শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নাসিকে উত্তাপ, গডফাদার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গ

ছোটবেলায় বড়দের মুখে শোনা একটি গল্প দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। গ্রামের এক মাতব্বর গোছের লোক তার প্রতিবেশীদের ডেকে বললেন, ও মিয়া, তোমরা আমার কাছে এটা চাও, সেটা চাও। আমার কি রাজার গোলা আছে? আমি কোত্থেকে দেব? আমাকে মেম্বার বানাও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারি!

গ্রামের লোকরা দেখল, মাতব্বরের কথা ঠিক। তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন, মাতব্বরকে মেম্বার বানাতে হবে। গ্রামের লোকজন বলল, ঠিক আছে। আমরা ভোট দেব। আপনি ভোটে দাঁড়ান।

মাতব্বর ভোটে দাঁড়াল। লোকজন ভোট দিয়ে তাকে মেম্বার বানাল। তারপর মাতব্বরের কাছে লোকজন গিয়ে বলল, মাতব্বর সাব, মেম্বার তো বানাইলাম। এবার আামাদের জন্য কিছু করেন।

নয়া মেম্বার বললেন, মেম্বার বানাইছ ঠিক আছে; কিন্তু মেম্বারের কোনো ক্ষমতা আছে? সব ক্ষমতা চেয়ারম্যানের। আমারে চেয়ারম্যান বানাও। তারপর তোমাদের জন্য যা যা করা দরকার, তা করব।

জনগণ কী আর করবে! পরের বার মাতব্বরকে চেয়ারম্যান বানাল। তারপর আবার মাতব্বরের কাছে লোকজন গিয়ে বলল, এবার তো আপনার অনেক ক্ষমতা। এবার আমাদের জন্য কিছু করেন।

নয়া চেয়ারম্যান বললেন, কি যে বলো তোমরা! চেয়ারম্যানের কোনো ক্ষমতা আছে? সব ক্ষমতা উপজেলা চেয়ারম্যানের। আমারে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাও। তারপর যদি কিছু করতে পারি!

বোকা জনগণ পরের বার ভোট দিয়ে মাতব্বরকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাল। তারপর তার কাছে গিয়ে বলল, মাতব্বর সাব, এবার তো আপনার বেশুমার ক্ষমতা। এবার আমাদের জন্য কিছু করেন!

নয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বললেন, আর বইলো না! আগে শুনছিলাম সব ক্ষমতা নাকি উপজেলা চেয়ারম্যানের; কিন্তু চেয়ারম্যান হওয়ার পর দেখি, এরা হলো ঠুটো জগন্নাথ! ঠুটো জগন্নাথ বোঝ তো! নাম আছে কাম নাই! সব কাজ এমপি সাব করে। আমি হলাম ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। এমপি সাবের পেছনে পেছনে ডুগডুগি বাজাই। এবার বুঝছ তো!

জনগণ বলল, তাইলে এখন কি করা? আমরা তো আশায় আশায় কত বছর পার করলাম! কখনোই কিছু পাইলাম না।

মাতব্বর সাব মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, দেখ যদি আগামী নির্বাচনে এমপি বানাতে পার; তাহলে হয়তো তোমাদের জন্য কিছু করতে পারি।

জনগণ আর কী করবে? তারা অসহায়! ভোট এলে তাদের কদর বাড়ে। বাকি সময় কেউ তাদের খোঁজ রাখে না। সবাই কেবল আশা দিয়ে রাখে। আশায় আশায় তাদের দিন কাটে। তবু তারা আশা হারায় না। তারা এবার মাতব্বরকে ভোট দিয়ে এমপি বানাল। ভোটে জিতে মাতব্বর এলাকাছাড়া হলেন। জনগণ তার টিকিটিও ছুঁতে পারল না!

এই হলো বর্তমান জমানার ভোটের চিত্র। জনগণ কেবল ভোট দেওয়ার মালিক আর ক্ষমতার মালিক এমপি সাব!

গত কিছুদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চলবে। নির্বাচনী প্রচার বেশ জমে উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তারা। গণতন্ত্রে এ এক অপার সৌন্দর্য।
প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। নির্বাচন এলেই সেই কথা নেতাদের মনে পড়ে। ভোটের জন্য ভোটারের কাছে ছুটতে হয় তাদের। কাউকে চাচা, কাউকে মামা, কাউকে ভাই, কাউকে খালাম্মা আবার কাউকে বোন বলে সম্মোধন করেন। ভোট ভিক্ষা চান। কেউ বলেন, আইভী আপা যেখানে ভোট দেব সেখানে। আবার কেউ বলেন, তৈমূর ভাই যেখানে ভোট দেব সেখানে। মাঠে অন্য প্রার্থীরাও আছেন; কিন্তু তাদের নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেন না। সবার দৃষ্টি আইভী-তৈমূরের দিকে।

নির্বাচনে নেমে তৈমূর খন্দকার বিএনপির দলীয় পদ হারিয়েছেন। তা নিয়ে তার কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। অনেকেই বলছেন, এটা লোকদেখানো বহিষ্কার। কাগজে-কলমে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও বিএনপির সমর্থন তার উপরই থাকবে। তা ছাড়া বিএনপির ভোটারও তাকেই ভোট দেবে। বিএনপির ভোটাররা নিশ্চয়ই আইভীকে ভোট দেবে না। আবার আওয়ামী লীগের সব ভোট আইভীর বাক্সে পড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ সেখানকার এমপি শামীম ওসমান এবং তার অনুসারীরা আইভীর পক্ষে নেই। কোনো নির্বাচনী প্রচারেও তাদের দেখা যাচ্ছে না। শামীম ওসমান কার পক্ষে থাকবেন, তা নিয়ে যখন আলোচনা সমালোচনা তুঙ্গে, ঠিক সেই সময়ে আইভী বোমা ফাটালেন। তিনি বললেন, তৈমূর খন্দকার গদফাদার শামীম ওসমানের প্রার্থী।

সঙ্গত কারণেই শামীম ওসমান তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। পারিবারিকভাবেই আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের বৈরি সম্পর্ক। সেই বৈরিতার নেতিবাচক প্রভাব ভোটের মাঠে পড়ে থাকে। আগেও পড়েছে, এবার পড়ছে। এবার প্রকাশ্যে শামীম ওসমানের রুদ্রমূর্তি কেউ দেখতে পায়নি। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে নৌকার পক্ষে থাকার অঙ্গীকার করেছেন; কিন্তু তার কথায় বিশ্বাস নেই আইভীর। তিনি মনে করেন, শামীম ওসমান এবং তার অনুসারীরা আইভীর বিপক্ষে কাজ করছেন এবং শেষপর্যন্ত এটা অব্যাহত রাখবেন। এতে হয়তো তৈমূর খন্দকার লাভবান হবেন। তিনি নিজেও মনে করেন, বিএনপি এবং সমমনা ভোটাররা কখনোই আইভীর পক্ষে যাবেন না। তারা তাকে ভোট দেবেন।

আমরা দেখছি, যতই দিন যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের ভোটের মাঠে ততই উত্তাপ ছড়াচ্ছে। কথার উত্তাপই শুধু নয়, মিছিল মিটিংয়ের উত্তাপও ছড়াচ্ছে নগরীর আনাচে কানাচে। এই উত্তাপ যেন সংঘাত সংঘর্ষের পর্যায়ে না যায় প্রার্থীদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও সতর্ক থাকতে হবে।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের এটাই শেষ নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে। নানাভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারেনি বর্তমান ইসি। শেষবারের নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে না পারে তাহলে তাদের বিদায়টাও বিষাদের হবে। নিশ্চয় তারা বিষাদময় বিদায় টেনে আনবেন না। আমরা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখার জন্য অধীর আগ্রহ অপেক্ষা করছি।

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত