০ বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকা দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। তাতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেড় দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তখন বিশ্ববাসী সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ নামক উদীয়মান বাঘের গর্জন শুনতে পাবে।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

সৌজন্যে: ভোরের কাগজ

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত