লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনা: না ফেরার দেশে প্রেমা, নিহত বেড়ে ১১

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে পৌঁছেছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনের মধ্যে একজন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম তসলিমা আক্তার প্রেমা (২০)।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে ওই ঘটনায় আহত আরও দুইজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সাত বছর বয়সী শিশু আরাধ্য বিশ্বাস আইসিইউতে এবং ২৫ বছর বয়সী দুর্জয় মণ্ডল হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন আছেন।
শিশু আরাধ্য বিশ্বাসের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি তপন চৌধুরী।
এদিকে, বুধবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হন। আহত তিনজনের মধ্যে আজ আরও একজন মারা গেছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত হন শিশু আরাধ্য বিশ্বাসের বাবা দিলীপ কুমার, মা সাধনা রানী ও সাধনার বড় ভাই। তারা ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়, আরাধ্য জানে না যে তার মা-বাবা আর ফিরে আসবেন না। তার ভরসা এখন তার দাদু দুলাল বিশ্বাস।
বন্ধু ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে মাইক্রোবাসে বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে লোহাগাড়ার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান দিলীপ, তার স্ত্রী সাধনা রানী ও সাধনার বড় ভাইসহ ১০ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক জানান, লোহাগাড়ায় দুর্ঘটনায় আহত তিন জনের মধ্যে আজ একজন মারা গেছেন। শিশু আরাধ্য বিশ্বাসের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে দুর্জয় মণ্ডল নামে আরও এক যুবক চিকিৎসাধীন আছেন।
