সাংবাদিক নীতিমালা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটের সময় সংবাদ সংগ্রহে নির্বাচন কমিশন প্রণীত ‘সাংবাদিক নীতিমালা’ আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে। তিনি সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, নীতিমালা নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই’।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই আশ্বাস দেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা চায়, সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটাই চায়।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (১২ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রকাশ করে। যেখানে ভোটের সময় মোটরসাইকেল চলাচল এবং ভোট কক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞাসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। আর আজ সিইসি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নাই।
সিইসি বলেছেন, লক্ষ্য নিয়েই আমরা সব বিষয়ে একটা শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করব। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেই জিনিসটা মাথায় রেখেই হয়তো নীতিমালাটা করেছি। তারপরও যেহেতু আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটা করবেন, আপনাদের মতামতগুলো নিয়ে আমরা বসে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব এবং আপনাদেরকে যথাসময়ে অবহিত করব।
এই নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত কার্ডধারী সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে অন্তত এক ডজন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। সাংবাদিকদের উপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপের পর সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি।
এসব বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য একটা নীতিমালা জারি করেছি। এটা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।
যদি প্রয়োজন হয়, ওই নীতিমালায় সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা যাবে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করব। বিভিন্ন সূত্র থেকে যেসব মতামত বা সমালোচনা আসবে বা এসেছে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখব যে নীতিমালায় কোনো অধিকতর সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের কোনো প্রয়োজন আছে কি না। সে বিষয়গুলো আমরা দেখে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেব। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও এক ডজন নির্দেশনাসহ সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা করা হয়েছিল। তখনো মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে পরে সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের ছাড় দেওয়া হয়।
এনএইচবি/এসজি
