রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আবেদ খান: এক আদর্শের নাম

মুক্তচিন্তা ও অসাম্প্রদায়িকতার জগতে এক অনন্য নাম আবেদ খান। তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদে প্রতিবাদী, নীতি-নৈতিকতায় আপোসহীন এবং মানবতার কাছে নতজানু। এই চরম সুবিধাবাদী সমাজে মানুষ ছুটছে সুবিধার দিকে, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থে, হয়ে যাচ্ছে আঙুল ফুলে কলাগাছ। কিন্তু এই চরম সুবিধাবাদ আবেদ খানকে স্পর্শ করতে পারেনি। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। আওয়ামী লীগ দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতায়। তিনি যদি সুবিধাবাদী হতেন, তাহলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কিছুই লাভ করতে পারতেন। তিনি নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতে পারেননি বলে তা করতে পারেননি। বরং টাকার অভাবে তিনি তার প্রত্রিকা ‘দৈনিক জাগরণ’ চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতে আবেদ খান পথিকৃত।

তিনি ১৯৬২ সালে ১৭ বছর বয়সে সাংবাদিকতা জগতে হাতেখড়ি নেন এবং দৈনিক জেহাদের সহ-সম্পাদক হন। ১৯৬৩ সালে হন দৈনিক সংবাদের সহ-সম্পাদক। ১৯৬৪ সালে সহ-সম্পাদক হিসেবে দৈনিক ইত্তেফাকে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সন পর্যন্ত প্রধান প্রতিবেদক, কলামিস্ট হিসেবে লেখালেখি করেন, শিফট ইনচার্জের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ভোরের কাগজ (২০০৩-২০০৫), দৈনিক যুগান্তর (২০০৫-২০০৬), দৈনিক সমকাল (২০০৬-২০১০) এবং দৈনিক কালের কণ্ঠ (২০১০-২০১১)। তিনি ছিলেন কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং কালের কণ্ঠ নামটি তার নিজের দেওয়া। তিনি ২০১২-২০১৩ সনে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সন থেকে তিনি দৈনিক জাগরণের সম্পাদক ও প্রকাশক। তিনি ২০২০-২০২১ সনে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এত সব দায়িত্ব পালনে তিনি কখনো আদর্শচ্যুত হননি।

পত্র পত্রিকার সম্পাদকের পদ পাওয়া একজন সাংবাদিকের বড় প্রাপ্তি। আবেদ খান নীতি বিসর্জন দিয়ে পদকে আকড়ে ধরে থাকেননি। পুঁজিবাদের চরম উৎকর্ষতার যুগে প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার মালিক হচ্ছেন শিল্পপতিরা। মিডিয়া হচ্ছে তাদের সেফগার্ড। মালিকরা তাদের অনেক অকাম-কুকাম জায়েজ করেন তাদের মিডিয়া দ্বারা। আবেদ খান তার বিবেক বিসর্জন দিয়ে মালিকদের অপকর্ম জায়েজ করতে অক্ষম ছিলেন। এ জন্য তিনি সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে দ্বিধা করতেন না। যেখানে নীতি নৈতিকতা জাদুঘরে চলে গেছে, ভালো মানুষের দুর্ভিক্ষ চলছে, আবেদ খান নিশ্চয়ই সেখানে ব্যতিক্রম।

আবেদ খান একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাঙালিরা বুঝে গিয়েছিল, পাকিস্তানিরা বাঙালিদের হস্তে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তাই এলাকাভিত্তিক স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ গড়ে উঠতে থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব চলতে থাকে। ১ মার্চ, ১৯৭১ পুরান ঢাকার নারিন্দা-ওয়ারি এলাকার স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক হন আবেদ খান, যুগ্ম আহবায়ক হন মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া। ২৫ মার্চ রাত থেকে পাক হানাদার বাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাংক নিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইত্তেফাক অফিস জ্বালিয়ে দেয়। তাদের সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে আবেদ খান মাচের্র শেষের দিকে ঢাকা ছাড়েন। বহু কষ্টে সীমান্ত পারি দিয়ে কলকাতা পৌঁছেন মে মাসে। ২৫ মার্চ রাত থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে নারকীয় হত্যাকা- ঘটিয়ে যাচ্ছে তার সঠিক প্রচার পাচ্ছিল না। কলকাতার আকাশবাণীতে আবেদ খানের সাক্ষাৎকার প্রচারের পর তা ব্যাপক প্রচার পায় এবং বিশ্বের সহানভূতি লাভ করতে থাকে। তারপর তিনি আকাশবাণীতে ‘জবাব দাও’ নামে এক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান শুরু করেন; যার প্রত্যুত্তরে তখন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে রেডিও পাকিস্তান ‘জবাব নিন’ অনুষ্ঠান শুরু করে।

আবেদ খান একজন কলম সৈনিক। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও তার যুদ্ধ শেষ হয়নি। তার যুদ্ধ এখনো চলমান। যিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অন্তরে ধারণ করেন তার যুদ্ধ শেষ হতে পারে না। সে যুদ্ধ তিনি এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন লেখনীর মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুটি। একটি স্বাধীনতা, অন্যটি মুক্তি। মুক্তির অর্থ ব্যাপক। মুক্তি মানে অজ্ঞতা অন্ধকার থেকে মুক্তি, অসত্য অসুন্দর ও অযৌক্তিকতা থেকে মুক্তি, অন্যায় অবিচার থেকে মুক্তি, অভাব অনটন থেকে মুক্তি, সাম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্তি, গোড়ামি থেকে মুক্তি, কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্তি, ভবযন্ত্রণা থেকে মুক্তি, বন্ধন থেকে মুক্তি, বৈষম্য ও দুর্নীতি থেকে মুক্তি। মুক্তির যুদ্ধ নিরন্তর। এই জন্য বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার আগে মুক্তির কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম ম্বাধীনতার সংগ্রাম।’ স্বাধীনতা অর্জন কঠিন, কিন্তু মুক্তি পাওয়া আরও কঠিন। স্বাধীনতার লক্ষ্য মুক্তি। মুক্তি ব্যতীত স্বাধীনতা অর্থহীন। স্বাধীনতার যুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তির যুদ্ধ শেষ হওয়ার নয়। জীবন যতদিন আছে, মুক্তির সংগ্রামও ততদিন থাকবে। সেই মুক্তির সংগ্রামের একজন নিরন্তর সৈনিক আবেদ খান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে সে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তিনি তার কলম চালনা করতে পিছপা হননি। কলম চালিয়েছেন জিয়া এরশাদের স্বৈশাসনের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ জঙ্গি গোষ্ঠিীর বিরুদ্ধে। সোচ্চার থেকেছেন ৭১- এর ঘাতক, মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে। সে জন্য তাঁকে কম হয়রানির শিকার হতে হয়নি। ১৯৮৭ সনে সামরিক শাসক এরশাদ তাঁকে বেতার টেলিভিশনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে জঙ্গিরা এক যোগ গ্রেনেড হামলা করে। তৎকালীন বিএনপি জামায়াত জোট সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা না করে মামলা করে আবেদ খান, মুনতাসির মামুন, শাহরিয়ার কবির প্রমুখের নামে। কারণ তারা মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন। মৌলবাদীদের কাছ থেকে তিনি কম হুমকি পাননি।

আবেদ খান একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। যখনই দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, তখনই তিনি সেখানে ছুটে গিয়েছেন, সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা, ধর্ষণ, নির্যাতন, দখল চরম আকার ধারণ করে। তখনো আবেদ খানরা ধর্ষিতা, নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জোট সরকারের সময় ঝিনাইদহের স্থানীয় সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হলে তিনি সেখানে ছুটে যান এবং তার প্রতিবাদে অনশন করেন। তাতে তাঁর এবং তার সঙ্গীদের ওপরও হামলা হয়। তাতে তিনি থেমে যাননি। তার বয়স হয়েছে, শরীরও তত ভালো যাচ্ছে না। তারপরেও কেউ বিপদে পড়লে তার পাশে তিনি দাঁড়ান। তার নীতি-আদর্শ, মানবতাবোধ অতি উচ্চ মার্গের। তার এথিকস, মানবতাবোধ যদি আমরা অনুকরণ করতে পারতাম, তাহলে আমাদের সমাজ হতো একটি মানবিক সমাজ।

আবেদ খান একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, লেখক, গবেষক, উপস্থাপক, সঞ্চালক, আবৃত্তিকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও বুদ্ধিজীবী। তিনি অনেক প্রবন্ধ, গল্প, শিশু সাহিত্য রচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী লেখা লিখেছেন। তিনি বিশটিরও বেশি বই লিখেছেন। তাদের মধ্যে ১. অভাজনের নিবেদন, ২. গৌড়ানন্দ কবি ভনে শুনে পুণ্যবান, ৩. কালের কণ্ঠ, ৪. প্রসঙ্গ রাজনীতি, ৫. হারানো হিয়ার নিকুঞ্জপথে (গল্প সংকলন), ৬. আনলো বয়ে কোন বারতা, ৭. বলেই যাবো মনের কথা, ৮. গৌড়ানন্দসমগ্র।, ৯. অনেক কথা বলার আছে, ১০. দেশ কি জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হবে, ১১. ও রাজকন্যে তোমার জন্য, ১২. স্বপ্ন এলো সোনার দেশে, ১৩. আমাদের টুকুনবাবু, ১৪. ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড) অন্যতম। বাংলাদেশের কত উত্তম অধমকে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে ফেব্রুয়ারি পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়; অথচ আবেদ খানের মতো ব্যক্তিকে তা প্রদান করা হয় না। এটাই পরিতাপের বিষয়। বিষয়টি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদানের মতো। বিশ্বে অহিংস রাজনীতির ধারক বাহক, প্রবর্তক হলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি ছিলেন হিংসা, যুদ্ধ, মারামারি, সহিংসতার বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন বিশ্বের অহিংস ও শান্তিবাদী নেতা। তার ভাগ্যে নোবেল প্রাইজ জুটেনি। জুটেছে যুদ্ধবাজ চার্চিল ও হেনরি কিসিঞ্জারের ভাগ্যে। এটাই ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। যদিও জাতিসংঘ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস ঘোষণা করে তার প্রতি সম্মান জানিয়েছে। আশা করি, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলা একাডেমির বোধোদয় হবে; আবেদ খানের মতো গুণীজনকে তার প্রাপ্য সম্মান দিবে। আজ ১৬ এপ্রিল এই মহান মানুষটির ৭৮তম জন্ম দিনে নিবেদন করছি লাল সালাম। জয় গুরুদেব।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর

Header Ad
Header Ad

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী

বৈভব সূর্যবংশী। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের মেগা নিলামে দল পাওয়ার পরই হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। কারণ ওই সময়ে তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে অভিষেক হতে হতে যা ১৪ পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বুঝতেই দেননি অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে বয়সের ফারাকটা। প্রথম বলেই কাভার অঞ্চলের ওপর দিয়ে যেভাবে বলটাকে সীমানাছাড়া করলেন, তাতে চোখ জুড়ানো নেটিজেনরা বলে বসলেন ‘অ্যা স্টার ইজ বর্ন’!

বৈভব সূর্যবংশীর জন্ম হয়েছিল ২০১১ সালের ২৭ মার্চ, ততদিনে আইপিএলের দুটি আসর শেষে তৃতীয়টির অপেক্ষা। আর তার জন্মের বছরেই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। সেই ক্রিকেটার আইপিএলের অষ্টাদশ আসরেই সুযোগ পেয়ে যাবেন এমনটা হয়তো কেউ ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেনি। বৈভবকে আইপিএলের মেগা নিলামে ১.১ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস।

বৈভবের জন্য আরও আনন্দের বিষয় কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিকে পাওয়া। যদি আইপিএলের চলতি আসরে তাকে খেলানোর সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের ইনজুরি তার অভিষেকের ক্ষণটা এগিয়ে আনে। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে গতকালই অভিষেক হয়ে গেল বিহারের এই বিস্ময়-বালকের। তবে ম্যাচটিতে তাকে ফিল্ডিং করতে হয়নি। ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে কেবল ব্যাটিংয়েই নামেন বৈভব, অভিষেকেই খেললেন ২০ বলে ৩৪ রানের ঝোড়ো ক্যামিও ইনিংস।

আইপিএলের প্রথম ম্যাচে বৈভবের যত রেকর্ড-

আইপিএলের মঞ্চে বয়স যে কেবল একটি সংখ্যা, সেটাই প্রমাণ করলেন ১৪ বছর বয়সী বৈভব সূর্যবংশী। ব্যাট হাতে অভিষেকেই ঝড় তুলেছেন এই কিশোর। প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা, গড়লেন একাধিক রেকর্ড—আর তাতেই ক্রিকেটবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে "অ্যা স্টার ইজ বর্ন" জ্বর!

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে বিহারের এই বিস্ময়বালকের। মাত্র ১৪ বছর ২৩ দিন বয়সে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে মাঠে নামা খেলোয়াড় হিসেবে নাম লেখান বৈভব। এর আগে রেকর্ডটি ছিল প্রয়াস রায় বর্মণের (১৬ বছর ১৫৭ দিন) দখলে।

কিন্তু বৈভব এসেই যেন দেখালেন, তিনি এসেছেন ইতিহাস গড়তে। ইনিংসের প্রথম বলেই শার্দুল ঠাকুরকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারেন ছক্কা—যা তাকে বানিয়েছে আইপিএলের সবচেয়ে কম বয়সে ছয় মারা ক্রিকেটার। এতোদিন রেকর্ডটি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই রিয়ান পরাগের (১৭ বছর ১৬১ দিন) নামে।

শুধু এখানেই থামেননি বৈভব। আইপিএলে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকানো ক্রিকেটারদের ক্লাবে তিনিই দশম সদস্য। সেই তালিকায় আছেন আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, মহেশ থিকশানা, রব কুইনিসহ আরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

২১ মার্চ ২০১১ জন্ম নেওয়া বৈভব যখন এই ইনিংস খেলেন, তখন হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছিলেন তার বয়স মাত্র ১৪। কারণ তার ব্যাটিংয়ে ছিল পরিপক্বতা, ছিল আত্মবিশ্বাস। ২০ বলে ৩ চার ও ২টি বিশাল ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ছুঁয়েছেন ১৭০।

যদিও ইনিংসের শেষ দিকে একটি ভুল শটে স্টাম্পড হয়ে বিদায় নেন এই কিশোর তারকা। ফেরার সময় চোখে জল লেগে ছিল—যা তার খেলায় আবেগ ও দায়বদ্ধতার পরিচয় দেয়।

রাজস্থানের ইনিংস থেমেছে ১৭৮ রানে, ১৮০ রানের লক্ষ্যে। ২ রানের হার সঙ্গী হলেও, এই ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন বৈভবই।

Header Ad
Header Ad

৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের

হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।

রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বেশকিছু দাবির কথা বেলেন। তিনি ব‌লেন, ফ্যা‌সিবা‌দী আম‌লে হেফাজ‌তের বিরু‌দ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ২০১৩ সা‌লে শাপলা চত্বরে গণগত্যার বিচার করতে হবে। নারী সংষ্কার ক‌মিশ‌নের ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও ক‌মিশন বা‌তিল করতে হবে। তা না হলে ৩ মে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ ছাড়া ভারতীয় ওয়াকফ আইন ও ফি‌লিস্তান‌রে গণহত্যার প্র‌তিবাদে আগামী মঙ্গলবার থে‌কে ১ সপ্তাহ গণসং‌যোগ ও আগামী ২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ প্রতি জেলা উপ‌জেলায় বি‌ক্ষোভ করবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

Header Ad
Header Ad

আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন

প্রতীকী ছবি

প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামী প্রশংসা দিবস। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য দিনটি পালন করা হয়—যার মূল উদ্দেশ্য পারিবারিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করা।

স্বামীদের অবদানকে সম্মান জানাতেই এই বিশেষ দিনের প্রচলন। যদিও দিবসটির সূচনা নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক জীবনে স্বামীর ত্যাগ, দায়িত্ব ও ভালোবাসা স্বীকার করতেই দিনটি উপলক্ষ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশেষ করে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে, যেখানে স্বামীরা শুধু উপার্জনের দায়িত্বই পালন করছেন না, পাশাপাশি ঘরের কাজ, সন্তান লালন-পালনসহ পারিবারিক নানা দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন—তাদের জন্য এমন একটি দিন আয়োজনের যৌক্তিকতাও বাড়ছে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাউকে সামান্যভাবে প্রশংসা করলেও তার ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক হয় আরও মজবুত। বিশেষ করে দাম্পত্য সম্পর্কে এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

এই দিনে স্বামীকে একটি চিরকুট, শুভেচ্ছা বার্তা বা ছোট্ট কোনো উপহার দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো যেতে পারে। এমনকি শুধু মৌখিকভাবে “তুমি অনেক ভালো করছো” বলাটাও হতে পারে প্রশংসার অনন্য উপায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিবার গঠনের পথে যেমন স্ত্রীর অবদান রয়েছে, তেমনি স্বামীদের ভূমিকাও কম নয়। কাজেই সম্পর্কের ভারসাম্য ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এমন দিনে সামান্য ভালোবাসা ও স্বীকৃতিই হতে পারে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের ভিত্তি।

প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানো কোনো বিলাসিতা নয়, বরং সম্পর্ক রক্ষার এক চমৎকার অভ্যাস। তাই আজকের দিনটি হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষভাবে জানানোর এক দারুণ সুযোগ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
গাজায় আরও ৫২ জন নিহত, হামলা জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর
উত্তরায় প্রকাশ্যে যুবককে তুলে নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল
অফিস সময়ে সভার জন্য সম্মানী না নিতে নির্দেশনা
অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আজাদ আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক অপু