রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

পহেলা বৈশাখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। এ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন। অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, সবাইকে বঙ্গাব্দ ১৪৩০ এর শুভেচ্ছা। পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চলছে নানা ধরনের প্রস্তুতি। এদিন উপলক্ষে সারাদেশের অনুষ্ঠানরত জায়গায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেকোনো নাশকতা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, র্যাবের গোয়েন্দা ও সাইবার মনিটরিং কাজ করছে। এবার কোনো জঙ্গি হামলার শঙ্কা নেই, তবুও আমরা এসব বিষয়ে সর্তক রয়েছি।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে বৈশাখের আয়োজন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে গোটা দেশেই অনুষ্ঠানের এলাকায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) আওতায় আনা হয়েছে। তা ছাড়া পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সারাদেশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই । তারপর ও সারা ঢাকায় ব্যাপক ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, যে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান বা দিবস উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও পহেলা বৈশাখে তার ব্যতিক্রম হবে না। আগের মতো জঙ্গি নাশকতাসহ সব বিষয় মাথায় রেখে সারাদেশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষকে একটি শান্তিপূর্ণ বর্ষবরণ উপহার দিতে পুলিশবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চলমান রেখে কাজ করছে।

কেএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

শিলংয়ে ঝামেলায় বিরক্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের শিলংয়ে অবস্থান করা বাংলাদেশ ফুটবল দল একের পর এক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কলকাতা হয়ে শিলংয়ে পৌঁছানোর পর তাদের লাগেজ পেতে অনেক সময় লেগে যায়। দুপুরে হোটেলে উঠলেও কিছু খেলোয়াড় তাদের লাগেজ পান রাতের দিকে। এছাড়া আগে থেকেই বুকিং করা হোটেলে পর্যাপ্ত রুম না থাকায় লবিতে অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেককেই।

অনুশীলনের ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ দলকে অনুশীলন করতে হয়েছে উঁচু-নিচু, অসমান মাঠে, যেটিকে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আদর্শ মনে করেননি। আজ শনিবার তারা অনুশীলন করেছেন টার্ফের মাঠে।

বাংলাদেশের মূল ভেন্যুতে অনুশীলনের অনুমতি চাইলেও অল ইন্ডিয়ান ফুটবল ফেডারেশন সেটি দেয়নি। অথচ ভারতীয় দল জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে টানা অনুশীলন করে যাচ্ছে। এছাড়া শনিবার অনুশীলনের সময় নিয়েও বিভ্রান্তি দেখা দেয়। প্রথমে সন্ধ্যা ৬টায় অনুশীলনের সময় নির্ধারণ করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে সাড়ে ৭টায় নেওয়া হয়।

রাইট ব্যাক সাদ উদ্দিন এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “এটা আমাদের জন্য ডিস্টার্বিং। আমাদের অনুশীলনের সময় নিয়ে পরিবর্তন হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।”

বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, “আমরা টার্ফে অনুশীলন করতে চাইনি। ঘাসের মাঠ চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়তো ওদের সীমাবদ্ধতা বা অন্য কোনো কারণ ছিল। এগুলো নিয়ে আমরা ভাবছি না। আমরা অনুশীলনে মনোযোগ রাখছি, অন্য কিছুতে নয়।”

২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ঘাসের মাঠে হবে, অথচ এর দুই দিন আগে টার্ফে অনুশীলন করায় ক্ষতির শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবুও দলটি সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সফলতার আশায় আছে।

Header Ad
Header Ad

আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী

সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। দেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার। পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। তাই আলোচনা কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে, যাতে রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।

রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমাদের সবাইকে সহনশীল হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত শক্তিশালী করার জন্য অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন, একটি ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১, ৯০’র আন্দোলনে এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী দেশের জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই আমাদের এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে, সম্মান দেখাতে হবে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, সতর্ক থাকতে হবে যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে আমাদের দ্বারা সেসব প্রতিষ্ঠানের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। মনে রাখতে হবে ৭১’ সালে আমাদের দেশের সেনাবাহিনী সর্বোপরি এ দেশের জনগণের সঙ্গে ছিল। সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা মেজর, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পক্ষে কাজ করেছে। আমরা ৯০’ এর আন্দোলনেও দেখেছি আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ২০২৪ সালেও দেখেছি এই সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জনগণের পক্ষে থাকার কারণেই আমাদের আন্দোলন তীব্র তীব্রতর হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মর্যাদা দিতে হবে আমাদেরকে সম্মান দেখাতে হবে।

রিজভী বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের কোনো পথ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজগুলো আমাদের করতে হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ছাত্র-জনতা, শ্রমিকরা প্রত্যেকে একযোগে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের কাঠামো আরও মজবুত করতে হবে। শক্তিশালী গণতন্ত্র আমাদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি নাগরিক যেন তার প্রাপ্য স্বাধীনতা পায় এরকম একটা রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপন

জাঁকজমকপূর্ণ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন চ্যান্সেরিতে রোববার সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপিত হয়েছে।

বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ দেশটির জাতীয় সংগীত বাজানোর মাধ্যমে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সঙ্গে তিনি ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চের ঐতিহাসিক ক্ষণটিকে স্মরণ করেন। যেদিন কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনের দূরদর্শী নেতারা পাকিস্তান প্রস্তাব পাস করেন, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমির ভিত্তি স্থাপন করেন।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের বার্তা পাঠ করা হয়। এতে দিবসের তাৎপর্যের ওপর জোর দেওয়া এবং অগ্রগতি ও ঐক্যের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

আগত অতিথিদের সম্ভোধন করে হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও ভুটানে বসবাসরত পাকিস্তানি প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য প্রদত্ত ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং এ ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন। সৈয়দ আহমেদ মারুফ এ সময় পাকিস্তান আন্দোলনে বাংলার নেতাদের ভূমিকাও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্য, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং হাইকমিশনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শিলংয়ে ঝামেলায় বিরক্ত বাংলাদেশ ফুটবল দল
আমাদের কথাবার্তায় সহনশীলতা দেখাতে হবে: রিজভী
ঢাকায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পাকিস্তান দিবস উদযাপন
সৌদিতে ওমরাহযাত্রী বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ৬ জন
তালেবান নেতার মাথার বিনিময়ে কোটি ডলারের পুরস্কার বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
রাজধানীতে ঈদের দিন আনন্দ মিছিল ও দিনব্যাপী মেলার আয়োজন
দেশের নাম পরিবর্তন করা উচিত বলে আমরা মনে করি না: সালাহউদ্দিন
জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর