বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাধারণতন্ত্র দিবস ও নেতাজির ট্যাবলো বিতর্ক

২৬ জানুয়ারি ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবসের ৭২ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে ভারতে সংবিধান রচনার কাজ শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু সংবিধানে স্বাক্ষর করার পর ঘোষণা করেছিলেন, পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হবে। তিনি সেদিন সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৬ সালে কংগ্রেস অধিবেশনে বলেছিলেন, ২৬ জানুয়ারি ভারত স্বাধীন হবে। সেদিনই হবে স্বাধীনতা দিবস। তবে মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পেরেছিল, আর বেশিদিন এ দেশে রাজত্ব করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তারা ভারতকে ভাগ করে এদেশ থেকে চলে গেল।

যা-ইহোক এরপর থেকে নেতাজির ইচ্ছে অনুযায়ী, ২৬ জানুয়ারিতে ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। ১৯৫০ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর এই দিনটিতে একজন করে বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই রীতি বরাবরই চলে আসছে। গত বছর করোনা আবহের মধ্যেও এই রীতি লঙ্ঘিত হয়নি। যথারীতি ২৬ জানুয়ারির অনুষ্ঠানে আনা হয়েছিল এক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানকে। কয়েকমাস আগে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে কথা হয়েছিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। তবে সাউথ ব্লকের সরকারি ব্যাখ্যা হলো–করোনা অমিক্রন আবহে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।

প্রায় ৩ সপ্তাহ আগে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী হরিদ্বারে গেরুয়াধারী তথাকথিত সাধু-সন্তরা একের পর এক প্রকাশ্য জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে বলেন, ভারতের মুসলমানদের গুলি করে মারা হবে। মারা হবে শিখদেরও। সাধুদের এই সভায় সাম্প্রদায়িক উক্তি নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ সব বিরোধী দল ওই সাধুদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। যেহেতু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তাই সংবাদমাধ্যম ও বিরোধী দলের চাপে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি সুয়োমোটো মামলা গ্রহণ করে বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ডিজিপিকে নির্দেশ দেন সাধুদের গ্রেফতার করার।

ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, তাদের এমন সব ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাতে তারা জামিনে মুক্ত হতে পারেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি হাতে নেওয়ার ফলে মোদি সরকার বেশ বিব্রত হয়ে পড়েছে। পাছে এই বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠে, প্রসঙ্গটি এড়াতে কেন্দ্রীয় সরকার এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানায়নি বলেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা। সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের ইতিহাসে এই প্রথমমবার এমন ঘটনা ঘটল।

নেতাজির ইচ্ছানুযায়ী ২৬ জানুয়ারি দেশের সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথা অনুযায়ী, প্রতি বছরেই দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রতিটি রাজ্যের ট্যাবলো প্রদর্শন করা হয়। যেহেতু এ বছরই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী, আর ঘটনাচক্রে দিনটি ২৬ জানুয়ারির মাত্র ৩ দিন আগেই, তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার নেতাজির কর্মকাণ্ড নিয়ে এক ট্যাবলো প্রদর্শন করতে চেয়েছিল এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই ইচ্ছা কেন্দ্র মানেনি। তারা সরাসরি বাতিল করে দিয়েছে নেতাজিকে নিয়ে ট্যাবলো।

এখানেই শেষ নয়, নেতাজির কন্যা অনিতা বসু পাফ বর্তমানে কলকাতায় ছুটি কাটাচ্ছেন। তিনি মোদি সরকারকে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, ‘আমার বাবার ১২৫ বছর পূর্ণ হবে এ বছরের ২৩ জানুয়ারি। আর এখন মোদি সরকার বাবাকে নিয়ে রাজনীতি করছে।’

অনিতা আরও বলেছেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি, বাবার মতো একজন দেশনায়ককে বিজেপি এবং আরএসএস যেভাবে উপেক্ষা করছে, তা কল্পনার অতীত। আমি জানি না এর পেছনে কি কারণ রয়েছে এবং বাবাকে নিয়ে ট্যাবলো কেন প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হলো না। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’

অন্যদিকে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস, সিপিএমও। কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা তো জানি, দিল্লির সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তলে তলে বোঝাপড়া রয়েছে। দাদার সঙ্গে দিদির তো রীতিমতো সখ্য আছে। আমাদের হারাতে দিদি এখন তো গোয়া, মেঘালয়, মনিপুর করে বেড়াচ্ছেন। তাহলে এখন নেতাজি ট্যাবলোর ব্যাপারে কেন্দ্রেকে রাজি করাতে পারছেন না কেন? এদিকে রাজ্য বিজেপির অভ্যন্তরেও ট্যাবলো বিতর্ক চলছে।

রীতিমতো মতান্তর শুরু হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দীলিপ ঘোষ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। বলেছেন, বেশ করেছে। ঠিক করেছে। দিল্লির লোককে বাংলায় ঢুকতে দেবে না। দিলীপ ঘোষের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্য সভাপতি, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায় মনে করেন, ২৬ জানুয়ারির কুচকাওয়াজে নেতাজি ট্যাবলো অবশ্যই থাকা উচিত। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধও করেছেন, যাতে নেতাজি তথা বাংলার অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান মানুষের চোখের সামনে আসে।

যা-ই হোক, কেন্দ্র সরকার শেষপর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নেতাজি ট্যাবলোকে কুচকাওয়াজের অন্তঃর্ভুক্ত করা হবে না। আর এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। নেতাজির মতো একজন সর্বজনপ্রিয় ও সর্বজনগ্রাহ্য দেশনেতাকে নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করল, তাতে তাদের আখেরে ক্ষতিই হলো। যা আগামীদিনে আরও স্পষ্ট হবে।

লেখক: ভারতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত