সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেকারদের স্বাবলম্বী করবে র‍্যাবের নবজাগরণ

র‌্যাব সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নতুন করে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘নবজাগরণ’। এটি মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া-বেকারও স্বল্প উপার্জনকারীদের স্বাবলম্বী করার কাজ করবে। সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখতে ‘নবদিগন্তের পথে’ প্রকল্পের পর এবার ‘নবজাগরণ’ নামে নতুন এই প্রকল্পের কাজ শুরু করল র‌্যাব।

র‌্যাবের তথ্য মতে, এ প্রকল্পের আওতায় যাদের আনা হয়েছে তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছর। তারা কোনো উৎপাদনশীল কাজে জড়িত না। কেউ স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে, কেউ বেকার। কেউ অল্প শিক্ষিত। আবার কেউ ভবঘুরে টাইপের। উপার্জন বহুমুখী করতেই পরিবারের এসব সদস্যদের নবজাগরণের আওতায় আনা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) র‌্যাব সদর দপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ‘নবজাগরণ’ প্রকল্পের বিষয়ে জানান।

র‌্যাব বলছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপরাধ ঝুঁকিতে থাকা লোকদের চিহ্নিত করে এ প্রকল্পের আওতায় এনে সুন্দর, স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য উৎসাহিত করা হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে শুরুর হয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত চলবে ‘নবজাগরণ’ কর্মসূচির পাইলট প্রকল্পের কাজ। র‌্যাবের অপরাধ প্রতিরোধবিষয়ক সাম্প্রতিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় নতুন প্রকল্পের স্লোগান ‘অপরাধকে না বলুন।'

দেশের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে চৌকস এ বাহিনী বিভিন্ন সময়ে অপরাধ পর্যালোচনা ও গবেষণার মাধ্যমে যে কর্মপরিকল্পনা করে থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় চালু হচ্ছে নতুন প্রকল্প ‘নবজাগরণ’। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে বিভিন্নভাবে অপরাধ থেকে দূরে থাকার জন্য নিরুৎসাহিত করতে পারলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে কমবে বলে মনে করছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায়, এ ছাড়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে সমাজের পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া এবং বেকার ও স্বল্প উপার্জনকারীদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াসও হাতে নেয়া হয়েছে। ‘নবজাগরণ’ হলো র‌্যাবের আর্লি ইন্টারভেনশন। এ প্রকল্পে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা এখনো অপরাধে জড়ায়নি। তবে জড়ানোর ঝুঁকিতে আছে।

র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, এর আগে ‘নবদিগন্তের পথে’ নামের প্রকল্পে র‌্যাব যেসব কার্যক্রম করেছে, সেগুলো ছিল পোস্ট ইন্টারভেনশন। সে কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে ৪২১ জন অপরাধীকে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জন জঙ্গি এবং সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৪০৫ জন জলদস্যু।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর রইসুল আজম মনি বলেন, নবজাগরণের মাধ্যমে যাদের সমাজের মূল ধারায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তাদের কিছু প্রশিক্ষণ র‌্যাব কর্মকর্তারা সরাসরি দেবেন। এ ক্ষেত্রে র‌্যাবের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হবে। বাকি প্রশিক্ষণ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হবে। র‌্যাবের কর্মপন্থায় যুক্ত হওয়া ‘নবজাগরণ’ সমাজের অপরাধপ্রবণতা কমাতে অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে। তিনি বলেন, র‌্যাবের কর্মপন্থায় যুক্ত হওয়া ‘নবজাগরণ’ সমাজের অপরাধপ্রবণতা কমাতে অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করবে।

র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলছেন, নবজাগরণের আওতায় সমাজের পিছিয়ে পড়া, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া এবং বেকার ও স্বল্প উপার্জনকারীদের স্বাবলম্বী করার প্রয়াস হাতে নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। তারা জানান, যাদের পাইলট প্রকল্পের আওতায় নেওয়া হয়েছে, তাদের সাফল্য অনুপ্রেরণা জোগাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে। তালিকাভুক্তদের স্বাবলম্বী করতে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যটন নির্ভর পেশা হোটেল-রেস্টুরেন্টে সার্ভিস বয়, ফটোগ্রাফার, ট্যুরিস্ট গাইড, ড্রাইভিংকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া পরিবারের নারী সদস্যদের জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পুরো পরিবার স্বাবলম্বী হবে।

জানতে চাইলে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নবজাগরণের ব্যাপ্তি পর্যায়ক্রমে বাড়বে। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে গ্রাম্য বৈঠক, কমিউনিটি বেজড নানা কর্মসূচি, সভা-সেমিনার এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। র‌্যাবের নতুন এই কার্যক্রমে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরসহ সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যুক্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, পাইলট প্রকল্পে আমরা ২০-২৫ জনকে নির্বাচিত করেছি। প্রশিক্ষণের জন্য ৪-৫ জন করে ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা অপরাধের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য আইকন হবে। ঝুঁকিপূর্ণ লোকগুলো বৈধ পেশায় যুক্ত হতে উৎসাহ পাবেন।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণি বরাবরই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনায় থাকেন। বিয়ে, পরকীয়া ও বিচ্ছেদের মতো নানা ঘটনায় তিনি শিরোনামে এসেছেন। তবে সবকিছুর পরেও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি পরীমণি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি নিজের একাকিত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আহারে জীবন। আমরা সবসময় চেষ্টা করি সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। কিন্তু সত্যিই কি সবসময় তা সম্ভব হয়? হয় না। আমি নিজেই কত অসহায় বোধ করি যখন একা একা খাবার সামনে বসতে হয়।”

 

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও যোগ করেন, “শুধু এই সময়টাতেই নিজেকে খুব একা মনে হয়। এতিম মনে হয়। নানা ভাই বেঁচে থাকতে কখনো বুঝতেই পারিনি যে, আমি এভাবে একা হয়ে যাবো। রাত হোক বা দিন, সময় হোক বা অসময়—যখনই খেতে বসতাম, নানা ভাই সামনে বসে থাকতেন।”

তার এই একাকিত্বের অনুভূতির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “বাচ্চারা ঘুমালে নিজের জন্য একটু সময় পাওয়ার কথা ভাবি। হাতে জমে থাকা অনেক কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করি। সবই করি। কিন্তু একা বসে খাবার খাওয়া আর পারি না।”

 

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, “রোজার সময় সেহরি বা ইফতারে এখন আর কোনো আয়োজন থাকে না আমার। তবে আমি সবকিছু সহ্য করে নতুন করে বেঁচে থাকার মানুষ। আমি জানি, আমার বাচ্চারা বড় হলে আবার নতুন করে সুখী মানুষ হয়ে যাবো। তখন আর একা বসে খেতে হবে না।”

পরীমণির এই আবেগঘন পোস্ট তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তার প্রতি সমবেদনা ও সহানুভূতি জানিয়েছেন এবং তাকে শক্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকা অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাস থেকে বিসিবি থেকে বেতন-ভাতা পাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি মাসে বিসিবি থেকে দশ লাখ টাকা বেতন পাবেন।

‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাসকে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে ৮ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

অবসরজনিত কারণে পরিবর্তন এসেছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিকুর রহিমকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে মোট ৭ জন ক্রিকেটার আছেন। তারা হলেন- মুশফিকুর রহিম, মমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। এরা প্রত্যেকে মাসিক ৬ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২২ জনের তালিকায় নাম থাকলেও ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিসিবিকে অনুরোধ করেছেন তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিভুক্ত না করতে। ফলে মার্চ থেকে তিনি আর কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় থাকবেন না। ‘বি’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে তিনি ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট ৮ জন ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তারা হলেন- সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী, তানজিদ তামিম, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব ও শেখ মাহেদী। এই ক্যাটাগরিতে থাকা প্রত্যেকে মাসিক ৪ লাখ টাকা করে বেতন পাবেন।

সবচেয়ে কম বেতনের ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন দুইজন ক্রিকেটার- পেসার খালেদ আহমেদ ও স্পিনার নাসুম আহমেদ। তারা মাসে বিসিবি থেকে ২ লাখ টাকা বেতন পাবেন।

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের বেতন কাঠামো আরও স্বচ্ছ ও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি ক্রিকেটারদের আরও উৎসাহিত ও মনোবল বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

স্বৈরাচারী শাসনের ১৫ বছর পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে ভেঙে পড়া গণতন্ত্র ও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানান।

গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস। তার নেতৃত্বে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক হান্না এলিস-পিটারসেনকে সাক্ষাৎকার দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি মন্তব্য করেন, “তিনি (হাসিনা) যে ক্ষতি করেছেন তা ছিল ভয়াবহ। এটি ছিল আরেকটি গাজার মতো, পুরোপুরি বিধ্বস্ত একটি দেশ। তবে এখানে ভবন নয়, বরং ধ্বংস হয়েছে সব প্রতিষ্ঠান, নৈতিকতা, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক।”

ড. ইউনূস দেশের ভয়াবহ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, “হাসিনার শাসন কোনো সরকার ছিল না, ছিল দস্যু পরিবারের শাসন। বসের আদেশ পেলে কাজ হতো। কেউ সমস্যা করলে তাকে গুম করা হতো। নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সব আসনে জয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হতো। টাকা চাইলে ব্যাংক থেকে মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়া হতো, যা কখনো ফেরত দিতে হতো না।”

তিনি আরো বলেন, “সরকারের সক্রিয় অংশগ্রহণে ব্যাংকগুলোকে জনগণের টাকা লুটের পূর্ণ লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সই করানো হতো।”

সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস আরও অভিযোগ করেন, ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনা নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, যা দেশের অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। তিনি বলেন, “ভারত তাকে আশ্রয় দিচ্ছে, এটা মানা যায়। কিন্তু আমরা যা কিছু করছি, ভারতকে ব্যবহার করে তা নষ্ট করার প্রচারণা চালানোটা বিপজ্জনক। এটি দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, ভারত সরকারই ড. ইউনূসের একমাত্র সমস্যা নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় হোয়াইট হাউসে ফিরে আসাও তার জন্য সুসংবাদ নয়। তবে, ড. ইউনূস মনে করেন, বাংলাদেশকে ট্রাম্প 'বিনিয়োগের ভালো সুযোগ' এবং 'বাণিজ্যিক অংশীদার' হিসেবে দেখতে পারেন। তিনি বলেন, “ট্রাম্প একজন ডিলমেকার। তাই আমি তাকে বলছি, আমাদের সঙ্গে চুক্তিতে আসুন। যদি তা না করেন, তাহলে বাংলাদেশ কিছুটা কষ্ট পাবে। কিন্তু এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থামবে না।”

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত
হাতের ইশারায় পলকের সালাম, বললেন মুখ খুললেই বাড়ে মামলা
দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির তিন নেতা বহিষ্কার
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী
কাফির বাড়িতে আগুনের ঘটনায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ কর্মী গ্রেপ্তার
এবার ঈদের আগে বাজারে আসছে না নতুন নোট
ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা আওয়ামী লীগ নেতার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
যে প্রক্রিয়ায় কোটি টাকা কেজিতে রপ্তানি হচ্ছে মাছ! (ভিডিও)
ওমরাহ পালন করে দলের ঐক্য দৃঢ় করল জাতীয় ফুটবল দল
হাসিনা ও পরিবারের ১২৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬৩৫ কোটি টাকার খোঁজ
জুলাই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া নিয়ে জাতিসংঘ থেকে বার্তা পায়নি সেনাবাহিনী: আইএসপিআর
আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রক্সি ভোট দিতে পারবেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা
“ধর্ষণের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রদল রাজপথে থাকবে”