দেশের মানবাধিকার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক ভালো: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙুল তুললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক ক্ষেত্রে ভালো। এমনকি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের অনেক দেশের চেয়েও ভালো।
সোমবার (২৭ জুন) রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আগামী ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। এ সময় সভাপতিমন্ডলির সদস্য শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ পদ্মাসেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি মানবাধিকারের প্রশ্ন তুলেছেন। আমি এই মহান সংসদে দাঁড়িয়ে বলেতে চাই বাংলাদেশর মানবাধিকার অনেক ক্ষেত্রেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো।
কিভাবে ভালো তার ব্যাখা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে গুয়ানতানামো কারাগারের মতো একটি কারাগার নাই যেখানে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। আমাদের দেশে মা বাবার কাছ থেকে শিশুকে আলাদা করে দিনের পর দিন বছরের পর বছর রেখে দেওয়া হয়নি, যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রেখে দেওয়া হয়। যখন শিশুরা বড় হয়েছে তখন তারা তাদের মা বাবাকে চিনতে পারে নাই, কারণ তাদের আলাদা করে রেখে দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের দেশে জর্জ ফ্লায়েডের মতো কিলিং হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ বছরের ৭ হাজারের বেশী মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে।
ইরোপের মানবাধিকারের প্রসঙ্গ তুলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রাসেলেন্সে রাস্তায় গুলি করে বোমাবাজদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের দেশে যখন এই ধরণের এনকাউন্টারে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাহলে তখন নানা ধরনের প্রশ্ন তোলা হয়। আমাদের দেশের মানবাধিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ভালো। উনারা(বিএনপি) মানবাধিকারে কথা বলে ২০১৩,১৪,১৫ সালে মানুষকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই অনেক দেশের চেয়ে ভালো।
হাছান মাহমুদ বলেন, মুল্যস্ফিতি নিয়ে কথা হয় প্রায়ই। আমি মুদ্র্যাস্ফিতির একটি পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, ২০২২ সালে ভারতের মুদ্রাস্ফিতি হচ্ছে ৭.৭৯ ভাগ, নেপালে ৭.৮৭ ভাগ, ১৩.৮ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রে ৮.৬ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্যে ৯.১ শতাংশ, জার্মানি ৭.৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৭.১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩.৫ শতাংশ, কানায়ায় ৬.৮ শতাংশ, নেদারল্যান্ডে ৯.৬ শতাংশ আর বাংলাদেশে গত ১২ মাসে মে মাস পর্যন্ত ৫.৯৯ শতাংশ। আর নিত্য পণ্যের দাম সমস্ত পৃথিবীতে বেড়েছে করোনা এবং করোনার পর পরই ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে।
এসএম/এএজেড