শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মতামত

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি: বাংলাদেশের সংগ্রাম,সাফল্য ও সম্ভাবনা

পঞ্চাশ বছর একটি রাষ্ট্রের জন্যে বড় কিছু না হলেও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির বছরটি বাংলাদেশের জন্যে তাৎপর্যমন্ডিত, কারণ এর পেছনে আছে দীর্ঘ সংগ্রাম ও আনন্দ-বেদনার মিশ্রিত ইতিহাস, বাংলাদেশের টিকে থাকা ও বৃদ্ধির ইতিহাস। নৃসংশ অতিমারির তান্ডবে এই দুই মহালগ্নের বাহ্যিক আয়োজন সীমিত থাকলেও তাৎপর্যের মানদন্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমার বিশ্বাস, সে গুরুত্ব বাংলাদেশের নতুন নাগরিকদের যেমন জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম নায়কের জীবন, কর্ম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস পাঠের সুযোগ দিয়েছে, তেমনি পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ-বঞ্ছনার মর্মদন্ত ছবি দেখবার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে ১৯৭১ সালে নিরস্ত্র বাঙালি জনগোষ্ঠির উপর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে নির্বিচার গণহত্যা, লুণ্ঠন ও নারী নিগ্রহের সকরুণ ইতিহাস জানবারও সুযোগ সৃষ্টি করেছে।


সব জাতির ইতিহাসের পাতায় কিছু নাম থাকে - যা অবিনশ্বর। সে নাম উপেক্ষা করার শক্তি কারও হয় না। এ নাম কবরের, কালের সীমানা ছাড়িয়ে সোচ্চার ও শক্তিধর হয়ে মহাকালের আঙিনায় টিকে থাকে। এ নাম মহাপুরুষের। এঁদের কীর্তি অস্বীকার করার জো নেই ; যদিও কেউ কেউ আত্মপ্রবঞ্চক বা আত্মঘাতী হয়ে শাশ্বত সত্যকে অস্বীকার করতেও উদ্যোগী হয় ! শেখ মুজিবুর রহমান, ‘বঙ্গবন্ধু’ নামে উচ্চারিত না হলে যে নাম অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তেমনি এক নাম। এ নামকে জোর করে প্রতিষ্ঠা দেয়ার প্রয়োজন হয় না, মুছে দেয়াও সম্ভব হয় না । আমি স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি আমাদের রাষ্ট্র পিতাকে, যিঁনি তাঁর জীবনের সবটুকু সামর্থ দিয়ে চিরকালীন নিপীড়িত বাঙালির জন্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের পত্তন করেছিলেন।


ইতিহাসের সংগ্রাম


স্মরণযোগ্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেসিক শাসনের বাতাবরণে এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতিচর্চায় বাঙালি হিন্দুÑমুসলমানের মনোজগতে জাতপরিচয়ের যে সংকট তৈরি হয়, বাংলা ভাষা আন্দোলন সেই সংকট ভেঙ্গে দেয়। বাংলাভাষীরা - মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান নির্বিশেষে-নতুন উপলব্ধিতে সমৃদ্ধ হয়। পাকিস্তানের মেকি ধর্মবাধন কিংবা বর্বর সামরিক আধিপত্ত, কিছুই তাকে বাধতে পারেনা। বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট ঘুঁচতে থাকে। ১৯ টি বছর ধরে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালি গণমানুষ সেই আত্মানুসন্ধান করেছে,তারই বাঁকে বাঁকে অগ্রসর হয়ে পৌঁছেছে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে।


ইতিহাসের নানা বাঁকে বাঙালি জাতি বারবার সংগ্রামে রত হয়েছে, কখনো হেরেছে, কখনো জিতেছে। সে জেতায় মূল্য দিতে হয়েছে অনেক, সে মূল্যের উপহারও কম আসেনি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির এই লগ্নে দাঁড়িয়ে সে কারণে সত্য উপলদ্ধিতে সিক্ত হওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে নতুন প্রজন্মের। এ উপলব্ধি জাতিকে আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের গৌরবে বলিয়ান করে। অতএব অবধারিত ভাবেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্মইতিহাস পাঠ করা প্রয়োজন ; প্রয়োজন ১৯৭১ সালের নির্বিচার বাঙালি গণহত্যা এবং নারী নির্যাতনের ইতিহাস পাঠ করা।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পথচলা মসৃন হয়নি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় চেঁপে বসে অভাবিত এক কালো অধ্যায়। ১৯৭৫ পরবর্তি সময়টি, সকলেই জানবেন, ছিল চরম দূর্ভাগ্যজনক, যখন সামরিক ও আধা-সামরিক রাষ্ট্রযন্ত্রের যাতাকলে নতুন প্রজন্মের বড় অংশকে বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হয়েছে, গৌরবের মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এবং এসব করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে,যাতে নতুন নাগরিকেরা স্বাধীনতার রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সত্যাবলি থেকে বিচ্যুত হয়। কিন্তু ইতিহাস নিজেই তার অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়। সে কারণে, অনেক বিপন্নতার পরেও মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তির পুনরুত্থান ঘটেছে, নতুনদের বড় অংশ জাতীয় স্বাধীনতার অবিকৃত ইতিহাসের প্রতি অনুগত হয়েছে। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের মানুষ তাদের কাছে এ জাগরণ আনন্দের । আশা করি, এই উপলব্ধি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশকে স্বমহিমায় এগিয়ে নেবে, সংকট ও সীমাবদ্ধতার জঞ্জাল থেকে স্বদেশকে রক্ষা করবে।


তাৎপর্যপূর্ণ প্রাপ্তি


আমার ধারণা, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির এই লগ্নে বাংলাদেশ এক মনোজাগতিক বিপ্লব অধ্যায় অতিক্রম করে চলেছে, অপসারিত করে চলেছে দীর্ঘকালের চেপে থাকা এমন এক বৈকল্প- যা বিজয়ী বাংলাদেশকে অনেকাংশে পরাভূত করেছিল এবং আপোষকামী বানিয়েছিল। এই বৈকল্য শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে, যখন বিজয়ী বাংলাদেশকে পরাজিতের পোষাক পরানো হয়েছিল এবং স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্মগুলির মগজে সত্য ও মিথ্যের মাঝে, স্বাধীনতা ও পরাধিনতার মাঝে ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দেয়া হয়েছিল ! আমি গর্বরোধ করি উত্তর প্রজন্ম আমাদের শংকা দূর করেছে, তারা মাটি খুড়ে জাতীয় স্বাধীনতার গৌরব তুলে এনেছে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় ফিরেছে। তারা পর্যায়ক্রমে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের হাতে সোপর্দ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে জাতীয় দায়বদ্ধতার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে। এই জেগে ওঠা, যা আদর্শিক বাংলাদেশকে জাগিয়ে দিয়েছে, তা রাতারাতি আসেনি। প্রথমত, নতুন প্রজন্ম যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, অস্তিত্বের তাগিদেই তারা মাটি খুঁড়ে জাতীয় অহংকার আবিস্কার করেছে। দ্বিতীয়ত, যে তথাকথিত ধর্মবাদী শক্তি মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী হয়ে মানবতার বিরুদ্ধে নিকৃষ্টতম অপরাধ করেছিল, তাদের উগ্রবাদীতা বৃহত্তর তারুণ্যকে বিক্ষুব্ধ করেছে। অতএব নীরবতা ভেঙ্গেছে। নতুন প্রজন্মের এই জাগরণ সকল অর্থেই মঙ্গলবাহী। কারণ লাখো শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারেনা, লাখো নারীর সম্ভ্রম বৃথা যেতে পারেনা।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচার


বিশ্বযুদ্ধের  প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের বাঙালি গণহত্যার বিশ্ব স্বীকৃতি যতোটা হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল, দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তা হয়নি। কিন্তু ভুক্তভোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের রিপোর্ট ও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে এর ব্যাপকতা স্ববিস্তারে গ্রন্থিত আছে। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় দোসরদের হাতে বাংলাদেশে যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ ঘটে, তা সকল অর্থেই যা বিশ শতাব্দীর অন্যতম নৃশংস গণহত্যা। ৮ মাস ২ সপ্তাহ ৩ দিনের এই গণহত্যার স্বরূপ ছিল ভয়ঙ্কর। পরিকল্পিত পন্থায় বাঙালিকে খুন করা হয়েছে, গণহারে বাঙালি নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে; আগুন, অপহরণ, গুম ও বর্বর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।


সেদিনকার জাতিসংঘের মহাসচিব ইউ থান্ট ৩ জুন ১৯৭১ যে মন্তব্যটি করেন তা প্রণিধানযোগ্য : The happenings in East Pakistan constitute one of the most tragic episodes in human history. Ofcourse, it is for future historians to gather facts and make their own evaluations, but it has been a very terrible blot on a page of human history.  এরপরেও বিশ্ব সংস্থা গণহত্যা বন্ধে কার্যক্রর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তানি নির্মমতা থেকে বাঁচতে ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে ভারতের মাটিতে শরণার্থী হয়েছে। মার্কিন সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি সেই দৃশ্য দেখে পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে সরাসরি গণহত্যা চালাবার অভিযোগ করেছেন। ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ বাংলাদেশের হত্যাযজ্ঞকে বিশ শতকের পাঁচটি ভয়ঙ্কর গণহত্যার অন্যতম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নিরাপত্তাবিষয়ক আর্কাইভ’ অবমুক্তকৃত দলিল প্রকাশ করে। এতে বাংলাদেশের নারকীয় হত্যাজ্ঞকে selective genocide হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক মহলের মতেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ‘তিন মিলিয়ন’ বা ত্রিশ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার জোড়ালো সমর্থন আছে National Geographic magazine, Encyclopedia Americana and Compton’s Encyclopedia তে। এসব রিপোর্র্টের মতে, বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তান বাহিনীর নিষ্ঠুরতা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ডে নাজি বাহিনী ও ১৯৩৫ সালের নানজিং বর্বরতার চাইতেও ভয়াবহ।
এই গণহত্যার বিরুদ্ধে এই নিউ ইয়র্কে জর্জ হ্যারিসন ও পন্ডিত রবি শঙ্কর সর্বপ্রথম ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করেন। দার্শনিক অ্যাঁদরে মালরো বাংলাদেশের পক্ষে ‘আন্তর্জাতিক ব্রিগেড’ গঠনের ঘোষণা দেন। রবার্ট পাইন তার Massacre, The Tragedy of Bangladesh বইতে ইয়াহিয়া খানের উদ্ধৃতি দেন: ‘Kill three million of them and the rest will eat out of our hands’.


মোটকথা, মাত্র নয় মাস সময়ে যে দ্রæততায় মানুষ হত্যা করা হয়েছে - তা ছিল বিশ্ব ইতিহাসের অনন্য নিষ্ঠুরতা। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গড়ে দৈনিক ৬০০০ মানুষ খুন করা হয়েছে মাত্র ২৬০ দিনে। কম্বোডিয়ার এই হার ছিল ১২০০। শত শত শীর্ষ বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে।


কাজেই মানবাধিকার ও সুবিচারের স্বার্থে জাতিসংঘকে অবশ্যই বাংলাদেশের গণহতাকে স্বীকৃতি দিতে হবে, যেভাবে তারা আর্মেনিয়া, রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া, সিয়েরা লিওন, বসনিয়ার গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্মরণযোগ্য, বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে জেনারেল নিয়াজীসহ ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা অফিসারকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিচারের ঘোষণা দেয় । কিন্তু ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির পর পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দিসহ এসব যুদ্ধাপরাধী দেশে ফিরে যায়। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ছাড়িয়ে নিতে পাকিস্তান সরকার যে বিবৃতিটি প্রচার করেÑতা এ রকম: ‘Pakistan expresses its readiness to constitute a judicial tribunal of such character and composition as will inspire international confidence to try the persons charged with offenses.’ অন্যদিকে পাকিস্তানের সরকারি হামিদুর রহমান কমিশনও এইসব যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু সে কাজটি পাকিস্তান আজোবধি করেনি। এমন কি গণহত্যা ও নারী নির্যাতনের জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে তারা ক্ষমাও চায়নি। অতএব পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাদের বিচার জরুরি, ন্যায় বিচারের স্বার্থেই এ বিচার জরুরি।


সংকট বহুবিধ


বিগত ৫০ বছরের পালাবদলে বহুবিধ সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে বাংলাদেশ । অসাংবিধানিক বা সেনাছাউনির শাসন এসেছেÑ এরা মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি থেকে দেশকে অন্যত্র সরাবার মহড়া দিয়েছে, সাম্প্রদায়িকতাকে নতুন করে পুন:স্থাপন করেছে, এমন কি যুদ্ধাপরাধী বা মানবতা বিরোধী ঘৃন্য অপরাধীদের পুনর্বাসন করেছে।
এরপর মহড়া হয়েছে ধর্মীয় উগ্রপন্থা বা জিহাদি তত্ত¡ বাস্তবায়নের। ১৯৯০ এর দশকে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানÑ আফগানিস্তানের বিপ্লব আমদানির চেষ্টা হয়েছে। সাম্প্রতিক তালেবানি পুনরুত্থানের পর অনেকেই নতুন করে তালেবান হবারও স্বপ্ন দেখছেন। প্রশ্ন আসতেই পারে যে ; বাংলাদেশের মাটিতে কি তালিবানি বিপ্লব সফল হবে ? আমার দৃঢ় বিশ্বাস তার সুযোগ খুবই কম। কারণ বাঙালি মুসলমান, বহুবিধ টানাপোড়েন সত্বেও পাকিস্তানÑআফগানিস্তানের জনগোষ্ঠি নয়। তারা ধর্মপ্রাণ, কিন্তু তাদের আছে ভাষা-সংস্কৃতি- শিল্পকলা-সাহিত্য এবং মুক্তিযুদ্ধের এমন গৌরবি শক্তি, যা যে কোনো অশুভ আগ্রাসন প্রতিরোধ করার শক্তি জোগাবে। এর পরেও মনে করি আত্মতুষ্টির সুযোগ কম। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির ভিত্তি অর্জিত হয়েছে, তার পথে উগ্র ধর্মবাদী তত্ত¡ বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার সম্ভাবনা রাখে।


ধর্মান্ধতা এবং উগ্র সাম্প্রদায়িকতা


বিগত ৫০ বছরের বহুবিধ টানাপোড়েন সত্বেও, বিশেষত মুক্তিযুদ্ধপন্থি রাজনৈতিক শক্তির টানা ১৩ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্ববাসীর স্বত:স্ফূর্ত দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অবকাঠামোগত বিকাশ ও সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ তাক লাগানো অগ্রগতি সমাধা করেছে। গ্রামীন অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে চোখে পড়ার মতো। যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব অগ্রগতি ও তথ্য প্রযুক্তি বা ডিজিটাইলেজশনের বিপ্লব ঘটেছে - শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত। নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে অনেকটা। এককালের ‘বটমলেস বাসকেট’ এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। এই সাফল্য , বিশেষ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো সুবিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন পরনির্ভর বাংলাদেশ আত্মমর্যাদা বোধের গৌরব দেখিয়েছে। মোটকথা, সংকটÑসীমাবদ্ধতা সত্বেও বাংলাদেশ থেমে বা থমকে নেই, এগিয়ে চলেছে সামনে।


কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্রগতির এই চাকা পেছনে টানার জন্যে বিপদের সূচকও কি কম আছে ?
চলতি বছরে একশ্রেণীর ধর্মান্ধ মানুষের হাতে সংখ্যালঘু ধর্মালম্বির দুর্গাপুজা উৎসবে যে তান্ডব চালানো হয়েছে, তাতে জাতীয় সম্প্রীতির বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আগ্রাসন লক্ষ করা গেছে। এর থেকে ষ্পষ্ট বোঝা যায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন যতোই ঘটুকনা কেন সাংস্কৃতিক ও মনোজাগতিক বিকাশে আমরা ক্রমান্বয়ে পিছিয়েছি, যা আতংকজনক।
মনে রাখা উচিৎ, ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে প্রতিষ্ঠিত এই রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ উগ্র ধর্মবাদী বা সাম্প্রদায়িক শক্তি। ঢাকার মাটিতে পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও এইসব অপশক্তি আজও, এই ৫০ বছর পরেও, বহুবিধ অঙ্গনে সক্রিয়। পুনর্জাগরিত এই বিষবৃক্ষগুলো বাঙালির শ্বাশ্বত উদারতাকে গ্রাস করতে উদ্যত, একাত্তরের পরাজয়ের শোধ নিতে উদ্যত। অতএব আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। কয়েকটি নির্বাচনি বিজয় মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তির অধিষ্ঠান ঘটিয়েছে বটে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সাংস্কৃতিক বোধের পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটেনি। অতএব প্রয়োজন একটি নতুন লড়াই, সে লড়াই সংস্কৃতির, বায়ান্নের ও একাত্তরের চেতনা পুনস্থাপনের, যা মানবিক,আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে। এ লড়াইয়ের বিকল্প আছে বলে আমি মনে করিনে।

শেষ কথা


আমার বিশ্বাস, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ কমেনি, বরং বেড়েছে। কাজেই মুক্তিযুদ্ধপন্থিদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। অতএব অগ্রগতি টেকসই করতে, এবং আরও এগিয়ে নিতে, পরিকল্পিত পদক্ষেপে অগ্রসর হতে হবে। গণতন্ত্রচর্চা ও সুশাসনকে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিষয়ে কঠোর নজরদারী রাখতে হবে। অন্যথায় চ্যালেঞ্জের সীমানা বাড়বে বৈ কমবেনা।
উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতার বিষয়টি কেবল ইতিহাসচর্চাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, নানা কারণে মুক্তিযুদ্ধ আজও চলমান রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গনের মূল অনুসঙ্গ। অতএব মৌলিক জাতীয় বিষয়গুলিতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যমত জরুরি। এ করা না গেলে রাষ্ট্র তার প্রার্থীত শান্তি, স্থীতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনে বার বার হোঁচট খাবে, যে অমিত সম্ভাবনার পথ খোলা বাংলাদেশের সামনে তা বাধাগ্রস্থ হবে। আর সে সুযোগ গ্রহন করবে ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠি, যারা দেশের স্বাধীনতা আজও মেনে নেয়নি।

 

 

## হারুন হাবীব: মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও চিন্তাবিদ। 

Header Ad

১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৩৭৬ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। তাতে ফলো অনে পড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

ভারতের শক্তিশালী বোলিং লাইনের বিপক্ষে দুই সেশনও বোলিং করতে পারল না বাংলাদেশ। তবে বেশিরভাগ উইকেটে ভারতের বোলারদের কৃতিত্বের চেয়ে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ভুলটাই ছিল বেশি। ফলাফল, ১৪৯ রানে অলআউট।

চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের চেয়ে ২২৭ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে টাইগাররা।

দ্বিতীয় দিনের খেলায় মাঠে নেমে ভারতকে ৩৭৬ রানের মধ্যে অলআউট করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের তোপে আগের দিনের ৩৩৯ রানের সঙ্গে ২৭ রান যোগ করতেই অলআউট হয় স্বাগতিকরা।

প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ভারতের মাটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন তিন উইকেট।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই দিশেহারা বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটারই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। ৪০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাসপ্রীত বুমরাহ এবং আকাশ দীপের তোপে ৪০ রানে প্রথম ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।

প্রথম ওভারে সাদমানকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন জাসপ্রীত বুমরাহ। জাকির হাসানকে নিয়ে শান্ত ২০ রানের একটি জুটি গড়েন। তবে ব্যাটে বল লাগাতে পুরোটা সময়ই লড়াই করতে হয়েছে জাকিরকে। তার সেই লড়াইয়ের ইতি টানেন আকাশ দীপ। ৩ রান করে ফেরেন জাকির।

জাকিরের বিদায়ের পর একই ওভারের পরের বলে আউট হন মুমিনুল হক। গোল্ডেন ডাক নিয়ে সাজঘরে ফেরেন টেস্ট স্পেশালিষ্ট এই ব্যাটার। শান্ত ফেরেন দলীয় ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। ২০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও পাননি রানের দেখা। ৮ রান করে ফিরেছেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং সাকিব আল হাসান। প্রতি আক্রমণে দুজনে মিলে ৫১ রানের জুটিও গড়েন। তবে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজেদের উইকেট হারান তারা।

বাউন্ডারিতে ধ্রুব জুরেলের ক্যাচ বানিয়ে ফর্মে থাকা লিটন দাসকে ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪২ বলে ২২ রান করে আউট হয়েছেন লিটন।

লিটন আউট হওয়ার এক ওভার পরেই জাদেজার বলে আউট হন সাকিবও। জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে অভিনব কায়দায় আউট হন তিনি। রিভার্স সুইপটা ঠিকঠাক করতে পারেননি সাকিব। বল সাকিবের ব্যাটে লেগে তাঁর বুট ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়েছে। টিভি আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন। ৩২ রান করে আউট হয়েছেন সাকিব।

বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব

বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের সময় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অতীতের স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত আওয়ামী খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজের আগে বয়ান করার সময় সাধারণ মুসল্লি তার পেছনে নামাজ পড়তে অনীহা প্রকাশ করলে উপস্থিত পতিত সরকার পন্থী খতিবের কিছু লোক এর প্রতিবাদ করেন।

পরে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ান। এ সময় বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ধর্ষণের অভিযুক্ত আওয়ামী খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করে পালিয়ে যান।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের আগে খতিব মুফতি রুহুল আমিনের বয়ানের সময় এ সংষর্ষ হয়।

জানা গেছে, জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা ড. মুফতি ওয়ালিয়ুর রহমান খান বয়ান করছিলেন। এমন সময় পলাতক খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমানে খতিবের মাইক্রোফোনে হাত দেন। এ সময় বর্তমান খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীদের প্রতিরোধ করেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে করে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরা বিচলিত হয়ে পড়েন।

মসজিদের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। দরজা-জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে মসজিদে আসেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তা ছাড়া আগে থেকেই বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য অবস্থান করছিলেন।

অনেকে ওই সময় মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে পরিবেশ কিছুটা ঠান্ডা হলে সোয়া একটার দিকে আবার সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করেন।

এরপর থমথমে পরিস্থিতিতে নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখা যায় মসজিদ থেকে স্লোগান দিতে দিতে একদল মুসল্লি বের হন। তারা ‌‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এ সময় পুলিশ তাদের মসজিদ এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা রাস্তায় গিয়ে দাঁড়ান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‍্যাবের সদস্যরা তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।

পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৩ কর্মকর্তার পদে রদবদল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাগণকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে বদলি বা পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

 

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

 

সর্বশেষ সংবাদ

১৪৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ, ফলো-অন করায়নি ভারত
বায়তুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংর্ঘষ, নামাজ না পড়িয়ে পালিয়ে গেলেন সাবেক খতিব
পুলিশের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রদবদল
বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ: রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি
মা-বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাবিতে নিহত তোফাজ্জল
লেবাননে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
গরম কমে বৃষ্টি হবে কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
হাসানের ৫ উইকেট, ৩৭৬ রানে থামল ভারত
জাবিতে কোনো কমিটি নেই, হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে: ছাত্রদল
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই জাদেজাকে ফেরালেন তাসকিন, সাকিবের ক্যাচ মিস
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন সিপিডির ফাহমিদা খাতুন
ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় যে প্রশ্ন তুললেন জয়
নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার
ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় জাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, তদন্ত কমিটি গঠন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী