বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ডলার সংকট আর আইএমএফ’র ঋণ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে প্রতিদিন। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উচ্ছ্বাস এখন উৎকণ্ঠায় পরিণত হয়েছে। কিছুদিন ছিল আশ্বাস পর্ব, কোনো সমস্যা নেই, পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মত রিজার্ভ আছে, তিন মাসের খাদ্য আমদানির মত রিজার্ভ আছে, তারপর এল প্রশ্ন পর্ব, আগে কখনো কি এত রিজার্ভ ছিল? আর তুলনামূলক কথা বলতে পছন্দ করা কর্তারা তো বলেই চলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি ইত্যাদি।

কিন্তু মানুষ দেখছে ডলারের বাজার চড়া, প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। বাজারে ১১২ টাকা পর্যন্ত উঠেছে ডলারের দাম। সরকারি দাম আর বাজারে বিক্রির মধ্যে ১৫ টাকার মত পার্থক্য বলে ডলার নিয়ে ব্যবসাও হচ্ছে নানাভাবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য করতে হলে, বড় বড় গাড়ি কিনতে, বিলাসবহুল বাড়ির সরঞ্জাম কিনতে, ঈদ পার্বণে বিদেশে শপিং করতে, খিচুরি রান্না বা পুকুর খননের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করতে হলে ডলার লাগবে।

আমাদের দেশে ডলার আসে কিভাবে? একটা পথ হলো রপ্তানির মাধ্যমে, অন্যটা প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিটেন্স। আর ডলার প্রধান খরচ হয় আমদানি করতে গিয়ে। আমাদের দেশে প্রধানত গার্মেন্টসের কাঁচামাল, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, খাদ্য, গাড়ি আমদানি করতে ডলার খরচ করতে হয়। এই আমদানি রপ্তানির ঘাটতিকে বলা হয় ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি। একটা সাধারণ হিসেব করে দেখা যাক! বলা হয়েছে, আমরা রপ্তানি করেছি ৫২.৫ বিলিয়ন ডলার, আর আমদানি করেছি ৮৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ কমবেশি ৩৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি আছে। প্রবাসী শ্রমিকরা পাঠিয়েছেন ২২ বিলিয়ন ডলার। তাহলে সবশেষে ঘাটতি দাঁড়াল ১৪ বিলিয়ন ডলার। ফলে ঘাটতি পূরণ করতে গিয়ে রিজার্ভে তো টান পড়বেই।

আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে, খাদ্যের দাম বেড়েছে আর এসবের কারণ ইউক্রেন যুদ্ধ। এই বাস্তবতা মানতেই হবে। খাদ্য পণ্যের দাম তাই বাড়ছে এবং বাড়বে। সার, তেল, বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম শুধু বাড়বে তাই নয় আমাদের এখন ঋণ করতে হবে চড়া সুদে এবং কঠিন শর্তে। আমদানির কারণে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যাপারটা যদি তাই হয় তাহলে তো দাম বাড়ানো ও ঋণ করার বিকল্প নেই।

এতদিন একটা প্রশ্ন অনেকেরই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল আমদানি এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কি? ২০- ২১ সালে আমদানি হয়েছে ৬৫.৫৯ বিলিয়ন ডলার তা গত বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.১৬ বিলিয়ন ডলারে। এই ২৩.৫৯ বিলিয়ন ডলার আমদানি বাড়ার কারণ কি? এই কয়েকদিনের সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যস্ফীতি প্রধান কারণ। কিন্তু কাস্টমসের ডাটা অনুযায়ী ২০২১ থেকে অর্থবছর গত বছরে খাদ্য শস্যের আমদানি কমেছে ৪.৪%।

২০২১ সালে আমদানি হয়েছিল ২৬৮ কোটি ডলারের খাদ্যপণ্য আর গত অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ২৫৬ কোটি ডলার। ফলে খাদ্যশস্যের মোট আমদানির খরচ প্রায় ১২ কোটি ডলার কমেছে।

বলা হয়ে থাকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিওপির ঘাটতি হয়েছে। কিন্তু কাস্টমস ডাটা অনুসারে অর্থবছর ২০২১ এর তুলনায় গতবছর ভোজ্যতেলের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে সত্য কিন্তু তার পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার।

একথা সত্য যে খাদ্যপণ্যের দাম ও আমদানি মূল্য বেড়েছে। শুধু ভোজ্যতেল নয়, দুধ, মশলা, ডাল ও চিনিসহ নন গ্রেইন খাদ্যপন্যের আমদানি মূল্যও বেড়েছে। প্রশ্ন হলো তা কতটা এবং তাতে কত বেশি খরচ হয়েছে? যদি চাল, ডাল, চিনি, তেল, মশলাসহ সব খাদ্য দ্রব্য আমদানি খরচ বিবেচনা করা হয় তবে, ২০২১ থেকে গত অর্থবছরে মাত্র ১.৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যস্ফিতি হয়েছে, যা মোট ঘাটতির মাত্র ৬ শতাংশ।

আবার যে কথা বলে প্রায় বিশ্বাস করিয়ে ফেলা হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বের সব দেশের মত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে বিওপি ঘাটতি হয়েছে। কিন্তু তথ্য বলছে ভিন্ন কথা। অর্থবছর ২০২১ থেকে গত বছরে পেট্রোলিয়াম আমদানির পরিমান তো বাড়েই নি বরং আমদানি এক বিলিয়ন ডলার কমেছে, যেটা বিস্ময়কর।

এর বিশ্বাসযোগ্য উত্তর যেটা হতে পারে যে, অর্থ বছর ২০২১ এর স্টক বিপিসির কাছে রয়ে গিয়েছিল তাই বিপিসি কম পরিমান জ্বালানি আমদানি করেছে। ফলে, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট সংকটে জ্বালানি তেলের কোনো ভূমিকা তো তেমন নেই।

প্রশ্ন হতে পারে শুধুমাত্র তেল তো একমাত্র জ্বালানি নয় গ্যাসও একটি জ্বালানি এবং তার মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম ৪০ ডলারে উঠেছে, এর প্রভাব কি পড়েনি? অবশ্যই পড়েছে তবে যতটা ব্যাপক বলা হচ্ছে ততটা নয়।

তথ্য দেখাচ্ছে ২০২২ সালে এলএনজির কারণে প্রায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি হয়েছে। ফলে, জ্বালানি তেলের এক বিলিয়ন ডলার আমদানি হ্রাস আর এলএনজির ১.৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি বৃদ্ধিকে যোগ করলে, দেখা যায় বৈশ্বিক জ্বালানির মূল্যস্ফীতির প্রভাবে, সার্বিক জ্বালানি আমদানিতে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে মাত্র ০ .৭ বিলিয়ন ডলার প্রভাব পরেছে, যা মোট ঘাটতির মাত্র ২%। তাহলে কিছুদিন ধরে যে হাহাকার ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার কারণ কি অন্য কিছু?

হিসেব ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, প্রথমত আরএমজি আর দ্বিতীয়ত, ইনটারমিডিয়ারি গুডস।
আরএমজির খাতে কতটা আমদানি বেড়েছে? ২০২১ সালে আরএমজি সেক্টরের কাচামাল আমদানির পরিমান ১৪.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২২.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে যার সংখ্যাগত পরিমান ৭.৮ বিলিয়ন ডলার আর যা মোট ঘাটতির ৩২%।

অন্যদিকে, উৎপাদনের বিভিন্ন কাচামাল যার মধ্যে আছে সিমেন্ট তৈরির ক্লিঙ্কার, ওয়েল সিড, ক্যামিকেল, প্লাস্টিক, আয়রন, ফারমাসিউটিক্যালসের কাচামাল, সার ইত্যাদির আমদানি ১৫.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২৪.৯৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

অর্থাৎ এই সব কাচামাল আমদানিতে ৯.৬৯ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ৬৩.৬% বেশি এবং যা মোট ২৩.৫৯ বিলিয়ন ডলার ঘাটতির ৪১%।

ফলে দেখা যাচ্ছে, আমদানির যে প্রবৃদ্ধি তার কেন্দ্রে রয়েছে মূলত ইন্টেরমিডিয়েট গুডস ও আরএমজির কাচামাল। কারণ এই দুটা ক্যাটাগরিই ৭০% এর উপরে ঘাটতি তৈরি করেছে। ফলে, এতদিন বলা হয়েছিল যে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ বা বৈশ্বিক জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিওপি ঘাটতি হয়েছে— এই যুক্তিটা তথ্য দ্বারা প্রমাণিত নয়।

তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামাল যা আমদানি করা হয় তার সঙ্গে শ্রমিকের শ্রম আর মালিকের লাভ মিলেই রপ্তানি। সোজা হিসেবে বলা যায় আমদানির চেয়ে রপ্তানি আয় বেশি হবে। তাহলে আমদানি বাড়লে ক্ষতি নেই বরং রপ্তানি আয় বাড়বে। প্রবাসী আয় সেটাও তো জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি এসেছে। এক মাসেই এসেছে ২.১ বিলিয়ন ডলার। তাহলে বাণিজ্য ঘাটতির আর কি কারণ থাকতে পারে? অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন গত কয়েক মাসে দেশে বাণিজ্য ঘাটতির পেছনে এলসির আড়ালে টাকা পাচার একটি কারণ হতে পারে। রেকর্ড আমদানির আড়ালে দেশ থেকে অর্থপাচার বেড়ে গেল কিনা তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির পরিসংখ্যান অস্বাভাবিক। কারণ দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে কোনো সূচকেই এই আমদানির প্রতিফলন নেই। ফলে টাকা পাচার এখন আর সন্দেহ নয় সত্যি। আইএমএফ’র কাছে ঋণ নিয়ে কি এই চোরাবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে?

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

আরএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত