শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘একটা লক্ষ্য নিয়ে জীবন বাজি রেখে দেশে ফিরেছিলাম’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম, একটা লক্ষ্য নিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তিনি বলেন, যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না, তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না, এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতি কাতর হয়ে ছোট ভাই শেখ রাসেল সম্পর্কে বলেন, রাসেলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু তার সে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ঘাতকের বুলেট তাকে কেড়ে নেয়। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে একটি রাষ্ট্র জাতির পিতা উপহার দেন। যেটা ছিল একটা প্রদেশ, সেই প্রদেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রে তিনি উন্নীত করেছিলেন এবং আমাদেরকে একটা জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন। বিশ্ব জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

তিনি বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) যুদ্ধবিধস্ত রাষ্ট্র গড়ে তোলার যাত্রা শুরু করেন ১৯৭২ সালের বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়ে যখন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার সাথে সাথে তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উপযোগী এবং প্রয়োজনীয় সশস্ত্র বাহিনীও গড়ে তোলেন। তিনি চেয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের বাঙালিদের জন্য একটি শক্তিশালী পেশাদার সশসস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলবেন। ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটানি সেনাবাহিনীর অস্থায়ী একাডেমি গড়ে তোলেন। চট্টগ্রামের জায়গাটাও তিনি নির্দিষ্ট করেন এবং দেখে রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সব সময় গণ মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কথাই চিন্তা করতেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ যারা দরিদ্র, যারা ক্ষুধার্থ, যাদের কোনো মাথা গোঁজার ঠাই ছিল না, যারা রোগে চিকিৎসা পেতো না, যারা শিক্ষা পেতো না, সেই মানুষগুলো ভাগ্য পরিবর্তন কথা তিনি চিন্তা করেছেন। শুধু বাংলাদেশের না তিনি সমগ্র বিশ্বের দরিদ্র নিপিড়িত মানুষের কথাও তিনি সব সময় আন্তর্জাতিক যে কোনো জায়গায় বলেছেন এবং তিনি তা বিশ্বাস করতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয় এই পররাষ্ট্র নীতিতে জাতির পিতা বিশ্বাস করতেন। আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭১ এর পরাজিত শক্তি এদেশীয় দোসররা আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতাকে ম্লান করে দেয়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতার আদর্শ চেতনা সেটা ভুলণ্ঠিত হয়। মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিক পথ উন্নয়নে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জাতির পিতা সে সময় প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগের উপরে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল দূরবার গতিতে কিন্তু সেটা স্তব্ধ হয়ে যায়। এরপর ২১ বছর বার বার সামরিক বাহিনীতে ক্যু হয়, প্রায় ১৯ বার ক্যু হয়েছে। কত সামরিক অফিসার, জোয়ান, সৈনিক সাধারণ মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। অনেক পরিবার এখনো তাদের আপনজনের সন্ধান পায়নি। এমনই একটা অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে ২১ টা বছর কেটেছে। ২১ বছর পর ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট যখন এদেশে হত্যাকাণ্ড ঘটে আমার ছোট বোন আর আমি আমরা তখন জার্মানিতে ছিলাম। বিদেশে ছিলাম এজন্য বেঁচে গিয়েছিলাম। এরপর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল আমাদের দেশে আসতে দেয়নি। রিফিউজি হিসেবে বিদেশে থাকতে হয়েছে। এমনকি নিজেদের নামটা পরিচয় দিতে পারিনি, কারণ যারা আশ্রয় দিয়েছিল এটা তাদেরই ইচ্ছে ছিল। ১৯৮১ সালে যখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি করে আমিও দেশে ফিরে আসার জন্য অস্থির ছিলাম। এক রকম জোর করেই অনেক বাধা অতিক্রম করে আমি ঝর ঝাঞ্জা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরে আসি। এমন একটা সময় ফিরে আসি যেখানে আমার বা মা ভাই ছোট্টা শিশু রাসেল তাকে পর্যন্ত হত্যা করেছে তারাই তখন ক্ষমতায়, তার কারণ তাদের ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল বিচার করা হবে না বলে। সেটাই আইন করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধী যারা গণহত্যা করেছিল, তারাই ছিল ক্ষমতায়। আর খুনিরা বিভিন্ন দূতাবাসে তখন আমাদের রাষ্ট্রদূত অথবা প্রতিনিধি। এমন একটি অবস্থার মধ্যে আমি জীবনকে বাঁজি রেখে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম একটা লক্ষ্য নিয়ে, যে স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা তার সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, আমরা ভোই বোনেরা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছি, আমার মা পাশে থেকেছেন প্রেরণা দিয়েছেন, শক্তি সাহস জুগিয়েছেন। এমনকি রাজনীতির ক্ষেত্রে তার পদচারণা ছিল নিরবে। যে জাতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে, সেই জাতি অন্ধকারে পরে থাকবে কোনো উন্নতি হবে না তাদের জীবন ধরণ উন্নতি হবে না এটা তো হতে পারে না। আমাদের ফিরে আনতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে এবং সেই লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছিলাম।

দেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার কারণে সমগ্র বাংলাদেশ আমি ঘুরে বেড়াই। কোথায় কি অবস্থায় মানুষ বসবাস করছে। আমার একটা লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে গড়ে তুলব ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আর সেই আদর্শ নিয়েই কাজ শুরু করি। সেই সাথে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার যে প্রতিষ্ঠান যেখানে বার বার আঘাত এসেছে, ক্যু হয়েছে সেখানে এটাকে শৃঙ্খলা ফিরে আনা এবং উন্নত করা। একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্ব সভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে সেই আকাঙ্খা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। আমরা সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে সেভাবেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করি। দেশের সার্বভৌম্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদাপ্রস্তুত থাকে।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৬ অথবা ২৭ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দল ঘোষণার আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দল ঘোষণা নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেয়ায় জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলের সদস্যসচিব পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে আলোচনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ চারটি পদ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পদগুলোতে কারা থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আরও দুটি পদের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালায় সংগঠনটি। এরপর ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জনমত জরিপও চালালো হয়। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, লোগোসহ বিভিন্ন মতামত জানতে চাওয়া হয়। এদিকে নয়া রাজনৈতিক দলের নাম ইংরেজীতে হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন