শিক্ষার্থীদের আজকের ফলাফল আগামীর চ্যালেঞ্জ
আজ এসএইচসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদেরকে অভিনন্দন। অনেকেই ভালো ফল লাভ করেছে। কেউ কেউ হয়তো পারেনি। তবে বেশিরভাগই পেরেছে। অসংখ্য জিপিএ ৫ পেয়েছে। অন্তত এটুকু বলতে হবে যে, তারা পরীক্ষা উপলক্ষে প্রস্তুতি দিয়েছে, পড়াশোনা করেছে, পরীক্ষা দিয়েছে এবং ভালো ফল লাভ করেছে। এই জায়গাটিকে আমি মনে করি তাদের প্রকৃত সাফল্য। তাদেরকে অভিনন্দন।
এবারের পরীক্ষার ফলাফলে প্রায় ৮৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে। নভেম্বরে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল এবং ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অতি দ্রুত সময়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা, এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। সেজন্য শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষামন্ত্রণালয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
যারা পাশ করেছে তাদের প্রতি আমাদের অভিনন্দন রইল। যারা একইসঙ্গে অকৃতকার্য হয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশের কাছাকাছি, তাদের হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেখতে দেখতে আগামী পরীক্ষা চলে আসবে এবং সেই পরীক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করে অনেক ভাল ফলাফল করবে আমি সে ব্যাপারে আশাবাদী।
এখন চ্যালেঞ্জটি হলো আগামীর। এরপরে কী হচ্ছে? অসংখ্য জিপিএ থাকার কারণে তাদের মধ্যে এবং অভিভাবকদের মধ্যেও উৎসাহ এবং প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। সবাই যেন নামী দামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। সেখানেই হয়তো একটি হোঁচট খাবে তারা। এখন যেটা খুব গুরুত্বপুর্ণ সেটা হলো পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। একইসঙ্গে আরও যেটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, শিক্ষার্থীরা যেন সাধারণ শিক্ষায় না গিয়ে উদ্যোক্তা হবার দিকে মনোনিবেশ করে। এখন সে পথেই আমাদের এগুতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তির যুগে শুধুমাত্র শিক্ষিত বেকার হয়ে লাভ নেই। আগামীতে সম্ভাবনাকে আরও ভালোভাবে নিয়ে আসতে হবে। আসন সংখ্যা কিন্তু এসব নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ও দেখা গিয়েছে যে, ভালো ভালো অনেক শিক্ষার্থীরা কৃতকার্য হতে পারেনি, কাজেই সেই চ্যালেঞ্জতো সামনে থাকবেই। এসব কিছু মাথায় নিয়েই প্রস্তুতি নিতে হবে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য। এগিয়ে যেতে হবে এবং কিছুতেই হতাশ হওয়া যাবে না।
সকল শিক্ষার্থীদেরকে আমার পক্ষ থেকে আবারও অনেক অভিনন্দন।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক: সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়