বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বুদ্ধিজীবীদের কতটুকু স্মরণ করতে পারি, তা নিয়ে সংশয় আছে

আমি বিস্মিত হই যে, শুধু ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। ইতিহাস বলছে, অপারেশন সার্চ লাইটের শুরু থেকেই, অর্থাৎ ২৫ মার্চ ১৯৭১ রাত থেকেই বুদ্ধিজীবী নিধন শুরু হয়। সে রাতেই আমরা হারিয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কৃতি শিক্ষক এবং পণ্ডিত মানুষকে। ড. জি সি দেব, ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, ড. মনিরুজ্জামানসহ আরও অনেককেই হারিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নেওয়া হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে। সেটি সারাদেশেই হয়েছে।
১২ ডিসেম্বরে আলবদর, রাজাকার বাহিনী কর্তৃক দেশের বুদ্ধিজিবীদের হত্যা করতে তালিকা তৈরি করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী, তারা ঢাকাসহ দেশের সব জায়গা থেকে বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছিল তাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। শেষ মুহূর্তের আঘাত হিসেবে আমরা বুদ্ধিজীবীদের হারালাম।

১৪ ডিসেম্বরে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি হচ্ছে, তখন আমি মোহসিন হলের সহকারী শিক্ষক। ঘুম থেকে উঠে দেখি–আমাদের বাসায় পানি নেই। বুঝলাম, পানির কল ছাড়ার মানুষটি আসতে পারেনি সান্ধ্য আইন বলবৎ থাকার কারণে। মোহসিন হলের পেছনের পশ্চিম কোনায় যে পানির ঘরটি আছে, আমি সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি মেশিনের কোনো শব্দ নেই। আমি অযান্ত্রিক মানুষ, মেশিন কীভাবে চালাতে হয় জানি না। আমার পর এলেন আমাদের একজন আবাসিক শিক্ষক জহুরুল হক। তিনি ছিলেন দর্শনের শিক্ষক। সবশেষে এলেন আমার প্রিয় শিক্ষক শহিদ গিয়াস উদ্দীন আহমেদ। পরনে ঘুমের পোশাক। তিনজন মিলে আলোচনা করে স্যারকে বুদ্ধি দিলাম। বললাম, স্যার হ্যান্ডেলটা অফের দিকে আছে, সেটা অনের দিকে দিলে কেমন হয়। স্যার সেটা অনের দিকে দিলেন এবং একটা শো শো শব্দ শুনতে পেলাম। একসময় দেখলাম পানি আসতে শুরু করেছে।

বেশ হৃষ্টচিত্তে বেড়িয়ে যাব, সেই মুহূর্তে ছোট্ট দরজার কাছে এসে দাঁড়াল আলবদর–ছাইরঙ্গের পোশাক, মুখে রুমাল বাধা। গিয়াস স্যারের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আর ইউ মিস্টার গিয়াস?’ গিয়াস স্যার উত্তর দিলেন, ‘ইয়েস দ্যাটস মি।’ পরক্ষণেই গিয়াস স্যারের বুকে বন্দুক তাক করে উর্দুতে বলল, ‘হামারে সাথ আইয়ে।’ বাঙালি উর্দুতে উচ্চারণ করলে যে বিকৃত শোনা যায়, সেটি সেদিন শুনেছিলাম। যা-ই হোক, গত্যন্তর না দেখে গিয়াস স্যার আলবদরের অনুগামী হলেন। শেষ কথাটি আমার সঙ্গে হলো। বললেন, ‘আনোয়ার, চলি, দোয়া করো।’ আমরা হতভম্ব দুজনেই। স্যারকে নিয়ে গেল।

বাইরে বেড়িয়ে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে আছে মোহসিন হলের অবাঙ্গালি দারোয়ান রহিম। তার কাঁধে একটি গামছা ছিল। সেটি দিয়ে স্যারের চোখ বেঁধে নিয়ে গেল। এটাই শেষ দেখা স্যারের সঙ্গে।
তাঁর মরদেহ [ঘুমের পোশাক পরা] শনাক্ত করতে পেরেছিলাম এবং সেটি দাফন করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গিয়াস স্যার হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলাম আমি। সাক্ষ্য দিয়েছি দুদিন। আমার কাছে দুঃখ লাগে এজন্য যে, যারা শহিদ শিক্ষক অন্তত যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক তাদের অনেকের সাথে ঘনিস্টতা ছিল। আমি স্নেহভাজন ছিলাম। তাদের লালিত সপ্ন সম্পর্কে আমার জানা ছিল। তারা যে বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, সেই বাংলাদেশ তো আজকের বাংলাদেশ নয়।

আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা মুক্তচিন্তার পীঠস্থান। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, জামাতপন্থী শিক্ষক আছে। সেটি বড় দুঃখ লাগে। আমি বিশ্বাস করি, বুদ্ধিজীবীদের যে স্বপ্ন ছিল, তা ধারণ করেই বঙ্গবন্ধু ৭২-এর সংবিধান করেছিলেন। সেই সংবিধান আজ ক্ষত-বিক্ষত দলিল। বিকৃত হয়ে গেছে চেতনার দিক থেকে এবং কাঠামোর দিক থেকে।

আরেকটি দুঃখের কথা বলি–আমরা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আজও শহিদ বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা তৈরি করতে পারিনি। এটি আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা–বিশেষ করে সরকারের ব্যর্থতা।
বর্তমান সরকার ১৩ বছরেরও বেশি ক্ষমতায়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কি কাজ করেছে, আমি বুঝি না। তাদের তো দায়িত্ব ছিল শহিদ বুদ্ধিজীবীদের এই তালিকা আমাদের হাতে দেওয়ার। অন্তত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিমাণ অনুষ্ঠান বা চর্চা হওয়ার কথা ছিল, সেটিও আমি দেখছি না। এটা আমার কাছে এক বিপন্ন বিস্ময়।

আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি, ১৯৭১ সালে সারা বাংলাদেশে এক হাজার ১১১জন বুদ্ধিজীবী শহিদ হয়েছেন। এই বুদ্ধিজীবীদের আমরা কতটুকু স্মরণ করতে পারি, তা নিয়ে আমার সংশয় আছে। বাঙালি দান গ্রহণ করতে পারে দু’হাত ভরে। বাঙালি জ্বলে উঠতে পারে। তবে দানকে অর্জন করে কখনোই স্ফিত হতে পারে না। তার বড় প্রমাণ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আমাদের উপেক্ষা, উন্নাসিকতা। শেষে সে কথায় ফিরে যাই, যা দিয়ে শুরু করেছিলাম। আমরা অনেকটাই এগিয়েছি; কিন্তু যেতে হবে বহুদূর।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

শ্রুতিলিখন: শেহনাজ পূর্ণা

এসএ/

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর