বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পল্লি উন্নয়নে স্বপ্ন যার আকাশচুম্বী

১৯১৪ সালের ১৪ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলিতে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিল এক শিশু। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে তার মস্তিষ্কে আবর্তিত হলো মা, মাটি ও পল্লির ভাবনা। পল্লির ভাবনায় তাকে ইতিহাসের এক অনন্য মর্যাদার মুকুট পরিয়ে দিল- তিনি হলেন ড. আখতার হামিদ খান।

তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার সন্তান হয়েও ভাবনায় এঁকেছিলেন পল্লিকে নিয়ে সবুজ স্বপ্ন। একজন ধার্মিক মায়ের অনন্য সন্তান হিসেবে মা তাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন উচ্চমানের চিন্তা-চেতনা ও সাধারণ জীবনযাপনের। সমন্বয়বাদী চিন্তাধারার ধারক হিসেবে নিজে অবিচল থেকে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে পিষ্ট মানুষের দুঃখ-কষ্টকে উপলব্ধি করেছিলেন; যে কারণেই তিনি হতে পেরেছিলেন বিশ্ববরেণ্য সমাজবিজ্ঞানী, বাংলাদেশের পল্লি উন্নয়নের শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ ও পথিকৃৎ। দর্শনের প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ। সেই থেকে তিনি জার্মান দার্শনিক নীটশের একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে পড়েন। আইসিএস অফিসার হয়েও ড. আখতার হামিদ খান নিজেকে আবিষ্কার করলেন পল্লিবাসীর পল্লির মায়া জাগানো আনন্দ-দুঃখ-কষ্টের এক ভিন্ন কোলাহলে।

বাংলাদেশ পল্লিউন্নয়ন একাডেমি, কোটবাড়ী, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত আখতার হোসেন খানের লেখা ‘আখতার হামিদ খান একটি স্মৃতিচারণ’ গ্রন্থের ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন “একটি অতি চিন্তাশীল মেজাজ নিয়ে আমি পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমার জীবনের একটি আধ্যাত্মিক গোপনীয়তা আছে। দেখা যায়, নাটকের অনুপ্রেরণায় তিনি যে সুপারম্যান হয়েছিলেন বা ইকবালের অনুপ্রেরণায় যে পর্বত চূড়াবাসী জাকাল বাজপাখি হয়েছিলেন তা তাকে ধরে রাখতে পারেনি। দূরে থেকেও তিনি হলেন সুদূরের পিয়াসী।”

এভাবেই পল্লি উন্নয়নের পথিকৃৎ আখতার হামিদ খানের নেতৃত্বে চলল গবেষণা। প্রথমে সরকারি অফিসাররা গ্রামের মানুষের জন্য কী কী কাজ করতে পারছেন না সেগুলো পর্যবেক্ষণ করলেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। এ স্তরের গবেষণা হলো অবজারভেশনাল রিসার্চ। দ্বিতীয় স্তরে চলল সার্ভে রিসার্চ। তৃতীয় স্তরের গবেষণার নাম দেন অ্যাকশন রিসার্চ। চতুর্থ পর্যায়ে তিনি আসেন পরীক্ষামূলক প্রজেক্টে। এই প্রকারের গবেষণার নাম দেন তিনি পাইলট প্রজেক্ট। পল্লি উন্নয়নে আখতার হামিদ খানের সৃজনশীল গবেষণা আজ সর্বত্র অনুসৃত।

ড. আখতার হামিদ খানের অক্লান্ত চেষ্টায় সফল হয়েছিল পল্লি উন্নয়নে কুমিল্লা পদ্ধতি। তিনি এক আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গ্রামে গ্রামে ঘুরলেন এবং দারিদ্র্যপীড়িত মানুষকে কর্মক্ষম করে তোলার মানসে গড়ে তুললেন কো-অপারেটিভের প্রাথমিক স্তর। থানা পর্যায়ে গড়লেন দ্বিতীয় স্তরের কো-অপারেটিভ থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি। ফলে দরিদ্র কৃষকেরা সঞ্চয় শেয়ার ক্রয় ও সর্বোপরি পেল ঋণ সুবিধা। ঋণের টাকায় কৃষিযন্ত্র কিনে যান্ত্রিক চাষাবাদ, উন্নত সার ও বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিক ও উন্নত চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু করলেন।

থানা সমিতি থেকে ঋণ দিয়ে কৃষকেরা রাইচমিলের মতো কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তুললেন। ড. আখতার হামিদ খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘কুমিল্লায় যে সার্বিক গ্রাম উন্নয়নের ধারণা তিনি পেয়েছিলেন, তা তিনি ডেনমার্ক ও তাইওয়ান থেকে মনে প্রাণে গেঁথেছিলেন।’ নারী মুক্তি সম্বন্ধে তিনি বলেছিলেন, ‘ইতিহাস নারীকে পুরুষের সমান অধিকার দেয়নি। কিন্তু ইতিহাসের কোনো পর্যায়ে নারী ছিল মাতৃদেবতা।’ নারী মুক্তি, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায়, নারী শিক্ষার প্রবক্তারূপে তিনি কুমিল্লাতে বেশ কিছু কাজ করেছেন।

ড. আখতার হামিদ খান

থানা টেইনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি পল্লি উন্নয়ন ভাবনার আরও এক রক্তিম পালক যুক্ত করেছিলেন। সেন্টার অন ইনটেগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক এবং কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক মো. আজিজুল হক, ড. আখতার হামিদ খান সম্পর্কে চমকপ্রদ ঘটনার বর্ণনা দেন। মো. আখতার হোসেন খানের বইয়ের ৩৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়, একবার গ্রামের এক সভায় এককৃষক উঠে দাঁড়িয়ে ড. আখতার হামিদ খানকে বলল, ‘আমাকে কিছু ঋণ দিন’। শুনে ড. আখতার হামিদ খান বললেন, আমি কোথা থেকে আপনাকে ঋণ দেব? আপনাদের নিজেদের আমানতের যে পয়সা সঞ্চিত আছে সে পয়সা থেকেই ঋণ নিন, কবে নেবেন তা আপনারা বসে ঠিক করে নেন। আর এক সভায় কয়েক জন কৃষক উঠে দাঁড়িয়ে বলল,‘আমরা গরিব আমাদের ঋণ দেন।’ ড. আখতার হামিদ খান বললেন, আপনারা গরিব বলেই তো আপনাদের দরকার সঞ্চয় করে সঞ্চয়ের অর্থ আপনাদের গ্রুপের ফান্ডে রাখার। আর একজন দাঁড়িয়ে বলল, আপনাদের ঋণ আপনি মাফ করে দেন। তিনি বললেন, ‘এটা তো আমার পয়সা না, আপনাদেরই জমানো পয়সা থেকে আপনারাই ঋণ নিয়েছেন, সে পয়সা আমি কী করে মাফ করে দেব?’ ১৯৫৯ সালে কৃষকদের নিজেদের সঞ্চয় আমানতের পথ ধরে যে গ্রামভিত্তিক কো-অপারেটিভ তৈরি হলো এবং যেদিন কোনো ক্ষুদ্র কৃষক কো-অপারেটিভের সে ফান্ড থেকে প্রথম ঋণ নিল সেদিন থেকেই শুরু হলো মাইক্রোক্রেডিটের শুভযাত্রা।

বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, কুমিল্লার প্রধান নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হক ড. আখতার হামিদ খানের সঙ্গে একত্রে দীর্ঘ দিন কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি স্মৃতিচারণে বলেন, ‘ক্লাসে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে প্রায়ই দেখতাম কলেজের সামনে দিয়ে একজন মানুষ হেঁটে যাচ্ছে, ইয়া উঁচু শরীর, হলুদের মতো গায়ের রঙ, সারস পাখির মতো উঁচু নাক। শিক্ষকদের কেউ কেউ বলতেন, তিনি আইসিএস পাস ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে বড় চাকুরে। কেউ বলতেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা কোর্টে বসে বিচার করেন।’ কিন্তু আমরা জানতাম তিনি আখতার হামিদ খান, একজন মুসলমান বড় অফিসার, বুকটা গর্বে ফুলে উঠত।

আমাদের দেশের মতো দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য তার গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রতিফলিত হয়েছে। অবহেলিত মানুষের জন্য ভাবনা তার দেহ ও মনকে অসহায় করে তুলেছে। তাই তিনি পল্লি উন্নয়নের জন্য ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন দেশপ্রেমিক। পল্লি উন্নয়নের এই অকুতোভয় সৈনিকের জীবনাবসান ঘটে ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর। কীর্তিমানের কখনো মৃত্যু ঘটে না, তিনি এখনো জীবন্ত হয়ে রয়েছেন তার প্রতিটি কর্মের মধ্যে দিয়ে। পল্লির মানুষের জন্য তার ভাবনার প্রথম ধাপটিই তিনি রেখেছেন কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এটিই তাকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছিল। আজ বিস্ময়ে অবিভূত হতে হয় কুমিল্লায় প্রতিষ্ঠিত পল্লি উন্নয়ন একাডেমি নিয়ে।

ড. আখতার হামিদ খানের সুচিন্তিত চিন্তার বিকাশ ও তার সফলতা আমরা বর্তমানে পল্লি উন্নয়ন একাডেমির সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে দেখতে পায়। ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একাডেমি এগিয়ে চলছে একটা দর্শন বা আদর্শ নিয়ে এটা তার গতিধারা বজায় রাখছে এবং রাখবে এটাই প্রত্যাশা। গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জল, জমি, জনতা এটার সঠিক ব্যবহার এখন জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছি। ছদ্ম বেকারত্বকে ঝরিয়ে ফেলতে হবে বেশি মাত্রায়। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানে সুদূরপ্রসারী গবেষণা জরুরি যা পল্লির মানুষের দারিদ্র্য নিরসনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।

গ্রামের মানুষকে কাছে টানার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল ড.আখতার হামিদ খানের। তার প্রখর পাণ্ডিত্য, নিম্ন আয়ের অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের কৃষি সমাজের প্রতি অবদান তাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। দেশব্যাপী পল্লি প্রশাসনের ক্ষেত্রে জাতিগঠনমূলক বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তৃণমূল পর্যায়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে বার্ড এর ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়ন বিষয়ক প্রকাশনার ক্ষেত্রে এটি একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। বার্ড অনেকগুলো সফল পল্লি উন্নয়ন মডেলের উদ্ভাবক। ড. আখতার হামিদ খানের স্বপ্নে ঘেরা পল্লি উন্নয়ন একাডেমি ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন এলাকায় সফল প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করবে সেটাই প্রত্যাশা রাখি।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও গবেষক

এসএন

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪