সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘একটা লক্ষ্য নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশে ফিরেছিলাম’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম, একটা লক্ষ্য নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না, তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না, এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতি কাতর হয়ে ছোট ভাই শেখ রাসেল সম্পর্কে বলেন, রাসেলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু তার সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে একটি রাষ্ট্র জাতির পিতা উপহার দেন। যেটা ছিল একটা প্রদেশ, সেই প্রদেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রে তিনি উন্নীত করেছিলেন এবং আমাদেরকে একটা জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন। বিশ্ব জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) যুদ্ধবিধস্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলার যাত্রা শুরু করেন ১৯৭২ সালের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে যখন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার সাথে সাথে তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সশস্ত্র বাহিনীও গড়ে তোলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের বাঙালিদের জন্য একটি শক্তিশালী পেশাদার সশসস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলবেন। ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটানি সেনাবাহিনীর অস্থায়ী একাডেমি গড়ে তোলেন। চট্টগ্রামের জায়গাটাও তিনি নির্দিষ্ট করেন এবং দেখে রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সব সময় গণ মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথাই চিন্তা করতেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ যারা দরিদ্র, যারা ক্ষুধার্থ, যাদের কোনো মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না, যারা রোগে চিকিৎসা পেতো না, যারা শিক্ষা পেতো না, সেই মানুষগুলো ভাগ্য পরিবর্তন কথা তিনি চিন্তা করেছেন। শুধু বাংলাদেশের না তিনি সমগ্র বিশ্বের দরিদ্র নিপিড়িত মানুষের কথাও তিনি সব সময় আন্তর্জাতিক যে কোনো জায়গায় বলেছেন এবং তিনি তা বিশ্বাস করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয় এই পররাষ্ট্র নীতিতে জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন। আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি এদেশীয় দোসররা আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতাকে ম্লান করে দেয়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার আদর্শ চেতনা সেটা ভুলণ্ঠিত হয়। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিক পথ উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জাতির পিতা সে সময় প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের উপরে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল দূরবার গতিতে কিন্তু সেটা স্তব্ধ হয়ে যায়। এরপর ২১ বছর বার বার সামরিক বাহিনীতে ক্যু হয়, প্রায় ১৯ বার ক্যু হয়েছে। কত সামরিক অফিসার, জোয়ান, সৈনিক সাধারণ মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। অনেক পরিবার এখনো তাদের আপনজনের সন্ধান পায়নি। এমনই একটা অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২১ টা বছর কেটেছে। ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যখন এদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে আমার ছোট বোন আর আমি আমরা তখন জার্মানিতে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম এজন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। এরপর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। এমনকি নিজেদের নামটা পরিচয় দিতে পারিনি, কারণ যারা আশ্রয় দিয়েছিল এটা তাদেরই ইচ্ছে ছিল। ১৯৮১ সালে যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি করে আমিও দেশে ফিরে আসার জন্য অস্থির ছিলাম। এক রকম জোর করেই অনেক বাধা অতিক্রম করে আমি ঝর ঝাঞ্জা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসি। এমন একটা সময় ফিরে আসি যেখানে আমার বা মা ভাই ছোট্টা শিশু রাসেল তাকে পর্যন্ত হত্যা করেছে তারাই তখন ক্ষমতায়, তার কারণ তাদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল বিচার করা হবে না বলে। সেটাই আইন করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী যারা গণহত্যা করেছিল, তারাই ছিল ক্ষমতায়। আর খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে তখন আমাদের রাষ্ট্রদূত অথবা প্রতিনিধি। এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাঁজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম একটা লক্ষ্য নিয়ে, যে স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা তার সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা ভোই বোনেরা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি, আমার মা পাশে থেকেছেন প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি সাহস জুগিয়েছেন। এমনকি রাজনীতির ক্ষেত্রে তার পদচারণা ছিল নিরবে। যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার কারণে সমগ্র বাংলাদেশ আমি ঘুরে বেড়াই। কোথায় কি অবস্থায় মানুষ বসবাস করছে। আমার একটা লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে গড়ে তুলব ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর সেই আদর্শ নিয়েই কাজ শুরু করি। সেই সাথে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে প্রতিষ্ঠান যেখানে বার বার আঘাত এসেছে, ক্যু হয়েছে সেখানে এটাকে শৃঙ্খলা ফিরে আনা এবং উন্নত করা। একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব সভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে সেই আকাঙ্খা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। দেশের সার্বভৌম্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদাপ্রস্তুত থাকে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। দেশটির প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মুসলিম আমেরিকানদের কর্মস্থলে ছুটির প্রয়োজন হয়নি, পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরাও নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে।

প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলিমদের ঘরে ঘরে ঈদের বিশেষ আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। তবে অভিবাসন মর্যাদার অভাবে কিছু প্রবাসী ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেননি।

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রধান প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার, ব্রুকলিনের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টার, কুইন্সের আল আমিন মসজিদ, ওজোনপার্কের আল আমান মসজিদ এবং ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার জামে মসজিদে। এছাড়া, নিউজার্সি, ফ্লোরিডা, পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, শিকাগো, টেক্সাসসহ অন্যান্য রাজ্যের মসজিদগুলোতেও একাধিক ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাতকে ঘিরে প্রবাসী মুসলিমদের মধ্যে ছিল বিশেষ আয়োজন। মহিলাদের পাশাপাশি শিশু-কিশোর ও তরুণদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিকে, ঈদ জামাত নির্বিঘ্ন করতে স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। মসজিদভিত্তিক কমিউনিটির নিরাপত্তার জন্য টহল পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়, যাতে মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান

মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

উন্নত চিকিৎসার জন্য বর্তমানে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতর তিনি উদযাপন করছেন সেখানে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে।

রোববার (৩০ মার্চ) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মা খালেদা জিয়াসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন। ছবির সঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জনগণ এবং বিশ্বের মুসলিমদের উদ্দেশ্যে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন— "ঈদ মোবারক।"

তারেক রহমান লিখেছেন, ১৭ বছর ধরে নিপীড়িত বাংলাদেশের মানুষ একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপনের স্বপ্ন দেখছিলেন। ২০২৪ সালে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছে। প্রায় দুই দশক পর এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। তিনি শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা এখনো সেই সংগ্রামের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

ঈদের এই আনন্দঘন মুহূর্তে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সব দেশবাসীকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। বিশেষভাবে এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার অনুরোধ করেন, যাতে কেউ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।

এছাড়া, তিনি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান, যাতে মানুষ বাড়ি ফেরার পথে বাড়তি দুর্ভোগে না পড়ে।

তারেক রহমান সতর্ক করে বলেন, দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য কিছু চক্র এখনো সক্রিয়। তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানান। যদি জাতি ঐক্যবদ্ধ হতে ব্যর্থ হয়, তবে এই শক্তিগুলো অর্জিত বিজয়কে দুর্বল করার চেষ্টা করবে বলে সতর্ক করেন।

সবশেষে তিনি দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ঈদের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানান, যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনজীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি করতে না পারে।

তিনি প্রার্থনা করেন, স্বাধীন বাংলাদেশের এই প্রথম ঈদ সবার জন্য শান্তি, ঐক্য এবং আনন্দ বয়ে আনুক।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ চারজন নিহত হয়েছেন। রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার চন্দ্রপাড়া ও সদর উপজেলার সাহেব কাচারী-সংলগ্ন ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শফিক উদ্দিন জানান, মৃত ব্যক্তিরা হলেন—গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়নের দুর্বাচর গ্রামের ওবায়দুর রহমানের স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৯৫), একই এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী দিলরুবা (৪০), ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলামের মেয়ে দিলরুবা (৭) ও তার বড় বোন রীতি (১৪)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশাকে দ্রুতগতির বালুবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম খান জানান, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার