রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত

নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন- জাগরণের সুরবাণীর মধ্য দিয়ে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের নববর্ষের প্রথম প্রভাতে, সত্য-সুন্দরকে পাওয়ার অভিলাষী ছায়ানটের আহ্বান, ‘দূর করো অতীতের সকল আবর্জনা, ধর নির্ভয় গান’।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখ ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে মাঝ সকালে সেভাবে লোক সমাগম না হলেও, ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। বাহারি রঙয়ের লালা-সাদা-হলুদসহ বাহারি রঙয়ের পোশাকে সেজে এসেছেন। কারো মাথায় ফুল, কারে মাথায় ‘এসো হে বৈশাখ’ লেখা গামছা।
বেলা ৬টা ১৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে ছায়ানটের বর্ষবরণ চলে বেলা ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। শুরুতেই আট মিনিট ধরে চলে আহির ভৈরব সুরের সারেঙ্গি বাদন। এ ছাড়া বর্ষবরণে সম্মিলিত গান থাকবে ১০টি, একক গান ১১টি, আবৃত্তি থাকবে দুটি এবং সবশেষে জাতীয় সঙ্গীতে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই থেকে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের আয়োজন। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। এর মধ্যে করোনার কারণে ২০২০–২১ সালে বর্ষবরণের এই আয়োজন সম্ভব হয়নি। দুই বছর পর গত বছর সাড়ম্বরে রমনার বটমূলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করে ছায়ানট।
আরএ/
