সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আন্দোলনের ভাষা ও ভাষা আন্দোলন

মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া এবং হাতে পায়ে শিকল পড়ানোর চক্রান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন কীভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হলো তা বুঝতে হলে একুশের কথা সামনে চলে আসে। শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই আমাদের ভূখণ্ডের মানুষের দীর্ঘদিনের। যে কোনো সংগ্রামের একটা সূচনা বিন্দু থাকে, স্বাধীনতার জন্য মরণপণ লড়াইয়েরও তেমনি শুরু খুঁজতে হলে প্রথমেই আসে ৫২ সালের কথা।

৭১ এ অর্জিত এই স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুটা হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। ৮ ফাল্গুন বা ২১ ফেব্রুয়ারি যে বেদনা এবং যে চেতনা জাগিয়ে দিয়েছিল তা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বৈষম্য বেদনা জাগিয়েছিল বলেই মুক্তির চেতনার জন্ম হয়েছিল।

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের পর আলোচনার টেবিলে ভারত ভাগ হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম যে প্রশ্ন এল এই রাষ্ট্রের সংবিধান কেমন হবে। শুধু মুসলমানদের জন্য কেন, কোনো ধর্মের ভিত্তিতেই কি কোনো দেশ হতে পারে? যদি তাই হত তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশের অধিবাসিই তো মুসলমান, তাহলে তারা সবাই মিলে একটা দেশ হতে পারে না কেন? আবার এক দেশে বহু ধর্মের মানুষ থাকলে তাদের পরিচয় কী হবে? আবার ভারতে যে মুসলমানরা থেকে গেলেন তাদের পরিচয় কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা গেলেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই বলে যে, একদিন হিন্দু আর হিন্দু হিসেবে নয়, মুসলমান আর মুসলমান হিসেবে নয় তারা সবাই বিবেচিত হবেন পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে। অর্থাৎ ধর্মীয় পরিচয় আর নাগরিক পরিচয় এক হবে না। একেবারে দ্বিজাতি তত্ত্বের বিপরীতমুখী যাত্রা! তাহলে এত সাম্প্রদায়িক লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু কীসের জন্য? এই টানা পোড়নে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নে তাই দীর্ঘ সময় লেগে গেল। ১৯৪৭ সালে জন্ম নিল পাকিস্তান আর তার ৯ বছর পর ১৯৫৬ সালে প্রণীত হল সংবিধান। এই সময়টাতে সংবিধান না থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনার ব্রিটিশ প্রবর্তিত বিধান তো ছিল, তা দিয়েই চলছিল সব।

রাষ্ট্রের ধর্ম নিয়ে সমাধানে আসতে না আসতেই প্রশ্ন এল রাষ্ট্রের ভাষা কি হবে? এক ধর্ম, এক দেশ, এক ভাষা এই ধরনের চিন্তা থেকেই মুসলমান, পাকিস্তান এবং উর্দু ভাষাকে সমার্থক করার আয়োজন চলছিল সর্বত্র। এই সময় ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় এলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত গণসম্বর্ধনায় তিনি বললেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোনো ভাষা নয়। ভাষা আন্দোলনকে তিনি মুসলমানের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন। তার বক্তব্যের প্রতিবাদ হয় সমাবেশের মধ্যেই।

এর পর ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে স্টুডেন্টস রোল ইন নেশন বিল্ডিং শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রতিষ্ঠার দাবিকে বাতিল করে দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে একটি এবং সেটি অবশ্যই উর্দু। কারণ উর্দুই পাকিস্তানের মুসলিম পরিচয় তুলে ধরে। ছাত্ররা সমস্বরে না, না বলে জিন্নাহর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। ক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ভাষার দাবিকে তাচ্ছিল্য করে ২৮ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করেন জিন্নাহ।

জিন্নাহ চলে গেছেন কিন্তু উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারেননি। প্রশ্ন ছিল, উর্দু কি পাকিস্তানের কোনো প্রদেশের ভাষা? সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ প্রত্যেকেরই তো আলাদা ভাষা। ভাষা দিয়ে কি ধর্মের পরিচয় তুলে ধরা যায়? আরবি ভাষায় কি মুসলমান ছাড়া কেউ কথা বলে না? আরবের খ্রিস্টান, ইহুদি ধর্মাবলম্বী মানুষরাও তো আরবি ভাষায় কথা বলে। এ কথা তো সত্য যে মানুষ যত দ্রুত ধর্মান্তরিত হতে পারে তত সহজে ভাষান্তরিত হতে পারে না। আরবের মুসলমান আর ইন্দোনেশিয়ার মুসলমান ধর্মে এক হলেও ভাষা এবং সংস্কৃতিতে তারা এক নয়। আর পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কথাও যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে যে ভাষায় ৫৪ শতাংশ মানুষ কথা বলে তাদের দাবি কি অগ্রগণ্য বলে বিবেচিত হবে না?

ভাষা আন্দোলনের মূল সুর ছিল গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক। রাষ্ট্র তার নাগরিককে ধর্মের ভিত্তিতে বিবেচনা করবে না। এই ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া ও বসবাস করা মানুষরা প্রত্যেকেই রাষ্ট্রের নাগরিক। যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যুক্তি হবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভিত্তি, যুক্তি যদি সঠিক হয় তাহলে তা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। এখানে ছিল না কোনো ধর্মের বিভাজন। তারা জীবন দিয়েছিলেন এই ভূখণ্ডের সব মানুষের মুখের ভাষার জন্য। তাই সব ধর্মের মানুষ যেন শ্রদ্ধা জানাতে পারে সে উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল শহীদ মিনার। সংগ্রামের প্রতিজ্ঞা বা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার এখনো মানুষের মিলনক্ষেত্র।

একুশ শিখিয়েছিল আত্মসমর্পণ নয় আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে। একুশ মানে মাথা নত না করা। এটা আমাদের কাছে এখনো একটি প্রেরণাদায়ক কথা। প্রবল শক্তির কাছে বা যুক্তিহীনতার কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রাণে বেঁচে থাকা যায় কিন্তু সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায় না। স্বাধীনতার সঙ্গে মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিল মানুষ তা অর্জন করতে হলেও যুক্তিই হবে অন্যতম হাতিয়ার। ভাষার দাবিতে লড়াই পথ দেখিয়েছে নাগরিক অধিকার অর্জন করতে হলে ভোটের অধিকার দরকার। বৈষম্য দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হল সকলের ভাতের অধিকার। সে কারনেই স্লোগান উঠেছিল কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। আর এ সব দাবিকে একসাথে যুক্ত করেছিল একটি দাবি, যা হলো— এই ভূখণ্ডকে স্বাধীন করতে হবে।

আন্দোলন থামে না তার পরিণতিতে না যাওয়া পর্যন্ত। তাই ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে স্বাধীন হলাম কিন্তু বন্দি হয়ে গেলাম পুঁজির কাছে। মুখের ভাষায় পড়তে হলে যে শিক্ষা লাগে তাতো আমরা জানি। সেই শিক্ষা ক্রমাগত ব্যয়বহুল পণ্যে পরিণত হচ্ছে ফলে তা চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। শিক্ষার উপর আক্রমণের পাশাপাশি আক্রমণ আসছে সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের উপর। ছাত্রদের ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে অতীতের সংগ্রামের ইতিহাসকে।

ভাষা চিন্তার বাহন। মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন দিলেও সে ভাষায় কথা বলতে গেলে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ লাগে, দেশে কি এখন সে অবস্থা আছে? এই প্রশ্নে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোনো উত্তর নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর ভোটের অধিকারের জন্য লড়তে হচ্ছে এখনো। নানা ধরনের কালাকানুন আর সাম্প্রদায়িক বাতাবরণে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। মাথা নত না করার সাহস দিয়েছে একুশ, আর মাথা নত করে রাখার পরিবেশ তৈরি করেছে রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্র জনগনের ট্যাক্সে চলে সেই রাষ্ট্র জনগণকে দেখায় ভয়। ফলে দেশ, অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গেলে বন্ধু স্বজনরাও পরামর্শ দেয় এবং বলে, বাদ দাও তো এ সব, কি দরকার রাজনীতির বিষয়ে মাথা ঘামিয়ে!

এই ভয় আর ভরসাহীনতার রাষ্ট্র তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছিলাম রাষ্ট্রটা হবে জনগনের এবং জনগণকে ভরসা দেবে।

একুশ যে চেতনা জাগিয়েছিল তার মর্মে ছিল মুক্তির আকুতি। শোষণ থেকে মুক্তি, বৈষম্য থেকে মুক্তি আর মুক্তি অপমান থেকে। এই চেতনা ছড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনায়। কোনো মানুষ যেন তার মাতৃভাষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লড়াইকে এগিয়ে নিতে একুশ যেন প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আরও বহুদিন।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

আরএ/

Header Ad

মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’

ছবি: সংগৃহীত

একদিকে রহস্যের বেড়াজাল,নায়কের চরিত্রের বিভিন্ন শেড আবার অন্যদিকে নায়িকার সঙ্গে রোমান্টিক কেমিস্ট্রি। এ যেন শুধু মেগাস্টার শাকিবকে দিয়েই সম্ভব। ‘দরদ’ যেমন ঘুমিয়ে পড়া সিনেমা হলগুলোতে আলো জ্বালিয়েছে, ঠিক তেমনি ঈদ ছাড়াও প্রেক্ষাগৃহে উৎসব ফিরিয়েছে শাকিবিয়ানদের। আর এমন সাহসী পদক্ষেপে প্রশংসিত হচ্ছেন নির্মাতা অনন্য মামুনও। নানা আলোচনা-সমালোচনা পেরিয়ে বাংলাদেশ-ভারতসহ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ২২টি দেশে মুক্তি পেয়েছে ‘দরদ’।

শাকিব খানের এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনার কমতি ছিল না। একই সঙ্গে মনঃকষ্টও ছিল পরিচালককে নিয়ে।

ধুমধাম অ্যাকশন কিংবা লুতুপুতু রোমান্স নয়, ‘দরদ’ সিনেমার মূল চালিকাশক্তি এর রহস্য এবং শাকিব খানের অভিনয়। এই সিনেমায় যেমন ভিন্ন এক শাকিবের দেখা মিলেছে, তেমনি তার নায়িকা হয়ে ফাতিমা চরিত্রে দর্শকের কাছে পৌঁছেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। দুজনের কেমিস্ট্রিতে মুগ্ধ দর্শক।

ঈদের সময় সিনেমা দেখতে দর্শকের যেমন আবেগ কাজ করে, উৎসবহীন সময়ে দর্শককে হলে আনা ঠিক ততটাই চ্যালেঞ্জিং। ফলে যারা আসছেন, তাদের প্রত্যাশার পারদ খানিকটা বেশি থাকা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। দর্শকের অনেকেই সিনেমার টেকনিক্যাল নানা বিষয়ে যেমন কথা বলছেন, তেমনি সিনেমাটি কোয়ালিটিফুল নাকি যারা দেখতে যাচ্ছেন তারাই ফুল হয়ে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নও উঠছে।

নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন, রহস্যের বেড়াজালে আবদ্ধ রাখার চেষ্টায় সফল নির্মাতা অনন্য মামুন। পাশাপাশি বাংলা সিনেমার গতানুগতিক ধারা পাল্টানো এবং শাকিবকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের পরীক্ষায়ও উতরে গেছেন তিনি।

প্রথম সপ্তাহে দেশে ৮৩ হলে মুক্তি পেলেও, দ্বিতীয় সপ্তাহে হল সংখ্যা আরও বাড়বে; এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ‘দরদ’ দিয়ে দেশের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি আবারও চাঙা হবে, এমনটাই প্রত্যাশা নির্মাতার।

এদিকে, স্টার সিনেপ্লেক্সের বরাতে জানা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্সের সব শাখায় ২৬, লায়ন সিনেমাসে ৮, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে ৪, সিলেটের গ্র্যান্ড মুভি থিয়েটারে ৩ এবং বগুড়ার মম ইনে ৩টি করে প্রদর্শনী চলছে ‘দরদ’ ছবির। এই সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করা যশোরের মনিহার সিনেপ্লেক্সে ৫টি প্রদর্শনী চলছে।

প্রেক্ষাগৃহ মালিক ও কর্তাব্যক্তিরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বছর এখন পর্যন্ত যে কয়টা ছবি মুক্তি পেয়েছে, মাল্টিপ্লেক্সে প্রথম দিনে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছে ‘দরদ’। ছবিটির প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এ বছর মাল্টিপ্লেক্সে প্রথম দিনের টিকিট বিক্রিতে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ছবিটিও শাকিব খানের। গত পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তুফান’ ছবিটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করে। তাছাড়া শাকিবের ‘রাজকুমার’ ছবিটি প্রথম দিনের টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১২ লাখ টাকার বেশি।

উল্লেখ্য, ‘দরদ’-এ শাকিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো পর্দায় দেখা মিলেছে বলিউডের সোনালের। সিনেমায় শাকিব, সোনাল ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন টালিউডের পায়েল সরকার। এছাড়াও রয়েছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, রাহুল দেব, সাফা মারিয়া, জেসিয়া ইসলামসহ অনেকে।

Header Ad

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কাউকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো।

হাজিরকৃতদের মধ্যে আছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। অসুস্থতার কারণে ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা সম্ভব হয়নি।

গত ২৭ অক্টোবর তদন্ত সংস্থার আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ তাদেরকে হাজির করার আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

Header Ad

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর বা আরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনের ফাঁকে কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নিয়ে তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবর্তিত সংবিধানে সরকারের মেয়াদ ৪ বছর হতে পারে। তবে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার ৫ বছরের হয়। নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং এটা চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে।’

তবে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয় এই সাক্ষাৎকারে। ইউনূস বলেন, তাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের সংস্কার সম্পূর্ণ করা।

এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সব সংস্কার শেষ করার প্রস্তুতির প্রক্রিয়া একসঙ্গে চলছে। তবে, নতুন বাংলাদেশে জনগণ ও রাজনৈতিক দল, সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন শান্তিতে নোবেল জয়ী।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাল্টিপ্লেক্সে রেকর্ড আয় করল শাকিবের ‘দরদ’
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে: ড. ইউনূস
দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে চলে গেলেন পরীমণি
সাকিবকে নিয়ে চেন্নাইয়ে জল্পনা!
নারায়ণগঞ্জে টিস্যুর গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
নিষিদ্ধ ‘ছাত্রলীগের আবরণে’ নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?
মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ প্রকল্পে ব্যয় কমলো ৭ হাজার কোটি টাকা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তাঁর স্বামীর পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত
বন্ধু ছাঁটাই করার দিন আজ
বিমানবন্দর থেকে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান গ্রেফতার
মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান
ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮