বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ

দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকলার অপূর্ব নিদর্শন

ঐতিহ্যবাহী ‘ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ’ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া বাজারের উত্তরে পুরাতন মুসলমান জমিদার শাহ্ সুফি আদারী মিয়া’র চৌধুরী বাড়িতে অবস্থিত। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের ল²ীপুর বাসষ্টপ থেকে ১৫ কিলোমিটার বা বিত্তিপাড়া থেকে ৯ কিলোমিটার পশ্চিমে দৃষ্টিনন্দন এই শাহী মসজিদটি অবস্থিত। ঝাউদিয়া শাহী মসজিদে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি, সে কারণে এর সঠিক নির্মাণকাল সম্পর্কে জানা যায় না।



ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকার ভূমি পরিকল্পনাবিশিষ্ট। গম্বুজের মধ্যে মেহরাবে, মসজিদের ভিতরের দেওয়ালে শিউলী, গাঁদা, পদ্ম প্রভৃতি ফুল, ফুলের সাজি বা ফুলদানি, লতাপাতা দ্বারা অঙ্কিত। ফুলদানিগুলির আকার ইরানি ফুলদানির আকৃতি বিশিষ্ট। চিত্রগুলির জ্যামিতিক ত্রিকোণ অংকনে মুঘল স্থাপত্যকলার সাথে বাঙালি স্থাপত্যকলার অপূর্ব সমাবেশ ঘটেছে। উত্তর-দক্ষিণে পরিমিতি ৪৬.৮ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৫ ফুট। মসজিদে নামাজের জন্য দুই কাতারে ৩০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন এবং মসজিদঘরের পশ্চিম দেওয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে- যার রূপনক্সা তিন রকম। মেহরাব তিনটির মধ্যে মাঝখানের কেন্দ্রীয় মেহরাব কিছুটা বড়ো আকৃতির যার মাপ উচ্চতায় ৮.২১ ফুট এবং প্রশস্তে ৪.৬৭ ফুট। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণে বড়ো জানালা আকৃতির আদলে ভেন্টিলেশন প্রাচীর রয়েছে, যা মসজিদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক বলে গবেষকগণ মনে করেন এবং এরূপ আকৃতি ‘খিলান করা জানালা’ নামেও পরিচিত। মসজিদের চার কোণায় চারটি বড়ো মিনার রয়েছে। সম্মুখের প্রশস্ত চত্বরের বেষ্টনীর দুই প্রান্তে এবং প্রবেশ পথের দুই দিকেও মিনার আছে। ক্ষুদ্রাকৃতির টালি, ইট ও চুন-সুরকির গাঁথুনি এবং দেওয়ালের বেড় ৩ ফুট। পশ্চিম ও পূর্ব দেয়ালের পুরুত্ব¡ ৩.১০ ফুট এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের ৩.৩৩ ফুট। পূর্ব-পশ্চিমে উলম্বভাবে স্থাপিত দু’টি খিলানের ওপরে তিনটি গম্বুজের সাহায্যে মসজিদঘরের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদের পূর্ব দেওয়ালে সম্মুখে তিনটি দরজা রয়েছে। কেন্দ্রীয় বা মধ্যবর্তী প্রবেশদ্বারটি, পাশ্ববর্তী দরজা দুটি অপেক্ষা কিছুটা উঁচু, এটির উচ্চতা ৬.৩৩ ফুট এবং প্রশস্ত ৩.৪২ ফুট। মূল মসজিদ ঘরের পূর্বদিকে আয়তকার ‘সাহন’ রয়েছে। এর পরিমিতি পূর্ব-পশ্চিমে ৫৪.৪২ ফুট এবং উত্তর-দক্ষিণে ৫২.২ ফুট। উঁচু প্রবেশদ্বারের মূল ফটক এবং এর দুই পার্শ্বে কোণায় গম্বুজসহ মধ্যম গোলাকৃতি দুটি মিনার রয়েছে- যা পুরো মসজিদের সৌন্দর্য বর্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে একটি নিভৃত পল্লীতে মুঘল আমলে (শাসনকাল ১৫২৬-১৮৫৭) নির্মিত এই মসজিদটি কুষ্টিয়া তথা বাংলাদেশের একটি মূল্যবান স্থাপত্যশৈলী। ঝাউদিয়ার এই মসজিদটির ভিতরে মুঘল শিল্পকলার অপূর্ব নিদর্শন ও কারুকার্যে শোভিত রয়েছে যা বাংলাদেশের মসজিদ স্থাপত্যশিল্পের নান্দনিক শিল্পের উদাহরণ। অনেক স্থানেই এমন অপূর্ব কারুকার্য শোভিত মসজিদ খুব কমই দেখা যায়। জমিদারের বংশীয়উত্তরসূরি হাসান আলী চৌধুরী তৎকালীন চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৬২ সালে মসজিদের বারান্দার উপর সুপ্রশস্ত ছাদ নির্মাণ করেন। কিন্তু মসজিদের পুরাকীর্তির মৌলিক সৌন্দর্য রক্ষার জন্যে প্রতœতত্ত¡ বিভাগ ১৯৭৯ সালে ছাদটি ভেঙ্গে আগের অবস্থায় নিয়ে আসে। ১৯৮০ সালের দিকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতœতত্ত¡ বিভাগ এই ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং এখানে একজন কর্মচারী নিযুক্ত করে। প্রতি শুক্রবার এই মসজিদে জুম্মার নামায আদায় হয় এবং মান্নাত-সদ্কা-দান এসবের প্রাণি সম্প্রদানসহ নানা উদ্দ্যেশে টাকা-পয়সা-সমমূল্যের উপঢৌকন ও শিরনি দেওয়ার জন্য প্রচুর সংখ্যক মুসলমানসহ অন্য ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। পর্যটন মৌসুমে নানা শ্রেণির পর্যটকের সমাগমে মুখরিত হয়ে থাকে মসজিদের সম্মুখের প্রশস্ত বারান্দা ও চত্বর।

সুফি আদারী চৌধুরী মুঘল স¤্রাট শাহজাহানের (শাসনকাল ১৫৯২-১৬৬৬) রাজত্বকালে ও তৎপরবর্তী এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। মসজিদের অনতিদূরেই রয়েছে তাঁর মাজার। তিনি মুঘলদের দানকৃত লাখেরাজ সম্পত্তির জমিদারী ভোগ করতেন। এলাকায় তিনি একজন বিশিষ্ট ইসলাম প্রচারক ও কামেল পীর নামেও পরিচিত। যার কারণে মুঘল বাদশাহ’র সন্তুষ্টি লাভে সমর্থ হন এবং বাদশার আর্থিক আনুকূল্য ও কারিগরি সহায়তায় তিনি এই অপূর্ব নিদর্শণ নির্মাণ করতে সফল হন। মসজিদ নির্মাণের সম্পূর্ণ জমি-জায়গা ও মাজার চত্বর পীর সাহেবের নিজস্ব মালিকানার ভূমি বলে স্বীকৃত আছে। কুষ্টিয়া অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি বিষয়ে কুমুদনাথ মল্লিক লিখিত (শ্রীমোহিত রায় সম্পাদিত) ‘নদীয়া-কাহিনী’তে এই মসজিদের নির্মাণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: ‘মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহাম্মদ আলী বা সুফি আদারী মিয়া চৌধুরী। তিনি মুঘল স¤্রাট আওরঙ্গজেবের দানভাজন ছিলেন। মসজিদের পাশেই তাঁর মাজার। তিনি কামেল ফকিররূপে খ্যাত হন।’ চৌধুরী পরিবার থেকেও জানা যায়, মসজিদটি অষ্টাদশ শতকে নির্মিত হয়েছে। তিনি সুদূর ইরাক হতে ভারত, ভারত থেকে ঝাউদিয়া এসে ইসলাম প্রচার শুরু করেন এবং মসজিদটি নির্মাণ করেন। তিনি এ অঞ্চলে একজন প্রজা দরদী জমিদার ও দরবেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর পিতা শাহ্ আজিজুর রহমান দিল্লীর বাদশাহের নিকট থেকে কিছু ভূ-সম্পত্তি লাভ করেন বলেও জানা যায়।

বিস্তারিত জানতে ড. মুহম্মদ এমদাদ হাসনায়েন ও ড. সারিয়া সুলতানা, ‘ধর্মীয় ইতিহাস স্থাপত্যে কুষ্টিয়া’, প্রথম প্রকাশ, কণ্ঠধ্বনি প্রকাশনী, কুষ্টিয়া, একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০

খুজতে হলে https://www.rokomari.com/search?term=কণ্ঠধ্বনি+প্রকাশনী

 

লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত