বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য আর ট্রাকে ঝুলন্ত মা

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে আর হতাশায় ভেঙে পড়া মানুষের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে প্রতিদিন। এক বছরে ৭ বার তেলের দাম বাড়িয়েছে বিপণন সংস্থাগুলো। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে, গত ১৫ দিনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র। অবশ্য তারা বলেনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাধু চক্র আছে কি না, থাকলে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী?

টিসিবি ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করে। টিসিবির ট্রাক থেকে দুই লিটার সয়াবিন তেল কেনা যায় ২২০ টাকায়, বাজারে যা ৩৫০ টাকার বেশি। টিসিবি চিনি বিক্রি করে ৫৫ টাকা কেজিতে। বাজার থেকে চিনি কিনতে দাম পড়ে কেজিপ্রতি ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। টিসিবি মসুর ডাল বিক্রি করে ৬৫ টাকায়, যা বাজারে ৯৫ টাকার নিচে পাওয়া যায় না। বাজার থেকে যে পেঁয়াজ কিনতে ৫০ টাকা লাগে, একই পেঁয়াজ টিসিবির ট্রাক থেকে ৩০ টাকায় কেনা যায়। তেল, চিনি, পিঁয়াজ, ডাল এই চার পণ্য বিক্রি হয় টিসিবির ট্রাক থেকে। প্রতিদিন ১৫০টি ট্রাকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে টিসিবি পণ্য বিক্রি করে। প্রতি ট্রাকে ২৫০ জন মানুষ পণ্য পেতে পারেন। সেই হিসেবে দিনে ৩৭ হাজার ৫০০ মানুষ পণ্য পাবেন; কিন্তু ঢাকা শহরে দরিদ্র্য মানুষের সংখ্যা তো ১ কোটিরও বেশি, যাদের মধ্যে ৪০ লাখের বেশি বস্তিবাসী। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের এই পার্থক্যের কথা জেনে মানুষ দাঁড়িয়ে থাকে সেই সকাল থেকে, ট্রাক আসে ৯টায়। বাজারদর আর টিসিবির পণ্যের দরের যে পার্থক্য, তাতে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা সাশ্রয় হয় একজন ক্রেতার। যাদের কাজ না করলে চলে না তারা লাইনে দাঁড়াতে পারেন না কারণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা। ফলে লাইনে বৃদ্ধ, নারী এবং কর্মহীনদের সংখ্যা বেশি। একজন মন্ত্রী একবার বলেছিলেন এখন প্যান্ট শার্ট পড়া মানুষও ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন।

গত ৪ বছরে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ। যদিও মন্ত্রী বলেছেন, মোটা চাল এখন গরুকে খাওয়ানো হয়, হয়তো তার বিবেচনায় যারা মোটা চাল খান তারা গরুর পর্যায়ে পড়ে। খাবারের তেল সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৯৪ শতাংশ, গ্যাসের দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ এবং মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ১১৫ শতাংশ, সরকার ঘোষিত মূল্যস্ফীতি গড়ে বছরে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪ বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ। তবে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি কত? মন্ত্রী বলেছেন, আয় বেড়েছে দুই-তিন গুণ অর্থাৎ ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ। সে কারণেই না কি জিনিসের দাম বাড়লেও মানুষের কষ্ট হচ্ছে না। না খেয়ে কোনো মানুষ তো মরছে না। আর একজন তো বলেই ফেললেন, এখন একজন শ্রমিক যা আয় করে, তা দিয়ে না কি দিনে ২০ কেজি চাল কিনতে পারে! অর্থাৎ দিনে ১১০০ টাকা আয়, সেই হিসাবে মাসে ৩৩ হাজার টাকা আয় করে এমন শ্রমিক কোথায় বা কয়জন তা কি জিজ্ঞেস করা যাবে?

এটা অবশ্য সত্যি যে, দেশে একদল এমন মানুষ আছেন যারা তাদের আয় দিয়ে দিনে ২০ টন চাল কিনতে পারবেন। তাদের আয়ের উৎস, পরিমাণ এবং তাদের মান-সম্মানের কথা জানতে না চাওয়াটা শুধু ভালো নয়, নিরাপদও বটে।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অসহনীয় মুল্য বৃদ্ধি কি প্রভাব ফেলে আমাদের জীবনে আর দেশের ভবিষ্যতে? একজন অযোগ্য দরিদ্র্য মানুষ (মাথাপিছু ২৫৫১ ডলার আয়ের দেশে দরিদ্র্য থাকাটা অযোগ্যতা) যদি দিনে ১.৯ ডলার বা ১৬৫ টাকার বেশি আয় করেন তাহলে তিনি না কি আর দরিদ্র্য থাকবেন না। তিনি এবং তার স্ত্রী দুজনে মিলে মাসে ৯ হাজার ৯০০ টাকা আয় করলে তারা দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে যাবেন। যদিও মাথাপিছু আয়ের হিসেবে তাদের আয় হওয়ার কথা ৩৭ হাজার টাকা। এই টাকা উৎপাদনে তাদের অংশগ্রহণ থাকলেও টাকার ভাগ তারা পাবেন না। ধরে নেই তাদের বাবা মা নেই, সন্তান সন্ততি নেই, ভাই বোন নেই, কারো প্রতি কোন দায়িত্ব নেই। তারা দুজন হংস মিথুন, কাজ করে, আয় করে, খায় আর ঘুমায়। তাহলেও কি এই আয় করে ন্যূনতম খাদ্য পুষ্টি পাবেন? অথচ এরাই তো আমাদের শ্রমজীবী যুবশক্তি! আমাদের ভবিষ্যৎ শ্রমশক্তি আসবে তাহলে কোথা থেকে, যারা আসবে তারা কি ধরনের স্বাস্থ্য পুষ্টি আর শিক্ষা নিয়ে বড় হবে? এই জনগোষ্ঠী তো দেশে ১২ কোটির বেশি।

বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৮২ লাখ। যাদের ৯০ শতাংশ কাজ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। এদের কথা না হয় নাই ভাবলেন কর্তাব্যক্তিরা কিন্তু যাদের মাসিক আয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার এই পরিবারগুলো কিভাবে চলছে? যাদের আয় ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার তাঁরা কি টিসিবির ট্রাকে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে পারেন? তাদের সংসার তাঁরা কিভাবে চালান? টিসিবির হিসাবে, ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোটা চালের দাম ৩২ শতাংশ, সরু চাল ২৮ শতাংশ, বোতলজাত সয়াবিন তেল ৫৫ শতাংশ, খোলা সয়াবিন তেল ৮২ শতাংশ, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৩ শতাংশ, চিনি ৩২ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগি ২১ শতাংশ, খোলা আটা ২২ শতাংশ ও এলপি গ্যাসের দাম ১৮ শতাংশ করে বেড়েছে।

মন্ত্রী যতই ভাত কম খেতে বলুন না কেন ভাত ছাড়া আর কি খাবে অল্প আয়ের মানুষেরা? সাধারণ হিসেবে শ্রমজীবী পাঁচজনের একটি পরিবারে মাসে ৪০ কেজি চাল লাগে। টিসিবির মূল্যতালিকা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৪০ কেজি মোটা চাল কিনতে লাগত ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আর গত মাসে লেগেছে ১ হাজার ৯০০ টাকা। তার মানে শুধু চাল কিনতেই খরচ বেড়েছে ৫০০ টাকার মতো।

মন্ত্রীদের দায়িত্ব মন্ত্রণালয় সামলানো যাতে জনগণকে সর্বোচ্চ সহায়তা করা যায়। কিন্ত যে জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন, মন্ত্রীদের বেতন ভাতা চলে সেই জনগণকে তাচ্ছিল্য বা উপহাস করা হলে তাকে কি অপরাধ বলা যাবে না? দারিদ্র্য কষ্ট দেয় কিন্তু অপমান জ্বালা ধরায়। কতখানি আর্থিক টানাপোড়নে পড়লে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে গরমে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন তা বুঝতে হলে বাজারে জিনিসের দাম আর পকেটে টাকার পরিমাণ কত তা কি একটু খেয়াল করবেন না? নাকি নিজেদের অবস্থান থেকে দেখবেন? খরচ বেড়েছে কিন্তু আয় বাড়েনি যে মানুষদের তাদের প্রতি রাষ্ট্রের কি কোন দায় থাকবে না। ট্রাকের পিছনে মাকে দৌড়াতে দেখে বুকের মধ্যে কষ্ট জাগে না কি নীতি নির্ধারকদের মনে? ইউরোপে দাম বেড়েছে এ কথা বলার আগে ভাববেন না কি ইউরোপের মানুষের আয় রোজগার কেমন? সংসার বাঁচাতে, নিজে বাঁচতে প্রাণপণ কষ্ট করছে যে মানুষেরা তাঁরা সহযোগিতা না পেলেও অপমানিত যেন না হন মন্ত্রী মহোদয়দের কাছে, এতটুকু চাওয়া পূরণ না হলে চাপা বেদনা বিক্ষোভে পরিণত হবে।

পণ্য না পেয়ে মধ্যবয়সী মা ছুটছেন এবং ঝুলছেন ট্রাকের পিছনে পিছনে। ট্রাক খালি, যা কিছু মালপত্র ছিল সব শেষ কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয়নি। অপেক্ষায় আছেন আরও অনেকে। কী আর করবেন টিসিবির কর্মচারীরা! তারা ট্রাক নিয়ে চলে যাচ্ছেন। লাইনে দাঁড়ানো মানুষেরা ট্রাকের পিছনে পিছনে ছুটতে শুরু করলেন। এক মা ট্রাকের পিছনের ডালা ধরে ঝুলে পড়লেন। ট্রাক চলছে, মা ঝুলছেন। এই ছবি দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু মায়ের বুকের কান্না কি দেখতে পেয়েছেন আমাদের দেশের মন্ত্রীসহ কর্তাব্যক্তিরা?

লেখক: সহকারী সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাসদ

এসএ/

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত