রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কলেজে অনার্স-মাস্টার্স থাকা উচিত কি না

দেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রসারণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে দেওয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। আমাদের শিক্ষামন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন, ‘সব কলেজে অনার্স-মাস্টার্সের তেমন কোনো প্রয়োজন হয়তো নেই। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষিত বেকার তৈরি হচ্ছে। আমরা সেটা চাই না। আমরা জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তর করতে চাই।’

বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করে সেখানে ডিগ্রি স্তরে পড়াশুনা চালু রাখার পরিকল্পনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কলেজগুলো থেকে ডিগ্রি পরীক্ষা দেবে, নানা ধরনের শর্ট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সগুলো করানো হবে। যেগুলো অনেক বেশি কর্মমুখী, আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা তৈরিতে উপযুক্ত হবে সে ধরনের কোর্স করানো হবে। জনসংখ্যাকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতেই সরকার এ পরিকল্পনা নিচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি কলেজ পর্যায়ে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করার বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তারা কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তবে নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ এখনই কলেজগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ কাজটি একদিনে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। যারা এখন অনার্স-মাস্টার্সে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। যখন থেকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া সম্বব হবে, তখনই তা করা হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী জানান যে, সব কলেজেই অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ হবে না। শতবর্ষী ১৩টি কলেজ আছে, বেশকিছু ভালো কলেজ আছে, যেখানে সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে, সেগুলোতে অনার্স-মাস্টার্স চালোনো হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বেসরকারি অনার্স কলেজে পড়াশুনা করে অনেকেই চাকরি পাননা। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট একটা ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়। যারা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিযে যনা, তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়। শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বেসরকারি কলেজগুলোকে আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি পরিমাণে প্রায়োগিত জ্ঞান পাবেন। যেটা তাদের চাকরি পেতে সহায়ক হবে। দেশও উপকৃত হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ. আ. ম.স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এখন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এজন্য বহুমুখী উদ্যোগ জরুরি। এর মধ্য অন্যতম হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলোতে পাঠ ও কারিকুলামকে কর্মবান্ধব করে তোলা। এজন্য বেসরকারি কলেজগুলোয় কারিগরি শিক্ষা যোগ করা উচিত।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সনদধারী বেকার তৈরি করতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছেন। কাজেই যারা অনার্স-মাস্টার্স করবেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই করবেন। ডিগ্রি পাস কোর্সে পাশাপাশি বিভিন্ন শর্টকোর্সও খোলা হবে।’ এদিকে অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলোতে ডিপ্লোমা ও শর্ট কোর্স চালু করতে কৌশল নির্ধারণে কাজ করছে ১৪ সদস্যের একটি কমিটি। এ কমিটির কেউ কেউ অনার্স কোর্স বন্ধের পক্ষে নন। বলা হচ্ছে, বন্ধে গুরুত্ব নয়, গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কলেজে ডিপ্লোমা কোর্স চালুর। অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালুর পাশাপাশি যদি শর্ট কোর্স ডিপ্লোমা কোর্স চালু হয়, তাহলে বন্ধ হলো কোথায়?

কৌশল নির্ধারণী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘আমরা অনার্স মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করাকে প্রাধান্য দিচ্ছি না। শর্ট কোর্স বা ডিপ্লোমা চালুর বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছি। অনার্স কোর্স ধরে রেখে তার গুণমান ধরে রাখা হবে।’ তবে অনার্স কোর্স সীমিত করার কথাও বলেন তিনি।

কমিটির সদস্য ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কমিটি ২৭টি ডিসিপ্লিনের মধ্যে থেকে ১০টি ডিসিপ্লিনের ওপর কাজ করছে। বাছাই করা কলেজগুলোতে এসব ডিসিপ্লিনের ওপর ডিপ্লোমা/শর্ট কোর্স চালু করা হবে। এই কোর্স চালু হবে ডিগ্রি পাস/অনার্স স্তরের পড়াশুনা শেষে। সংশ্লিষ্ট সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের এই কাজে যুক্ত করা হচ্ছে। তাদের নিয়েই সিলেবাস, কারিকুলাম তৈরি হবে। ডিপ্লোমা কোর্সের বা শর্ট কোস পরিচালনার সামর্থ্য আছে শুধু সে কলেজেই এসব ডিসিপ্লিনের কোর্সগুলো চলবে। কমিটির অন্য এক সদস্য বলেন, গ্রামে অনেক অনার্স-মাস্টার্স কলেজ রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাতে গোনা। এসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স চালুর প্রয়োজন নেই। কোনো কোনো কলেজের মানও নেই। নেই অবকাঠামো সুবিধাও। এসব কলেজগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে, এসব কলেজে অনার্স-মাস্টার্স বন্ধ করা হবে।’

বেসরকারি কলেজের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক যাদের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার তাদের ও তাদের পরিবারের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেছেন, অনার্স মাস্টার্স কোর্স বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিক্ষিত বেকার যাতে তৈরি না হন, শিক্ষার্থীরা যদি উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে চান, অনার্স-মাস্টার্স করতে চান তাদের এই কোর্সের পাশাপাশি অন্যান্য পেশাগত কোর্স করার ওপর জোর দেওয়ার কথা আমরা বলছি।

বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফোরামের সভাপতি নেকবর হোসেন বলেন, ‘২৮ বছর ধরে কোর্সগুলো চলছে, বন্ধ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা ছিল না; কিন্তু আমরা যখনই এমপিওভুক্তির দাবির জন্য সোচ্চার হলাম, তখনই অনার্স-মাস্টার্স কোর্স বন্ধের বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরা হলো। এটা অমানবিক। কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রেখে এমপিওভুক্তির দাবি জানান তিনি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘কোনো কোনো কলেজে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়না। যে শিক্ষক বেতন পান না, তিনি ক্লাসে কি পড়াবেন? তখন চিন্তা করা হলো, এভাবে কলেজে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি করে ভাল মানের শিক্ষা যদি দিতে না পারি, তার চেয়ে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি পড়ুক। তারপর কিছু শর্ট কোর্স ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করে দেব, যাতে চাকরি পাওয়া সহজ হয়।’

এমপিওভুক্ত কলেজগুলোতে ১৯৯৩ সালে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের অনুমোদন দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সারাদেশে এ ধরনের মোট ৩১৫টি সরকার অনুমোদিত বেসরকারি কলেজ রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিধিবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত স্কেলে শিক্ষকদের মূল বেতন দেওয়ার শর্তে অনার্স-মাস্টার্সের বিষয় পড়ানোর অনুমোদন নেয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কলেজের টিউশন ফি থেকে শিক্ষকদের বেতন ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দেয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এসব কলেজে ৬ হাজারের মতো শিক্ষক আছেন। আর শিক্ষার্থী আছে ৭ লাখের বেশি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কেউ চাকরি হারাবেন না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেছেন মন্ত্রী। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এই কমিটির শিক্ষকদের বেতন-ভাতার বিষয়ে কিছু বলা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। তিনি জানান, কলেজগুলোতে যখন অনার্স -মাস্টার্স কোর্স অনুমোদন দেওয়া হয় তখন শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে, এমপিওভুক্তি দাবি করতে পারবে না। বেতন-ভাতা দেখার দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের না।

ইউজিসি বলছে, মাস্টার্স স্তরের শিক্ষা শুধু বাছাই করা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। এখানেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বছাই করা উচিত। বর্তমানে স্নাতক শেষেই নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, দেশের উচ্চ স্তরে চার বছর মেয়াদী স্নাতক ডিগ্রিকে প্রান্তিক বা সর্বশেষ ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করা হয়। কাজেই মাস্টার্স পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম কেবলমাত্র বাছাইকৃত মেধাবী স্নাতকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত। স্নাতক পর্যায়ে ডিগ্রি অর্জনের পর সরাসরি মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ না রেখে উন্মুক্ত প্রতিযোগতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। এসব বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের পক্ষে মত দিয়েছে ইউজিসি। তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি ১০৭টি মিলিয়ে মোট ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ১৯ হাজার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ছেন। এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে অন্য সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন ৫৫ হাজার। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পড়ছেন ২৩ হাজার শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে মাস্টার্সে পড়ছেন ৪ লাখ শিক্ষার্থী। ইউজিসি বলছে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীর এই স্তরে পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় ও অনার্স কলজেসমূহে মাস্টার্স পর্যায়ে পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যানবেইসের হিসাবে, দেশের ৪ হাজার ৭০০ কলেজের মধ্যে মাস্টার্স কলেজ রয়েছে ১৯১টি। এসব কলেজের মধ্যে বেশিরভাগেরই নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। নেই সুযোগ-সুবিধা। ফলে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা পাচ্ছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

২০১৪ সালে প্রকাশিত ৪১তম প্রতিবেদনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র অধীনস্ত কলেজগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ইউজিসি। সেই প্রতিবেদনেও মাস্টার্সে ঢালাও ভর্তির বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, দেশের কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ করে কতিপয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের কলেজ থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও উচ্চশিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে, তবু শিক্ষার প্রত্যাশিত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ইউজিসির এসব সুপারিশের বিরোধিতা করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সবার উচ্চশিক্ষার অধিকার থাকা উচিত। নীতিমালা করে উচ্চশিক্ষার পথ বন্ধ করা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষার্থীরা সুপারিশ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন। অবকাঠামোগত সুবিধা নেই বিধায় উচ্চশিক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে সেটি উচ্চশিক্ষা সংকোচন, অনেক শিক্ষক নেতারাও এর বিরোধিতা করছেন। তারা বরং অবকাঠামো তৈরি করার কথা বলছেন, শিক্ষক তৈরি করার কথা বলছেন, আরও বলছেন সরকার কর্মমুখী শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে তবে উচ্চশিক্ষার সংকোচন চায় তার প্রমাণ হচ্ছে বেসরকারি কলেজগুলোর অনার্স স্তরের শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত না করা।

উপরোক্ত আলোচনাগুলো, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদক্ষেপ এবং বিরোধিতা সবগুলোই অত্যন্ত বাস্তব। আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের কলেজগুলো থেকে যারা অনার্স মাস্টার্স করছেন ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের অনেককেই চাকরির বাজারে অনেক বেগ পেতে হয়। তাই তার পাশাপাশি একটি কর্মমুখী শিক্ষার কথা, টেকনিক্যাল এডুকেশনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। আমার মনে আছে, আমি যখন বরিশাল সরকারি বি এ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ি, তখন দেখতাম অনেক বড় ভাইয়েরা সেখানে অনার্স ও মাস্টার্স পড়তেন। তাদের অনেকেই ডিগ্রি হোস্টেলে সিট না পেয়ে আমাদের উচ্চ মাধ্যমিকের হোস্টেলে থাকতেন। সেখানে তাদের বয়স্ক বাবা-মা মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন, কেউ কেউ এসে টাকা দিয়ে যেতেন। আমার তখন থেকেই মনে হতো এসব ভাইয়েরা যদি উচ্চশিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি একটি টেকনিক্যাল কাজও শিখতেন পারতেন তাহলে এই বৃদ্ধ বাবা-মা’র কাছ থেকে অর্থ নিতে হতোনা। অনেকবার পত্রিকায়ও লিখেছি,কয়েকবার বড় ফোরামেও কথা বলেছি। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। একদিকে শিক্ষার অধিকার সবার রয়েছে। শিক্ষাগ্রহনে কারুর জন্য কোন ধরনের বাধাঁর সৃষ্টি করা যাবেনা। সুকুমার বৃত্তির চর্চা, মানবিক গুণাবলীর চর্চা ও বিস্তার ঘটাতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে, সেটি কলেজে হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে হোক, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেখানেই হোক না কেন। কর্মমুখী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষাকে যান্ত্রিক করা যাবেনা। একজন মানুষ উপার্জন করতে পারবে এজন্য তাকে মানবিক গুণাবলীর চর্চা না করিয়ে শুধু উপার্জন উপযোগী করে তৈরি করলে সমাজে অর্থনৈতিক উন্নতি কিছুটা হবে হয়তো, কিন্তু মানবিক গুণাবলীর কি হবে? তাই, উচ্চশিক্ষার সংকোচন নয়। যে যে কাজই করুক না কেন, যে বয়সেরই হোক না কেন কেউ যদি চান যে, তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করবেন তাকে সেই সুযোগ দিতে হবে। এটি রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। শিক্ষাকে ধরাবাধা, কঠিন নিয়মের শৃঙ্খলে আটকানো যাবে না। আবার এটিও দেখতে হবে যে, শুধু চাকরির জন্য উচ্চশিক্ষাগ্রহণ করে কেউ যাতে পরিবার ও সমাজের প্রতি বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। এটি দেখার দায়িত্বও সমাজ ও রাষ্ট্রের।

লেখক: শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক

এসএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি