বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: করোনা মহামারিতে যুবলীগের অবদান

আজ শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু হয় যুবলীগের। বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সংগঠনটি পা রেখেছে ৫১তম বছরে।ফজলুল হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠনকে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে যুবসমাজকে উন্নয়নের মিছিলে সামিল হতে হবে। তাদের বাইরে রেখে সেই স্বপ্ন কখনোই অর্জিত হতে পারে না। বিবেকের সেই তাড়না থেকেই তরুণদের সঙ্ঘবদ্ধ করতে আদর্শিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং মেধা-মননের বিকাশ ঘটিয়ে তাদের বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন

নেতৃত্বাধীন আওয়ামী যুবলীগ। যুবলীগের নেতৃত্ব পাওয়ার পরই তিনি যুব জাগরণ গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে যুব সমাজের মধ্যে আদর্শিক চেতনার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তার এই বহুমুখী প্রতিভার কারণে দেশের যুবসমাজকে নিয়ে ভাবতে এবং কাজ করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্র, শোষণমুক্ত শ্রেণি সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে, শিক্ষা, বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যুবকদের স্বাবলম্বী করতে কাজ শুরু করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশের ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কিছু ঘাতক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ঘাতকের দল প্রথম আক্রমণ করেন শেখ মনির বাসায়। তারা জানতেন শেখ মনি জীবিত থাকলে ঘাতকদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, তাই তার পরিবারসহ তাকে হত্যা করে। অল্পের জন্য বেঁচে যান শিশুপুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ এবং শেখ ফজলে নূর তাপস।আর বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে, তৈরি হয় অস্থিরতা।

১৯৭৮ সালের ২য় কংগ্রেসের মাধ্যমে আবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুবলীগ সংগঠিত হতে থাকে প্রস্তুতি নিতে থাকেন আন্দোলনের। এদিকে জিয়া সরকার থেকে শুরু করে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সাহসী ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সব কর্মী যার উদাহরণ যুবলীগ কর্মী শহীদ নূর হোসেন। শহীদ নূর হোসেন নিজের জীবন দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আনার পথ দেখিয়েছেন।যখন দেশের গণতন্ত্রকে আপহরণ করা হচ্ছিল, মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলতে পারছিল না, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগামী, কৃষকের ন্যায্য অধিকার, শ্রমিকের মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তখন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সোচ্চার থেকেছে মানুষের অধিকার আদয়ের। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আন্দোলন করছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট যখন চারদিকে হত্যা, গুম, বাড়ি লুট, শিক্ষক হত্যা, ২১ আগস্টে বোমা হামলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিঃশেষ করতে চাইছিল, ৬৪ জেলায় বোমা হামলা হয়, দুর্নীতিতে বাংলাদেশ পর পর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাজপথে প্রতিবাদ করে। যুবলীগ যখন রাজপথে আন্দোলন করছে তখন চারদলীয় জোট ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও জেলে আটকে রাখে। আওয়ামী যুবলীগ স্বাধীনতা পরবর্তী প্রতিটি আন্দোলনে ভুমিকা রেখেছে আপরিসীম। ভূমিকা পালন করছে ২০০৭-২০০৮ সালের সেনাশাসনের বিরুদ্ধে, যখন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেন তখনও রাজপথে নেমেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করতে থাকে। যার অন্যতম কাজ ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যা যুবসমাজের জন্য মাইলফলক হয়েছে, হয়েছে আর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ, দারিদ্র্য বিমোচন, বেকারত্ব দূর, কর্মসংস্থানসহ নানা কাজ।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ টানা তিনবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা পেয়েছে। এর সুফল ভোগ করছে পুরোজাতি। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয়, জিডিপি হার, কর্মসংস্থান, যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাজ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক, রেলপথ, পদ্মা সেতু, বিদ্যুৎ, গৃহহীনদের বাসস্থান, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, স্বাধীন গণমাধ্যম, সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানুষের অধিকার সব কিছুতে সফলভাবে কাজ করছে শেখ হাসিনার সরকার যার ফলে আমরা উন্নত দেশের দিকে আগ্রসর হচ্ছি। আর তাইতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্লোগান ২০৪১ সালের মধ্যে ‘গ্রাম হবে শহর’।

আর তাই যুবকদের দেশের কাজে লাগানোর জন্য যুবলীগের ধারাবাহিক কংগ্রেসের মাধ্যমে নেতৃত্বর পরিবর্তন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৭ম কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যুবলীগের নেতৃত্বে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ। শেখ ফজলে শামস পরশকে চেয়ারম্যান এবং মইনুল হোসেন নিখিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের নেতৃত্বে আসার পর থেকে যুবলীগকে নানাভাবে সংগঠিত করে চলছেন।এবারে যুবলীগ গঠিত হয়েছে মেধাবী তরুণদের নিয়ে যার প্রমাণ ইতোমধ্যে যুবসমাজ পেয়েছে।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশে যখন করোনা মহামারি শুরু হলো, তখন মানুষের সেবায় কাজ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। যাদের খাবার নেই তাদের খাবার ব্যবস্থা করা, অসুস্থ রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ, বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে মানুষের খোঁজখবর নেয়া, যাতে দেশের মানুষ কেউ না খেয়ে থাকে; সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা পায়। এই কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে।

সংকটে-সংগ্রামে, মানবিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ থাকবে মানুষের পাশে। জেলার প্রতিটি জায়গায় নতুন কমিটি করা হচ্ছে, বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। যুবসমাজ ধর্মান্ধ রাজনীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণে শেখ হাসিনার হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করতে বলেছিলেন সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়ন মূল লক্ষ্য। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে আগামীর যুবলীগ আর এভাবে এগিয়ে যাবে। ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে যুবলীগের ৫০ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের নাম, মেয়াদকাল

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন।আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের যুব আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, শোষনমুক্ত সমাজ অর্থাৎ সামাজিক ন্যায়বিচার, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের অধিকার তথা জাতীয় চার মুলনীতিকে সামনে রেখে বেকারত্ব দূরীকরণ, দারিদ্র দূরীকরণ, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা সম্প্রসারন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান, অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ ও আত্মনির্ভরশীল অর্থনীতি গড়ে তোলা এবং যুবসমাজের ন্যায্য অধিকারসমুহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মহোদয়গণের নাম ও মেয়াদকাল প্রথম কংগ্রেস– ১৯৭৪ – চেয়ারম্যান: শেখ ফজলুল হক মনি, সাধারণ সম্পাদক: অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহমেদ।দ্বিতীয় কংগ্রেস– ১৯৭৮ – চেয়ারম্যান: আমির হোসেন আমু , সাধারণ সম্পাদক: ফকির আব্দুর রাজ্জাক।তৃতীয় কংগ্রেস– ১৯৮৬ – চেয়ারম্যান: মোস্তফা মহসিন মন্টু , সাধারণ সম্পাদক: ফুলু সরকার। চতুর্থ কংগ্রেস– ১৯৯৬- চেয়ারম্যান: শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক: কাজী ইকবাল হোসেন।পঞ্চম কংগ্রেস– ২০০৩-২৪ জুলাই ২০০৯- চেয়ারম্যান: অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ২৪ জুলাই ২০০৯- ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, ২০০৩ –সাধারণ সম্পাদক: মির্জা আজম। ষষ্ঠ কংগ্রেস–২০১২–চেয়ারম্যান: মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী , সাধারণ সম্পাদক: মো: হারুনুর রশীদ।সপ্তম কংগ্রেসে-২০১৯ -সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

পরিশেষে বলতে চাই, স্বাধীনতার পর ছাত্রলীগের পুনর্গঠন এবং যুবলীগের গঠন এই মুক্তিযোদ্ধা যুবসমাজের দ্বারাই হয়েছে। তারপর সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা ও কর্মীরা।দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ও রক্ষায় এই দুটি সংগঠনের অবদান অতুলনীয়। এমন গৌরবময় অতীতের উত্তরাধিকার বহন করছে যে দুটি সংগঠন। যুবলীগ যদি সংশোধিত ও সংগঠিত হয়, তাহলে দেশের যুবসমাজও সংশোধিত ও সংগঠিত হবে। যুবলীগের নতুন নেতৃত্বকে আরেকবার অভিনন্দন।

লেখক: প্রতিষ্ঠাতা,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি, কলামিস্ট ও গবেষক ইমেইল: drmazed96@gmail.com

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া