সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মতামত

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি: বাংলাদেশের সংগ্রাম,সাফল্য ও সম্ভাবনা

পঞ্চাশ বছর একটি রাষ্ট্রের জন্যে বড় কিছু না হলেও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির বছরটি বাংলাদেশের জন্যে তাৎপর্যমন্ডিত, কারণ এর পেছনে আছে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আনন্দ-বেদনার মিশ্রিত ইতিহাস, বাংলাদেশের টিকে থাকা ও বৃদ্ধির ইতিহাস। নৃসংশ অতিমারির তান্ডবে এই দুই মহালগ্নের বাহ্যিক আয়োজন সীমিত থাকলেও তাৎপর্যের মানদন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার বিশ্বাস, সে গুরুত্ব বাংলাদেশের নতুন নাগরিকদের যেমন জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম নায়কের জীবন, কর্ম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস পাঠের সুযোগ দিয়েছে, তেমনি পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্ছনার মর্মদন্ত ছবি দেখবার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জনগোষ্ঠির উপর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্বিচার গণহত্যা, লুণ্ঠন ও নারী নিগ্রহের সকরুণ ইতিহাস জানবারও সুযোগ সৃষ্টি করেছে।


সব জাতির ইতিহাসের পাতায় কিছু নাম থাকে - যা অবিনশ্বর। সে নাম উপেক্ষা করার শক্তি কারও হয় না। এ নাম কবরের, কালের সীমানা ছাড়িয়ে সোচ্চার ও শক্তিধর হয়ে মহাকালের আঙিনায় টিকে থাকে। এ নাম মহাপুরুষের। এঁদের কীর্তি অস্বীকার করার জো নেই ; যদিও কেউ কেউ আত্মপ্রবঞ্চক বা আত্মঘাতী হয়ে শাশ্বত সত্যকে অস্বীকার করতেও উদ্যোগী হয় ! শেখ মুজিবুর রহমান, ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে উচ্চারিত না হলে যে নাম অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তেমনি এক নাম। এ নামকে জোর করে প্রতিষ্ঠা দেয়ার প্রয়োজন হয় না, মুছে দেয়াও সম্ভব হয় না । আমি স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি আমাদের রাষ্ট্র পিতাকে, যিঁনি তাঁর জীবনের সবটুকু সামর্থ দিয়ে চিরকালীন নিপীড়িত বাঙালির জন্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন করেছিলেন।


ইতিহাসের সংগ্রাম


স্মরণযোগ্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেসিক শাসনের বাতাবরণে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিচর্চায় বাঙালি হিন্দুÑমুসলমানের মনোজগতে জাতপরিচয়ের যে সংকট তৈরি হয়, বাংলা ভাষা আন্দোলন সেই সংকট ভেঙ্গে দেয়। বাংলাভাষীরা - মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নির্বিশেষে-নতুন উপলব্ধিতে সমৃদ্ধ হয়। পাকিস্তানের মেকি ধর্মবাধন কিংবা বর্বর সামরিক আধিপত্ত, কিছুই তাকে বাধতে পারেনা। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট ঘুঁচতে থাকে। ১৯ টি বছর ধরে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালি গণমানুষ সেই আত্মানুসন্ধান করেছে,তারই বাঁকে বাঁকে অগ্রসর হয়ে পৌঁছেছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে।


ইতিহাসের নানা বাঁকে বাঙালি জাতি বারবার সংগ্রামে রত হয়েছে, কখনো হেরেছে, কখনো জিতেছে। সে জেতায় মূল্য দিতে হয়েছে অনেক, সে মূল্যের উপহারও কম আসেনি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির এই লগ্নে দাঁড়িয়ে সে কারণে সত্য উপলদ্ধিতে সিক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে নতুন প্রজন্মের। এ উপলব্ধি জাতিকে আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের গৌরবে বলিয়ান করে। অতএব অবধারিত ভাবেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্মইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন ; প্রয়োজন ১৯৭১ সালের নির্বিচার বাঙালি গণহত্যা এবং নারী নির্যাতনের ইতিহাস পাঠ করা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পথচলা মসৃন হয়নি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় চেঁপে বসে অভাবিত এক কালো অধ্যায়। ১৯৭৫ পরবর্তি সময়টি, সকলেই জানবেন, ছিল চরম দূর্ভাগ্যজনক, যখন সামরিক ও আধা-সামরিক রাষ্ট্রযন্ত্রের যাতাকলে নতুন প্রজন্মের বড় অংশকে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এবং এসব করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে,যাতে নতুন নাগরিকেরা স্বাধীনতার রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সত্যাবলি থেকে বিচ্যুত হয়। কিন্তু ইতিহাস নিজেই তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়। সে কারণে, অনেক বিপন্নতার পরেও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছে, নতুনদের বড় অংশ জাতীয় স্বাধীনতার অবিকৃত ইতিহাসের প্রতি অনুগত হয়েছে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের মানুষ তাদের কাছে এ জাগরণ আনন্দের । আশা করি, এই উপলব্ধি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশকে স্বমহিমায় এগিয়ে নেবে, সংকট ও সীমাবদ্ধতার জঞ্জাল থেকে স্বদেশকে রক্ষা করবে।


তাৎপর্যপূর্ণ প্রাপ্তি


আমার ধারণা, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির এই লগ্নে বাংলাদেশ এক মনোজাগতিক বিপ্লব অধ্যায় অতিক্রম করে চলেছে, অপসারিত করে চলেছে দীর্ঘকালের চেপে থাকা এমন এক বৈকল্প- যা বিজয়ী বাংলাদেশকে অনেকাংশে পরাভূত করেছিল এবং আপোষকামী বানিয়েছিল। এই বৈকল্য শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে, যখন বিজয়ী বাংলাদেশকে পরাজিতের পোষাক পরানো হয়েছিল এবং স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্মগুলির মগজে সত্য ও মিথ্যের মাঝে, স্বাধীনতা ও পরাধিনতার মাঝে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দেয়া হয়েছিল ! আমি গর্বরোধ করি উত্তর প্রজন্ম আমাদের শংকা দূর করেছে, তারা মাটি খুড়ে জাতীয় স্বাধীনতার গৌরব তুলে এনেছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় ফিরেছে। তারা পর্যায়ক্রমে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের হাতে সোপর্দ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জাতীয় দায়বদ্ধতার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। এই জেগে ওঠা, যা আদর্শিক বাংলাদেশকে জাগিয়ে দিয়েছে, তা রাতারাতি আসেনি। প্রথমত, নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, অস্তিত্বের তাগিদেই তারা মাটি খুঁড়ে জাতীয় অহংকার আবিস্কার করেছে। দ্বিতীয়ত, যে তথাকথিত ধর্মবাদী শক্তি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হয়ে মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপরাধ করেছিল, তাদের উগ্রবাদীতা বৃহত্তর তারুণ্যকে বিক্ষুব্ধ করেছে। অতএব নীরবতা ভেঙ্গেছে। নতুন প্রজন্মের এই জাগরণ সকল অর্থেই মঙ্গলবাহী। কারণ লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারেনা, লাখো নারীর সম্ভ্রম বৃথা যেতে পারেনা।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার


বিশ্বযুদ্ধের  প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের বাঙালি গণহত্যার বিশ্ব স্বীকৃতি যতোটা হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তা হয়নি। কিন্তু ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে এর ব্যাপকতা স্ববিস্তারে গ্রন্থিত আছে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের হাতে বাংলাদেশে যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ঘটে, তা সকল অর্থেই যা বিশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। ৮ মাস ২ সপ্তাহ ৩ দিনের এই গণহত্যার স্বরূপ ছিল ভয়ঙ্কর। পরিকল্পিত পন্থায় বাঙালিকে খুন করা হয়েছে, গণহারে বাঙালি নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে; আগুন, অপহরণ, গুম ও বর্বর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।


সেদিনকার জাতিসংঘের মহাসচিব ইউ থান্ট ৩ জুন ১৯৭১ যে মন্তব্যটি করেন তা প্রণিধানযোগ্য : The happenings in East Pakistan constitute one of the most tragic episodes in human history. Ofcourse, it is for future historians to gather facts and make their own evaluations, but it has been a very terrible blot on a page of human history.  এরপরেও বিশ্ব সংস্থা গণহত্যা বন্ধে কার্যক্রর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানি নির্মমতা থেকে বাঁচতে ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতের মাটিতে শরণার্থী হয়েছে। মার্কিন সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি সেই দৃশ্য দেখে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যা চালাবার অভিযোগ করেছেন। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের পাঁচটি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিরাপত্তাবিষয়ক আর্কাইভ’ অবমুক্তকৃত দলিল প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের নারকীয় হত্যাজ্ঞকে selective genocide হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক মহলের মতেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ‘তিন মিলিয়ন’ বা ত্রিশ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার জোড়ালো সমর্থন আছে National Geographic magazine, Encyclopedia Americana and Compton’s Encyclopedia তে। এসব রিপোর্র্টের মতে, বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তান বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাজি বাহিনী ও ১৯৩৫ সালের নানজিং বর্বরতার চাইতেও ভয়াবহ।
এই গণহত্যার বিরুদ্ধে এই নিউ ইয়র্কে জর্জ হ্যারিসন ও পন্ডিত রবি শঙ্কর সর্বপ্রথম ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন। দার্শনিক অ্যাঁদরে মালরো বাংলাদেশের পক্ষে ‘আন্তর্জাতিক ব্রিগেড’ গঠনের ঘোষণা দেন। রবার্ট পাইন তার Massacre, The Tragedy of Bangladesh বইতে ইয়াহিয়া খানের উদ্ধৃতি দেন: ‘Kill three million of them and the rest will eat out of our hands’.


মোটকথা, মাত্র নয় মাস সময়ে যে দ্রæততায় মানুষ হত্যা করা হয়েছে - তা ছিল বিশ্ব ইতিহাসের অনন্য নিষ্ঠুরতা। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গড়ে দৈনিক ৬০০০ মানুষ খুন করা হয়েছে মাত্র ২৬০ দিনে। কম্বোডিয়ার এই হার ছিল ১২০০। শত শত শীর্ষ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে।


কাজেই মানবাধিকার ও সুবিচারের স্বার্থে জাতিসংঘকে অবশ্যই বাংলাদেশের গণহতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, যেভাবে তারা আর্মেনিয়া, রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিওন, বসনিয়ার গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্মরণযোগ্য, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে জেনারেল নিয়াজীসহ ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা অফিসারকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিচারের ঘোষণা দেয় । কিন্তু ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিসহ এসব যুদ্ধাপরাধী দেশে ফিরে যায়। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছাড়িয়ে নিতে পাকিস্তান সরকার যে বিবৃতিটি প্রচার করেÑতা এ রকম: ‘Pakistan expresses its readiness to constitute a judicial tribunal of such character and composition as will inspire international confidence to try the persons charged with offenses.’ অন্যদিকে পাকিস্তানের সরকারি হামিদুর রহমান কমিশনও এইসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সে কাজটি পাকিস্তান আজোবধি করেনি। এমন কি গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা ক্ষমাও চায়নি। অতএব পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাদের বিচার জরুরি, ন্যায় বিচারের স্বার্থেই এ বিচার জরুরি।


সংকট বহুবিধ


বিগত ৫০ বছরের পালাবদলে বহুবিধ সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে বাংলাদেশ । অসাংবিধানিক বা সেনাছাউনির শাসন এসেছেÑ এরা মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি থেকে দেশকে অন্যত্র সরাবার মহড়া দিয়েছে, সাম্প্রদায়িকতাকে নতুন করে পুন:স্থাপন করেছে, এমন কি যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী ঘৃন্য অপরাধীদের পুনর্বাসন করেছে।
এরপর মহড়া হয়েছে ধর্মীয় উগ্রপন্থা বা জিহাদি তত্ত¡ বাস্তবায়নের। ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানÑ আফগানিস্তানের বিপ্লব আমদানির চেষ্টা হয়েছে। সাম্প্রতিক তালেবানি পুনরুত্থানের পর অনেকেই নতুন করে তালেবান হবারও স্বপ্ন দেখছেন। প্রশ্ন আসতেই পারে যে ; বাংলাদেশের মাটিতে কি তালিবানি বিপ্লব সফল হবে ? আমার দৃঢ় বিশ্বাস তার সুযোগ খুবই কম। কারণ বাঙালি মুসলমান, বহুবিধ টানাপোড়েন সত্বেও পাকিস্তানÑআফগানিস্তানের জনগোষ্ঠি নয়। তারা ধর্মপ্রাণ, কিন্তু তাদের আছে ভাষা-সংস্কৃতি- শিল্পকলা-সাহিত্য এবং মুক্তিযুদ্ধের এমন গৌরবি শক্তি, যা যে কোনো অশুভ আগ্রাসন প্রতিরোধ করার শক্তি জোগাবে। এর পরেও মনে করি আত্মতুষ্টির সুযোগ কম। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ভিত্তি অর্জিত হয়েছে, তার পথে উগ্র ধর্মবাদী তত্ত¡ বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার সম্ভাবনা রাখে।


ধর্মান্ধতা এবং উগ্র সাম্প্রদায়িকতা


বিগত ৫০ বছরের বহুবিধ টানাপোড়েন সত্বেও, বিশেষত মুক্তিযুদ্ধপন্থি রাজনৈতিক শক্তির টানা ১৩ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্ববাসীর স্বত:স্ফূর্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অবকাঠামোগত বিকাশ ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ তাক লাগানো অগ্রগতি সমাধা করেছে। গ্রামীন অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে চোখে পড়ার মতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও তথ্য প্রযুক্তি বা ডিজিটাইলেজশনের বিপ্লব ঘটেছে - শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে অনেকটা। এককালের ‘বটমলেস বাসকেট’ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এই সাফল্য , বিশেষ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো সুবিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন পরনির্ভর বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা বোধের গৌরব দেখিয়েছে। মোটকথা, সংকটÑসীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশ থেমে বা থমকে নেই, এগিয়ে চলেছে সামনে।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্রগতির এই চাকা পেছনে টানার জন্যে বিপদের সূচকও কি কম আছে ?
চলতি বছরে একশ্রেণীর ধর্মান্ধ মানুষের হাতে সংখ্যালঘু ধর্মালম্বির দুর্গাপুজা উৎসবে যে তান্ডব চালানো হয়েছে, তাতে জাতীয় সম্প্রীতির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আগ্রাসন লক্ষ করা গেছে। এর থেকে ষ্পষ্ট বোঝা যায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন যতোই ঘটুকনা কেন সাংস্কৃতিক ও মনোজাগতিক বিকাশে আমরা ক্রমান্বয়ে পিছিয়েছি, যা আতংকজনক।
মনে রাখা উচিৎ, ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে প্রতিষ্ঠিত এই রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ উগ্র ধর্মবাদী বা সাম্প্রদায়িক শক্তি। ঢাকার মাটিতে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও এইসব অপশক্তি আজও, এই ৫০ বছর পরেও, বহুবিধ অঙ্গনে সক্রিয়। পুনর্জাগরিত এই বিষবৃক্ষগুলো বাঙালির শ্বাশ্বত উদারতাকে গ্রাস করতে উদ্যত, একাত্তরের পরাজয়ের শোধ নিতে উদ্যত। অতএব আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। কয়েকটি নির্বাচনি বিজয় মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তির অধিষ্ঠান ঘটিয়েছে বটে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক বোধের পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটেনি। অতএব প্রয়োজন একটি নতুন লড়াই, সে লড়াই সংস্কৃতির, বায়ান্নের ও একাত্তরের চেতনা পুনস্থাপনের, যা মানবিক,আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে। এ লড়াইয়ের বিকল্প আছে বলে আমি মনে করিনে।

শেষ কথা


আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ কমেনি, বরং বেড়েছে। কাজেই মুক্তিযুদ্ধপন্থিদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। অতএব অগ্রগতি টেকসই করতে, এবং আরও এগিয়ে নিতে, পরিকল্পিত পদক্ষেপে অগ্রসর হতে হবে। গণতন্ত্রচর্চা ও সুশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে কঠোর নজরদারী রাখতে হবে। অন্যথায় চ্যালেঞ্জের সীমানা বাড়বে বৈ কমবেনা।
উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতার বিষয়টি কেবল ইতিহাসচর্চাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, নানা কারণে মুক্তিযুদ্ধ আজও চলমান রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গনের মূল অনুসঙ্গ। অতএব মৌলিক জাতীয় বিষয়গুলিতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যমত জরুরি। এ করা না গেলে রাষ্ট্র তার প্রার্থীত শান্তি, স্থীতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে বার বার হোঁচট খাবে, যে অমিত সম্ভাবনার পথ খোলা বাংলাদেশের সামনে তা বাধাগ্রস্থ হবে। আর সে সুযোগ গ্রহন করবে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠি, যারা দেশের স্বাধীনতা আজও মেনে নেয়নি।

 

 

## হারুন হাবীব: মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও চিন্তাবিদ। 

Header Ad
Header Ad

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরেবাংলা হলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের অন্তত চারজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে ছাত্রশিবির এ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন ওমর ফারুক সাগর, রেদোয়ান ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাইফ ও মোরশেদুল ইসলাম। তারা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক সাগর বলেন, “চট্টগ্রাম কলেজে আজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে আমরা সেখানে যাই। কিন্তু শেরেবাংলা হলের সামনে পৌঁছানোর পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা আচমকা আমাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘ছাত্রদল নেতা ফারুক চট্টগ্রাম কলেজে থাকতে পারবে না।’ এরপর আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।”

তিনি আরও বলেন, "হামলাকারীরা শিবির নেতা শামীম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন কর্মী নিয়ে হামলায় অংশ নেয়। তারা আমাদের মারধর করে এবং কলেজে ছাত্রদলের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমরা চকবাজার থানার ওসি ও বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানিয়েছি। তারা যে নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানভীর হোসেন জুয়েল। তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তাই আমরা কোনো গ্যাদারিং করিনি এবং কলেজের বাইরে সংগঠনের কার্যক্রম চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখেছি, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে ফরম বিতরণ করছিল। তাদের কোনো কলেজ ড্রেস বা আইডি কার্ড ছিল না। তখন কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বাধা দেয় এবং জানায় যে এখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কিন্তু এটি রাজনৈতিক হামলা নয়। যদি ছাত্রশিবির হামলা করত, তাহলে তাদের নাম ও পদ-পদবি প্রকাশ করা হোক।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার কাছে বিচার দিয়েছে যে, তারা লিফলেট বিতরণ করার সময় কিছু ছেলে এসে তাদের টানাহেঁচড়া করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা জানিয়েছে, বার্ষিক ক্রীড়ার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এসে জটলা করছিল এবং তারা বহিরাগত। এরপর আমি উভয়পক্ষকে কিছুক্ষণ কাউন্সেলিং করেছি।”

এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে পরবর্তী কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।

Header Ad
Header Ad

সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার

বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে জয় পেয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২৪২ রানের লক্ষ্য সহজেই পার করেছে রোহিত শর্মার দল।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিলের ৬২, মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৪২ এবং খুশদিল শাহের ৩৮ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান ২৪১ রান সংগ্রহ করে। ভারতের পক্ষে কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া ও মোহাম্মদ শামির বোলিং ছিল প্রশংসনীয়।

২৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল ভালো শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৩১ রান যোগ করেন তারা। তবে পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসেন বিরাট কোহলি এবং শুবমান গিলের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ৫২ বলে ৪৬ রান করে গিল আউট হলে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়ার।

কোহলি ও আইয়ারের ১১৪ রানের জুটি ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন আইয়ার। তবে ৫৬ রানে খুশদিল শাহের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। অন্যদিকে কোহলি ছিলেন অবিচল। ৪২.৩ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান। তিনি ১১১ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসে বাবর আজম ও ইমাম-উল-হক ধীরে শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। বাবর ২৬ বলে ২৩ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন্যদিকে রান আউট হয়ে ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করে ফেরেন ইমাম। এরপর রিজওয়ান ও শাকিল ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ৭৭ বলে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

রিজওয়ান ফিরে গেলে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। ৬২ রান করে শাকিলও বিদায় নেন। এরপর শেষ দিকে খুশদিল শাহ ৩৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ ২৪১ রানে নিয়ে যান। ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ, শামি ও হার্দিক পান্ডিয়া গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

বিরাট কোহলির অসাধারণ ব্যাটিং ও দলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারত।

Header Ad
Header Ad

নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি এখনও পদত্যাগ করেননি। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে, সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, "আমি পদত্যাগ করিনি। যে খবর ছড়িয়েছে, সেটা গুজব।"

এর আগে, গত মঙ্গলবার নাহিদ ইসলাম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ এবং নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২