মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত ১ আহত ৩০

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভার কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে উত্তেজনার আশঙ্কায় প্রশাসন বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে দুপুর ১২টায় ১৪৪ ধারা ভেঙে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সমর্থকরা মিছিলসহ শহীদ মিনারে ফুল দেন।
সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বারইয়ারহাট পৌরসভার সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন লিটনের বাড়ির সামনে। সেখানে বিএনপির আহ্বায়ক আজিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মিছিল বারইয়ারহাট বাজারে এলে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে মো. জাবেদ (৪৫) নামে এক পথচারী নিহত হন এবং আহত হন প্রায় ৩০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত জাবেদ চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানার বাংলাবাজারের বাসিন্দা এবং আরএফএল গ্রুপের এসআর (মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২৪ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌরসভা ও বারইয়ারহাট পৌরসভার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। এরপরই পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং কমিটি বাতিলের দাবি জানাতে সড়ক অবরোধ ও ঝাড়ু মিছিল করেন। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
বুধবার দুপুর ১২টায় ১৪৪ ধারা ভেঙে গাজী নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত থাকলেও কোনো বাধা দেয়নি।
সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের একাধিক নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেছেন। ১৪৪ ধারা জারির ফলে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মিরসরাই উপজেলা শহীদ মিনারে কোনো রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ফুল দিতে পারেনি, যা স্বাধীনতার পর এই প্রথম ঘটল।
