১২ বছর পর নয়াদিল্লিতে জেআরসির বৈঠক

দীর্ঘ ১২ বছর পর ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভারতের নয়াদিল্লিতে নিজ নিজ দেশের পানি সম্পদ মন্ত্রীদের নেতৃত্বে জেআরসির ৩৮তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব পঙ্কজ কুমার।
একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত জেআরসি বৈঠকে দুই দেশের অভিন্ন নদী বিশেষ করে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার এবং কুশিয়ারা সংক্রান্ত সব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ ছাড়া বন্যা সংক্রান্ত তথ্য ও তথ্যের আদান-প্রদান, নদীর তীর রক্ষার কাজ, সাধারণ অববাহিকা ব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় নদী আন্তঃসংযোগ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। জেআরসি বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির খসড়া কাঠামো তৈরির জন্য তথ্য ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য আরও কিছু অভিন্ন নদী চালু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত শেষ করার জন্য বাংলাদেশ পক্ষ অনুরোধ করেছে। ভারতীয় পক্ষ চুক্তিটি শেষ করতে তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।
কুশিয়ারা নদীর অভিন্ন অংশ থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে সই করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী তার ভারতীয় সহকর্মীকে অনুরোধ করেন। ভারতীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে বিষয়টি তাদের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
উভয়পক্ষই গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি, ১৯৯৬-এর বিধানের অধীনে বাংলাদেশের প্রাপ্ত পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করতে সম্মত হয়েছে। এই মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি সভার আগে গত ২৩ আগস্ট সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আরইউ/এসজি
