রিমান্ডে হেনোলাক্সের আমিন ও তার স্ত্রী
নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজী আনিসের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হেনোলাক্স গ্রুপের এমডি নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর বুধবার (৬ জুলাই) এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তাদের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি নিয়ে আদালত তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে আমিন-ফাতেমা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
উল্লেখ্য এর আগের দিন সোমবার (৪ জুলাই) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় নিজের শরীরে আগুন দেন গাজী আনিস। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে। পরের দিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে মারা যান আনিস।
ওই ঘটনায় সেদিন দুপুরে গাজী আনিসের ভাই নজরুল ইসলাম হেনোলাক্স গ্রুপের মালিক এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
গাজী আনিসের স্বজনরা দাবি করেন, হেনোলাক্স কোম্পানি কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যার পেছনে হেনোলাক্স কোম্পানির মালিক নুরুল আমিন জড়িত।
প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে গাজী আনিসের মামাতো ভাই তানভীর ইমাম বলেছিলেন, আমার ভাই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা পেতেন হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে। এই টাকা না দেওয়ায় তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। টাকা পেতে আমার ভাই কুষ্টিয়া আমলি আদালতে নুরুল আমিন ও তার স্ত্রীকে আসামি করে দুটি মামলা করেছিলেন, যা বিচারাধীন।
মৃত্যুর আগে ২৯ মে গাজী আনিস প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালে হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই সূত্রেই ২০১৮ সালে তিনি এই টাকা হেনোলাক্স গ্রুপে বিনিয়োগ করেছিলেন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গাজী আনিসের সঙ্গে লেনদেনে টাকার পরিমাণ নিয়ে আসামিদের আপত্তি আছে। তবে লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন তারা। আসামিরা জানান, বিভিন্ন সময়ে চেক ও নগদে ৭৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে গাজী আনিসের লভ্যাংশসহ ন্যায্য পাওনা তিন কোটি টাকা। এটা নিয়েই মূলত তাদের মধ্যে একাধিকবার বাগবিতণ্ডা হয়।
এমএ/