রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আনোয়ার জাহিদ থেকে মুরাদ হাসান, অতি ভক্তি সর্বনাশা


চাপের মুখে পদত্যাগকারী সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান টক অব দ্যা কান্ট্রি। তাঁকে নিয়ে এতো আলোচনা হচ্ছে যাতে মনে হতে পারে, দেশে আর কোন সমস্যা নেই। নেই খবরও। ইস্যুর বড়ই আকাল এবং তিনি যে অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তা যেনো এর আগে আর কখনো ঘটেনি। কিন্তু বাস্তবতা সেরকম নয়। এরপরও ডা. মুরাদ আলোচনার শীর্ষে। কারণ দুটি। এক. তাঁর অতিভক্তির বাহানা। দুই. নারী সংশ্রব। স্মরণ করা যেতে পারে এরকম ঘটনার উদাহরণ মোটেই বিরল নয়। একমাত্র তো নয়ই!

অতিভক্তির বাহানার বিষয়টিই ধরা যাক। তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদে আসিন থাকাকালে এই সেদিন,১১ নভেম্বর, ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে আগুনে ঝাঁপ দেব।’ একইভাবে অতিভক্তির আতিশয্যে কান্ডজ্ঞাণ হারিয়েছিলেন এরশাদ সরকারের তথ্যমন্ত্রী অনোয়ার জাহিদ।সামরিক সরকারের মন্ত্রী হবার আগে তিনি সাংবাদিকতায় নিয়োজিতো ছিলেন। তারও আগে সক্রিয় ছিলেন বাম ধারার রাজনীতির সঙ্গে।বিভিন্নমুখী প্রতিভা, সংশ্রব ও নানামুখি ব্যাপ্তি থাকা সত্তে¡ও আনোয়ার জাহিদ কান্ডজ্ঞানের সীমানায় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রপতি চাইলে রাস্তা ঝাড়ু দেব!’ অথচ তখন তিনি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তার কোন রাষ্ট্রীয় বা ব্যক্তিগত দায়িত্বের আওতায় ছিলো না। তবু তিনি ঝাড়ুদার হতে চেয়েছেন। কবিতার অমল কান্তি যেমন রদ্দুর হতে চেয়েছিলো।

তথ্যমন্ত্রী হয়েও অনোয়ার জাহিদ কেন ঝাড়ু দিতে চেয়েছেন? তথ্য প্রতিমন্ত্রী কেন আগুনে ঝাপ দিতে চেয়েছেন? অবশ্যই কারণ আছে। এ ব্যাপারে বহু আগে বলে গেছেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘যাহা বলের অসাধ্য, যাহা বিদ্যার অসাধ্য, যাহা ধনের অসাধ্য, যাহা কৌশলের অসাধ্য, তাহা কেবল একমাত্র তৈল দ্বারা সিদ্ধ হইতে পারে।’ এই চিরন্তন সূত্রের পথেই যুগেযুগে তোষামোদকারীরা হেটেছেন, হাটছেন এবং হাটবেন। এ পথের পথিক বহরে যুক্ত হয়েছেন আনোয়ার জাহিদ। এরপরও জেনারেল এরশাদের সঙ্গে বছর দুইর বেশি টিকতে পারেনি। বরং তার সবটুকু তেলই বিফলে গেছে। কারণ তাঁর তৈল মর্দনের কৌশল ও মাত্রায় ভুল ছিলো। তেলের তেলেসমাতি তড়িৎ প্রবাহের মতো হলেও বাড়াবাড়িতে সবই যায় বিফলে। জগত সংসারে তৈলে সিক্ত হয় না এমন মানুষ বিরল। তেল অব্যর্থ। কিন্তু তেল চর্চা করতে হয় কাল-মাত্রা বুঝে। কিন্তু স্থানভেদে তিন ফোঁটার জায়গায় চার হলেই লক্ষ্য অঙ্গকুড়ে বিনষ্ট হয়। সুতরাং তৈলে সিদ্ধ না হলে সিদ্ধিলাভ হয়না। যেমন হয়নি আনোয়ার জাহিদ ও ডা. মুরাদ হাসানের বেলায়। তারা একই মাত্রায় ব্যর্থ হলেও তৈল প্রয়োগের মাত্রা জ্ঞানে তুলনামূলক পরিমিতি বোধের পরিচয় দিয়েছেন ডা. মুরাদ। তা না হয়ে তিনি হয়তো টয়লেট পরিস্কার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করতেন।

যে মাত্রারই হোক, ডা.মুরাদের এই তৈল বচন লক্ষ্যহীন নয়। সকল তৈল বচনেরই উদ্দেশ থাকে। এ দিক থেকে মুরাদ হাসান বেশ পরিস্কার। প্রধানমন্ত্রী চাইলে আগুনে ঝাপ দেবার সংকল্প প্রকাশের দিনই নিজের বাসনার কথাও চাউড় করেছেন। বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি, সফল মানুষ। কিন্তু তাকে সহযোগিতা করার জন্য সেখানে আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।’ বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান ডা. মুরাদ। দায়িত্ব দেয়া হলে পালন করবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,‘প্রধানমন্ত্রী আমার মা। তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই পালন করবো। তিনি যদি বলেন, আগুনে ঝাপ দে, মুরাদ। আমি তাই করব।’

খুবই পরিস্কার, স্বাস্থ্য থেকে তথ্যতে আসা ডা. মুরাদ হাসান স্বরাষ্ট্রতে যাবার বাসনা করেছেন। হয়তো এই বাসনায় তিনি বিভোর ছিলেন। এখানেই ভুল হয়েছে। তাঁর ভুল দুই রকম। এক. তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মপদ্ধতি তলিয়ে দেখেননি, অথবা এ মেধা তার নেই। তা না হলে বুঝতেন, যতটা মনে করা হয় ততটা ক্ষমতা প্রয়োগ করেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা।এ বিষয়ে মরহুম আকবর হোসেনের বাণীসম একটি উচ্চারণ আছে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে কখনো মন্ত্রী থাকেন না।’ তিনি বুঝাতে চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসলে থাকে সরকার প্রধানের হাতে। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকেে শুরু করে সকল সরকার প্রধান বিভিন্ন মেয়াদে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজ হাতে রেখেছেন। ফলে অকাট্যভাবে প্রমানিত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যত গুরুত্বপূর্ণ ততই নিয়ন্ত্রিত। দুই. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস পাঠেও ডা. মুরাদের ভুল রয়েছে।তা না হলে বুঝতেন,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব বেশি সুখকর নয়। যে ধারায় বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে ৩২ জন ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়রে দায়িত্বে।এর মধ্যে মেয়াদ পূর্তিতে সফল আবদুল মতিন চৗধুরী। আর পরপর একাধিক মেয়াদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্তির রেকর্ড করেছেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ইতিহাসের দিকে তাকালে বুঝা যাবে, একুশ বছর একটানা ক্ষমতার বাইরে থাকার পর ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিক পৌনে তিন বছরের মাথায় দপ্তর হারিয়েছেন। মাস কয়েক ‘উজিরে খামাখা’ থাকার পর মন্ত্রিপরিষদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এটি স্ববিচেনায় করেছেন নাকি করতে বলা হয়েছে তা জানা যায়নি। এরপর আজতক তাঁকে আর মন্ত্রী করা হয়নি। যদিও বাসনা ছিলো প্রবল। থাকারই কথা। কিন্তু সন্তষ্ট থাকতে হয়েছে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ প্রাপ্ত হয়েই। তবে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন শক্ত অবস্থানে। এবং বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ ইমেজের মন্ত্রী ছিলেন মেজর রফিক। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় মোহাম্মদ নাসিমকে। গদিসীন হয়েই তিনি মাটির নীচ থেকে সন্ত্রাসী ধরে আনার হুংকার দিলেন। কিন্তু বাস্তবে সেরকম কিছুই করতে পারেননি তিনি। পর্যবেক্ষকদের মতে তিনি আসলে সরকারকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবার মতো কর্মকান্ড করেছেন দুই বছরের মেয়াদে।
পরের সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। কিন্তু তার অভিজ্ঞতাও সুখকর হয়নি। বিদায় ঘন্টাবাজে আলতাফ চৌধুরীর। তবে কক্ষচ্যুত হলেও নক্ষত্রের পতন হয়নি। পাকিস্তান লবীর এজেন্ট হিসেবে পরিচিত আলতাফ চৌধুরী লাভ করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আসেন লুৎফুজ্জামান বাবর। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত লুৎফুজ্জামান বাবর কয়েক বছর ধরে মৃত্যুদন্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে আছেন। তিনি শারীরকি ও মানসিকভাবে বিপর্যস্থ। তার খবর কেউ রাখে না।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয় এডভোকেট সাহারা খাতুনকে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি কখনই কোমর সোজা করেই দাঁড়াতে পারেননি। বরং এ দায়িত্বে থাকাকালেই বাধরুমে পড়ে গিয়ে কোমর ভেঙ্গেছেন। এরপর তার কপালও ভাঙ্গে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সড়িয়ে তাঁকে দেয়া হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে আসেন মহা প্রতাপের সাবেক আমলা মহিউদ্দিন খান আলমগীর। কিন্তু রানাপ্লাজা ট্রাজেডির পর ‘ঝাকি তত্ত¡’ দিয়ে আলোচিত হলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ছিলেন অনুজ্জ্বল। ফলে এক পর্যায়ে স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয়ের সরাসরি দ্বায়িত্ব নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে সরে গিয়ে সোহেল তাজ বেছে নেন প্রবাস জীবন। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ও স্নেহের বন্ধনও তাঁকে আর মন্ত্রণাালয়ে ফেরাতে পারেনি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এবং সরকার প্রধানের প্রশ্নাতীত আস্থার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান খান কামাল একটানা দায়িত্বে আছেন ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই থেকে। দীর্ঘতম সময়ের এই স্বরাস্ত্রমন্ত্রী ব্যাপারে অগ্রহণযোগ্য কথা বলে বসলেন ডা. মুরাদ হাসান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সহযোগিতা করার বাসনাও প্রকাশ করলেন নগ্নভাবে। যা সরকারকে বিব্রত করেছে। কিন্তু ডা. মুরাদ এ পরিস্থিতি অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন। উল্টো হয়তো ভেবেছেন, আকাশের ঠিকানায় লেখা তাঁর এই বাসনার চিঠি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ বিভ্রম থেকেই তিনি অধিকতর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। হয়ে পড়েন বেসামাল। পরিণতিতে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়। তার ভাগ্য ভালো। পত্রপাঠ বিদায় করা হয়নি। যেমনটা হয়েছিলো মিজানুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ার জাহিদকে।
ডা. মুরাদ হাসানের অধপতনের মূলে রয়েছে দূরাশা জনিত বেসামাল কথাবার্তা এবং আদিম রিপুর অনিয়ন্ত্রিত তাড়না। হয়তো তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার সুবাদে নায়িকা মাহিদের সহজে কাছে পেতেন ডা. মুরাদ। এ ধারায় এ মন্ত্রণালয়ের সাবেক এক প্রতিমন্ত্রী বেশ আলোচিত ছিলেন। তিনি আবার রাজনৈতিক গবেষক হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। গবেষণা লব্ধ তার একাধিক বই রয়েছে। তবে তিনি চিহ্নিত হবার অবস্থায় পতিত হননি। তবে চিহ্নিত হয়েছেন ডা.মুরাদ এবং গদি হারিয়েছেন।এ ধরনের ঘটনায় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম আলোচনায় আসেন সেময়ের তথ্যমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী। বলা হয়, এ কারণেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়েছিলো। তিনি এখন পরপারে। কিন্তু যাকে নিয়ে কান্ড সেই নায়িকা এখনো জীবিত। এদিকে খালেদা সরকারের এক পূর্তমন্ত্রী এমন এক নায়িকার সঙ্গে কান্ডে জড়িয়েছিলেন যিনি পরপারে গেছেন।

এ রকম আরো অনেক ঘটনা আছে। আছে রটনাও। যা সামরিক সরকারের সময় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে ছিলো। যে কারণে চিহ্নিত সুন্দরীদের সচিবালয়ে প্রবেশে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা নোটিশ জারী করা হয়েছিলো। তবে এতে কোন ফলোদয় হয়নি বলে মনে করা হয় বরং এরশাদ সরকারের সময় এই ধারা পৌছায় সর্বোচ্চ অবস্থানে এবং কে না জানে, জেনারেল এরশাদ ছিলেন এ প্রবনতার পালের গোদা। যে ধারায় অনেকেইে যুক্ত হয়েছেন। সে সময় আলাচিত সুন্দরী মানেই ধরে নেয়া হতো, এরশাদের বান্ধবী। অনেকে আবার এরশাদের ধারে কাছে ঘেষার সুযোগ না পেয়েও নিজেকে এরশাদের ঘনিষ্ঠ হসিবেে পরিচয় দিতেন সিদ্ধি লাভের কৌশল হিসেবে। অবশ্য, এ ধারা চিরকালীন। শিকার এবং শিকারীর আকাল হয় না কোন কালেই। এ এক চলমান ধারা।

এ ধারায় মোহাবিষ্ট হয়ে প্রতিমন্ত্রীর আসনে থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসান কান্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। যার অনিবার্য পরিণতির পথে এখন হাটছেন তিনি। এ পথের বেশামাল পথিক হয়ে এরই মধ্যে তিনি পতিত হয়েছেন। মন্ত্রিত্বেরও অবসান হয়েছে। এখন রাজনৈতিক জীবনের চির অবসান সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ থেকে কেউ কেউ হতো ধারণা করতে পারেন, ডা. মুরাদের পরিণতি দেখে অনেকেই সাবধান হবেন। কিন্তু বাস্তবতা আসলে সেরকম নয়। সমস্যার মূলে না গেলে এ রকমের উপদ্রব এবং অনৈতিকতা ধারার অবসান হবার নয়।

এ বিষয়টি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আরো একটি বিষয় বিবেচনা করা দরকার। তা হচ্ছে, ডা. মুরাদ হাসান কি কেবল বিকারগ্রস্থ হয়েই কথা বলেছেন? নাকি কোন চক্রের দাবার ঘুটি হিসেবে খেলেছেন। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে খেপিয়ে তোলার মিশনে ছিলেন তিনি? আরো প্রশ্ন আছে। নায়িকা মাহির সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে ডা. মুরাদের ফোনালাপ এ সময় ফাঁস হবার রহস্য কি? একটি ঘটনাচক্র, নাকি ঘটানো!

লেখক : জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি