শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কথা শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে। অন্যরাও কেঁদে বুক ভাসায়। সালাম সবার পরিচিত। মুজফফর বলে, সালামকে কবর দেব আমরা। যাই কবর খুঁড়ে নেই। সবাই চলো আমার সঙ্গে। গর্ত খোঁড়া হলে আমরা এসে শহীদ সালামকে নিয়ে যাব।

সবাই দূরে হেঁটে যেতে থাকে। খালেক নিজের বাড়িতে গিয়ে একটি কোদাল নিয়ে আসে। ধানক্ষেতের পাশে এক জায়গায় গর্ত করে শহীদ সালামের লাশ নামানো হয়। সবাই মিলে দোয়া পড়ে। লুৎফা খানিকটা দূরে বসে চিৎকার করে কাঁদে। যখন মাটি চাপা দিয়ে গর্ত ভরানো হয় তখন লুৎফা কবরের পাশে বসে জোরে জোরে দোয়া পড়ে। কবরের উপরের মাটি সমান করে গোছাতে থাকে। সবাই মিলে লুৎফার সঙ্গে দোয়া পড়ে, মাটি গুছিয়ে একসময় বলে, চলেন ভাবী। আমরা আবার আসব।
-আমি এখন যাব না। শুনতে পান না যুদ্ধ তুমুল হয়ে উঠেছে।
-আমরা দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি পাকিস্তান বাহিনীর ষোলটি ট্যাঙ্কের মধ্যে তেরোটি ধ্বংস করেছে মুক্তিযোদ্ধারা। অনেক সৈন্যের লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
-যুদ্ধ এখনই থেমে যাবে বলে মনে হয় না।
-হ্যাঁ, আমরাও তাই মনে করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাদের ধ্বংস করে ছাড়বে।
-চলো আমরা এখান থেকে সরে যাই। মুজফফর সবার দিকে চোখ বড় করে তাকায়, এখানে থাকা কোনো কাজে আসছেনা। তবে থাকতে হবে কেন?
লুৎফা চেঁচিয়ে বলে, আমি মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ দেখব। আমি যাব না। এই গাছের আড়ালে বসে থাকব। দরকার মতো ওদের সেবা করব।
অঞ্জন বলে, আমিও যাব না। যে আহত হবে তাকে সুস্থ করতে হবে। আমরাতো কাজের দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। চলে যাব কেন?
-আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে সবাই থাকি।
-শুধু থাকি না, সবাই যুদ্ধে আছি। যুদ্ধের যা কিছু দরকার হবে আমরা মিলিতভাবে করব।
-এই দেখ মুক্তিযোদ্ধারা ষোলটি ট্যাংকের মধ্যে তেরোটি ধ্বংস করে বাকি তিনটি দখল করেছে। পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটছে।
-আমরা যুদ্ধে জিতেছি।
-হ্যাঁ, জিতেছি, জিতেছি, জিতেছি। চেঁচিয়ে ওঠে সবাই, জয় বাংলা।
-প্রায় একশজন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
-যুদ্ধ থামেনি। মনে হচ্ছে আরও অনেকক্ষণ চলবে।
-চলুক। যতক্ষণ দরকার ততক্ষণ তো চলতে হবে। বিজয় নিয়ে আমরা তাঁবুতে ফিরব।
অনেকক্ষণ একজায়গায় বসে থাকার পরে সন্ধ্যা হয়ে যায়। মুজফফর লুৎফাকে হাত ধরে টেনে বলে চলে আমরা যাই।
-হ্যাঁ, চলো। অঞ্জন ভাই যাবেন না?
-না, আমি যাব না। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ যদি আহত হয় তাকে আমার দেখতে হবে।
-ও হ্যাঁ, তাইতো, তাইতো।
-অঞ্জন দাদার সঙ্গে আমরা কয়জন থাকব। দাদা একা থাকলে হবে না।
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছো, থাক। অঞ্জন ভাই একা সেবা করতে পারবে না।
-আপনারা যান।
-ঠিক আছে আমরা যাচ্ছি।
মুজফফর আর লুৎফা এগিয়ে যেতে থাকে। দুকানে ধারণ করে গোলাগুলির শব্দ। মাথা ভরে যায় সেই শব্দে। লুৎফা গুনগুনিয়ে বলে, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের স্বাধীনতা।
মুজফফর নিজেও গুনগুনিয়ে গানের মতো গাইতে থাকে আমাদের স্বাধীনতা-আমাদের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা পূর্ণ করবে আমাদের শরণার্থী শিবির। নিজ দেশের ঘরে ফেরার সময় গাইব -আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
-গানটা তোমার মুখস্ত নাই?
-পুরোটা নাই। দুই লাইন মুখস্ত আছে। দুই লাইনই গাইব।
লুৎফা উচ্ছসিত হয়ে বলে, আমাদের চারপাশে যারা থাকবে তাদের সবাইকে গাইতে বলব।
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছ।
দুজনে গুনগুন করে গাইতে গাইতে নিজেদের তাঁবুতে গিয়ে ঢোকে। কুপি জ্বালায় লুৎফা। মুজফফর কলসি থেকে পানি ঢেলে খায়। তারপর এক গ্লাস পানি লুৎফার দিকে এগিয়ে দেয়। লুৎফা, নিজেও একটানে গ্লাসের পানি শেষ করে। বুঝতে পারে বুকের ভেতর পানির টান প্রবল ছিল। পানি খেয়ে বলে, হাঁড়িতে দুপুরের ভাত-তরকারি কিছু আছে। ওইটুকু খেয়ে আমরা শুয়ে যাই। হবে না?
-হ্যাঁ, হবে হবে। তোমাকে এখন আর রান্নার ঝামেলায় যেতে হবে না।
-আমি সকালে রান্না করব। চট করে খেয়ে নিয়ে চৌগাছায় যাব। যুদ্ধের অবস্থা দেখব।
-ঠিকই বলেছ। হাতমুখ ধুয়ে নেই। ভাত খেয়ে শুয়ে পড়ব।
লুৎফা দ্রুত থালায় ভাত-তরকারি দিয়ে মুজফফরকে দেয়। মুজফফর থালা হাতে নিয়ে বলে, তোমার থালা কই? ভাত আছেতো? আমাকে শুধু খাইও না।
-আছে আমার জন্য। তুমি তোমার মতো খাও। আমি থালায় ভাত নিচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে দুজনে খেয়ে শুয়ে পড়ে। চৌগাছায় দেখা যুদ্ধ দুজনকেই তন্ময় করে রাখে। ঘুম আসে না। ঘুমাতে অনেক রাত হয়ে যায়। লুৎফা ভাবে, শরণার্থী শিবিরের এখানে চৌগাছায় যুদ্ধ হচ্ছে। গোলাগুলির শব্দ রাতের অন্ধকার কাঁপিয়ে তুলেছে। ঘুম আসছে না। মুজফফর ঘুমিয়ে পড়েছে। তখন ও ভাবে কেন যুদ্ধের এমন চিন্তা ওকে কাহিল করে ফেলেছে। কেন ওর ঘুম আসছে না। বালিশে মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে লুৎফা। মাঝে মাঝে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তখন মাথা কাত করতে হয়। প্রবলভাবে নিশ্বাস টানে। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে মুজফফর বলে, তোমার কি হয়েছে?
-ঘুম আসছে না।
-আমার বুকে মাথা রাখ। আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।

লুৎফা ঘুরে শুয়ে মুজফফরকে জড়িয়ে ধরে। মুজফফর ওর মাথা বুকের সঙ্গে গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরে গুনগুন করে গাইতে থাকে ‘আমরা যুদ্ধে জিতব, স্বাধীন দেশে যাব’। লুৎফাও মুজফফরের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায়। গুনগুন করতে করতে দুচোখের পাতা বুঁজে আসে। দুজনে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালে যখন ঘুম ভাঙে তখন যুদ্ধের গোলাগুলির শব্দ একইভাবে শুনতে পায়। লুৎফা ধড়মড়িয়ে উঠে বসে বলে, আমি একটুপরে চৌগাছা যাব। তুমিও যাবে আমার সঙ্গে। যাবে তো?
-হ্যাঁ, যাবই। স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ সোজা কথা না।
মুজফফর উঠে তাঁবুর বাইরে যায়। একপাশে দাঁড়িয়ে চারদিকের পরিস্থিতি দেখে। লুৎফা দ্রুতহাতে কয়েকটি রুটি বানায় আর আলু ভাজি করে। দুজনে নিজেদের মতো করে পরিস্থিতি সামলায়। লুৎফার কাজ শেষে দ্রুত আলু ভাজি দিয়ে রুটি খায়। বেশ অনেকগুলো রুটি দেখে মুজফফর বলে, এত রুটি বানালে কেন?
-চৌগাছায় নিয়ে যাব। যদি কারো দরকার হয়ে তাকে খেতে দেব।
-ভালোই করেছ। গুছিয়ে নাও। চলে যাই। কেউ না খেতে চাইলে ক্ষতি নেই। আমরা খাব। তুমি সাধাসাধি করে কাউকে খাওয়াতে চেওনা।
-আমার মাথা এত খারাপ হবে না। কেউ খেতে না চাইলে বুঝব তাদের খাওয়ার ইচ্ছা নেই।

চলবে….

আগের পর্বগুলো পড়ুন>

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৪১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৪০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

 

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি