শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের আশপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা এবং সচিবালয়। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনা এবং সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অরডিন্যান্স (অরডিন্যান্স নম্বর-৩/৭৬)–এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ২৬ আগস্ট (সোমবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের (যমুনা) আশপাশের এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।

এর আগে গতকাল রোববার সামনে আনসার সদস্যরা বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকে রাখে। যদিও তার আগে তাদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আন্দোলনের স্থগিতের ঘোষণা দেন। সেখানে আনসারদের আন্দোলনের সমন্বয়ক নাসির মিয়াও ছিলেন।

তারপরও সংঘাত পরিস্থিতি সৃষ্টিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন আনসার সদস্যরা। এমন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে থেকে আন্দোলনের নামে মারমুখী হয়ে উঠলে এবং সমন্বয়কদের আটকে রাখার খবরে শিক্ষার্থীরা সেদিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করলে বেধরক পেটান তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, আনসারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ মিলে তাদেরকে পিটিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে আহত করেছেন। গুলির শব্দ শুনলেও গুলিবিদ্ধের খবর এখনও তাদের কাছে পৌঁছেনি। আহতদের অনেকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। অনেকে এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

যদিও কয়েক মিনিটেই সচিবালয়ের চারদিক দখলে নেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, হামলা শুধু যে আনসার সদস্যরা করেছেন তা নয়, তাদের সঙ্গে ছিলেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেকে। শিক্ষার্থীদের স্রোত দেখে তারা পালিয়ে যান।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

ভারতীয় ভিসা নীতিতে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট এখন প্রায় যাত্রীশূন্য। যেখানে আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ হাজার যাত্রী পারাপার হতো, সেখানে এখন এই সংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র এক হাজারে। ফলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দিন কাটাচ্ছেন ফাঁকা বসে, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, ২২ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মাত্র ১৫,০১৮ জন যাত্রী এই চেকপোস্ট দিয়ে পারাপার করেছেন। এর মধ্যে ৭,৫৭৯ জন গেছেন ভারতে, আর ফিরে এসেছেন ৭,৪৩৯ জন।

প্রতিদিনের যাত্রী চলাচলের চিত্র—
২২ জানুয়ারি: ১,৮২৪ জন (ভারতে গেছেন ৯৭৩, ফিরেছেন ৮৫১)
২৩ জানুয়ারি: ১,৮২৮ জন (ভারতে গেছেন ৯৩৭, ফিরেছেন ৮৯১)
২৪ জানুয়ারি: ১,৮৪৭ জন (ভারতে গেছেন ৯৫৪, ফিরেছেন ৮৯৩)
২৫ জানুয়ারি: ১,৫১৩ জন (ভারতে গেছেন ৬৬৮, ফিরেছেন ৮৪৫)
২৬ জানুয়ারি: ১,৮১১ জন (ভারতে গেছেন ৮৭০, ফিরেছেন ৯৪১)
২৭ জানুয়ারি: ১,৯৭১ জন (ভারতে গেছেন ১,০৭৪, ফিরেছেন ৮৯৭)
২৮ জানুয়ারি: ১,৯৪৩ জন (ভারতে গেছেন ৯৮২, ফিরেছেন ৮৯৭)
২৯ জানুয়ারি: ২,২৮১ জন (ভারতে গেছেন ১,১২১, ফিরেছেন ১,০৬০)

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে যান, তাদের প্রত্যেককে ১,০০০ টাকা 'ভ্রমণ কর' ও ৫৫ টাকা 'প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ফি' দিতে হয়। তবে ফেরত আসা যাত্রীদের জন্য কোনো কর নেই।

সরকারের রাজস্ব আয়ে ব্যাপক পতন হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, বেনাপোল বন্দর থেকে বছরে ভ্রমণকর থেকে গড়ে ১৮২ কোটি টাকা আয় হতো। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে এটি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। আগে যেখানে মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকা রাজস্ব আসত, এখন তা নেমে এসেছে মাত্র ৩ কোটি টাকায়।

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রফিউজ্জামান জানান, "বাংলাদেশিদের বিদেশ ভ্রমণ কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাওয়া। বর্তমানে ভারত ভিসা দিচ্ছে না বললেই চলে। যাঁরা সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেছেন, তাদের বেশির ভাগেরই আগেই ইস্যু করা ভিসা ছিল। ভিসা সীমিত থাকায় সামনের দিনগুলোতে যাত্রী সংখ্যা আরও কমতে পারে।"

বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এখন ভিসাকেন্দ্রগুলো কেবল জরুরি মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সীমিত স্লট দিচ্ছে। ব্যবসা ও পর্যটন ভিসা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।

ফরিদপুরের রনধীর সাহা ও ঢাকার রমেশ শীল তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তড়িঘড়ি করে ভারত সফর করেছেন।

রনধীর সাহা বলেন, "ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল, তাই দ্রুত ভারতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করে এলাম।"

রমেশ শীল জানান, "ভিসার মেয়াদ এই মাসেই শেষ, তাই চিকিৎসার জন্য ভারত যেতে বাধ্য হলাম।"

অন্যদিকে, বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় নাগরিক আবুল কাশেম বলেন, "আগে বেনাপোল চেকপোস্টে প্রচণ্ড ভিড় থাকত, এবার কোনো ভিড় নেই। আল্লাহর রাস্তায় যাচ্ছি, ভালো লাগছে।"

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইমতিয়াজ মো. আহসানুল কাদের ভূঁইয়া জানান, "স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার যাত্রী ভারতে যেত। এখন সেটি নেমে মাত্র ৮০০ থেকে ১,০০০-এ দাঁড়িয়েছে। ভিসা জটিলতা না কাটলে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যাত্রী পারাপার শূন্যের কোটায় চলে যেতে পারে।"

বর্তমানে যারা যাতায়াত করছেন, তাদের বেশিরভাগেরই ভিসার মেয়াদ শেষের পথে। ভিসা ইস্যুর বিষয়টি শিগগিরই স্বাভাবিক না হলে বাংলাদেশের সরকারি রাজস্ব কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।

নিহত মুসল্লির নাম লোকমান হোসেন খান (৬০)। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তাবলিগ জামাতের শুরায়ি নেজামের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান।

এদিকে, আজ ফজরের নামাজের পর থেকে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এবারের ইজতেমা ছয় দিনব্যাপী দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন, যা ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এরপর ২৩ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইজতেমার মূল আয়োজন শেষ হওয়ার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে মাওলানা সাদপন্থিদের তিন দিনের পৃথক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও সাংবাদিক দেব চৌধুরী ইসলাম গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুমার নামাজের পর রাজধানীর দারুসসালাম শাহী মসজিদে তিনি শাহাদাহ পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত তার জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

ইসলাম গ্রহণের আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেব চৌধুরী বলেন, "আমি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় আজ ইসলাম গ্রহণ করছি। যদিও আমি এখনো আরবি পড়তে পারি না, তবে আমার ঘরে কোরআনের বাংলা অনূদিত তিনটি কপি রয়েছে।" তার এই মন্তব্যে নতুন ধর্মের প্রতি তার আন্তরিকতা ও বিনয় প্রকাশ পেয়েছে।

শাহাদাহ পাঠের পর মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। অনেকেই তাকে আলিঙ্গন করেন এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুল ও পোশাক উপহার দেন। তার ইসলাম গ্রহণের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

দেব চৌধুরীর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশি ক্রীড়াঙ্গন ও গণমাধ্যমের জন্য এক ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। ইসলাম গ্রহণের পর তার নতুন নাম কী হবে এবং এই পরিবর্তন তার পেশাগত জীবনে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়েও কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীশূন্যতা, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
বিশ্ব ইজতেমায় এক মুসল্লির মৃত্যু
ক্রিকেট বিশ্লেষক দেব চৌধুরীর ইসলাম গ্রহণ
নোবেল শান্তি পুরস্কারের দৌড়ে ইলন মাস্ক, পরপর দুই বছর মনোনীত
সারজিস আলমের নির্বাচনী আগ্রহ, কয়েক মিনিট পরেই সরিয়ে নিলেন পোস্ট
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করলেই ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
আল হিলাল ছেড়ে কোন ক্লাবে যাচ্ছেন? জানালেন নেইমার নিজেই
টিকটকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট, মেয়েকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ৫ প্রাণ
ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
সবজির দামে ক্রেতাদের স্বস্তি, বাজার চড়া তেল-চালের
বিশ্ব ইজতেমায় ৭২ দেশের ২১৫০ জন বিদেশি মেহমান এসেছেন
ওমরাহ করতে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ বাবর, দুবাই হাসপাতালে ভর্তি
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান ৫ দিনের রিমান্ডে
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আজও অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে নিজ বাড়ির পাশে পড়ে ছিল যুবকের গলাকাটা মরদেহ
গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার
ছাত্রদল নেতার সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়নে অনিয়মের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ছাত্রদের চাপে সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামানের হাতে হাতকড়া, ডিম নিক্ষেপ