সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘একটা লক্ষ্য নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশে ফিরেছিলাম’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম, একটা লক্ষ্য নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না, তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না, এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতি কাতর হয়ে ছোট ভাই শেখ রাসেল সম্পর্কে বলেন, রাসেলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু তার সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে একটি রাষ্ট্র জাতির পিতা উপহার দেন। যেটা ছিল একটা প্রদেশ, সেই প্রদেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রে তিনি উন্নীত করেছিলেন এবং আমাদেরকে একটা জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন। বিশ্ব জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) যুদ্ধবিধস্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলার যাত্রা শুরু করেন ১৯৭২ সালের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে যখন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার সাথে সাথে তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সশস্ত্র বাহিনীও গড়ে তোলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের বাঙালিদের জন্য একটি শক্তিশালী পেশাদার সশসস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলবেন। ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটানি সেনাবাহিনীর অস্থায়ী একাডেমি গড়ে তোলেন। চট্টগ্রামের জায়গাটাও তিনি নির্দিষ্ট করেন এবং দেখে রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সব সময় গণ মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথাই চিন্তা করতেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ যারা দরিদ্র, যারা ক্ষুধার্থ, যাদের কোনো মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না, যারা রোগে চিকিৎসা পেতো না, যারা শিক্ষা পেতো না, সেই মানুষগুলো ভাগ্য পরিবর্তন কথা তিনি চিন্তা করেছেন। শুধু বাংলাদেশের না তিনি সমগ্র বিশ্বের দরিদ্র নিপিড়িত মানুষের কথাও তিনি সব সময় আন্তর্জাতিক যে কোনো জায়গায় বলেছেন এবং তিনি তা বিশ্বাস করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয় এই পররাষ্ট্র নীতিতে জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন। আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি এদেশীয় দোসররা আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতাকে ম্লান করে দেয়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার আদর্শ চেতনা সেটা ভুলণ্ঠিত হয়। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিক পথ উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জাতির পিতা সে সময় প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের উপরে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল দূরবার গতিতে কিন্তু সেটা স্তব্ধ হয়ে যায়। এরপর ২১ বছর বার বার সামরিক বাহিনীতে ক্যু হয়, প্রায় ১৯ বার ক্যু হয়েছে। কত সামরিক অফিসার, জোয়ান, সৈনিক সাধারণ মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। অনেক পরিবার এখনো তাদের আপনজনের সন্ধান পায়নি। এমনই একটা অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২১ টা বছর কেটেছে। ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যখন এদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে আমার ছোট বোন আর আমি আমরা তখন জার্মানিতে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম এজন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। এরপর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। এমনকি নিজেদের নামটা পরিচয় দিতে পারিনি, কারণ যারা আশ্রয় দিয়েছিল এটা তাদেরই ইচ্ছে ছিল। ১৯৮১ সালে যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি করে আমিও দেশে ফিরে আসার জন্য অস্থির ছিলাম। এক রকম জোর করেই অনেক বাধা অতিক্রম করে আমি ঝর ঝাঞ্জা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসি। এমন একটা সময় ফিরে আসি যেখানে আমার বা মা ভাই ছোট্টা শিশু রাসেল তাকে পর্যন্ত হত্যা করেছে তারাই তখন ক্ষমতায়, তার কারণ তাদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল বিচার করা হবে না বলে। সেটাই আইন করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী যারা গণহত্যা করেছিল, তারাই ছিল ক্ষমতায়। আর খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে তখন আমাদের রাষ্ট্রদূত অথবা প্রতিনিধি। এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাঁজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম একটা লক্ষ্য নিয়ে, যে স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা তার সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা ভোই বোনেরা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি, আমার মা পাশে থেকেছেন প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি সাহস জুগিয়েছেন। এমনকি রাজনীতির ক্ষেত্রে তার পদচারণা ছিল নিরবে। যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার কারণে সমগ্র বাংলাদেশ আমি ঘুরে বেড়াই। কোথায় কি অবস্থায় মানুষ বসবাস করছে। আমার একটা লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে গড়ে তুলব ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর সেই আদর্শ নিয়েই কাজ শুরু করি। সেই সাথে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে প্রতিষ্ঠান যেখানে বার বার আঘাত এসেছে, ক্যু হয়েছে সেখানে এটাকে শৃঙ্খলা ফিরে আনা এবং উন্নত করা। একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব সভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে সেই আকাঙ্খা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। দেশের সার্বভৌম্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদাপ্রস্তুত থাকে।

Header Ad

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে কর্মরত চিকিৎসকরা সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নিতে বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাদের এই নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন দপ্তর কিংবা সংস্থায় কর্মরত চিকিৎসকদের বৈদেশিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বছরে (সর্বশেষ ১২ মাস) সর্বোচ্চ দুইবার বৈদেশিক সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ কিংবা কর্মশালা ইত্যাদিতে যেতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত (দায়িত্ব পালনরত), কেবল সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হতে পারবেন। প্রার্থী যে বিষয়ে অধ্যয়নরত সেই বিষয়ে আমন্ত্রিত হয়ে গমন করতে পারবেন।

আমন্ত্রণকারী সংস্থার নিজস্ব ডোমেইনভুক্ত ওয়েবমেইল থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবমেইলে (secretary@hsd.gov.bd, cc: admin1@hsd.gov.bd) আমন্ত্রণপত্রের অনুলিপি বা কপি পাঠাতে হবে। আমন্ত্রণকারী সংস্থা যাবতীয় খরচ (ভিসা ফি, উভয় পথের বিমানভাড়া, আবাসন ব্যবস্থা বা খরচ ইত্যাদি) বহন করবেন বলে সংস্থা থেকে প্রত্যয়নপত্র প্রমাণক হিসেবে দাখিল করতে হবে।

এ ছাড়া বৈদেশিক প্রমাণস্বরূপ প্রোগ্রামে যোগদানের ও সমাপ্তি দিনের ছবি দাখিল করতে হবে। যথাযথ মাধ্যমে অগ্রায়নকৃত আবেদনে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশ থাকতে হবে। অগ্রায়নের আগে প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর প্রধান প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্র ১ নম্বর থেকে থেকে ৯ নম্বর শর্ত যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলো (ভেরিফায়েড অ্যান্ড ফাউন্ড ওকে) লিখে প্রত্যয়ন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়, যা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচ্য মনে করেন।

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, উপরিউক্ত নির্দেশনাসমূহ আগামী ১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে চিকিৎসকদের আমন্ত্রণের ভিত্তিতে বিদেশে সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম, প্রশিক্ষণ বা কর্মশালা ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো।

Header Ad

বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর

ছবি: সংগৃহীত

শাকিব খানকে কেন্দ্র করে তাঁর দুই সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর দ্বন্দ্বটা নতুন কিছু নয়। ঢালিউড সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা কেমন, সেটা একেবারেই অজানা নয় ভক্তদের। বর্তমানে যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বৈরিতায় রূপ নিয়েছে।

সবশেষ শবনম বুবলীর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এই দুই নায়িকার কোন্দলের চিত্র আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা।

তবে বুবলীর জন্মদিনের তিনদিন পর রোববার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টোহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।

সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা। যেটা বুঝতে কষ্ট হয়নি ভক্তদের। কারণ ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষ্যে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি।

সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন।

সেই ঘটনার দুই বছর পর আবারও বুবলীর জন্মদিনে তাকে খোঁচা দিতে গেল অপু বিশ্বাসকে। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার শিকার হচ্ছেন তিনি।

অপুকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। কেউ আবার অপুর মানসিকতার ধরণ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। এরপর ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পর একই বছরের ২০ জুলাই বুবলীকে বিয়ে করেন শাকিব খান। সেই সংসারে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সন্তান শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদের খবর শোনা যায়।

Header Ad

কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে একটি ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, বরং এটি পাক আর্মির আদলে হওয়ায় নিজেই এটি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভাস্কর অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী ওরফে জোসি।

রোববার (২৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটিকে বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। তবে এটিকে একটি মহল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অপচেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ভাস্কর্যটির ঠিকমতো রূপ দেওয়া যায়নি। তাই এটি কাজে লাগানোর সুযোগ নেই। তাই ওয়েস্টেজ (অপচয়) হিসেবে আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। রোববার আবার ফেরত নিয়ে এসেছি।

কিন্তু এই প্রচারণাকে অসত্য ও রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিকস ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, এক যুগ আগে নওগাঁর জেলা পরিষদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঠিকাদারের কথায় ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু শর্ত না মেনে নির্মাণ করায় তারা এটি গ্রহণ করেনি। পরে তাদের রড-সিমেন্ট দিয়ে আরেকটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে দেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারু অনুষদের পেছনে মেহেরচণ্ডী মধ্যপাড়ায় তার নিজের স্টুডিওতে রাখা ছিল এটি। নিজের জায়গাতেই এ স্টুডিওটি। এখানে নানা শিল্পকর্ম নির্মাণ করেন ড. আমিরুল মোমেনীন।

ড. আমিরুল মোমেনীন আরও বলেন, মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের ভাস্কর্যটিও কর্তৃপক্ষ পছন্দ করেনি। এ জন্য হস্তান্তর করা যায়নি। বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে রাখা আছে। কিন্তু এখন স্টুডিওর এই জায়গাটি বিক্রির চেষ্টা করছি। তাই স্টুডিওর সব ওয়েস্টেজ বিক্রি করে দিচ্ছি। কয়েক দিন আগে কয়েকজন এসে বলল, মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কিনতে চায়। তাদের কাছে ভাঙারি লোহার মতো কেজি দরে নামে মাত্র টাকায় বিক্রি করেছিলাম। আমি তখন জানতাম না তারা ভাঙারির দোকানের জন্য কিনছে। পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি এ ঘটনা। তারা আসল ঘটনা না জেনেই এগুলো লিখেছে। আমি কখনোই কাউকে বলিনি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য বিক্রি করা বা রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। আর কোথাও এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে এ ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে। আমি এটার প্রতিবাদ করছি।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্টের পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্যটি কোথাও বিক্রি করা সম্ভব নয়, তাই ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন ভাস্কর ড. আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী এমন সংবাদে গেল কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ ছবিটি পোস্ট করে কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে। ছবিটি শেয়ার করে তীর্যক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন বিতর্কিত লেখক তসলিমা নাসরিনও।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না চিকিৎসকরা
বুবলীকে টয়লেট দিবসের শুভেচ্ছা অপুর
কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভাস্কর্যটি মুক্তিযোদ্ধার নয়, আওয়ামী লীগের অপপ্রচার
ফলোঅন এড়িয়ে ১৮১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
অটোরিকশা চলাচলে আপিল করবে সরকার
পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৩৫ ফিলিস্তিনি
ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি