বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনের ভাষা ও ভাষা আন্দোলন

মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া এবং হাতে পায়ে শিকল পড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন কীভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হলো তা বুঝতে হলে একুশের কথা সামনে চলে আসে। শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের ভূখণ্ডের মানুষের দীর্ঘদিনের। যে কোনো সংগ্রামের একটা সূচনা বিন্দু থাকে, স্বাধীনতার জন্য মরণপণ লড়াইয়েরও তেমনি শুরু খুঁজতে হলে প্রথমেই আসে ৫২ সালের কথা।

৭১ এ অর্জিত এই স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ৮ ফাল্গুন বা ২১ ফেব্রুয়ারি যে বেদনা এবং যে চেতনা জাগিয়ে দিয়েছিল তা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বৈষম্য বেদনা জাগিয়েছিল বলেই মুক্তির চেতনার জন্ম হয়েছিল।

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের পর আলোচনার টেবিলে ভারত ভাগ হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম যে প্রশ্ন এল এই রাষ্ট্রের সংবিধান কেমন হবে। শুধু মুসলমানদের জন্য কেন, কোনো ধর্মের ভিত্তিতেই কি কোনো দেশ হতে পারে? যদি তাই হত তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশের অধিবাসিই তো মুসলমান, তাহলে তারা সবাই মিলে একটা দেশ হতে পারে না কেন? আবার এক দেশে বহু ধর্মের মানুষ থাকলে তাদের পরিচয় কী হবে? আবার ভারতে যে মুসলমানরা থেকে গেলেন তাদের পরিচয় কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা গেলেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই বলে যে, একদিন হিন্দু আর হিন্দু হিসেবে নয়, মুসলমান আর মুসলমান হিসেবে নয় তারা সবাই বিবেচিত হবেন পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে। অর্থাৎ ধর্মীয় পরিচয় আর নাগরিক পরিচয় এক হবে না। একেবারে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপরীতমুখী যাত্রা! তাহলে এত সাম্প্রদায়িক লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু কীসের জন্য? এই টানা পোড়নে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নে তাই দীর্ঘ সময় লেগে গেল। ১৯৪৭ সালে জন্ম নিল পাকিস্তান আর তার ৯ বছর পর ১৯৫৬ সালে প্রণীত হল সংবিধান। এই সময়টাতে সংবিধান না থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনার ব্রিটিশ প্রবর্তিত বিধান তো ছিল, তা দিয়েই চলছিল সব।

রাষ্ট্রের ধর্ম নিয়ে সমাধানে আসতে না আসতেই প্রশ্ন এল রাষ্ট্রের ভাষা কি হবে? এক ধর্ম, এক দেশ, এক ভাষা এই ধরনের চিন্তা থেকেই মুসলমান, পাকিস্তান এবং উর্দু ভাষাকে সমার্থক করার আয়োজন চলছিল সর্বত্র। এই সময় ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত গণসম্বর্ধনায় তিনি বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোনো ভাষা নয়। ভাষা আন্দোলনকে তিনি মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। তার বক্তব্যের প্রতিবাদ হয় সমাবেশের মধ্যেই।

এর পর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে স্টুডেন্টস রোল ইন নেশন বিল্ডিং শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবিকে বাতিল করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি অবশ্যই উর্দু। কারণ উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয় তুলে ধরে। ছাত্ররা সমস্বরে না, না বলে জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। ক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ভাষার দাবিকে তাচ্ছিল্য করে ২৮ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন জিন্নাহ।

জিন্নাহ চলে গেছেন কিন্তু উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারেননি। প্রশ্ন ছিল, উর্দু কি পাকিস্তানের কোনো প্রদেশের ভাষা? সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ প্রত্যেকেরই তো আলাদা ভাষা। ভাষা দিয়ে কি ধর্মের পরিচয় তুলে ধরা যায়? আরবি ভাষায় কি মুসলমান ছাড়া কেউ কথা বলে না? আরবের খ্রিস্টান, ইহুদি ধর্মাবলম্বী মানুষরাও তো আরবি ভাষায় কথা বলে। এ কথা তো সত্য যে মানুষ যত দ্রুত ধর্মান্তরিত হতে পারে তত সহজে ভাষান্তরিত হতে পারে না। আরবের মুসলমান আর ইন্দোনেশিয়ার মুসলমান ধর্মে এক হলেও ভাষা এবং সংস্কৃতিতে তারা এক নয়। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথাও যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে যে ভাষায় ৫৪ শতাংশ মানুষ কথা বলে তাদের দাবি কি অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবে না?

ভাষা আন্দোলনের মূল সুর ছিল গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক। রাষ্ট্র তার নাগরিককে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করবে না। এই ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া ও বসবাস করা মানুষরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের নাগরিক। যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তি হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি, যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে তা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। এখানে ছিল না কোনো ধর্মের বিভাজন। তারা জীবন দিয়েছিলেন এই ভূখণ্ডের সব মানুষের মুখের ভাষার জন্য। তাই সব ধর্মের মানুষ যেন শ্রদ্ধা জানাতে পারে সে উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। সংগ্রামের প্রতিজ্ঞা বা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার এখনো মানুষের মিলনক্ষেত্র।

একুশ শিখিয়েছিল আত্মসমর্পণ নয় আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে। একুশ মানে মাথা নত না করা। এটা আমাদের কাছে এখনো একটি প্রেরণাদায়ক কথা। প্রবল শক্তির কাছে বা যুক্তিহীনতার কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রাণে বেঁচে থাকা যায় কিন্তু সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায় না। স্বাধীনতার সঙ্গে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ তা অর্জন করতে হলেও যুক্তিই হবে অন্যতম হাতিয়ার। ভাষার দাবিতে লড়াই পথ দেখিয়েছে নাগরিক অধিকার অর্জন করতে হলে ভোটের অধিকার দরকার। বৈষম্য দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হল সকলের ভাতের অধিকার। সে কারনেই স্লোগান উঠেছিল কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। আর এ সব দাবিকে একসাথে যুক্ত করেছিল একটি দাবি, যা হলো— এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে হবে।

আন্দোলন থামে না তার পরিণতিতে না যাওয়া পর্যন্ত। তাই ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে স্বাধীন হলাম কিন্তু বন্দি হয়ে গেলাম পুঁজির কাছে। মুখের ভাষায় পড়তে হলে যে শিক্ষা লাগে তাতো আমরা জানি। সেই শিক্ষা ক্রমাগত ব্যয়বহুল পণ্যে পরিণত হচ্ছে ফলে তা চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শিক্ষার উপর আক্রমণের পাশাপাশি আক্রমণ আসছে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের উপর। ছাত্রদের ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতীতের সংগ্রামের ইতিহাসকে।

ভাষা চিন্তার বাহন। মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন দিলেও সে ভাষায় কথা বলতে গেলে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ লাগে, দেশে কি এখন সে অবস্থা আছে? এই প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উত্তর নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর ভোটের অধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে এখনো। নানা ধরনের কালাকানুন আর সাম্প্রদায়িক বাতাবরণে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। মাথা নত না করার সাহস দিয়েছে একুশ, আর মাথা নত করে রাখার পরিবেশ তৈরি করেছে রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র জনগনের ট্যাক্সে চলে সেই রাষ্ট্র জনগণকে দেখায় ভয়। ফলে দেশ, অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গেলে বন্ধু স্বজনরাও পরামর্শ দেয় এবং বলে, বাদ দাও তো এ সব, কি দরকার রাজনীতির বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে!

এই ভয় আর ভরসাহীনতার রাষ্ট্র তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রটা হবে জনগনের এবং জনগণকে ভরসা দেবে।

একুশ যে চেতনা জাগিয়েছিল তার মর্মে ছিল মুক্তির আকুতি। শোষণ থেকে মুক্তি, বৈষম্য থেকে মুক্তি আর মুক্তি অপমান থেকে। এই চেতনা ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনায়। কোনো মানুষ যেন তার মাতৃভাষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে একুশ যেন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে

এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম । ছবি: সংগৃহীত

এক হাজার ৯২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের (আইবিবিএল) সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫৮জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।

জানা গেছে, আহসানুল আলমের নেতৃত্বে শুধুমাত্র ব্যাংকটির একটি শাখা থেকে এক হাজার ৯২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। দূর-সম্পর্কের খালাতো ভাই ও এস আলম গ্রুপের বেতনভুক্ত কর্মচারী মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীকে সামনে রেখে মাত্র তিন বছরে ওই টাকা হাতিয়ে নেয় গ্রুপটি।

দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাকা লুটপাটে সহযোগিতা করেন ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন এমডি ও পরিচালকসহ ৩৪ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এসব কর্মকর্তার পাশাপাশি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলিয়ে মোট ৫৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান টিম কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ও মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে।

মামলায় যাদের নাম রয়েছে- ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, সাবেক পরিচালক ও ইসি কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমদ, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ড. মো. ফসিউল আলম, কাজী শহীদুল আলম, ড. মো. সিরাজুল করিম, জামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. জয়নাল আবেদীন, সাবেক পরিচালক খুরশীদ উল আলম, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মদ সালেহ জহুর ও মোহাম্মদ সোলায়মান, পরিচালক মো. কামরুল হাসান ও সাবেক নমিনী পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ।

এছাড়া আসামি করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও কে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি ও চিফ হিউম্যান রিসার্চ অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মিফতাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ সাব্বির, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম, সাবেক এসইভিপি ও এএমডি মো. আলতাফ হোসেন, এসইভিপি জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, আবু ছাঈদ মুহাম্মদ ইদ্রিস ও সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, ব্যাংকটির বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ফরিদ উদ্দিন, ইসলামী ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার ম্যানেজার আমান উল্লাহ, চট্টগ্রামের চাকতাই শাখার সাবেক ম্যানেজার ও বর্তমানের এফএভিপি মোহাম্মদ আলী আজগর, চাকতাই শাখার সাবেক বিনিয়োগ ইনচার্জ খাজা মোহাম্মদ খালেদ, চাকতাই শাখা প্রধান ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনজুর হাসান, ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জোনের প্রধান মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী এবং দক্ষিণের অপর জোনপ্রধান ও এসইভিপি মিয়া মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ।

ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে আসামি- মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গোলাম সওয়ার চৌধুরী, চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইন ট্রেড লিংকের মালিক মোহাম্মদ এরশাদ হোসাইন চৌধুরী, বিসমিল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশানের মালিক মোরশেদুল আলম, মেসার্স ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সে মালিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী, চেমন ইস্পাত লিমিটেডের পরিচালক মুহা. নজরুল ইসলাম, ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধরী, পরিচালক মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, রেইনবো কর্পোরেশনের মালিক রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, আনছার এন্টারপ্রাইজের মালিক আনছারুল আলম চৌধুরী, সোনালী ট্রেডার্সের মালিক সহিদুল আলম, ফেমাস ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের এমডি মো. রাশেদুল আলম, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সবুর, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সর মালিক এম এ মোনায়েম, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজের মালিক এরশাদ উদ্দিন, জাস্ট রাইট ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. গিয়াস উদ্দিন, এক্সক্লুসিভ বিজনেস হাউজের মালিক ফেরদৌস আহম্মদ বাপ্পি, এনেক্স বিজনেস কর্নারের মালিক আনোয়ারুল আজম, সেন্ট্রাল পার্ক ট্রেডিং হাউজের মালিক মোহাম্মদ মঞ্জুর আলম, জুপিটার ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ মামুন, চৌধুরী বিজনেস হাউজের মালিক মোহাম্মদ রাসেল চৌধুরী, ডিলাক্সিয়াম ট্রেডিং কর্পোরেশনের মালিক কাজী মেজবাহ উদ্দিন, সোশ্যাল ট্রেড সেন্টারের মালিক আলী জহুর এবং শাহ আমানত ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী চৌধুরী।।

দুদকের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চাকতাই শাখাসহ প্রধান কার্যালয় এবং অন্যান্য ব্যাংক থেকে জব্দ করা রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায়, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক গোলাম সারোয়ার চৌধুরী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ব্যাংকের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে অপকর্ম ঘটিয়েছেন। আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০২১ সালের ২১ থেকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রথম পর্যায় ৮৯০ টাকা ঋণ মঞ্জুর করে। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালের নভেম্বরে বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি করে হাজার কোটি এবং ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বরে ১১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। যার মধ্যে আসল ৯৬৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ও মুনাফা ১২৫.৮০ কোটি টাকাসহ ১ হাজার ৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। যে কারণে ৫৬ আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ক/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ

ছবি: সংগৃহীত

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে মোনাকোর বিপক্ষে ৪-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। কিন্তু সেই ফল ছাপিয়েও ম্যাচটা আলোচনায় পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার চোটের কারণে। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের বুটের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মুখ। রক্তাক্ত অবস্থাতে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

কিন্তু এই কাণ্ড যে ঘটালো, তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেয়নি রেফারি। আর তাতেই শুরু হলো সমালোচনা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ফরাসি লিগ আঁতে মোনাকোর মুখোমুখি হয় পিএসজি। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে দোন্নারুম্মার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।

মোনাকোর মাঠে স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার উইলফ্রিড সিঙ্গোর নেওয়া শট আটকে দিয়েছিলেন দোন্নারুম্মা। তবে ছুটতে থাকা সিঙ্গো নিজের গতি সামলাতে পারেননি। সংঘর্ষ এড়াতে তিনি চেষ্টা করেছিলেন দোন্নারুম্মাকে টপকে যেতে। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা।

দোন্নারুম্মাকে টপকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সিঙ্গোর বুটের স্পাইক গিয়ে সরাসরি আঘাত করে পিএসজি গোলকিপারের মুখে। প্রচণ্ড আঘাতে দোন্নারুম্মার গালের অনেকটা অংশই কেটে যায়। রক্তপাত বন্ধ করতে দ্রুত ১০টি স্টাপল করে কাটা অংশ জোড়া দেওয়া হয়। মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ থাকে। দোন্নারুম্মা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফের শুরু হয় খেলা।

আশ্চর্যের বিষয় হলো, এমন মারাত্মক ফাউল করলেও সিঙ্গোকে কোনো কার্ড দেখাননি রেফারি। অবশ্য আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখেছিলেন সিঙ্গো।

বিষয়টির সমালোচনা করে পিএসজি মারকিনিওস বলেছেন, আমি জানি না রেফারির ঘটনাটা ঠিকমতো দেখেছেন কি না, তবে ভিএআরের হস্তক্ষেপ করা দরকার ছিল। এরকম অবস্থায় লাল কার্ড না দেখানোটাকে বড় সিদ্ধান্তই বলতে হবে।

Header Ad
Header Ad

শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় পর সশরীরে ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। তবে তা আর হচ্ছে না। অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার সমাবেশে অংশ নেওয়া বাতিল করা হয়েছে।

২১ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। বিএনপি চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দল। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা বাধাবিপত্তির মধ্যেও সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।

তবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর এবার মনোরম পরিবেশে সমাবেশ করতে চান নেতারা। এ জন্য খালেদা জিয়াকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে আমন্ত্রণে সায় মিললেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বশীল নেতারা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এক হাজার ৯২ কোটি টাকার মামলা এস আলমের ছেলের বিরুদ্ধে
প্রতিপক্ষের বুটের আঘাতে রক্তাক্ত দোন্নারুম্মার মুখ
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন না খালেদা জিয়া
কায়রোতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
আফগানিস্তানে দু’টি বাস দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
২৩৮ পদে জনবল নিচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়, আবেদন অনলাইনে
শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, পলকের স্বীকারোক্তি
এক বছর লিভ টুগেদারের পর পার্টনার পছন্দ করেছি: স্বাগতা
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
সাবেক সংসদ সদস্য রাগিবুল হাসান রিপু গ্রেপ্তার
মুম্বাইয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের ধাক্কায় নিহত ১৩
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
গুমকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ, শিশুসহ নিহত ৫
মাদককাণ্ডে ফেঁসে যাচ্ছেন তিন শীর্ষ নাট্যাভিনেত্রী!
গুম-খুনে জড়িত ২০ কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ভাইরাল ভিডিওটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’, ব্যবহৃত হয়েছে ডামি অস্ত্র
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ
৫ বছর পর চালু হচ্ছে রংপুর চিনিকল, এলাকায় খুশির বন্যা