বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইসি গঠন হোক সংবিধানের আলোকে

একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে প্রথম বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসেন।

সংলাপ শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। জাতীয় পার্টির নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের জন্য তারা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতির নির্বাহী আদেশে আইনটি বলবৎ হতে পারে। তবে জাপা নেতারা বিকল্প প্রস্তাবও দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আইন প্রণয়ন করা সম্ভব না হলে সার্চ কমিটি গঠন করা যেতে পারে।

জাপার প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম এমপি, সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সার্চ কমিটি গঠনের লক্ষে জাতীয় পার্টি পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেন।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ শেষ হবে। ইসি গঠনের বিষয়ে সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা বলা হলেও তা ৫০ বছরেও করা হয়নি। এর আগে ২০১২ ও ২০১৭ সালে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। এবারও সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে রাষ্ট্রপতি নির্বাহী ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। সবই নির্ভর করছে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপর। অবশ্য সংলাপ শুরুর পরও দেখছি, কিছু রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এই সংলাপ তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রথম দিনের আলোচনার পর নির্বাচন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলেছেন, এটা লোক-দেখানো সংলাপ। এসব করে কোনো কিছুই হবে না। বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন সোমবার বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যতদিন আছে, কোনো নির্বাচন কমিশন এ দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। সার্চ কমিটি গঠনের নামে আলোচনা তামাশা ও নাটক। একই অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন। তিনিও সংলাপের বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্্রপতির সংলাপ এক ধরনের তামাশা।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরো আটটি দলের সঙ্গে সংলাপ করবেন। ইতিমধ্যেই তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) তরীকত ফেডারেশন, খেলাফত মজলিশ ও ওয়ার্কার্স পার্টি। সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদেরকেও নিশ্চয়ই ডাকা হবে। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেছেন, তারা এখনো রাষ্ট্রপতির চিঠি পাননি। চিঠি পাওয়ার পর তারা স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বসবেন। সংলাপে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দলের স্থায়ী কমিটি।

আমরা মনে করি, রাষ্ট্রপতির সংলাপে বিএনপি নেতাদের অংশ নেওয়া উচিত। তারা সংলাপে অংশ নিয়ে তাদের প্রস্তাব পেশ করতে পারেন। তারা রাষ্ট্রপতিকে বলতে পারেন, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করুন। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আইন প্রণয়নের দাবি করলে রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই তা বিবেচনা করবেন। সংবিধানে যেহেতু আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে; সেহেতু সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে পারে। জাতীয় পার্টিও এ বিষয়টির ওপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।

আমরা রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন করতে হলেও রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিজের ক্ষমতাবলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারেন। তিনি আলোচনা না করে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও প্রশ্ন উঠতে পারে। সেজন্যই রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ তাৎপর্যপূর্ণ। বিএনপি কিংবা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারে। রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তাবের আলোকে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বেশির ভাগের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। রাষ্ট্রপতি এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েও নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারতেন। এটা তাঁর এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে। তারপরও তিনি যেহেত সংলাপে ডেকেছেন সেহেতু তার আহ্বানের প্রতি সবার সম্মান দেখানো উচিত।

আমরা একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন দেখতে চাই। আগামী নির্বাচনে যাতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতিকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি দেশের অভিভাবক। সবপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে তিনি নিশ্চয়ই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সক্ষম হবেন বলে আমরা আশা করি। আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রপতির প্রতি সব রাজনৈতিক দলের যে আস্থা রয়েছে; তার প্রতিফলন ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় পরিলক্ষিত হবে।

 

লেখক: প্রধান সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ ও সাহিত্যিক।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত