বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ | ১২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন ও আমলাতন্ত্র

রংপুরের ডিসি মহোদয় যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ‘স্যার’ সম্বোধন করতেন তাহলে তার মান সম্মান কোনোভাবে কমে যেত না বরং বেড়ে যেত। একইভাবে, উক্ত শিক্ষক যদি ডিসি মহোদয়কে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করতেন তাতে তারও মান সম্মানের একটুও হানি হতো না বরং বেড়ে যেত। দুজনই কিন্তু দুজনের সুপিরিয়রিটি দেখাতে চেয়েছেন। তবে, ডিসি একটু বেশি দেখাতে চেয়েছেন এবং স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের স্যারই বলতে হয়, কারণ তিনি প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা— যারা নিজেদের সবার চেয়ে আলাদা ভাবেন।

কেন ভাবেন তার সে রকম কোনো উত্তর নেই। তবে, শিক্ষক সঙ্গে সঙ্গে বিরল এক ধরনের প্রতিবাদ করে বিষয়টিকে অনেকের মাঝে পৌঁছে দিতে পেরেছেন— সেটির জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমাদের দেশের শিক্ষকরা কিন্তু সেই জায়গাতে নেই যে, সমাজের সবাই তাদের সম্মান জানাবে। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ সেই জায়গাটি দখল করেছেন কিন্তু সাধারণ অর্থে সবার ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হয়নি, আর তাই সমাজ সব শিক্ষককে মোটামুটি একই মানদণ্ডে মাপতে চায়। এটিও একেবারেই ঠিক নয়।

সেনাবাহিনীর জেনারেলদের ভেতরেও কেউ কেউ আছেন শিক্ষকদের ‘স্যার’ বলেন, তাতে তাদের সম্মানের কোনো হানি হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সেনাবাহিনী সম্পর্কে আমরা সোচ্চার ছিলাম যে, এত গরিব দেশে সোনবাহিনীর পেছনে এত খরচ, বসে বসে তাদের দেশ পালছে কেন। সেই সেনাবাহিনী কিন্তু এখন বড় ইন্ডাস্ট্রিতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বাহিনীতে পেশাগত দক্ষতা প্রদর্শন করে লাখ লাখ ডলার দেশে নিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, দেশেও রয়েছে তাদের বিভিন্ন সেক্টরে ব্যবসা। কাজেই সেনাবাহিনী নিয়ে এখন তেমন কথা নেই। কিন্তু আমাদের এ সব প্রশাসকদের নিয়ে কী হবে? সমাজের কী হবে? এখনো সবাই, উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পরেও একজন প্রশাসক হওয়ার জন্য অর্জিত সববিদ্যা জলাঞ্জলি দিয়ে কেরানী হওয়ার জন্য পাগলপ্রায়।

দেশের সত্যিকার উন্নয়নের জন্য আমাদের দেশে প্রয়োজন প্রচুর প্রকৃত গবেষক (শুধু ডক্টরেট নামধারী নয়), প্রকৃত বিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ, আবিষ্কারক, উদ্ভাবক, দরকার ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা যারা অন্যের কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা করতে পারেন, ব্যবসায়ী যারা দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারেন, প্রয়োজন দক্ষ জনবল তৈরি যারা দেশে ও বিদেশে দক্ষতার ছাপ রেখে দেশের উন্নয়নে প্রকৃতঅর্থে অবদান রাখতে পারেন।

আমাদের দরকার প্রচুর ‘ভালো ডাক্তার’। আমরা প্রতিবছর হাজার হাজার ডাক্তার বানাচ্ছি কিন্তু লাখ লাখ রোগী চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন ভারত, সিঙ্গাপুর আর থাইল্যান্ডে। ডাক্তারদের তো যন্ত্র বানালে হবে না, তাদের মানবিকতাও শিক্ষা দিতে হবে। মানুষের সঙ্গে কীভাবে, রোগীর সঙ্গে অভয়বানী দিয়ে কথা বলতে হয়— তা আমাদের দেশের অধিকাংশ ডাক্তারই জানেন না। ফলে অসচ্ছল রোগীও জামিজমা বিক্রি করে ভারতে যায় চিকিৎসার জন্য। সেখানকার ডাক্তাররা জানেন রোগীদের সঙ্গে, তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়। চিকিৎসা মানেই শুধু গন্ডায় গন্ডায় টেস্ট করানো নয়, সেটি তারা বুঝেন। কিন্তু এ সব বিশেষজ্ঞ তৈরির কোনো উদ্যোগ নেই বরং পড়াশুনা করে এসে সবাই প্রশাসক হওয়ার জন্য ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। তাই, ডাক্তার হচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেট, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছেন এসিল্যান্ড, কৃষিবিদ হচ্ছেন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ।

জাতীয় জীবনে এটির প্রভাব মারাত্মক নেগেটিভ কিন্তু কে এগুলো নিয়ে চিন্তা করবে? প্রশাসক হয়ে সবাই জনগণের কাছ থেকে ‘স্যার’ শোনার জন্য ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। তারা যেন সেই ব্রিটিশ রাজ্যে বাস করছেন। চারদিকে শুধু প্রশাসক। আর আমরা চিকিৎসা করাচ্ছি দেশের বাইরে। প্রকৌশলী নিয়ে আসছি বিদেশ থেকে, আমাদের রাস্তা, ব্রিজ তৈরি করে দিচ্ছেন বিদেশি প্রকৌশলীরা। আর আমাদের প্রকৌশলীরা হচ্ছেন প্রশাসক। কেন? সবাই তাদের ‘স্যার’ বলবেন, শক্ত করেই বলবেন। আত্মীয়-স্বজন বলতে পারবে আমার ভাগ্নে অমুক জেলার ডিসি, ওমুক উপজেলার ইউএনও। সমাজও তাতে বেজায় খুশী। আমার চাচা সচিব।

দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকা দরকার, কর্মসংস্থান বাড়ানো দরকার আর এগুলোর জন্য প্রয়োজন উদ্যেক্তা, ব্যবসায়ী। উদ্যোগী মানুষ যারা প্রকৃতঅর্থে দেশের উপকার করছেন। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি ব্যবসা করবেন, উদ্যোক্তা হবেন, এনজিও কর্মী হবেন আপনাকে যেতে হবে ওইসব প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে, যারা আপনার ফাইল আটকে দিয়ে মজা লুটছেন, ক্ষমতা দেখাচ্ছেন। দেশ কেমনে আগাবে? দেশের সাধারণ মানুষ কীভাবে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে। পৃথিবীর ধনী গরিব সব দেশেই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা কাজ করে।

আমাদের দেশের উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রভূত অবদান রয়েছে। অনেক সংস্থা বিদেশ থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সাহায্য নিয়ে আসে কিন্তু ‘এনজিওব্যুরো’ নামে যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনাকে ধরনা দিতে হবে দ্বারে দ্বারে— আপনার সেই অর্থ ছাড়ের জন্য। এখানেও সেই ‘আমলাতন্ত্র’ যার কাছে সবাই জিম্মি। আপনাকে অনেক কৌশলে উৎকোচ দিতে হবে (কাগজের মধ্যে, ফাইলের মধ্যে, যাতে কোনো প্রমাণ না থাকে)। এগুলো দেখার কেউ নেই।

ব্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ যে প্রতিষ্ঠান দেশে সৃষ্টি করেছেন তাতে লাখ লাখ মানুষ কাজ করছেন। ফজলে হাসান ছাড়াও অনেক ছোট ছোট এনজিও গড়ে তুলেছেন এক একজন সফল ব্যক্তি, যারা দেশকে প্রকৃতঅর্থেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন, মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করছেন। কিন্তু তাদের পদে পদে বাঁধা দেওয়ার জন্য রয়েছেন এ সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষকও কিন্তু তার একটি বিদ্যালয় নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন রংপুরের ডিসি মহোদয়ের কাছে।

আমাদের প্রশাসনে যে ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য কর্মকর্তারা ‘স্যার’ শুনতে চান তার পেছনে রয়েছে ঔপনিবেসিক মানসিকতা।

ব্রিটিশ শাসনামলে ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসের মতো ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস গঠন করে সেখানে ভারতীয়দের নিয়োগ দেওয়ার জন্য ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আইন পাশ করা হয়। কিন্তু ১৮৫৩ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে ভারতীয়দের অংশ নেওয়া বন্ধ করে রাখা হয়েছিল আইসিএসে থাকা ব্রিটিশ অফিসারদের কারসাজিতে। এ সময় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতীয়দের আইসিএসে নিয়োগদান প্রশ্নে আইনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ আইন প্রণেতারা ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসের মতো একটি বিশুদ্ধ সার্ভিসে ভারতীয়দের অন্তর্ভুক্তর বিষয়ে আপত্তি তোলেন। তাদের বক্তব্য অনেকটাই এমন ছিল যে, ভারতীয়রা নোংরা ও দুর্নীতিগ্রস্ত, ফলে পুরো ব্যবস্থাটা হুমকির মুখে পড়বে। তখন ভারতীয়দের ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে তৎকালীন ভারত সচিব বলেছিলেন, আমরা ব্রিটিশ সিভিল সার্ভিসের আদলে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে এমন সব ভারতীয়কে নিয়োগ দেব, যারা দেখতে হবে ভারতীয় কিন্তু চিন্তায় হবে ব্রিটিশ। ১৯৫৩ সালেই আইসিএসে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত হয়। কিন্তু ১৯৬৩ সালের আগ পর্যন্ত কোনো ভারতীয় আইসিএস অফিসার হতে পারেনি। কারণ আইসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো লন্ডনে। সে সময় বেশিরভাগ মানুষের পক্ষে পয়সা খরচ করে লন্ডনে যাওয়া ছিল কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ১৯৬৩ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে আইসিএস অফিসার হন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এভাবেই স্থানীয়রা ব্রিটিশ কাঠামোর প্রশাসন ব্যবস্থায় ঢুকে পড়ে, যারা এদেশের মানুষ কিন্তু ব্রিটিশ রাজকর্মচারী হয়ে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে। ধীরে ধীরে সেই আমলাতন্ত্র সমগ্র ভারতবর্ষের শাসনকাঠামোতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে।

শরীরের রং ভারতীয় কিন্তু চিন্তা চেতনায় ইংরেজ শাসক! পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর ভারত থেকে বেশ কিছু আইসিএস অফিসার পাকিস্তানে চলে আসেন এবং পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় জেঁকে বসেন। স্বাধীন দেশে কাজ করতে তারা উপযুক্ত নন। কিন্তু শুরুতে পাকিস্তানের রাজনীতিতে যোগ্য রাজনীতিবিদ না থাকায় তারাই হয়ে পড়েন পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্মাতা। কিছু দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন তাদের অধিকাংশই ছিলেন বাঙালি। পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনকালে বাঙালিরা ছিল অনেকটা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। শুরু থেকেই পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ চলে গিয়েছিল ভারত থেকে আসা আমলাতন্ত্রের হাতে। পাকিস্তানে সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের দৌরাত্মে আজ পর্যন্ত কোনো সরকার তার পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেনি। ১৯৫৪ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তান গণপরিষদ যখন দেশটির সংবিধান রচনায় ব্যস্ত তখনই সামরিক-বেসামরিক আমলাদের প্ররোচনায় দেশটির গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ সেই গণপরিষদ ভেঙে দেন। কারণ আমলাদের শঙ্কা ছিল পাকিস্তানের সংবিধান প্রণীত হলে দেশের শাসনভার রাজনীতিবিদ তথা জনপ্রতিনিধিদের হাতে চলে যাবে। আর তখন তাদের রাজনীতিবিদদের অধীনে কাজ করতে হবে। উল্লেখ্য গোলাম মোহাম্মদও একজন আমলা ছিলেন।

আমাদের নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন আসলে লিঙ্গসমতার একটি ভালো উপায় বলে কেউ কেউ বলছেন, আবার অন্য একদল বলছেন এটি অত্যন্ত আপত্তিকর। নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করা এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল কেন? তাদের স্যার বললে তারা খুব খুশী হন। আমরা দুবার স্বাধীন হয়েছি কিন্তু মন মানসিকতায় আমরা ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিই রয়ে গেছি। ব্রিটিশদের কথা না হয় বাদই দিলাম, কারণ তারা তো সারাবিশ্ব দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

পাকিস্তানের দিকে যদি তাকাই তাহলে আমরা কি দেখতে পাই? পাকিস্তান দুটি দলে বিভক্ত। সেনাবাহিনী আর তার বিরোধী। স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানে সরাসরি কিংবা ছদ্মবেশি মার্শাল ল-ই চলছে। সেখানকার সেনাবাহিনী মনে করে তারাই দেশের সবকিছু। সিভিলিয়নরা কিছু বোঝে না, তাদের হাতে দেশ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। তাই তারা সেখানে শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনীতিবিদ তৈরি হতে দেয়নি। আমাদের দেশের সেনাবাহিনী নিয়েও কেউ কেউ বলতে চান যে, ইন্টারমিডিয়েট পাস, তাদের বুদ্ধি থাকে হাঁটুর তলে। এটিও ঠিক নয়, কারণ শুধু পাস দিয়ে সবকিছু যাচাই করা যায় না। বেশ সুচতুর এবং মোটামুটি অলরাউন্ডার হয় সেনা অফিসাররা। কিন্তু তাই বলে তারা সবকিছু বুঝেন আর সিভিলিয়নরা কিছুই বোঝে না— এই ধরনের মানসিকতা কিছু কিছু কর্মকর্তা পোষণ করেন। কারণ তাদের সুযোগ সুবিধা বেশি, থাকেন আরামে, অর্থের চিন্তা নেই, স্মার্টনেস তো এমনিতেই চলে আসে।

স্রষ্টা পৃথিবীকে সৃষ্টিই করেছেন যেখানে সব ধরনের পেশাজীবীদের দরকার আছে। এখানে কারুর গুরুত্ব কোনোভাবেই কম নয়। স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্যকে ধারণ করে সবাই সবাইকে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে— আমরা যে যে পেশাতেই থাকি না কেন। এ দেশ তো আমাদের। বিশ্বের দরবারে যদি কোনো সম্মান আমরা অর্জন করতে পারি, তার ভাগিদার তো সবাই। সবাই আমাদের বাঙালি বলেই চিনবে। আইন করে কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বলানো বা না বলানো যায় না। এটি ভেতর থেকে আসে। আমরা সবাই সবাইকে সম্মান করি। তাতে কারুরই কোনো ক্ষতি নেই। আমরা যে অবস্থানেই থাকি না কেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকদের তো আমরা এখনো ‘স্যার’ বলি। একটি নাটকে প্রয়াত হুমায়ুন ফরিদীর সচিব চরিত্রে দেখেছিলাম তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তিনি তার ছাত্রের মতো আচরণ করেননি কিন্তু শিক্ষকের মতোই আচরণ করে যাচ্ছেন। সচিব মহোদয় কোনো কথা বলছেন না। এক পর্যায়ে মুখ খুলে বললেন, ‘আপনার তো দেখছি এত বছরে কিছুই বদলায়নি, যা ছিলেন তাই আছেন।’ একটিবারও ‘স্যার’ বলছেন না। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের কাছে এ ধরনের আচরণ চাই না। শিক্ষণীয় আচরণ দেখতে চাই।

মাছুম বিল্লাহ: সাবেক শিক্ষক, ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত

ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোম বা মঙ্গলবার (৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহ ও বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণে ৩০ মার্চ সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।

বুধবার (২৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতের তথ্য জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এতে বলা হয়, ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৮টায়। মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিজানুর রহমান এ জামাতে ইমাম থাকবেন। মুকাব্বির থাকবেন প্রধান খাদেম মো. নাসির উল্লাহ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান তৃতীয় জামাতে ইমাম থাকবেন। সকাল ৯টায় এ জামাত হবে। এ জামাতে মুকাব্বিরের দায়িত্বে থাকবেন মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতের ইমাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক ড. মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এ জামাতে ইমামতি করবেন। তার সঙ্গে মুকাব্বির হবেন মসজিদের খাদের মো. রুহুল আমিন।

এ পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ভূগর্ভস্থ তিতাস গ্যাসের বিদ্যমান লাইন স্থানান্তর করা হবে। এ কারণে সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিকুঞ্জ-১, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত এলাকা, কনকর্ড সিটি (নদীর পাড় পর্যন্ত), নামাপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এছাড়া আশপাশের কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে।

সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এবং গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

আটক মো. সবুজ হোসেন মুন্না। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে আড়াই মন গাঁজাসহ একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক মো. মিনাজুল এর বাড়ি থেকে মাদকের চালানটি আটক করা হয়েছে বলে জানান যশোর র‌্যাব-৬ কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহম্মদ রাসেল।

আটক মো. সবুজ হোসেন মুন্না (২৯) বেনাপোলের মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মিনাজুল এর ছেলে।

মোহম্মদ রাসেল বলেন, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মানিকিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী জনৈক মো. মিনাজুল এর বাড়িতে মাদকদ্রব্য গাঁজা বেচাবিক্রির উদ্দেশ্যে মজুদ করেছে' গোপন এমন সংবাদে র‌্যাব এর একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে সবুজ হোসেন মুন্নাকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পাশের পাঁকা রান্নাঘরের ভেতর টিনের ড্রামে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থায় মোট ৯৬ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বলে এই কর্মকর্তা জানান।

র‌্যাব দাবি করছেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস হওয়ার সুযোগে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অধিক দামে সরবরাহ ও বিক্রি করে আসছিলেন।

আটক মুন্নাকে মাদক আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত
রাজধানীর যেসব এলাকায় বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না
বেনাপোলে ৯৬ কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
মিরসরাইয়ে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ১৩
র’কে নিষিদ্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সংস্থা  
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান, আটক ৩ (ভিডিও)
শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক লিখে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি
স্যামসাং সিইও হান জং-হি মারা গেছেন
আরও সমৃদ্ধশালী হবে নতুন বাংলাদেশ: অর্থ উপদেষ্টা
উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা তামিমের
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত
ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ভাড়া আদায়
দাখিল পরীক্ষার সূচি পরিবর্তন, নতুন রুটিন প্রকাশ
সেনাবাহিনীতে ২৯ জনকে অনারারি কমিশন প্রদান
নওগাঁয় গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে ৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার
এক হালি গোল খেয়ে ক্ষমা চাইলেন ব্রাজিল অধিনায়ক, বরখাস্ত হচ্ছেন কোচ দোরিভাল
চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা  
জাতীয় জীবনে ২৬ মার্চ গৌরব ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস: সেনাপ্রধান
মিঠাপুকুরে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের মহোৎসব, বিপদে কৃষকরা
যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা টোল আদায়