জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক তুলে দেওয়া হয়।
এবারের তালিকার সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন। কেবল শিক্ষা ও গবেষণা ক্যাটাগরিতে বদরুদ্দীন উমর জীবদ্দশায় এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
তবে তিনি আগেই এক বিবৃতির মাধ্যমে পুরস্কার গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তার পদকের রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে।
অন্যদিকে এবার ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ নামে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। তার পদক গ্রহণ করেন মা রোকেয়া খাতুন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন জামাল নজরুল ইসলাম। প্রয়াত এ অধ্যাপকের পদক গ্রহণ করেন তার মেয়ে সাদাফ সাদ সিদ্দিকী।
সাহিত্যে অবদানের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (কবি আল মাহমুদ)। তার পদক তুলে দেওয়া হয় কবিকন্যা বেগম আতিয়া মীরের হাতে।
সংস্কৃতিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন নভেরা আহমেদ। প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তার পদক পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সমাজসেবায় পুরস্কার পাওয়া স্যার ফজলে হাসান আবেদের পদক গ্রহণ করেছেন তার ছেলে শামেরান আবেদ।
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খানের (পপ সম্রাট আজম খান) পদক দেওয়া হয়েছে তার মেয়ে অরণী খানের হাতে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৫০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, তিন লাখ টাকা এবং সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ।