বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিদ্যুৎ সংকট: লোডশেডিং আর দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা

যাদুঘরে রেখে দেওয়া লোডশেডিং ফিরে এসেছে বিপুল বিক্রমে। আগামীতে এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে বলে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা সতর্কবাণী দিচ্ছেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) থেকে তথ্য থেকে জানা যায় দিনে গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান জ্বালানী গ্যাসের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে তাই সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ানো হয়েছে।

পিডিবির তথ্য অনুযায়ী পিডিবির নিজস্ব মালিকানাধীন ৪৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টিতে পিক আওয়ারে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদিত করা যাচ্ছে না আর গ্যাস সংকট ছিল গ্যাস নির্ভর ২৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) চাহিদার চেয়ে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম সরবরাহ পাচ্ছে। এ সংস্থার চাহিদা প্রতিদিন ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। রাজধানীর আরেকটি বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) সরবরাহ কমেছে দিনে ২০০ মেগাওয়াট। এ সংস্থার দিনে চাহিদা ১ হাজার মেগাওয়াট, কিন্তু পাচ্ছে কমবেশি ৮০০ মেগাওয়াট।

এ তো গেল রাজধানীর চিত্র। যে কোনোভাবে ঢাকাকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলে সবসময়। তাই ঢাকায় থেকে দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের দুরবস্থা অনুমান করা যায় না। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি বেশ খারাপ। একে তো প্রচণ্ড গরম তার উপর বিদ্যুৎ নেই। নিজেরা কোেো বিদ্যুৎ উৎপাদন করে না কিন্তু দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দেশের প্রায় ৫৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পরিমাণের দিক দিয়ে যা ৮ হাজার মেগাওয়াটের মতো। গত কিছুদিন ধরে ৮০০ থেকে ১০০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে আরইবিকে। সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোয়। রংপুর, ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, বগুড়ায়ও বেড়েছে লোডশেডিং। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুরেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে। দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না গ্রাহকেরা কোনো কোনো এলাকায়। এই প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুৎ না থাকার যন্ত্রণাটা না বোঝার কোনো কারণ নেই। ভুক্তভোগীরা বলছেন বিদ্যুৎ যাচ্ছে এবং আসছে না দীর্ঘসময়।

সরকার সংশ্লিষ্টরা যদিও এখন বলছেন, তারা আগেই অনুমান করেছিলেন, তারা নজর রাখছিলেন, বিশ্ববাজারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপারটা আকস্মিক। কারণ, এইতো কদিন আগে ২১ জুন ১ হাজার ৩২০ টি পায়রা উড়িয়ে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

ব্যাপারটা অনেকটা ডাক্তারের ডেথ সার্টিফিকেট লেখার মত। সেখানে কারণ যাই লেখা থাক না কেন, আত্মীয়স্বজন একটা কথাই বুঝতে পারে যে তাদের প্রিয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তেমনি করোনা পরবর্তী উল্লম্ফন, বিশ্ব বাজারে দাম বৃদ্ধি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি নানা কারণের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু ফলাফল লোডশেডিং এবং দুএক দিনের মধ্যেই আসবে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা।
কয়েকদিন আগেও খুব জোরের সঙ্গেই বলা হতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেককেই অবাক করেছে। উৎপাদন সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট, গ্রিড সক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াট, নির্ভরযোগ্য উৎপাদন ক্ষমতা ১৭ হাজার মেগাওয়াট আর চাহিদা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী জানালেন, বিদ্যুৎ এত বেশি আছে যে আমরা এখন পরিবহণ খাতে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা ভাবছি। সেই ভাবনা এত দ্রুত বিদ্যুৎ ঘাটতির দুর্ভাবনায় পরিণত হয়ে গেল কেন তা একটা বিরাট প্রশ্ন। তাহলে কি মন্ত্রীরা বিশ্বপরিস্থিতি জানতেন না, নাকি বাস্তবতাকে চাপা দেওয়ার জন্য বাগাড়ম্বর করতেন?

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এর তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সারাদেশে চার হাজার ২শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু উৎপাদন আর চাহিদার মধ্যে তো ফারাক অনেক। গ্যাস সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান খসড়া-২০১৭ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চাহিদা অনুযায়ী গড়ে ১৯৬৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি হবে।

২০১১ সালে ফরাসি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান স্ল্যামবার্জার এক সমীক্ষা চালিয়ে বলেছিল, বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে কিছু সংস্কার ও পরিবর্তন আনলে তিন বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি (৫০০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাসের উত্তোলন বাড়ানো সম্ভব। সমীক্ষা চালিয়েছিল তৎকালীন সরকার যারা এখনও ক্ষমতায় কিন্তু পদক্ষেপ নেয়নি এক কদমও।

আবার সমুদ্র সীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিজয় করেছে ২০১২ সালে ও ভারতের সঙ্গে ২০১৪ সালে। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ মিয়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশ পেয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এবং ২০১৪ সালের ৮ জুলাই ভারতের কাছ থেকে পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। ব্যাপক প্রচার এবং উৎসাহের পর কি করা হয়েছে সেখানে? তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ মিয়ানমার ঠিকই সেখানে গ্যাস পেয়েছে। ইতিমধ্যে ৮ বছর চলে যাচ্ছে!

সংকট দেখা দিলে সমাধানের পথ খোঁজা কথা তো সবাই বলে। ফলে দেশের গ্যাস ক্ষেত্র উন্নয়ন ও সেখান থেকে উত্তোলনের কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই হঠাৎ করে ২০১৫ সালে সরকারের পক্ষ থেকে বলা শুরু হয় যে গ্যাসের মজুত দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। যে গ্যাস আছে, তা দিয়ে আর ১৫ বছর চলবে। ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর এক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছিলেন, সামনে কঠিন দিন আসছে। ১৫ বছর পর দেশের গ্যাস একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যাবে। বাপেক্স ২০২১ সালের মধ্যে ১০৮টি কুপ খননের মাস্টার প্লান করেছিল, কিন্তু উদ্যোগ ও বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল কি সে প্রশ্নের জবাব নেই।

হিসেব অনুযায়ী এ কথা জানা ছিল যে গ্যাসের সংকট হবে। আর আমাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ৬০ শতাংশের বেশি গ্যাস ভিত্তিক। তাহলে পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছিল এই ঘাটতি পুরনের জন্য? বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়েকটি বিষয় তো প্রধান। বিদ্যুতের জন্য জ্বালানী যেমন –গ্যাস, কয়লা, ডিজেল, ফার্নেস ওয়েল, পারমানবিক শক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানী–সৌর শক্তি, পানি, বাতাস, জৈব বর্জ্য ইত্যাদি লাগে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উৎপাদন কেন্দ্র লাগে, সঞ্চালনের জন্য সঞ্চালন লাইন লাগে, আর লাগে গ্রাহকের চাহিদা এবং সক্ষমতা অর্থাৎ দাম। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের মোহে কি জ্বালানির বিষয় খেয়াল করা হয়নি নাকি দাম যাই হোক দেবে তো জনগণ এই নীতিতে আচ্ছন্ন ছিলেন তারা। তন্দ্রা কেটে যাবার পর দেখছেন দেশে প্রয়োজনীয় গ্যাস নেই আর বিদেশেও দাম বেশি। অতএব যাদুঘর থেকে লোড শেডিং ফিরে আসছে শুধু নয়, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে।

একদিকে আতঙ্ক ছড়ানো অন্যদিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নেওয়া সমানতালেই চলতে থাকে। তখনই তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল গ্যাস দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য প্রচার করার কারণ হচ্ছে উচ্চ মূল্যের এলএনজি আমদানির যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করা। তাই করা হয়েছে। এভাবেই গ্যাস খাতকে স্বাবলম্বী করার পরিবর্তে আমদানিনির্ভর করা হয়, যার বিষময় ফল ভোগ করছে দেশবাসী। গ্যাস উৎপাদন কমছে, এলএনজির দাম আকাশছোঁয়া, বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়ছে। লোডশেডিং মেনে নেওয়া আর বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা ছাড়া জনগণের সামনে তো কোনো বিকল্প রাখেনি।

ক্ষমতায় যারা থাকেন তারা এই কথাটা বলতে খুব পছন্দ করেন যে তারা যা করেন সব জনগণের কথা ভেবেই করেন। এখন লোডশেডিং হচ্ছে ভুক্তভোগী কে? জনগণ। এরপর বিদ্যুতের দাম বাড়বে, কে দেবে? জনগণ। বেশি দামে তেল, এলএনজি কিনতে হচ্ছে, ভর্তুকি বাড়বে। কে দেবে? জনগণ। জনগণ ছাড়া তাদের আর কেউ নেই। কিন্তু এসব কিছুর সুবিধা কে পাবে? জনগণের দুর্ভোগ একদল মানুষের মুনাফা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে দেবে আবার।

লেখক: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত