সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

পল্লি উন্নয়নে স্বপ্ন যার আকাশচুম্বী

১৯১৪ সালের ১৪ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলিতে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিল এক শিশু। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে তার মস্তিষ্কে আবর্তিত হলো মা, মাটি ও পল্লির ভাবনা। পল্লির ভাবনায় তাকে ইতিহাসের এক অনন্য মর্যাদার মুকুট পরিয়ে দিল- তিনি হলেন ড. আখতার হামিদ খান।

তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান হয়েও ভাবনায় এঁকেছিলেন পল্লিকে নিয়ে সবুজ স্বপ্ন। একজন ধার্মিক মায়ের অনন্য সন্তান হিসেবে মা তাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন উচ্চমানের চিন্তা-চেতনা ও সাধারণ জীবনযাপনের। সমন্বয়বাদী চিন্তাধারার ধারক হিসেবে নিজে অবিচল থেকে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট মানুষের দুঃখ-কষ্টকে উপলব্ধি করেছিলেন; যে কারণেই তিনি হতে পেরেছিলেন বিশ্ববরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী, বাংলাদেশের পল্লি উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ও পথিকৃৎ। দর্শনের প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ। সেই থেকে তিনি জার্মান দার্শনিক নীটশের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে পড়েন। আইসিএস অফিসার হয়েও ড. আখতার হামিদ খান নিজেকে আবিষ্কার করলেন পল্লিবাসীর পল্লির মায়া জাগানো আনন্দ-দুঃখ-কষ্টের এক ভিন্ন কোলাহলে।

বাংলাদেশ পল্লিউন্নয়ন একাডেমি, কোটবাড়ী, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত আখতার হোসেন খানের লেখা ‘আখতার হামিদ খান একটি স্মৃতিচারণ’ গ্রন্থের ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন “একটি অতি চিন্তাশীল মেজাজ নিয়ে আমি পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমার জীবনের একটি আধ্যাত্মিক গোপনীয়তা আছে। দেখা যায়, নাটকের অনুপ্রেরণায় তিনি যে সুপারম্যান হয়েছিলেন বা ইকবালের অনুপ্রেরণায় যে পর্বত চূড়াবাসী জাকাল বাজপাখি হয়েছিলেন তা তাকে ধরে রাখতে পারেনি। দূরে থেকেও তিনি হলেন সুদূরের পিয়াসী।”

এভাবেই পল্লি উন্নয়নের পথিকৃৎ আখতার হামিদ খানের নেতৃত্বে চলল গবেষণা। প্রথমে সরকারি অফিসাররা গ্রামের মানুষের জন্য কী কী কাজ করতে পারছেন না সেগুলো পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। এ স্তরের গবেষণা হলো অবজারভেশনাল রিসার্চ। দ্বিতীয় স্তরে চলল সার্ভে রিসার্চ। তৃতীয় স্তরের গবেষণার নাম দেন অ্যাকশন রিসার্চ। চতুর্থ পর্যায়ে তিনি আসেন পরীক্ষামূলক প্রজেক্টে। এই প্রকারের গবেষণার নাম দেন তিনি পাইলট প্রজেক্ট। পল্লি উন্নয়নে আখতার হামিদ খানের সৃজনশীল গবেষণা আজ সর্বত্র অনুসৃত।

ড. আখতার হামিদ খানের অক্লান্ত চেষ্টায় সফল হয়েছিল পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা পদ্ধতি। তিনি এক আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরলেন এবং দারিদ্র্যপীড়িত মানুষকে কর্মক্ষম করে তোলার মানসে গড়ে তুললেন কো-অপারেটিভের প্রাথমিক স্তর। থানা পর্যায়ে গড়লেন দ্বিতীয় স্তরের কো-অপারেটিভ থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি। ফলে দরিদ্র কৃষকেরা সঞ্চয় শেয়ার ক্রয় ও সর্বোপরি পেল ঋণ সুবিধা। ঋণের টাকায় কৃষিযন্ত্র কিনে যান্ত্রিক চাষাবাদ, উন্নত সার ও বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু করলেন।

থানা সমিতি থেকে ঋণ দিয়ে কৃষকেরা রাইচমিলের মতো কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুললেন। ড. আখতার হামিদ খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কুমিল্লায় যে সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের ধারণা তিনি পেয়েছিলেন, তা তিনি ডেনমার্ক ও তাইওয়ান থেকে মনে প্রাণে গেঁথেছিলেন।’ নারী মুক্তি সম্বন্ধে তিনি বলেছিলেন, ‘ইতিহাস নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়নি। কিন্তু ইতিহাসের কোনো পর্যায়ে নারী ছিল মাতৃদেবতা।’ নারী মুক্তি, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায়, নারী শিক্ষার প্রবক্তারূপে তিনি কুমিল্লাতে বেশ কিছু কাজ করেছেন।

ড. আখতার হামিদ খান

থানা টেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি পল্লি উন্নয়ন ভাবনার আরও এক রক্তিম পালক যুক্ত করেছিলেন। সেন্টার অন ইনটেগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক এবং কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মো. আজিজুল হক, ড. আখতার হামিদ খান সম্পর্কে চমকপ্রদ ঘটনার বর্ণনা দেন। মো. আখতার হোসেন খানের বইয়ের ৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়, একবার গ্রামের এক সভায় এককৃষক উঠে দাঁড়িয়ে ড. আখতার হামিদ খানকে বলল, ‘আমাকে কিছু ঋণ দিন’। শুনে ড. আখতার হামিদ খান বললেন, আমি কোথা থেকে আপনাকে ঋণ দেব? আপনাদের নিজেদের আমানতের যে পয়সা সঞ্চিত আছে সে পয়সা থেকেই ঋণ নিন, কবে নেবেন তা আপনারা বসে ঠিক করে নেন। আর এক সভায় কয়েক জন কৃষক উঠে দাঁড়িয়ে বলল,‘আমরা গরিব আমাদের ঋণ দেন।’ ড. আখতার হামিদ খান বললেন, আপনারা গরিব বলেই তো আপনাদের দরকার সঞ্চয় করে সঞ্চয়ের অর্থ আপনাদের গ্রুপের ফান্ডে রাখার। আর একজন দাঁড়িয়ে বলল, আপনাদের ঋণ আপনি মাফ করে দেন। তিনি বললেন, ‘এটা তো আমার পয়সা না, আপনাদেরই জমানো পয়সা থেকে আপনারাই ঋণ নিয়েছেন, সে পয়সা আমি কী করে মাফ করে দেব?’ ১৯৫৯ সালে কৃষকদের নিজেদের সঞ্চয় আমানতের পথ ধরে যে গ্রামভিত্তিক কো-অপারেটিভ তৈরি হলো এবং যেদিন কোনো ক্ষুদ্র কৃষক কো-অপারেটিভের সে ফান্ড থেকে প্রথম ঋণ নিল সেদিন থেকেই শুরু হলো মাইক্রোক্রেডিটের শুভযাত্রা।

বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, কুমিল্লার প্রধান নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হক ড. আখতার হামিদ খানের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ দিন কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি স্মৃতিচারণে বলেন, ‘ক্লাসে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে প্রায়ই দেখতাম কলেজের সামনে দিয়ে একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে, ইয়া উঁচু শরীর, হলুদের মতো গায়ের রঙ, সারস পাখির মতো উঁচু নাক। শিক্ষকদের কেউ কেউ বলতেন, তিনি আইসিএস পাস ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে বড় চাকুরে। কেউ বলতেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা কোর্টে বসে বিচার করেন।’ কিন্তু আমরা জানতাম তিনি আখতার হামিদ খান, একজন মুসলমান বড় অফিসার, বুকটা গর্বে ফুলে উঠত।

আমাদের দেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য তার গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রতিফলিত হয়েছে। অবহেলিত মানুষের জন্য ভাবনা তার দেহ ও মনকে অসহায় করে তুলেছে। তাই তিনি পল্লি উন্নয়নের জন্য ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন দেশপ্রেমিক। পল্লি উন্নয়নের এই অকুতোভয় সৈনিকের জীবনাবসান ঘটে ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর। কীর্তিমানের কখনো মৃত্যু ঘটে না, তিনি এখনো জীবন্ত হয়ে রয়েছেন তার প্রতিটি কর্মের মধ্যে দিয়ে। পল্লির মানুষের জন্য তার ভাবনার প্রথম ধাপটিই তিনি রেখেছেন কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এটিই তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল। আজ বিস্ময়ে অবিভূত হতে হয় কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত পল্লি উন্নয়ন একাডেমি নিয়ে।

ড. আখতার হামিদ খানের সুচিন্তিত চিন্তার বিকাশ ও তার সফলতা আমরা বর্তমানে পল্লি উন্নয়ন একাডেমির সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে দেখতে পায়। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একাডেমি এগিয়ে চলছে একটা দর্শন বা আদর্শ নিয়ে এটা তার গতিধারা বজায় রাখছে এবং রাখবে এটাই প্রত্যাশা। গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জল, জমি, জনতা এটার সঠিক ব্যবহার এখন জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছি। ছদ্ম বেকারত্বকে ঝরিয়ে ফেলতে হবে বেশি মাত্রায়। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানে সুদূরপ্রসারী গবেষণা জরুরি যা পল্লির মানুষের দারিদ্র্য নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।

গ্রামের মানুষকে কাছে টানার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল ড.আখতার হামিদ খানের। তার প্রখর পাণ্ডিত্য, নিম্ন আয়ের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের কৃষি সমাজের প্রতি অবদান তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। দেশব্যাপী পল্লি প্রশাসনের ক্ষেত্রে জাতিগঠনমূলক বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তৃণমূল পর্যায়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে বার্ড এর ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক প্রকাশনার ক্ষেত্রে এটি একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বার্ড অনেকগুলো সফল পল্লি উন্নয়ন মডেলের উদ্ভাবক। ড. আখতার হামিদ খানের স্বপ্নে ঘেরা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন এলাকায় সফল প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করবে সেটাই প্রত্যাশা রাখি।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও গবেষক

এসএন

Header Ad
Header Ad

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২

দুর্ঘটনা কবলিত ইজিবাইক। ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে সায়েম ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩ মার্চ) বিকেলে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বিরামপুর পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার সাঁকোপাড়া গ্রামের মজিবরের ছেলে ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামান হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার সোনাকানি গ্রামের আনোয়ারের ছেলে ইফতেখার রহমান সায়েম ইসলাম (১৬) ও বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিরামপুর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মাজেদ আলী জানায়, বিকেলে কোচিং শেষে ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার পৌর শহরের বিছকিনি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ইজিবাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে শিক্ষার্থী সায়েম নিহত হন এবং আহত অবস্থায় ইজিবাইকের চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তারও মৃত্যু হয়।

বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে ইউএসএআইডির মাধ্যমে ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের দাবি করেছেন। তবে, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২৯ মি‌লিয়ন নি‌য়ে ট্রাম্পের এ অ‌ভিযোগ সত্য নয় বলে দা‌বি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প 'স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা নিয়ে জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।

অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালকে (ডিআই) নির্বাচিত করে। প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়ে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। পরে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং এর অর্থ আসে ধাপে ধাপে।

শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটি ছিল ৫ বছর মেয়াদি এবং বাজেট ১৪ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটির ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। এই প্রকল্পে ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল-রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে।

উল্লেখ্য, ইউএসএআইডির প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করাটা বাধ্যতামূলক। এতে আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক বছর পরও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনে পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।

অনুসন্ধান থেকে দেখা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। তাই এটি বাংলাদেশের দুইজন ব্যক্তির মালিকানাধীন কোনো সংস্থাকে প্রদান করার অভিযোগটি সত্য নয়। বস্তুত এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের কোনো কিছু করার ক্ষমতা থাকে না।

Header Ad
Header Ad

অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১১৭ ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

সোমবার (৩ মার্চ) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বদলি করা কর্মকর্তাদের ১৯ মার্চের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। না হলে পরদিন থেকে তাদের তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য করা হবে।

সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় এর আগেও কয়েক দফায় বড় রদবদল হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ২০ নভেম্বর আগের পুলিশ প্রধান মো. ময়নুল ইসলামকে সরিয়ে নতুন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাহারুল আলমকে।

নতুন আইজিপি দায়িত্বে আসার পর বাহিনীতে রদবদলের ধারাবাহিকতায় আরেকটি আদেশ এলো।

এসব কর্মকর্তাকে ডিএমপি, এসবি, সিআইডি, র‌্যাব, জেলা পুলিশ, পুলিশ সদর দপ্তর, পিবিআই, এপিবিএন ও ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

বদলি কর্মকর্তাদের নামের তালিকা ১ ও তালিকা ২ দেখতে ক্লিক করুন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিরামপুরে কাভার্ড ভ্যান-ইজিবাইক সংঘর্ষে স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অতিরিক্ত ও সহকারী পুলিশ সুপার পদের ১২৪ কর্মকর্তাকে বদলি
সম্ভবত ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ছয় মাসে ১০ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে দুদক
জাতিসংঘকে শাপলা চত্বর ও সাঈদীর রায়কেন্দ্রিক হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করার অনুরোধ
নুর ভাই নিজেই তার দল বিলুপ্ত করে আমাদের সাথে যুক্ত হতে আগ্রহী: হান্নান মাসউদ
দুই দিনের মধ্যে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
নওগাঁ ও পাবনায় বাস ডাকাতির ঘটনায় ছয়জন গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে সালিশি বৈঠকে সংঘর্ষ, ৭০ দোকান ভাঙচুর, থমথমে পরিস্থিতি
শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নতুন নাম ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড
২০৩০ দশকে এআই মানবসভ্যতাকে ধ্বংস করতে পারে: ইলন মাস্ক
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত, আক্রান্ত ৫
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নতুন নাম বাংলাদেশ স্যাটেলাইট-১
দল না পাওয়া সেই আজিঙ্কা রাহানে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক
ওএসডি হলেন দেশের ২৯ সিভিল সার্জন
উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী ঠিক আছেন: প্রিন্স মাহমুদ
খাদ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় সহনীয় পর্যায়ে: প্রেস সচিব
প্রাথমিকের ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগে কোনো বাধা নেই: আপিল বিভাগ
ভোক্তা পর্যায়ে কমলো এলপি গ্যাসের দাম