রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কি নিয়মিত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে?

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ছুটাছুটি, টেনশন, শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেওয়ার নিমিত্তে বহু লেখালেখি ও আলোচনা চলছে বহুদিন যাবত। কিন্তু বিষয়টিতে পুরোপুরি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজি করানো যায়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিও জোরালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ নিজ ইচ্ছানুযায়ী ২০১৯ সালে গুচছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে অংশ নিয়েছে। এবার ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন যুক্ত হয়েছে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থাৎ মোট ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার জন্য গুচ্ছভুক্ত হয়েছে। তার মানে হচ্ছে এখনো অর্ধেকের বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এই পদ্ধতির আওতাভুক্ত হয়নি। ৩০ জুলাই ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতিতের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত চলেছে, সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি উপকেন্দ্রে । ঐদিন ’ক’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩ আগস্ট ’বি’ ইউনিটে মানবিক এবং ২০ আগস্ট ’সি’ ইউনিটে বাণিজ্য অনুষদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে পরীক্ষার জন্য মোট আবেদন পড়েছে দুই লাখ ৯৪ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে, প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার। গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকােনো একটিকে কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করার সুযোগ ছিল আবেদনকারীদের, যার মধ্যে ঢাকায় কেন্দ্র পছন্দ করেছে প্রায় ৬৫ হাজার ভর্তিচ্ছু অর্থাৎ ৪০ শতাংশ। ভর্তিচ্ছুদের রসায়ন, পদার্থ বিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, বাংলা ও ইংরেজি থেকে যেকোনো চারটি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের উত্তর দিতে হয়েছে ৩০ জুলাইয়ের পরীক্ষার ফল ৩ আগস্ট হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আভাস দিয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে অংশগ্রহণে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বেশকিছু নির্দেশনা। যেমন-অনলাইনে প্রদত্ত প্রবেশপত্র অফসেট কাগজে রঙিন প্রিন্ট করে এবং উচচমাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে আসা, যেখানে পরীক্ষার্থীর রঙিন ছবি এবং তথ্য স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কেউ চাইলে তার আগেও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে। নির্ধারিত রুম খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি পরিক্ষার্থীকে অবশ্যই তার নির্দিষ্ট আসনে বসে পরীক্ষা দিতে হবে। তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, অ্যাটেনডেন্স শিট ও ওএমআর শিটে অভিন্ন স্বাক্ষর থাকতে হবে। উত্তরপত্রে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। সেখানে পেন্সিল ও ক্যালকুলেটরসহ যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ছিল।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না, বরং একটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘব করবে। প্রশ্নপত্রে বাংলা, ইংরেজি, রসায়ন, গণিত ঠিকই থাকছে। তারপরেও একটি পদ্ধতি শুরু হলে প্রথমে তার অনেক সমস্যা থাকে। সে ধরনের কিছু সমস্যা তো বৃহত্তর স্বার্থে মোকাবিলা করতেই হবে। গতবছর শিক্ষার্থী পাওয়া নিয়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা ছিল। কয়েকবার অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তার অন্যতম কারণ ছিল বিলম্বে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া। গতবার শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমতো কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পারেনি, যেটি এবার সংশোধন করা হয়েছে। এতগুলো বিশ্ব বিদ্যালয়ে একটি জায়গা থেকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নিজেদের ব্যবস্থাপনায় নিয়ে যাওয়া এবং পরীক্ষা শেষে আবার উত্তরপত্র এনে এক জায়গায় জড়ো করা পরীক্ষা কমিটির জন্য একটি কঠিন কাজ।

এককভাবে পরীক্ষা নিলে শিক্ষকদের অর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই বিষয়টিতে সেক্রিফাইস করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা যাতে সহজে নিজ পছন্দের বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে সেজন্য এমন একটি পদ্ধতি বের করা প্রয়োজন, যাতে তারা একটি কিংবা বড়জোর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই পছন্দমতো বিষয়ে ভর্তি হতে পারে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা গুচছ পরীক্ষা নিচ্ছে। বুয়েট বাদে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একত্রে পরীক্ষা নিচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে যে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আগামী দুই বা তিন বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে। আমাদের যদি বড় মাপের ৮-১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থাকতো তাহলে গুচ্ছ পরীক্ষা প্রয়োজন হতো না। এখন যেহেতু ৫০টির কাছাকাটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, অতএব গুচ্ছ পরীক্ষা নিতেই হবে কারণ ভর্তিচ্ছুদের পক্ষে জেলায় জেলায় ঘুরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়, ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও আলাদা আলাদা পরীক্ষা আয়োজন করা রাষ্ট্রীয়ভাবে ও অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী নয়।

একটি বিষয় এবারকার গুচ্ছ পরীক্ষায় বড় প্রশ্ন আকারে দেখা দিয়েছে। সেটি হচ্ছে ঢাকায় ৪০ শতাংশ ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী কেন? তারা যাতে নিজ জেলা বা পার্শ্ববর্তী জেলায় বসে পরীক্ষা দিতে পারেন সেজন্য এই ব্যবস্থা, অথচ ঢাকায় বিশাল অংশের পরীক্ষার্থী কেন? কেউ কেউ বলছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ঢাকার মানসম্পন্ন কলেজে অনেকেই ভর্তি হয়, তারা ঢাকায় কেন্দ্র দিয়েছে এবং সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত না হওয়ায় তারা ঢাকা থেকে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজে যেতে পারবে। যেমন জাহাঙ্গীরনগর। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঢাকায় আসে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থাকে। আবার কেউ নিজেদের মতো করে বাসা ঠিক করে।

আর একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে যে, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি অথচ ২০২১-২০২২শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল কাঠামোও চূড়ান্ত করা হয়নি। কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের পর আগে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে একটি ক্যাম্পাস গড়ে তোলা হতো। এরপর শুরু করা হতো শিক্ষার্থী ভর্তিসহ অন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম। কিন্তু কয়েক বছর যাবত দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অনুমোদনপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অনুমোদন পাওয়ার পর কোনো ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও শিক্ষক নিয়োগের আগেই চলছে শিক্ষর্থী ভর্তি। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমও চলছে অগোছালোভাবে।

এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব অবকাঠামোয় ক্লাস শুরুর আগেই কয়েকটি ব্যাচ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে বের হয়েছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০২ সালে আইন পাস হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৫সালে। রাঙামাটি শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের অবকাঠামো ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় অনেকটা অগোছালোভাবেই। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজেদের ক্যাম্পাসে কার্যক্রম স্থানান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ক্যাম্পাসে যাওয়ার আগেই কয়েকটি ব্যাচ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে ফেলেছে। যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত না করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি গুনগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রতিবন্ধক। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একাডেমকি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কয়েকটি ভবন নির্মান করা হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ধরনের আবাসিক ভবন নির্মান করা হয়নি। একেবারে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা কতটা যৌক্তিক সেই প্রশ্ন যেমন থেকে যাচ্ছে, তেমনি এসব বিশ্ববিদ্যালয় তো এককভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজনই করতে পারত না লোকবলের অভাবে।

৩০ জুলাই পরীক্ষায় আরও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তাই গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও একই সিলেবাসে নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ’ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের বাইরে থেকেও প্রশ্ন এসেছে বলে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। প্রশ্ন প্রণেতারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পর্কে অবহিত ছিলেন কি না সেটি দেখার বিষয়। আগামী ১৩ আগস্ট ও ২০ আগস্টের পরীক্ষায় যাতে এটি না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও মূল্যায়ন একভাবে করা যায়, পুরো বই থেকে প্রশ্ন করার যেহেতু কথা ছিল না সেটি খতিয়ে দেখা দরকার এবং এ জন্য শিক্ষার্থীদের পেনালাইজ করা যাবে না। তারা কিন্তু ইতিমধ্যে পরীক্ষার হলে বিপাকে পড়েছে। পরীক্ষা কমিটি জানিয়েছে বিষয়টি তাদের লিখিতভাবে জানাতে ।

লেখক: কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব) এবং প্রেসিডেন্ট, ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইট্যাব), মোবাইল:০১৭১৪-০৯১৪৩১ ইমেইল: masumbillah65@gmail.com

 

 

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি