মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কিশোরীদের দেখা একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতি

মধুবন্তী ডায়েসের গল্প

[৩] একদিন বিকেলে, আমরা প্রায় ২০/২৫ জন ছেলেমেয়ে খেলা করছি একটা মাঠে। সেই মাঠটা বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে। আমরা খেলা করে দল বেঁধে বাড়ি ফিরছি, সন্ধ্যাতো নেমে এসেছে। একটু একটু অন্ধকারও, এমন সময় দেখি দুইজন মিলিটারি আমাদের সামনে দাঁড়ানো। কখন কোন দিক দিয়ে যে এসেছে তা আমরা কেউ দেখিনি। আমরা তো দেখে ভয়ে পিছনের দিকে দৌড়ে যাচ্ছি। তখন তারা পিছন থেকে আমাদেরকে ডাকছে। আমাদের মাঝ থেকে দুই তিনজন ছেলে দাঁড়িয়েছে। আর আমরা সবাই যার যার বাড়িতে চলে যাই । পরে শুনেছি, এমনি কথাবার্তা বলেছে। তোমাদের নাম কি, কি কর। আমরা তো বাড়ি এসে বলেছি মিলিটারিদের কথা। এখন দাদা আমাদেরকে মানে আমি পারুল, নার্গিস, রেনুকা, কম বয়সি যারা তাদেরকে ডেকে বলেছে, পাকিস্তানি মিলিটারিরা শুধু যুদ্ধই করে না, তারা সব লুটপাট করেও নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে যখন যেখানে যাকে পাচ্ছে তাদেরকে বিনা কারণে গুলি করে হত্যা করছে। আর মেয়েদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের ইজ্জত নিচ্ছে। তোমরা বড় হয়েছ, তোমাদের যার যার মান ইজ্জত রক্ষা করার দায়িত্ব তোমাদের। মনে রাখবে নারীর মান ইজ্জত এমন একটা জিনিস, যা একবার চলে গেলে আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ইজ্জত হারা নারী পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল। নারীর একটা বড় সম্বল তা হল মান ইজ্জত। এসব কথা বলেছেন অনেকক্ষণ যাবৎ।

ঐদিনের পর ১০/১২ দিন আর কেউ কোথাও মিলিটারি দেখেনি। তার মানে ঐ দিনই তারা গ্রামে প্রথম এসেছিল এবং ঘুরে ঘুরে দেখেছে যে, কোথায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা যায়, তারা তো তাদের সুবিধাজনক জায়গা বেছে বেছে থাকার ব্যবস্থা করেছে। কয়েকদিন পর এক বিকেলে দাদা আবার আমাদেরকে ডেকে নিয়ে সাবধান করে দিয়েছে। আমরাও সেইভাবে সাবধানে থাকার চেস্টা করছি। এরই মধ্যে একদিন খুব ভোরে দেখি মানুষের ডাকা ডাকি, অনেক মানুষের কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা ঘর থেকে জানালা দিয়ে বাহিরে দেখার চেস্টা করছি। কিন্তু কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তখন আমরা ঘর থেকে বাহির হলাম, দেখি বাড়ির পিছনে অনেক লোক। সেখানে আমাদের বাড়ির সব পুরুষ, কিছু বলাবলি করছে। কিন্তু কোন কথাই বুঝতে পারছি না। এত লোক এক সঙ্গে কথা বললে কিছু বুঝা যায়? কৌতুহল থেকে আস্তে আস্তে আগাতে আগাতে এক সময় সেইখানে চলেই গেলাম। দেখি ঐখানে দুইজন মহিলার লাশ পড়ে আছে। তাদের শরীরে কোন কাপড় ছিল না। এখানে কেউ হয়ত তাদের উপরে কাপড় দিয়েছে। তাদের চোখ হাত বাঁধা। সারা শরীর আঘাতে আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়ে আছে। এক নজর দেখে পরে আর দেখতে পারিনি।  ভয়ে লজ্জায় খুব দ্রুত চলে আসি ওখান থেকে। পরে বুঝতে পারি এ বিষয় নিয়ে কথা বলছে লোকজন। সেই লাশ দেখে ভেতরটা কেমন যেন অন্যরকম হয়ে গিয়েছে যেমন, ভয় করছে কি যেন জিজ্ঞাসা করবে। সেই দিনের পর থেকে হাসি-আনন্দ, ভাল লাগা সব হারিয়ে গিয়েছে। শুধু আমার না আমাদের বাড়ির, গ্রামের সবারই। বুঝতে পারলাম, আমাদেরকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

আমার দাদার বাড়ি এমন একটা জায়গায়, জোয়ারের সময়, জোয়ারের পানি বাড়ির একেবারে খুব কাছাকাছি চলে আসে। বাড়ির দুই পাশ-দক্ষিণ আর পশ্চিম পাশ পানিতে ভরে থাকে। একদিন বিকেল প্রায় চারটা বাজে, এমন সময় আমি হাঁটতে হাঁটতে পানির কাছে যাই এবং পানিতে নেমে এমনিতেই হাঁটছি। ছোট ছোট ঢেউ পায়ে আছড়ে পড়ছে, ভাল লাগছে। ঢেউগুলো কিন্তু সমান তালে আসছে। নিজের অজান্তে হাঁটতে হাঁটতে আনেকটা দূরে চলে যাই। পানি কিন্তু একই পরিমানে আছে। চার দিকটা দেখতে কেমন সুন্দর লাগছে। হঠাৎ একটু দূরে দেখি, কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। আমি একটু দ্রুত ঐ দিকে যাই। একটু যেতেই দেখি একটা মানুষ, আরও কাছে গিয়ে দেখি, মেয়ে মানুষ। তার হাতে শাঁখা, পলা, গলায় চেইন, কানে বড় দোল টানা দিয়ে আটকানো। তার শরীরে কাপড় নেই। তার গোপন অঙ্গে ছুরি মতন কিছু একটা ঢুকানো, স্তন দুইটা কাটা। কি যে বিভৎস দৃশ্য তা বলে বুঝাতে পারবো না। দেখে আমি ভয়ে চিৎকারও দিতে পারছি না। মনে হচ্ছে মাটির সঙ্গে লেগে গিয়েছে। ঐ লাশটা বুঝি আমার দিকে এগিয়ে আসছে। সে যেন চিৎকার করে বলছে, আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও। সেই চিৎকার আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। আমি এ অবস্থায় কি করবো বুঝতে পারছি না। তারপর কি হয়েছিল আর বলতে পারি না। যখন আমার হুঁশ এল, দেখি, আমি বাড়িতে।

তার পরদিনই শুনি মানুষ কানাকানি করছে, মিলিটারিরা নাকি গ্রামে ক্যাম্প করে। ঐ দিন দুপুরে আমরা সবাই খেতে বসেছি, এমন সময় শুনি মিলিটারি আসছে। তখন সবাই খাবার ফেলে দৌড়ে পালাচ্ছি। ঘর থেকে বাহির হতেই দেখি, মিলিটারিরা দল বেঁধে জুতার শব্দ করে আসছে। তখন কে যেন আমাকে বলছে, মিলিটারিরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। আমরা বেশি দূর যেতে পারবো না। চল, পুকুরে নেমে যাই। জান মান বাাঁচাতে চাইলে, পুকুরে গিয়ে ডুব দিয়ে থাকি। তখন তো আমাদের সবার বাড়ির চার পাশে ছোট ছোট পুকুর ছিল। পুকুরের পানিতেই সব কিছু হতো। তার কথা শুনে আমি পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিলাম। পুকুরে বেশি পানি ছিল না। আমার কোমর পর্যন্ত পানি। সেই পানিতেই আমি বসে পড়ি। গলা পর্যন্ত পানির নীচে ডুবিয়ে রাখি। আর পাতা-টাতা দিয়ে মাথাটা ঢেকে রাখি। পুকুর থেকেই শুনতে পাচ্ছি চিৎকার, চেঁচামেচি, বাঁচাও বাঁচাও এ ধরনের। আর এ দিক দিয়ে মাছ আমার সারা শরীরে ঠোকর দিচ্ছে। মাছ হয়ত ভেবেছিল, আজ এত বড় খাবার পেয়েছি, মজা করে খেয়ে নিব। আর আমার চোখের সামনে দিয়ে ছোট দুইটা সাপ ঘোরাফেরা করছে। যদিও তারা আমাকে কিছুই করেনি। কিন্তু ভয়ে তো আমি পাথর হয়ে গিয়েছি। আমি বুঝতে পারছি, বিষাক্ত সাপ আমাকে মারবে না। মারবে আমার মতন মানুষ রুপি জানোয়ার। বিষাক্ত সাপও বুঝতে পেরেছিল যে, আমি তাদের কাছে আশ্রয় নিয়েছি। তাই তারা সেইদিন আমাকে পাহাড়া দিয়েছিল। পরিস্থিতিটা এমন ছিল।

 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

 

Header Ad

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) সম্প্রতি আরও ২৯ জন সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট পেশার ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রোববার (৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা অনুযায়ী এই সাংবাদিকদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া কার্ডধারীদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের সম্পাদক, সংবাদ প্রধান এবং বিশেষ প্রতিনিধি।

কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির সিইও আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, এবং নিউজ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস।

এছাড়া, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ.ই. মামুন, বাসসের উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মন্ডল, এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত।

তালিকায় আরও আছেন দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দ বাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায় এবং দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।

এই সাংবাদিকদের কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

Header Ad

কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন

সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের। ২০তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় পুলিশে যোগ দিলেও তার বাবা মো. হাসিদ ভূঁইয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা পরে হারুনের পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে মারধর করে আলোচনায় আসেন হারুন। এ ঘটনার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থা অর্জন করেন তিনি এবং তার পর থেকেই একের পর এক পদোন্নতির মাধ্যমে পুলিশের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মকর্তায় পরিণত হন।

হারুন অর রশীদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়েন। বলা হয়, সাধারণত হেলিকপ্টার ছাড়া তিনি বাড়িতে আসতেন না। তার বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগও ওঠে। মিঠামইনে নিজ গ্রামের বাড়িতে শতকোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলেন বিলাসবহুল 'প্রেসিডেন্ট রিসোর্ট', যেখানে রয়েছে হেলিপ্যাড এবং অত্যাধুনিক সুইমিং পুল।

প্রেসিডেন্ট রিসোর্টটি একসময় ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রিসোর্টের জৌলুসও কমে যায় এবং অবশেষে রিসোর্টের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেখানে জনমানবহীন ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হারুনের রিসোর্টটির জন্য এলাকার সংখ্যালঘু ও অন্যান্য ভূমি মালিকদের ভয় দেখিয়ে জমি দখল করা হয়েছিল এবং অধিকাংশ মালিক এখনো তাদের জমির মূল্য পাননি। স্থানীয় সংখ্যালঘু প্রতিনিধি দীলিপ চৌধুরী জানান, তার কোটি টাকার মূল্যমানের জমি হারুন ভয় দেখিয়ে দখল করেছেন, কিন্তু টাকা পরিশোধ করেননি। একইভাবে মানিক মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি তার ৫ একর জমির কোনো মূল্যই পাননি।

স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা হারুন পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাতারাতি বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন।

Header Ad

হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী

সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বাতিল করা হয়েছে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কূটনৈতিক পাসপোর্টও। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি শিরীন শারমিন আত্মগোপনে রয়েছেন এবং গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে।

৩ অক্টোবর, তিনি এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত না হয়ে তারা বাসায় বসেই আঙুলের ছাপ ও আইরিশ স্ক্যান জমা দেন। অথচ নিয়ম অনুসারে, এসব তথ্য পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জমা দিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র জানায়, শিরীন শারমিন চৌধুরী ও তার স্বামী অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন এবং এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করছেন। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন জানান, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তবে আইনের সীমার মধ্যে থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তর কাজ করে।

সাবেক এ স্পিকারের বাসার ঠিকানা হিসেবে ধানমণ্ডির একটি বাসার উল্লেখ থাকলেও সেই ঠিকানায় তাদের পাওয়া যায়নি বলে জানান রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্মচারী শাহাবুদ্দীন। তিনি জানান, শিরীন শারমিন এ বাসায় থাকেন না এবং এখানে তার উপস্থিতি গত কয়েক মাসে দেখা যায়নি।

পাসপোর্ট বিষয়ক এই বিতর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই সময়ে হত্যা মামলার আসামিদের পাসপোর্ট প্রক্রিয়া সহজ করা সন্দেহজনক। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার এ ধরনের সুবিধা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, নিয়মের বাইরে কেউ এভাবে সুবিধা নিতে পারেন না। এদিকে মামলার তদন্তকারী রংপুর মহানগর পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, শিরীন শারমিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য খোঁজা হচ্ছে এবং তার সন্ধান পাওয়া মাত্রই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা
এক মাস পর খাগড়াছড়ি ও সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত
মার্কিন নির্বাচনে লড়ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৬ প্রার্থী
শাকিব খানের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন পূজা চেরি
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা রেখেই ঢাবির ভর্তি কার্যক্রম শুরু
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলায় ব্যালট পেপার