বছরে ১২ লাখ শিশু পাচারের শিকার: মানবাধিকার কমিশন

মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘অনিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়াই মানবপাচারের অন্যতম কারণ। ১২ লাখ শিশু প্রতি বছর পাচারের শিকার হয়।’
সোমবার (২৭ মার্চ) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের অফিস ইউএনওডিসি এবং আইওএমের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মানবপাচার এবং অভিবাসীদের স্মাগলিং বিষয়ে জাতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশন চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দাসত্ব, যৌন নিপীড়ন, অঙ্গ প্রতিস্থাপন ইত্যাদির উদ্দেশে নারী ও শিশুসহ অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পাচার করা হয়।
এসব অনিরাপদ অভিবাসন মানবপাচারের অন্যতম কারণ ১২ লাখ শিশু প্রতি বছর পাচারের শিকার হয়।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স থাকা বাঞ্চনীয়। এজন্য শিক্ষকদের আগে প্রশিক্ষিত করতে হবে। আর এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশেই আজকের এই আয়োজন। আমি আশা করি, এই কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকরা মানব পাচার ও অভিবাসী স্মাগলিং বিষয়ে তাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান।
কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মানব পাচার ও অভিবাসী স্মাগলিং বিষয়ক শিক্ষকদের জন্য প্রস্তুতকৃত গাইডের মোড়ক উন্মোচন করেন।
কেএম/এমএমএ/
