‘আতঙ্ক ছড়ানোর প্রতিবাদে শোভাযাত্রায় মানুষের অংশগ্রহণ বেশি ছিল’

মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এখন এটি ওয়ার্ল্ড মেমোরি অব হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশ্বের প্রতিটি জনগোষ্ঠীর এটি অসাধারণ সম্পদ। সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এখন সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
তিনি বলেন, এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টি ও দর্শনের প্রতিফলন। এটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার বার্তা দিয়ে থাকে। যে আতঙ্ক ছিল, সেটির প্রতিবাদে সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সব ধরনের উগ্রবাদীতা, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এটি একটি প্রতিবাদ।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে আবার চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়।
কেএম/আরএ/
