বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পর্যটনে বিনিয়োগ কৌশল

জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা পর্যটনের পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগকে অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মানুষের জন্য, পৃথিবীর জন্য এবং সমৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩ উদযাপনকে সামনে রেখে এই সংস্থা বলছে যে, এখন শুধু প্রথাগত বিনিয়োগ নয় যা অর্থনৈতিক প্রচার ও তথাকথিত প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতাকে এগিয়ে নেবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, সরকার, বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন পর্যটন বিনিয়োগ কৌশল উদ্ভাবনের সময় এসেছে। পর্যটনের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করে এই পৃথিবীর টেকসই অবকাঠামো এবং সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে হবে। তাহলেই উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে সত্যিকারের সমৃদ্ধি আসবে। সংস্থাটি টেকসই পর্যটনের জন্য টেকসই বিনিয়োগ প্রয়োজনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ মহামারিতে আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত পতন ঘটায় এই খাতের সকল স্তরে সংকট বিরাজমান। সঙ্গে পর্যটনের জলবায়ু কর্ম প্রচেষ্টাও ব্যাহত হচ্ছে।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যটনের স্টার্ট-আপগুলোতে বিনিয়োগকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে এবং পর্যটন প্রযুক্তি ও ইকোসিস্টেমের স্থিতিস্থাপকতা বিবেচনা করে কর্মপ্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার। তাই পর্যটনকে অধিকতর সক্ষমতা প্রদানের লক্ষ্যে খাত নির্ধারণ করে বিনিয়োগ প্রয়োজন। ফলে জনগণের জন্য নানাবিধ সুযোগ সৃষ্টি হবে, স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি গড়ে উঠবে ও উন্নয়ন সম্ভাবনাগুলো বাস্তবতা লাভ করবে। জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মপ্রচেষ্টা এবং এই পৃথিবীর স্থায়িত্ব নিশ্চিতকল্পে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি অব্যাহত রাখতে হবে। পর্যটনে কৌশলগত বিনিয়োগ একটি প্রধান অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এই বিনিয়োগে ব্যবসা ও উন্নয়নের এর মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি করবে।

পর্যটন শিক্ষা ও উচ্চতর দক্ষতা সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার বিনিয়োগ উপখাত হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। পর্যটন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী জব ফ্যাক্টরি হিসেবে পরিগণিত। ২০১৯ সালে সেক্টরটি বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনকে নিয়োগ করেছে এবং নারী ও যুবকদের জন্য উচ্চ স্তরের সুযোগসহ নানাবিধ কর্মসৃজন করেছে। উদীয়মান গন্তব্যে ৫০ শতাংশ তরুণ-তরুণী কাজের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু বিনিয়োগের অভাবে পর্যটন শিক্ষায় যুবাদের প্রবেশ সীমিত হয়ে যাচ্ছে এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। পর্যটন আবাসনকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বৈশ্বিক পর্যটনকর্মী সৃজনের লক্ষ্যে ২০৩০ পর্যন্ত লক্ষ্য স্থির করা জরুরি। কারণ এই সময়ে পৃথিবীর বহুদেশে লক্ষ লক্ষ আতিথেয়তা স্নাতকের প্রয়োজন হবে।

এই গ্রহে পর্যটনের সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ উত্তম পরিষেবা প্রদান করতে পারে। যেমন বিশ্বব্যাপী মোট কার্বন নির্গমনের ১% হয় হোটেল থেকে এবং পর্যটন খাত ক্রমবর্ধমান এনার্জি ও পানি ভোক্তাদের অন্যতম। তাই জলবায়ু প্রযুক্তি ও পর্যটনের স্টার্ট-আপগুলোর জন্য তহবিল যোগান সত্যিকারের রূপান্তরের সূচনা করতে পারে। কেবল প্রয়োজনের জন্য নয়, বরং পর্যটনের ক্রিয়াকলাপে টেকসই ব্যবস্থাকে সমন্বিত করে এই সকল বিনিয়োগ পর্যটনকে চালকের আসনে বসাতে পারে। সঠিক বিনিয়োগ ব্যয় দক্ষতা, শহর পরিচালনা নীতি, অভ্যন্তরীণ স্থায়িত্ব, ব্র্যান্ড ইমেজ ও অতিথি সন্তুষ্টি ইত্যাদি বিষয়ে পর্যটন অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।

পর্যটনে নানাবিধ উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমৃদ্ধি সাধনের জন্য বিনিয়োগ নীতি গ্রহণ করা উচিত। উদ্ভাবন ও ডিজিটালাইজেশনে বিনিয়োগে বহুগুণিতক সমৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরণের বিনিয়োগ বড় আকারের বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নকে শক্তিশালী করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে উদ্দীপিত করবে। এইক্ষেত্রে নারীদের বিনিয়োগকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। নারীদের অগ্রাধিকার বিনিয়োগ নীতি উদ্যোক্তা পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, বৈশ্বিক পর্যটনের বর্তমানে ৫৪ শতাংশ নারী পর্যটনে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারী উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ও সক্ষমতা উভয়ই বাড়ছে। ফলে বিশ্বব্যাপী নারীদের দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে।

পর্যটনের বিনিয়োগ কৌশলকে নিম্নরূপে পরিশীলিত করা যায়:
ক. সরকারকে আন্তর্জাতিক ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে প্রসারিত করার মাধ্যমে মানবপুঁজি উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রবিধান এবং প্রণোদনা সৃষ্টি করতে হবে।
খ. পর্যটনের উদীয়মান বিনিয়োগের চাহিদা পূরণে বেসরকারি খাত কর্তৃক শিক্ষা উন্নয়নে গৃহিতব্য পদক্ষেপগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে।
গ. পর্যটন সবুজায়নে বর্ধিত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করার নীতি গ্রহণ করতে হবে।
ঘ. জলবায়ু প্রযুক্তি উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেল ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য নতুন জলবায়ু সংকট মোকাবিলার পন্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ঙ. উদ্ভাবনকে সমর্থন করার জন্য আর্থিক বিনিয়োগ ব্যবস্থা, উপকরণ ও প্রযুক্তি এবং উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে হবে।
চ. পর্যটন ব্যবসাকে সহজভাবে পরিচালনার নীতি গ্রহণ করে বিনিয়োগ নীতি আরও সহজ করতে হবে। এতে উদীয়মান ও জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্ভাবনী আর্থিক প্রক্রিয়া এবং সমাধানগুলিকে আলিঙ্গন করা সম্ভব হবে।
ছ. অর্থায়নের লিঙ্গ ব্যবধান হ্রাস করার উদ্দেশ্যে গার্হস্থ্য ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রেই নারীদের মূলধন বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে হবে। ফলে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার উন্মুক্ত হবে।

উপসংহারে বলা যায় যে, পর্যটনের নানারূপ অধিক্ষেত্র যেমন পর্যটন শিক্ষা, স্টার্ট-আপ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অগ্রাধিকার বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটন বিনিয়োগ সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। বিনিয়োগে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করার উদ্দেধ্যে নারী জনগোষ্ঠীকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে হবে। আগামী দিনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসনে এই কৌশল সমধিক উপযোগিতা সৃষ্টি করবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা।

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪