শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোভিড ও ভিন্ন ভাবনা

ছেলেবেলায় রাজশাহী থেকে ঢাকায় বেড়াতে আসছি। তখন যমুনা নদীর উপর ব্রীজ ছিল না, নগরবাড়ি-আরিচা ফেরী পার হয়ে আসতে হতো। আরও তিনটি ফেরী পার হয়ে ঢাকা শহরে এসে ঢুকতে হতো। ঘাটে ফেরী পেতে দেরী হবার কারণে, এবং বাসের চাকা পাঙ্কচার হবার কারণে সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে। চারিদিকে এখনকার মত আলো ঝলমলে ছিল না। সাভারের পর থেকে তো রীতিমত অন্ধকার জায়গা পার হয়েই আসছিলাম আমরা।এরইমধ্যে কন্ডাক্টর চিৎকার করে বলে যাচ্ছে গেন্ডা, হেমায়েতপুর, বলিয়ারপুর, আমিন বাজার…! বেশ মজা পেলাম, শুনে শুনে অন্ধকারের মধ্যেও নিজের অবস্থান জানতে পারছি এবং ক্রমশ ঢাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি বুঝে।

একদিন বাবা-মার সাথে অটোরিকশায় বেড়াতে যাবার পথে চমৎকার একটি গন্ধ টের পেলাম। বাবা বললেন, সামনে নাবিস্কো বিস্কুট ফ্যাক্টরি। রায়েরবাজারের কাছে গেলেই পেতাম তীব্র গন্ধ, বাবা বললেন এখানে অনেক ট্যানারী কারখানা আছে। খুব অল্প বয়সেই বুঝে নিলাম, শুধু চোখে দেখেই নয়, শব্দ শুনে বা গন্ধ শুঁকেও নিজের অবস্থান জানা যায়। ছাত্রজীবনে সিনেমা দেখার অভ্যাস ছিল। বিরতির সময় তীব্র এ্যামোনিয়ার গন্ধ শুঁকেই বুঝতে পারতাম টয়লেটগুলি কোনদিকে। সেই ৮০’র দশকে মফস্বল শহরগুলির সিনেমা হলগুলিতে তো আর এসি ছিল না। গ্রীষ্মকালে সেকেন্ড শো দেখতে গেলে গরম বাতাস আর আগের শো’র দর্শকের ঘামের আর্দ্রতায় পরিবেশ অসহ্য হয়ে যেত। হাতে পায়ের চামড়া কুটকুট করতো।  

এখন বিয়েবাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে গন্ধ শুঁকেই বলে দিতে পারি মেন্যুতে পোলাও-রোস্ট খাওয়াবে, নাকি কাচ্চি বিরিয়ানী হবে! একইভাবে স্বাদ নিয়েই বলতে পারি, ফখরুদ্দিন বাবুর্চী নাকি ইকবাল ক্যাটারিং-এর কাচ্চি পরিবেশন করা হচ্ছে। আমের গন্ধ এবং স্বাদেই বলে দেয়া যায় ফজলী, হিমসাগর, ল্যাংড়া আর গোপালভোগের পার্থক্য! গরমে যখন হাত-পা জ্বালা করে, গাড়ীতে উঠেই ড্রাইভারকে বলি এসি ছেড়ে দিতে!

আমরা যারা দৃষ্টিশক্তির উপরই অনেক বেশী নির্ভরশীল, তারাও কিন্তু নাক, জিহবা, ত্বক এবং কান – এই বাকী চারটি ইন্দ্রিয়ের উপস্থিতি এবং এগুলির স্বয়ংক্রিয় ব্যবহারে অনেক বেশি অভ্যস্ত। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে রাতে ঘুমাতে যাবার সময় পর্যন্ত পাঁচটি ইন্দ্রিয় আমাদের অজান্তেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। চলাফেরা করতে, কাজকর্ম করতে, এমনকি জীবনের নানা আনন্দকে উপভোগ করতেও দারুনভাবে ভুমিকা রাখে।

আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে, কোভিড যখন বিশ্বময় তান্ডব ঘটাতে আরম্ভ করলো, আমরা প্রথমেই জানতে পারলাম এর সহজ এবং প্রায় নিশ্চিত উপসর্গ হলো গন্ধ এবং স্বাদ, এই দুটি অনুভুতি কমে যাওয়া। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে, তাদের একটি বড় অংশ সুস্থ্য হবার পরও বহুদিন এই দুটি ইন্দ্রিয়ের পুর্ণ সক্ষমতার অভাব অনুভব করেছে। অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী গবেষনায় বলেছেন, শুধু এই দুটি ইন্দ্রিয়ই নয়, অনেকের ক্ষেত্রে ত্বকের স্পর্শ বা তাপমাত্রা অনুভব করার ক্ষমতাও মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে কোভিডের কারণে, যা আমরা চক্ষুষ্মান মানুষেরা খুব একটা আমলে নেইনি।

আমরা যারা দৃষ্টিশক্তির উপরই বেশী নির্ভরশীল, এই তিনটি অনুভুতি যদি হ্রাসও পায়, সাময়িক কিছু সুখানুভুতি থেকেই হয়তো আমরা বঞ্চিত হবো। এগুলির অনুপস্থিতি আমাদের চলাফেরায় বা দৈনন্দিন কাজকর্মে হয়তো বা খুব বেশী প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু একটু ভাবুন তো সেই মানুষগুলির কথা, যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই, তাদের উপর কোভিডের প্রভাব কেমন হবে?

বাংলাদেশে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা আনুমানিকভাবে প্রায় ৪০ লক্ষ। এর একটি বড় অংশ হলো সম্পুর্ণভাবে দৃষ্টিহীন, যারা আলো-আঁধারের তফাৎটুকুও বুঝতে পারে না। তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন বা চলাফেরায় এরা শ্রবন, গন্ধ এবং স্পর্শানুভুতির উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল। আবার, এদের একটি বড় অংশ বাস করে দারিদ্রসীমার নীচে। তাদের সবাই যে ভিক্ষা করে, তা নয়। অনেকেই ছোটখাটো চাকুরি, নানা হাতের কাজ বা ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত, যেগুলি দীর্ঘ লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানে যারা চাকুরিতে ছিল, সবচাইতে আগে ছাঁটাই হয়েছে তারাই। হালাল রুটি-রুজির রাস্তা তো বন্ধই হলো, এর মধ্যে আবার যারা আক্রান্ত হলো কোভিডে, তাদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনযাপন ও চলাফেরায় ফিরতে পারছে না, দুটি বা তিনটি ইন্দ্রিয় ভালোভাবে কাজ না করার ফলে। আমরা যারা দৃষ্টিমান, তারা কি একবারও ভেবে দেখেছি এই মানুষগুলির কথা?

শ্রবণ-বাক প্রতিবন্ধী মানুষেরা নির্ভর করে ইশারা ভাষার উপর। এদের সবাই যে আনুষ্ঠানিক ইশারা ভাষা বুঝে, তা নয়। তৃণমূলে বেড়ে ওঠা শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষেরা পারিবারিকভাবে কিছু সহজাত ভাষা সৃষ্টি করে ফেলেছে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বা কথোপকথনের জন্য। এর অধিকাংশই হলো হাত বা আঙুলের পাশাপাশি মুখাবয়ব বা শরীরবৃত্তীয় নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ইশারা। আনুষ্ঠানিক ইশারা ভাষাও শুধুমাত্র আঙুল বা হাতের ইশারায় সীমাবদ্ধ নয়, মুখের নানা অঙ্গভঙ্গিও ইশারা ভাষার একটি বড় অংশ। অনেকেই আবার শিখেছে ঠোঁটের নড়াচড়া পড়তে শেখা, যাকে ইংরেজীতে বলে লিপ রিডিং। অধিকাংশ মানুষ যখন কোভিডের কারণে মাস্ক দিয়ে মুখমন্ডলের একটি বড় অংশ ঢেকে ফেলেছে, একটু ভাবতে পারেন কি এই মানুষগুলির পারষ্পরিক যোগাযোগের অবস্থা?

শ্রবণ-দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের কথা একটু ভাবুন তো, যারা চোখেও দেখেনা, কানেও শোনে না, কথাও বলতে পারে না! বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ। এরাও ইশারা ভাষা ব্যবহার করে, যা হলো হাতের স্পর্শের মাধ্যমে। এটিকে বলে স্পর্শ ইশারা ভাষা, বা ট্যাকটাইল সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ। ছয় ফুট দুরত্বে থাকতে হলে, একে অন্যের সাথে হাতের স্পর্শ পরিহার করতে হলে এই মানুষগুলি বাঁচবে কিভাবে, ভাবতে পারেন?

প্রতিবন্ধী শিশুর নিয়মিত যত্নকারী মানুষটিকে যখন কোভিডের কারণে আইসোলেশনে থাকতে হয়েছে, একটু ভাবতে পারি কি, শিশুটির প্রতিটি দিন কিভাবে কেটেছে? মাসের পর মাস বন্ধ ছিল এদের স্কুল। অটিজম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা বা নানারকম শারীরিক প্রতিবন্ধিতাগ্রস্ত শিশুদের জন্য স্কুলগুলি তো শুধুমাত্র শিক্ষা দেয়ার প্রতিষ্ঠান নয়, অনেকেরই নিয়মিত থেরাপী গ্রহণেরও স্থান হলো তাদের স্কুল। অনলাইনে শিক্ষা দেয়া যায়, কিন্তু থেরাপী? এটি তো সকলেরই জানা, যে প্রতিবন্ধী শিশুদের যত তাড়াতাড়ি সঠিকভাবে সনাক্ত করা যাবে, এবং যত তাড়াতাড়ি সঠিক থেরাপীর আওতায় নিয়ে আসা যাবে, তাদের উন্নতি তত তাড়াতাড়ি হবে। অনেকেই তাদের শারীরিক সীমাবদ্ধতাগুলি কাটিয়েও উঠতে পারে। শিশুদের মস্তিষ্ক যেভাবে বিকশিত হয়, তার উপর ভিত্তি করে বলা হয়ে থাকে, যে ৬/৭ বছর বয়সের মধ্যে থেরাপী আরম্ভ করতে না পারলে সীমাবদ্ধতাগুলি কাটিয়ে ওঠা দুরূহ হয়ে পড়ে। যে শিশুগুলি কয়েক বছর ধরে নিয়মিত থেরাপীর কারণে অনেকটাই তাদের সীমাবদ্ধতাগুলি সামলে নিতে শিখেছিল, মাসের পর মাস থেরাপী বন্ধ থাকার কারণে আবার তারা মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়েছে। অনেকের জন্যই আবার নতুন করে আরম্ভ করতে হবে, কিন্তু বয়স বেড়ে যাবার কারণে তারা হয়তো কখনই আর তাদের সীমাবদ্ধতাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারবে না। মা-বাবারা ফোনে বা অনলাইনে থেরাপিস্টদের সাথে পরামর্শ করে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তাঁরা তো আর প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট নন। ভাবতে পারেন কি এই পরিবারগুলির মানসিক যন্ত্রনার কথা?

প্রতিবন্ধী শিশুদের বাবা-মাকে নিয়মিতভাবে বলা হয়ে থাকে শিশুদের স্ক্রিন-টাইম কমানোর জন্য, কারণ এটি শিশুদের মানসিক বিকাশকে পর্যুদস্ত করে। একদিকে থেরাপী বন্ধ, অপরদিকে স্কুল চলেছে অনলাইনে। ঘরে বন্দী শিশুটিকে শান্ত রাখার জন্যই বাবা-মা বাধ্য হয়ে শিশুটিকে সেলফোন বা কম্পিউটারে ব্যস্ত রেখেছে দীর্ঘদিন। তাতে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বিশাল সংখ্যক প্রতিবন্ধী শিশুর, আচরণে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা কি ভাবতে পারি আমরা?

মানসিক অসুস্থ্যতাজনিত প্রতিবন্ধী ছেলে বা মেয়েটি যখন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে, তার চিকিৎসা কোন হাসপাতালে পাওয়া যাবে, এ নিয়ে দিশেহারা বাবা-মায়ের কান্না শুনেছি আমরা কতজন? সবার তো আর আইসিইউ বেডের দরকার হয়নি, প্রয়োজন ছিল কেবল কোভিডের চিকিৎসা হয় এমন একটি হাসপাতালে একটি বেডের। কিন্তু মানসিক অসুস্থ্যতার কথা শুনেই ভর্তি করা হয়নি তাদের। কোভিড ব্যবস্থাপনায় এদের কথা কি একবারও ভাবা হয়েছিল?

কোভিডের মত বিশ্বজুড়ে অতিমারী একশো বছর পরপর এসেছে। ভাইরাসটিকে সম্পূর্ণভাবে হয়তো পরাস্ত করা যাবে না, হয়তো বা থেকেই যাবে বছরের পর বছর। বারবার মিউটেশন হয়ে নানা ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হবে। এরই মধ্যে অমেরিকা বা ইউরোপে আবার যেভাবে ছড়াচ্ছে আগের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে, আমাদের দেশেও পরিস্থিতি আবার খারাপ হবে না, তা তো আর নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সকলের সাথে প্রতিবন্ধী মানুষদের বিশেষ চাহিদাগুলির বিষয়টি আমাদের মূলস্বাস্থ্য পরিকল্পনায় থাকাটা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে, যা এতদিন ছিল না। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জরীপ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯.০৭% মানুষ কোনো না কোনো ধরণের প্রতিবন্ধী। অর্থাৎ, প্রায় দুই কোটি প্রতিবন্ধী মানুষ আছে এই দেশে। এত বড় সংখ্যক একটি জনগোষ্ঠীর বিশেষ প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলি কি মুলধারার জাতীয় পরিকল্পনার ভাবনা থেকে বাদ থেকেই যাবে?

 

লেখক: প্রতিবন্ধিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা