শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ | ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘নিজেদের টাকার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালাতে পারব না কেন’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রবিবার (৯ এপ্রিল) বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে পারবে, তবে শুধু পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। সেতুমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর মোটরসাইকেল চালকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, সব জায়গায় মোটরসাইকেল যদি চলতে পারে তাহলে পদ্মা সেতু দিয়ে কেন মোটরসাইকেল চলতে পারবে না?

সম্প্রতি বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল চালকের সঙ্গে কথা হলে তারা এমন মন্তব্য করেন। তারা প্রশ্ন করে বলেন, নিজেদের টাকায় তৈরি পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে চলতে পারব না কেন?

চালকদের দাবি, উত্তরবঙ্গের বঙ্গবন্ধু সেতু বা অন্যান্য সেতু দিয়ে যদি মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারে তাহলে দক্ষিণবঙ্গের পদ্মা সেতু দিয়ে কেন মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না? মোটরসাইকেল কি টোল দেয় না? নাকি এর রোড পারমিট নেই? সরকার এই যানবাহন থেকে তো ভ্যাট নেয় তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন?

হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজে ওঠার আগে মোটরসাইকেল চালক জসিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কি এমন সেতু হলো যে মোটরসাইকেল চলবে না? ঈদের সময় শতভাগ বাস পাওয়া যায় না। আমি প্রতি বছরই মোটরসাইকেল চালিয়ে শরীয়তপুর আমার গ্রামের বাড়িতে যায় কিন্তু এই ঈদে যেতে পারব না মনে হচ্ছে। মোটরসাইকেল তো একটি যানবাহন, পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল কেন চলবে না সেটি আমার বুঝে আসে না? আমার টাকার পদ্মা সেতুতে বাইক নিয়ে চলতে পারব না কেন?

বাসযোগে গ্রামের বাড়িতে যেতে পথে পথে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় এজন্য প্রতি বছর মাগুরায় মোটরসাইকেল চালিয়ে যান মেহেদী হাসান, পদ্মা সেতু দিয়ে তিনি এবার বাড়িতে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তু পদ্মায় মোটরসাইকেল না চলায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এবারও মনে হচ্ছে পদ্মা সেতু আমার কোনো উপকারে এল না। দৌলতদিয়া- আরিচা ঘাট দিয়ে গ্রামের বাড়িতে যেতে হবে। এটা খুবই দুঃখজনক।

প্রতি বছর দৌলতদিয়া ও আরিচা ঘাট হয়ে বাড়িতে যান নড়াইলের মো. জসিম। জসিম বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে বাড়িতে গেলে আমাদের অনেক সময় কম লাগে। ঈদের সময়মতো গাড়ি পাওয়া যায় না, এজন্য নিজের মোটরসাইকেলে চলে যায় অথচ পদ্মা সেতু হওয়ার আগে এ রাস্তা দিয়ে ফেরি অথবা লঞ্চে যাওয়া গেছে এখন কোনোভাবেই মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া যাবে না। এটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। পদ্মা সেতু হয়ে আমাদের মোটরসাইকেল চালকদের তেমন কোনো লাভ হলো না।

সেতু হওয়ার আগে এই রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেলযোগে চলাচল করতেন মোহাম্মদ মাসুদ রানা। মাসুদ অভিযোগ করে বলেন, সব জায়গাতে মোটরসাইকেল চললে পদ্মা সেতুতে কেন চলবে না? আমি মনে করি এটা সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত হচ্ছে। আমরা দক্ষিণবঙ্গের মানুষ গ্রামের বাড়িতে তাহলে কিভাবে যাব? তিনি বলেন, সবার জন্য বাসের টিকিট নিশ্চিত করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।

প্রতি বছর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মটরসাইকেলে পরিবার নিয়ে বাড়িতে যান মো. জামাল হোসেন। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল কি টোল দেয় না? নাকি এর রোড পারমিট নেই? সরকার এই যানবাহন থেকে তো ভ্যাট নেয় তাহলে এমন সিদ্ধান্ত কেন?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রী কল্যাণ আন্দোলনের সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কিছু কিছু দেশে সরকার কিছু কিছু যানবাহনের উপরে চলাচলের একটি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকেন। ওই সব নির্দেশনা কিছু কিছু এলাকাভিত্তিক হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সরকার এমন আইন তৈরি করেনি যে রাস্তায় মটরসাইকেল চলবে না। কাজেই পদ্মা সেতু দিয়ে কেন মোটরসাইকেল চলবে না সরকারের এক্সপার্ট যারা আছেন তারা এই বিষয়ে যুক্তি দেবেন হয়তো।

তিনি বলেন, অন্যান্য যানবাহনের মতো মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করা হয়। রোড পারমিটও রয়েছে, তাহলে মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু দিয়ে কেন চলবে না সেটাই আমাদের বড় প্রশ্ন? পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল না করার কোনো কারণ আমরা দেখছি না। সবাই চলতে পারলে মোটরসাইকেল অবশ্যই চলবে কেন মোটরসাইকেল বন্ধ করা হলো সেই জবাব সরকারের জনসম্মুখে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুসহ দেশের অন্যান্য সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করলেও পদ্মা সেতুতে নিষিদ্ধ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাইলফলক স্থাপন করা এই সেতুতে দীর্ঘ ৯ মাসের বেশি সময় বাইক চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেতুটি চালুর পর প্রথম ঈদুল ফিতর হচ্ছে এবার। মোটরসাইকেলের খসড়া নীতিমালা সামনে আসায় বাইকারদের অনেক প্রশ্ন। পদ্মা সেতু দিয়ে প্রথম ঈদযাত্রায় কোনো মোটরসাইকেল চলবে না। অন্য সেতু দিয়ে চলাচল করলেও পদ্মা সেতুতে কেন নয়?

কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মা সেতুতে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং সেতুটি নিরাপদ রাখতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ৯ মাসে সেতু দিয়ে বাহনটি চলাচল করতে দেওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। শিগগিরই নতুন কোনো সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনাও নেই। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় বর্তমান আদেশ বহাল থাকছে—মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

আদেশ বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করে সম্প্রতি বনানীর বিআরটির কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন-২০২৩ উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ করতে মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মোটরসাইকেল চলাচলের বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলবে না, এটি কি আমরা বলেছি? তবে শুধু পদ্মাসেতু বাদে সব মহাসড়কেই মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে।

সেতুমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর বাইকচালকেরা বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এটা সরকারের কেমন সিদ্ধান্ত।

২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করার পরদিন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক বাইক সেতুটি দিয়ে পার হয়। এর মধ্যেই ওই দিন রাতে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারাত্মক আহত হন এবং এর মধ্যে একজন মারা যান। ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরদিন সেতুটি দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার।

এরপর এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন সকাল ছয়টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য না করলেও ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা। তারা বলছেন, এক দেশে দুই নীতি চলতে পারে না। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বাইক চলাচল করতে সমস্যা না হলে পদ্মা সেতুতে কেন নিষিদ্ধ থাকবে। সামনেই ঈদুল ফিতর, তখনো কি এই সেতু দিয়ে বাইক চলাচল বন্ধ থাকবে?

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অতিরিক্ত পরিচালক (পদ্মা সেতু সাইট অফিস) বলেন, পদ্মাসেতু দিয়ে মটরসাইকেল চলাচলের এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা ছাড়া এই বিষয়ে আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মটরসাইকেল চলাচলের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়েছেন। আপাতত আমরা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। পদ্মা সেতু দিয়ে বাইক চললে একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে সবাইকে জানানো হবে।

এদিকে গত ২৯ মার্চ পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের উপর আরও ৪ সপ্তাহের জন্য স্ট্র্যান্ডওভার (মুলতবি) করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এ চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখে পরবর্তী আদেশ দেবেন। তার মানে আরও এক মাস পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের কোনো সম্ভাবনাই নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিট আবেদন করা আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের রিটের আবেদনের উপর আদালত একটি সময় দিয়েছেন। বর্তমানে রিটটি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

আরইউ/এসএন

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন