রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পর্যটনে বিনিয়োগ কৌশল

জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা পর্যটনের পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগকে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মানুষের জন্য, পৃথিবীর জন্য এবং সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩ উদযাপনকে সামনে রেখে এই সংস্থা বলছে যে, এখন শুধু প্রথাগত বিনিয়োগ নয় যা অর্থনৈতিক প্রচার ও তথাকথিত প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতাকে এগিয়ে নেবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সরকার, বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন পর্যটন বিনিয়োগ কৌশল উদ্ভাবনের সময় এসেছে। পর্যটনের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে এই পৃথিবীর টেকসই অবকাঠামো এবং সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলেই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসবে। সংস্থাটি টেকসই পর্যটনের জন্য টেকসই বিনিয়োগ প্রয়োজনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ মহামারিতে আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত পতন ঘটায় এই খাতের সকল স্তরে সংকট বিরাজমান। সঙ্গে পর্যটনের জলবায়ু কর্ম প্রচেষ্টাও ব্যাহত হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটনের স্টার্ট-আপগুলোতে বিনিয়োগকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে এবং পর্যটন প্রযুক্তি ও ইকোসিস্টেমের স্থিতিস্থাপকতা বিবেচনা করে কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার। তাই পর্যটনকে অধিকতর সক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে খাত নির্ধারণ করে বিনিয়োগ প্রয়োজন। ফলে জনগণের জন্য নানাবিধ সুযোগ সৃষ্টি হবে, স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি গড়ে উঠবে ও উন্নয়ন সম্ভাবনাগুলো বাস্তবতা লাভ করবে। জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টা এবং এই পৃথিবীর স্থায়িত্ব নিশ্চিতকল্পে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। পর্যটনে কৌশলগত বিনিয়োগ একটি প্রধান অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এই বিনিয়োগে ব্যবসা ও উন্নয়নের এর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করবে।

পর্যটন শিক্ষা ও উচ্চতর দক্ষতা সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার বিনিয়োগ উপখাত হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পর্যটন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী জব ফ্যাক্টরি হিসেবে পরিগণিত। ২০১৯ সালে সেক্টরটি বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনকে নিয়োগ করেছে এবং নারী ও যুবকদের জন্য উচ্চ স্তরের সুযোগসহ নানাবিধ কর্মসৃজন করেছে। উদীয়মান গন্তব্যে ৫০ শতাংশ তরুণ-তরুণী কাজের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগের অভাবে পর্যটন শিক্ষায় যুবাদের প্রবেশ সীমিত হয়ে যাচ্ছে এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। পর্যটন আবাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বৈশ্বিক পর্যটনকর্মী সৃজনের লক্ষ্যে ২০৩০ পর্যন্ত লক্ষ্য স্থির করা জরুরি। কারণ এই সময়ে পৃথিবীর বহুদেশে লক্ষ লক্ষ আতিথেয়তা স্নাতকের প্রয়োজন হবে।

এই গ্রহে পর্যটনের সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ উত্তম পরিষেবা প্রদান করতে পারে। যেমন বিশ্বব্যাপী মোট কার্বন নির্গমনের ১% হয় হোটেল থেকে এবং পর্যটন খাত ক্রমবর্ধমান এনার্জি ও পানি ভোক্তাদের অন্যতম। তাই জলবায়ু প্রযুক্তি ও পর্যটনের স্টার্ট-আপগুলোর জন্য তহবিল যোগান সত্যিকারের রূপান্তরের সূচনা করতে পারে। কেবল প্রয়োজনের জন্য নয়, বরং পর্যটনের ক্রিয়াকলাপে টেকসই ব্যবস্থাকে সমন্বিত করে এই সকল বিনিয়োগ পর্যটনকে চালকের আসনে বসাতে পারে। সঠিক বিনিয়োগ ব্যয় দক্ষতা, শহর পরিচালনা নীতি, অভ্যন্তরীণ স্থায়িত্ব, ব্র্যান্ড ইমেজ ও অতিথি সন্তুষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে পর্যটন অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।

পর্যটনে নানাবিধ উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমৃদ্ধি সাধনের জন্য বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করা উচিত। উদ্ভাবন ও ডিজিটালাইজেশনে বিনিয়োগে বহুগুণিতক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরণের বিনিয়োগ বড় আকারের বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে উদ্দীপিত করবে। এইক্ষেত্রে নারীদের বিনিয়োগকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নারীদের অগ্রাধিকার বিনিয়োগ নীতি উদ্যোক্তা পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, বৈশ্বিক পর্যটনের বর্তমানে ৫৪ শতাংশ নারী পর্যটনে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ও সক্ষমতা উভয়ই বাড়ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী নারীদের দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে।

পর্যটনের বিনিয়োগ কৌশলকে নিম্নরূপে পরিশীলিত করা যায়:
ক. সরকারকে আন্তর্জাতিক ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে প্রসারিত করার মাধ্যমে মানবপুঁজি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রবিধান এবং প্রণোদনা সৃষ্টি করতে হবে।
খ. পর্যটনের উদীয়মান বিনিয়োগের চাহিদা পূরণে বেসরকারি খাত কর্তৃক শিক্ষা উন্নয়নে গৃহিতব্য পদক্ষেপগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
গ. পর্যটন সবুজায়নে বর্ধিত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করার নীতি গ্রহণ করতে হবে।
ঘ. জলবায়ু প্রযুক্তি উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেল ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নতুন জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পন্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ. উদ্ভাবনকে সমর্থন করার জন্য আর্থিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা, উপকরণ ও প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে।
চ. পর্যটন ব্যবসাকে সহজভাবে পরিচালনার নীতি গ্রহণ করে বিনিয়োগ নীতি আরও সহজ করতে হবে। এতে উদীয়মান ও জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী আর্থিক প্রক্রিয়া এবং সমাধানগুলিকে আলিঙ্গন করা সম্ভব হবে।
ছ. অর্থায়নের লিঙ্গ ব্যবধান হ্রাস করার উদ্দেশ্যে গার্হস্থ্য ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের মূলধন বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হবে। ফলে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার উন্মুক্ত হবে।

উপসংহারে বলা যায় যে, পর্যটনের নানারূপ অধিক্ষেত্র যেমন পর্যটন শিক্ষা, স্টার্ট-আপ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রাধিকার বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন বিনিয়োগ সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। বিনিয়োগে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করার উদ্দেধ্যে নারী জনগোষ্ঠীকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। আগামী দিনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসনে এই কৌশল সমধিক উপযোগিতা সৃষ্টি করবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।

এসএন

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু