রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে মোদির ‘লুকোচুরি’

একটা সরকার আর তার প্রধানমন্ত্রী কি শুধুই মিথ্যে কথার উপরে দাঁড়িয়ে আছে? করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা খরচ নিয়েও মিথ্যা কথা বলেছিল খোদ পিএমও, মানে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। ভ্যাকসিন আবিস্কার বা তৈরির জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে রীতিমত প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত এক টাকাও দেওয়া হয়নি। লোকেশ বাত্রা নামে এক সমাজকর্মীর করা আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার) থেকেই এই সত্যি প্রকাশে এসেছে। খবরটি ডিজিটাল পোর্টাল দ্য ওয়ারে প্রকাশিত হয়েছে।

কারোনা মহামারীর প্রথম ঢেউ এর সময়ে স্বাধীনতার সময় থেকে চলা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে মোদি তার নেতৃতে পি এম কেয়ার ফান্ড গঠন করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতামনও সদলা ছিলেন। যদিও এটা সরকারি তহবিল নয়। কিন্তু বিভিন্ন শিল্পসংস্থা ৩ উদ্যোগপতি এই তহবিলে কোটি কোটি টাকা দেন! রেল থেকে ব্যাংক বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের মাইনে থেকে কেটে বাধ্যতামূলকভবে টাকা নেওয়া হয়! কত টাকা উঠেছে আজ পর্যন্ত মোদি তা জানাননি। হিসেবও দেননি।

২০২০ সালের ১৩ মে পিএমও থেকে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তিন হাজার একশ কোটি টাকা দেবে। যেমন, অন্যদেশের সরকারও দিয়েছে। আর ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য পি এম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। যা সরাসরি জনগণের দানের টাকা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই টাকা দেশের প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা বিজয় রাঘবনের নজরদারিতে দেওয়া হবে।
সেই টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ২০২১ এর ১৬ জুলাই আরটিআই করেন বাত্রা। তাকে নানা ভাবে হেনস্তা করা হয় ও বারবার বলা হয় পিএম কেয়ার ফান্ড যেহেতু সরকারি ফান্ড যেহেতু সরকারি ফান্ড নয় সেই ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। অবশেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়,ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি!

"সব কা সাথ,সব কা বিকাশ”

আওয়াজ তুলে নারেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার সময়ে বিকাশ সব থেকে বেশি বেশি হয়েছে গৌতম আদানির। এই করোনা অতিমারির ২০২০ সালে আদানির সম্পত্তি যা ছিল ৬৬ লাখ কোটি টাকা। ২০২১ সালের শেষে তা সাড়ে সাত গুণ বেড়েছে। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বৃদ্ধি এর পরেই। কিন্তু অনেক কম।

পশ্চিমবঙ্গে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার বা সমীক ভট্টাচার্য এর মতো বিজেপির নেতা বা পাড়ার বিজেপি কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলেই হতাশা টের পাওয়া যাবে। মোদিজি কার বিকাশ করছেন?এই সময়ে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২১ সালে দেশের ২০ কোটি মানুষ আরও গরিব হয়ে গিয়েছে। দেশের কয়েক কোটি মানুষকে রেশনে দুই কেজি করে চাল গম দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা একেবারে না খেতে পেয়ে, মরে না যায়। কিন্তু এই এক বছরে ভারতে এর সংখ্যা বেড়েছে আরও ৪০জন। ভারতের একাধিক বিমানবন্দরও রেল স্টেশন। বেসরকারি করণের নামে তুলে দেওয়া হয়েছে এই মোদিপন্থী শিল্পপতিদের হাতে।

সম্প্রতি মোদি ওয়ার্ল্ড ইকনমি ফোরামে টেলিপ্রমটারে দেখে তার ভাষণে বলছেন, ভারতে বিনিয়োগের এটাই সেরা সময়। ঠিকই বলছেন! এটাই মোদিমিক্স। অর্থাৎ মোদির অর্থশাস্ত্র। গৌতম আদানিও মোদির প্রশংসা করে ঠিকই বলেছেন, মোদির দেখানো পথে দেশ এগিয়ে চলেছে। আসলে মিথ্যা প্রচারের উপর নির্ভর করা ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের হাত ধরা ক্রনি ক্যাপিটাল একসঙ্গে চলে। ইউরোপের ইতিহাস তাই বলে। ভারতেও তাই হচ্ছে। ভারতের নাগরিকরা কি করবেন তা তাঁদেরই ভাবতে হবে। এর সঙ্গে কালীঘাটের ব্যানার্জি পরিবারের ৪০টি বাড়ির ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ওটা কিন্তু ফ্যাসিজিম নয়!

কোনো দেশে ফ্যাসিবাদ একা আসে না। হিটলার বা মুসোলিনির মত রাস্ট্রবাদের কথা বলে ক্রমাগত কিছু মানুষকে ধর্মীয় বা বা জাতিগত বিচারে টার্গেট বানানো একজন ডিক্টেটর একা দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করতে পারে না। তার জন্য দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ওই নেতা ও তার মিথ্যা প্রচারকে, ঘৃণার বার্তাকে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে দেওয়ার জন্য প্রচার যন্ত্র। হিটলারের জার্মানি বা মুসোলিনির ইতালিতে সেই কাজ করেছিল দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্র ও সরকারি রেডিও। বেশি কিছু পড়তে হবে না। হাতের কাছে বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস' বইটি থাকলে বা জোগাড় করে পড়ে দেখতে পারেন।

ভারতে সেই কাজ করছে দিল্লি ও নয়ডার বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ। এরাই মালিক হিন্দি ও ইংরেজি সংবাদপত্রও সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলির। প্রচারের জন্য দেদারসে সরকারি অর্থও বিজ্ঞাপন পাচ্ছে তারা। মুনাফা বাড়ছে। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসায় এদের মুখোশ খুলে গিয়েছে পুরোপুরি।
দিল্লির টাইমস নাও এর নতুন হিন্দি চ্যানেল টাইমস নবভারতের সাংবাদিক তিলক কাটা সুশান্ত সিনহা। রোজ রাতে প্রাইম টাইমে 'রাজনীতির পাঠশালা' নামে এক অনুষ্ঠান করেন। একটাই কাজ, মোদি ও বিজেপির গুনকীর্তন প্রচার এবং কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে গালাগালি। দিল্লির যেসব প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক মোদি জমানায় বাধ্য হয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন,তাদেরও গালাগালি করতে ছাড়েন না। যে কেউ ইচ্ছে ওঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখতে পারেন। টাইমস এর মালিক জৈনরা পুরোপুরি মোদীর সমর্থক ও ভক্ত। তাদের কাগজের কলকাতার এডিশনেও এই মহান সাংবাদিকের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন বার হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি থেকে বেকারি বা দেশের আর্থিক অবস্থা এমনকি চার্চ ভাংচুর এই সব বিষয় কিন্তু সুশান্তের পাঠশালায় পড়ানো হয় না।

অন্য ছবিটি মুকেশ আম্বানির চ্যানেলের হিন্দির এডিটর আমন চোপড়ার। ইনিও তিলকধারী এবং প্রাইম-টাইম শো, করেন রোজ রাতে।এরও কাজ ওই একই মোদীর প্রচার এবং রাহুল গান্ধীকে উপহাস করা। যেমন-হিন্দুত্ববাদী শব্দ, যা রাহুল জয়পুরের ভাষণে বলেছিল। রামদেব এর সফরসঙ্গী হয়ে তার মুখ দিয়ে রাহুলকে খিল্লি করে 'বাওড়া' বলানোর কাজটি এই অমন করেছিলেন। দুই দিন আগে রায়পুরের এক ধর্মসম্মেলনে সাধুবেশী কালীচরণ মহাত্না গান্ধীকে গালাগালি দিয়ে বলেছিল, ওকে হত্যা করার জন্য নাথুরাম গেডসে্কে প্রণাম।

সেই কালীচরণকে পরের দিন টিভিতে বসিয়ে আমনের কি কাকুতি মিনতি। মহারাজ একবার বলুন ভুল হয়ে গিয়েছে। আপনার জন্য গোটা হিন্দুদের অসম্মান করে সমালোচনা করছে সেকুলাররা। ওরা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কালীচরণের মত পাষণ্ড তো কথাটি বলে বিরাট মজা পেয়েছে। কারণ, দেশ জুড়ে প্রচুর প্রচার পেয়েছে। সবাই ওর নাম জেনে গিয়েছে। ওই কথার পরেই সে বলেছিল, এখনই বিজেপির উচিত সংবিধান বদলে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা। তা নিয়ে কিন্তু তিলক কাটা সাংবাদিক কিছু বলছে না। উল্টে বলছে আপনার একার জন্য হিন্দুত্ববাদী মানে হিন্দুদের নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। মোদিজিও গান্ধীকে ফুল দেন।

আমন চোপড়া এতটাই অশিক্ষিত যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে মোহনদাস গান্ধীজিকে মহাত্না গান্ধী বলেছিলেন, তা-ও জানে না। গুজরাটের কোন একটি হিন্দু সাধুর নাম করে বললো এখন অন্য সাধুদের কি মত তা নিয়ে আলোচনা করবো। প্যানেলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা আরও গেরুয়াধারীদের নিয়ে আলোচনা শুরু হলো।
কেন এফ আই আর হওয়ার পরেও কালাচরণকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তিলককাটা আমনের মতো সাংবাদিকরা একটাও প্রশ্ন করে না।

 

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি