শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

'শেষ নিঃশ্বাস অবধি শিখতে ও শেখাতে চাই'

আমার শিক্ষকতার শুরু মাত্র ১২ বছর বয়সে। তখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, সালটা ২০০১! আমার প্রথম ছাত্র তখন দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। এখনো মনে আছে প্রথম মাসের বেতন ছিল ৩০ টাকা। ওই সময় ৪০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া যেত। প্রথম মাসের বেতন পেয়ে আমি এতোটাই খুশি ছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। ইনকামের প্রথম টাকা দিয়ে আমি কি করেছিলাম মনে নেই, খুব সম্ভবত মাকে দিয়েছিলাম।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার ঘটে গেলো ক্লাস নাইনের শুরুতে। আমার দুই ফুফু একসাথে গণিতে ফেল করে বসলো এসএসসি পরীক্ষায়। যদিও তারা ভালো স্টুডেন্ট ছিলো কিন্তু সেই প্রথমবার এসএসসি গণিত পরীক্ষায় অংক বই এর বাইরে থেকে আসা শুরু করে। ২০০৩ সালে যশোর বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৩২ শতাংশ, যার ৯০ শতাংশই ফেল ছিলো গনিতে।

স্কুল জীবনে গণিত ছিল আমার ধ্যান জ্ঞান। গণিত অলিম্পিয়াড, জাফর ইকবাল স্যার ও কায়কোবাদ স্যারের নিউরনে অনুরণন ছিলো আমার নিত্য সাথী। এই গণিতপ্রীতি জন্মেছিলো আমার গণিতের গুরু জালালুদ্দিন চাচা/স্যারের জন্যে। যাইহোক, আমার দুই ফুফু এলাকার সম্ভ্রান্ত ঘরের মেয়ে, তাই তাদের এই ফেল করার কথা বাইরে ফাঁস হয়ে যাবে বলে পড়ানোর দায়িত্ব পড়লো আমার কাঁধে! আমি ক্লাস নাইনের ছাত্র, কিন্তু পড়াতে হবে এসএসসি ফেল করা দুই ফুফুকে। কি গুরু দায়িত্ব! আলহামদুলিল্লাহ, তারা পরের বছর খুব ভালো ফলাফল করে পাস করলো।

আমার এই ৩৩ বছরের জীবনে প্রায় ২১ বছর শিক্ষকতা করছি। যতটা না শিখেয়েছি, তার চেয়ে অনেক বেশি শিখেছি। বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র হয়েই থাকতে চেয়েছি। এই সময়ে আমি প্রাইমারি স্কুল, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সব স্তরে পড়ানোর সুযোগ পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ!

এর বাইরেও বিগত ১২ বছর SAT, GRE, IELTS, TOEFL, OET এ ৪৭ টা দেশের প্রায় ৫০ হাজার এর বেশি শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছি, যাদের সবাই উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী। ইচ্ছে আছে অন্তত ১০ কোটি মানুষকে সেবা দেয়ার। সৌভাগ্য হয়েছে ডাক্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, উকিল, রাজনীতিবীদ ইত্যাদি সকল পেশার মানুষকে ছাত্র হিসেবে পাবার।

গত ২১ বছরে প্রায় ২ লাখ ছাত্র-ছাত্রী পড়ানোর মহান সুযোগ পেয়েছি যাদের অনেকেই আজ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। তারপরেও সবচেয়ে ভালো লাগে যখন আমার ছাত্র নিজে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়। যাইহোক, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস অবধি আমি শিখে যেতে চাই, আর যা শিখেছি জীবন, বই কিংবা প্রকৃতি থেকে তা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে স্বল্প খরচে জিআরই বা আইইএলটিএস সম্পন্ন করার এক সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান লা স্কলারস। শিক্ষক হিসেবে ঢাকাপ্রকাশ-এর কাছে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন লা স্কলারস এর কর্ণধার খন্দকার আকরাম স্টালিন।

খন্দকার আকরাম স্টালিন বর্তমানে মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন সাইন্স অ্যান্ড টেকনলজি বিশ্ববিদ্যালয়ে (এআইএমএসটি) গবেষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর বাইরেও তিনি প্রায় ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন ও উচ্চশিক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত ৩৫ টি দেশের ২০ হাজারের বেশি উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীকে সরাসরি জিআরই, আইইএলটিএস, স্টেটমেন্ট অব পারপাস, ইউনিভার্সিটি এপ্লিকেশন প্রসেসে সহযোগিতা করেছেন।

তিনি নটরডেম কলেজের একজন সাবেক শিক্ষার্থী। ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ থেকে স্নাতক এবং মালয়েশিয়ার এআইএমএসটি থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

স্টালিনের স্বপ্ন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠবে দুনিয়ার সব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ।

উচ্চশিক্ষা প্রসারের পাশাপশি তিনি প্রায় ১৩ বছর ধরে পথশিশু, এতিম বাচ্চা, মাদ্রাসা, বেদে পল্লীর বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করছেন।

/এএস

Header Ad
Header Ad

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ

বগুড়ার শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকায় বিরল এক ঘটনা ঘটেছে। শ্রাবণী আক্তার খুশি (১৫) নামের এক ছাত্রী মেয়ে থেকে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে তার বাড়িতে।

শ্রাবণী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিনি খোকন মিয়ার বড় মেয়ে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবণীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। ছয় মাস ধরে চলা মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শ্রাবণী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

রূপান্তরের পর তার নতুন নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবণ। শ্রাবণ নিজেও এই পরিবর্তন মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই। এখন আমি বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারব।

শ্রাবণের বাবা খোকন মিয়া জানান, মেয়ের আচরণ ও শারীরিক গঠনে পরিবর্তন লক্ষ্য করার পর থেকে আমি নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডাক্তারি রিপোর্টে জানা যায়, আমার মেয়ে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মুরুব্বিদের পরামর্শে শ্রাবণীকে ছেলেদের পোশাক পরিয়ে মাথার চুল কেটে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে সে ওমর ফারুক শ্রাবণ নামে পরিচিত।

খোকন মিয়া বলেন, আমার তিন মেয়ে ছিল। ছেলে না থাকায় সমাজের নানা কথা শুনতে হয়েছে। কিন্তু আমার বড় মেয়ে ছেলে হিসেবে রূপান্তরিত হওয়ায় আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত খুশি।

Header Ad
Header Ad

বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ

দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাড়ি ফেরার পথে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের আশ্রা বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার আশ্রা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী বাবা মজিবুর রহমান (৫৮) এবং তার বড় ছেলে জাহিদ (২৭)।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল মিয়া বলেন, বাবা ও ছেলে দুইজনে মিলে আশ্রা বাজার থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে আশ্রা বাজারের পশ্চিম পাশে পৌঁছলে একটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ

ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক। ছবি: সংগৃহীত

নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক মুক্তাদির মুক্তকে শিক্ষার্থীরা ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মুক্তাদির মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে গুজব ছড়িয়ে দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে আসছিলেন।

বিস্তারিত আসছে...

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর, বগুড়ার শ্রাবণী এখন শ্রাবণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরে গেল বাবা-ছেলের প্রাণ
ছাত্রলীগ নেতা মুক্তাদির শিক্ষার্থীদের হাতে আটক, থানায় সোপর্দ
এ দেশে মেজরিটি–মাইনরিটি বলে কিছু নেই: জামায়াতের আমির
আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, সবচেয়ে ছোট দিন আগামীকাল
রাজনীতিবিদকে বিয়ে করতে চান ফারজানা সিঁথি
গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ১৬ সেনা নিহত
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইসমাইল বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
হামজাকে নিয়ে যা বললেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল
বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু ধর্মের বিকাশে কাজ করতে চায় কমিশন: ফারুকী
অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে ত্রিপুরায় শিশুসহ ৬ বাংলাদেশি গ্রেফতার
টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজির সংঘর্ষ: নিহত ২
চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি, দুদিনের মধ্যে অভিযান: ডিএমপি কমিশনার
আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী সিরিয়ার নতুন সরকারের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছে
দেশের সার্বভৌমত্ব আর গণতন্ত্র বিএনপির কাছে নিরাপদ: টুকু
গত ১৫ বছরে নানকের সম্পত্তি ফুলে ফেঁপে ওঠেছে ৩০ গুণ
দেশের বৃহত্তম রেলসেতুতে বঙ্গবন্ধুর নাম বাতিল হচ্ছে
গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ