শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কথা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে। অন্যরাও কেঁদে বুক ভাসায়। সালাম সবার পরিচিত। মুজফফর বলে, সালামকে কবর দেব আমরা। যাই কবর খুঁড়ে নেই। সবাই চলো আমার সঙ্গে। গর্ত খোঁড়া হলে আমরা এসে শহীদ সালামকে নিয়ে যাব।

সবাই দূরে হেঁটে যেতে থাকে। খালেক নিজের বাড়িতে গিয়ে একটি কোদাল নিয়ে আসে। ধানক্ষেতের পাশে এক জায়গায় গর্ত করে শহীদ সালামের লাশ নামানো হয়। সবাই মিলে দোয়া পড়ে। লুৎফা খানিকটা দূরে বসে চিৎকার করে কাঁদে। যখন মাটি চাপা দিয়ে গর্ত ভরানো হয় তখন লুৎফা কবরের পাশে বসে জোরে জোরে দোয়া পড়ে। কবরের উপরের মাটি সমান করে গোছাতে থাকে। সবাই মিলে লুৎফার সঙ্গে দোয়া পড়ে, মাটি গুছিয়ে একসময় বলে, চলেন ভাবী। আমরা আবার আসব।
-আমি এখন যাব না। শুনতে পান না যুদ্ধ তুমুল হয়ে উঠেছে।
-আমরা দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি পাকিস্তান বাহিনীর ষোলটি ট্যাঙ্কের মধ্যে তেরোটি ধ্বংস করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। অনেক সৈন্যের লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
-যুদ্ধ এখনই থেমে যাবে বলে মনে হয় না।
-হ্যাঁ, আমরাও তাই মনে করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংস করে ছাড়বে।
-চলো আমরা এখান থেকে সরে যাই। মুজফফর সবার দিকে চোখ বড় করে তাকায়, এখানে থাকা কোনো কাজে আসছেনা। তবে থাকতে হবে কেন?
লুৎফা চেঁচিয়ে বলে, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ দেখব। আমি যাব না। এই গাছের আড়ালে বসে থাকব। দরকার মতো ওদের সেবা করব।
অঞ্জন বলে, আমিও যাব না। যে আহত হবে তাকে সুস্থ করতে হবে। আমরাতো কাজের দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। চলে যাব কেন?
-আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে সবাই থাকি।
-শুধু থাকি না, সবাই যুদ্ধে আছি। যুদ্ধের যা কিছু দরকার হবে আমরা মিলিতভাবে করব।
-এই দেখ মুক্তিযোদ্ধারা ষোলটি ট্যাংকের মধ্যে তেরোটি ধ্বংস করে বাকি তিনটি দখল করেছে। পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটছে।
-আমরা যুদ্ধে জিতেছি।
-হ্যাঁ, জিতেছি, জিতেছি, জিতেছি। চেঁচিয়ে ওঠে সবাই, জয় বাংলা।
-প্রায় একশজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
-যুদ্ধ থামেনি। মনে হচ্ছে আরও অনেকক্ষণ চলবে।
-চলুক। যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ তো চলতে হবে। বিজয় নিয়ে আমরা তাঁবুতে ফিরব।
অনেকক্ষণ একজায়গায় বসে থাকার পরে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মুজফফর লুৎফাকে হাত ধরে টেনে বলে চলে আমরা যাই।
-হ্যাঁ, চলো। অঞ্জন ভাই যাবেন না?
-না, আমি যাব না। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ যদি আহত হয় তাকে আমার দেখতে হবে।
-ও হ্যাঁ, তাইতো, তাইতো।
-অঞ্জন দাদার সঙ্গে আমরা কয়জন থাকব। দাদা একা থাকলে হবে না।
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছো, থাক। অঞ্জন ভাই একা সেবা করতে পারবে না।
-আপনারা যান।
-ঠিক আছে আমরা যাচ্ছি।
মুজফফর আর লুৎফা এগিয়ে যেতে থাকে। দুকানে ধারণ করে গোলাগুলির শব্দ। মাথা ভরে যায় সেই শব্দে। লুৎফা গুনগুনিয়ে বলে, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের স্বাধীনতা।
মুজফফর নিজেও গুনগুনিয়ে গানের মতো গাইতে থাকে আমাদের স্বাধীনতা-আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা পূর্ণ করবে আমাদের শরণার্থী শিবির। নিজ দেশের ঘরে ফেরার সময় গাইব -আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
-গানটা তোমার মুখস্ত নাই?
-পুরোটা নাই। দুই লাইন মুখস্ত আছে। দুই লাইনই গাইব।
লুৎফা উচ্ছসিত হয়ে বলে, আমাদের চারপাশে যারা থাকবে তাদের সবাইকে গাইতে বলব।
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছ।
দুজনে গুনগুন করে গাইতে গাইতে নিজেদের তাঁবুতে গিয়ে ঢোকে। কুপি জ্বালায় লুৎফা। মুজফফর কলসি থেকে পানি ঢেলে খায়। তারপর এক গ্লাস পানি লুৎফার দিকে এগিয়ে দেয়। লুৎফা, নিজেও একটানে গ্লাসের পানি শেষ করে। বুঝতে পারে বুকের ভেতর পানির টান প্রবল ছিল। পানি খেয়ে বলে, হাঁড়িতে দুপুরের ভাত-তরকারি কিছু আছে। ওইটুকু খেয়ে আমরা শুয়ে যাই। হবে না?
-হ্যাঁ, হবে হবে। তোমাকে এখন আর রান্নার ঝামেলায় যেতে হবে না।
-আমি সকালে রান্না করব। চট করে খেয়ে নিয়ে চৌগাছায় যাব। যুদ্ধের অবস্থা দেখব।
-ঠিকই বলেছ। হাতমুখ ধুয়ে নেই। ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ব।
লুৎফা দ্রুত থালায় ভাত-তরকারি দিয়ে মুজফফরকে দেয়। মুজফফর থালা হাতে নিয়ে বলে, তোমার থালা কই? ভাত আছেতো? আমাকে শুধু খাইও না।
-আছে আমার জন্য। তুমি তোমার মতো খাও। আমি থালায় ভাত নিচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে দুজনে খেয়ে শুয়ে পড়ে। চৌগাছায় দেখা যুদ্ধ দুজনকেই তন্ময় করে রাখে। ঘুম আসে না। ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে যায়। লুৎফা ভাবে, শরণার্থী শিবিরের এখানে চৌগাছায় যুদ্ধ হচ্ছে। গোলাগুলির শব্দ রাতের অন্ধকার কাঁপিয়ে তুলেছে। ঘুম আসছে না। মুজফফর ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন ও ভাবে কেন যুদ্ধের এমন চিন্তা ওকে কাহিল করে ফেলেছে। কেন ওর ঘুম আসছে না। বালিশে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে লুৎফা। মাঝে মাঝে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তখন মাথা কাত করতে হয়। প্রবলভাবে নিশ্বাস টানে। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে মুজফফর বলে, তোমার কি হয়েছে?
-ঘুম আসছে না।
-আমার বুকে মাথা রাখ। আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।

লুৎফা ঘুরে শুয়ে মুজফফরকে জড়িয়ে ধরে। মুজফফর ওর মাথা বুকের সঙ্গে গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরে গুনগুন করে গাইতে থাকে ‘আমরা যুদ্ধে জিতব, স্বাধীন দেশে যাব’। লুৎফাও মুজফফরের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায়। গুনগুন করতে করতে দুচোখের পাতা বুঁজে আসে। দুজনে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন যুদ্ধের গোলাগুলির শব্দ একইভাবে শুনতে পায়। লুৎফা ধড়মড়িয়ে উঠে বসে বলে, আমি একটুপরে চৌগাছা যাব। তুমিও যাবে আমার সঙ্গে। যাবে তো?
-হ্যাঁ, যাবই। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ সোজা কথা না।
মুজফফর উঠে তাঁবুর বাইরে যায়। একপাশে দাঁড়িয়ে চারদিকের পরিস্থিতি দেখে। লুৎফা দ্রুতহাতে কয়েকটি রুটি বানায় আর আলু ভাজি করে। দুজনে নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি সামলায়। লুৎফার কাজ শেষে দ্রুত আলু ভাজি দিয়ে রুটি খায়। বেশ অনেকগুলো রুটি দেখে মুজফফর বলে, এত রুটি বানালে কেন?
-চৌগাছায় নিয়ে যাব। যদি কারো দরকার হয়ে তাকে খেতে দেব।
-ভালোই করেছ। গুছিয়ে নাও। চলে যাই। কেউ না খেতে চাইলে ক্ষতি নেই। আমরা খাব। তুমি সাধাসাধি করে কাউকে খাওয়াতে চেওনা।
-আমার মাথা এত খারাপ হবে না। কেউ খেতে না চাইলে বুঝব তাদের খাওয়ার ইচ্ছা নেই।

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৪১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৪০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

 

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত