শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

অঞ্জন ট্রানজিষ্টার হাতে নিয়ে নদীর ধারে থেকে ফিরে এসে গাছতলার নিচে বসে যায়। ওর বাবা আসেনা। দাঁড়িয়ে থাকে সবার সঙ্গে। অঞ্জন বিবিসি শোনার জন্য নব ঘোরায়। ভেসে আসে বিবিসির বাংলা বিভাগ থেকে কন্ঠস্বর। আর্জেন্টিনার লেখক ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলে। লেখক-বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মিছিল করে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের প্রতি সহযোগিতার জন্য আর্জেন্টাইন সরকারকে স্মারকলিপি প্রদান করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী লুইস মারিয়া ডি পাবলো পারডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্যে পাঠানোর দাবি জানান। ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে ছিলেন খ্যাতিমান সাহিত্যিকরা।


সংবাদ শুনে বুক ভরে যায় অঞ্জনের। ভাবে, এভাবে বিশ্বের সব দেশ যদি সহযোগিতার হাত না বাড়ায় তবে শরণার্থীদের কষ্টের সীমা থাকবে না। ভারতের সহযোগিতায় বেঁচে থাকার প্রেরণা শক্ত হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ওর নিজের একটি অসাধারণ দিকদর্শন হবে। বাবার ডান হাত চেপে ধরে বলে, বাবা, আমি ঠিক করেছি যুদ্ধ করব।

-তুইতো ডাক্তাররে বাবা। তুই মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা শুশ্রুষা কর। এটাওতো যুদ্ধেরই একদিক।
-না বাবা, আমি এভাবে বসে থাকবনা। আমি যুদ্ধ করব।
-না রে বাবা, তুই যুদ্ধে যাবিনা। তুই যুদ্ধে গেলে আমি মরে যাব।
-কি যে বলেন না আপনি। আপনিতো জানেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ চলছে।

শব্দ করে কেঁদে ওঠে অঞ্জনের বাবা। কাঁদতে কাঁদতে দুহাতে চোখ চেপে রাখে। পানি গড়ায় গালের ওপর।
অঞ্জন বাবাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে, কাঁদবেন না বাবা। আশেপাশের সবাই এখানে এসে জড়ো হবে। ওরা আপনাকে অন্যরকম মানুষ ভাবুক এটা আমি চাইনা। আপনি বিবিসিতে শুনলেননা বিদেশী একজন সাহিত্যিক বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ভাবনাচিন্তা করে।

ছেলের বুক থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয় বাবা। এভাবে নিজেকে শক্তিহীন মানুষ ভাবতে চায়না। মাথা সোজা করে সামনে তাকালে পুরো যশোর রোডের এমাথা ওমাথা দেখার জন্য মাথা ঘোরায়। তারপর ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, ভারতের এই জায়গা আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসে উল্লেখ থাকবে।


-শুধু এ জায়গা কেন বাবা? যত জায়গায় শরণার্থী আছে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে সেসব জায়গা এবং আমাদের মা ইন্দিরা গান্ধী আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধারণ করেছেন। আজ থেকে আমি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকেও মনে রাখবো। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে বিজয়ী করার জন্য নিজের দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। নিজের দেশের জ্ঞানী-গুণী মানুষদের জড়ো করেছেন আমাদের স্বাধীনতার লাভের পক্ষে।

অঞ্জন কথা শেষ করলে কথা বলেনা ওর বাবা। বুকের ভেতরে গুমগুম শব্দ তাকে ম্রিয়মান করে রাখে। দেশে যুদ্ধ করতে গলে যদি শহীদ হয়। ভাবনার জায়গা নিঃশেষ হয়ে যায়। বুকের ভেতর দম আটকে থাকে। পরক্ষণে সুবাতাস বইতে থাকে বুকের ভেতর। ছেলে স্বাধীনতার জন্য প্রাণদানকারী মানুষ হবে। দেশ-জাতি ওকে স্মরণ ক০রবে। তাহলে কেন যুদ্ধ করবেনা? যুদ্ধ না করলে স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হবে কিভাবে? কথাবিহীনভাবে নিজেকে ধমকায়। মনে মনে নিজেকে বলে, আমারওতো যুদ্ধ করা দরকার। শুধু শরণার্থী মানুষ হয়ে বেঁচে থাকা কি দেশের জন্য প্রেম? ধমক দিয়ে নিজের বোধকে চাঙ্গা করে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। ভাবে, শরণার্থী হয়ে বেঁচে থাকা একটা দিক, স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়া আর একটা দিক। সবকিছু মেনে নিয়ে বেঁচে থাকার সত্যকে তুমুল করে তুলতে হবে। স্বাধীনতা লাভ সহজ কথা নয়। হঠাৎ মনে হয়, পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন কি? বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ একসঙ্গে বলতে হবে। নিজের বুকের ভেতরের প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভাসিত হয় চেহারা।

অঞ্জন বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা কি ভাবছেন?

-ভাবছি, স্বাধীন দেশ মানে বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ। ভাবছি, তিনি কি বেঁচে আছেন?
-ঠিক বলেছেন। আমাদেরকে এই ভাবনায় ডুবে থাকতে হবে বাবা। আপনি খুবই সুন্দরভাবে ভেবেছেন।
তখন দুটো ছেলেমেয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটে। অঞ্জন উঠে গিয়ে কাছে নিয়ে আসে ওদের। জিজ্ঞেস করে, তোরা কাঁদছিস কেন? কি হয়েছে?

ছেলেটি বলে, আমরা শুধু নুন দিয়ে ভাত খেয়েছি সেজন্য কাঁদছি। মা কোনো তরকারি রাঁধতে পারেনি।
মেয়েটি বলে, কালকে আমরা ভাত খেতে পারবনা। আমাদের কাছে চাল নাই। আমার মাও কাঁদছে।
এই কথা বলে দুজনে আবার হাউমাউ করে কাঁদে। অঞ্জন ওদের মাথায় হাত রেখে বলে, কাঁদিসনা সোনারা। ভাত খেয়ে পেট ভরেছে?

-হ্যাঁ, ভরেছে। এখন আর খিদা নাই।
-তাহলে আর তোরা কাঁদবিনা।
দুজনে একসঙ্গে বলে, কাঁদব, কাঁদব। কালকে তো কিছুই খাওয়া হবেনা।
-আমি তোদের জন্য চাল যোগাড় করার চেষ্টা করব। দেখি পাই কিনা। যা, তাঁবুতে যা।
-না, তাঁবুতে যাবনা। গাছের নিচে বসে থাকি। এখানে বসে থাকতে আমাদের খুব ভালোলাগে।
-তোদের নাম কি?
-আমার না হাশেম। আমি ফাতেমা।

দুজনে একটুখানি দূরে গিয়ে ঘাসের ওপর বসে পড়ে। তাকিয়ে থাকে সামনে। দেখতে পায় ওদের বয়সী তিনজন কাঁদতে কাঁদতে হাঁটছে। কখনো কাশতে কাশতে আকাশের দিকে তাকায়। অঞ্জন উঠে গিয়ে ওদের হাত ধরে টেনে এনে ওদের কাছে বসায়।
-কাঁদছিস কেন তোরা?
-অল্প ভাত খেয়েছি। পেট ভরেনি। আবার খিদা পেয়েছে। মায়ের কাছে গেলে মাতো কিছু খেতে দিতে পারবেনা।
-আয় বস এখানে।
-আমরা ওদের কাছে গিয়ে বসি।
তিনজনে এগিয়ে যায় হাশেম আর ফাতেমার দিকে। কাছে গিয়ে বসে পড়ে।
হাশেম বলে, দুলালরে কাঁদছিস কেন?
-খিদে পেয়েছে।
-আমরাও নুন দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য কেঁদেছিলাম। আর কাঁদবনা।
দুলাল বলে, আমরাও আর কাঁদবনা। তোদের কি মনে হয় রে বেলাল আর লাকী?
-আমরাও আর কাঁদবনা।
দুজনে দুহাতে চোখের পানি মোছে।
-ঠিক বলেছিস তোরা। হাশেম, চল আমরা রাস্তায় খেলি।
-কি খেলব?
-লুকোচুরি।
-চল, ভালোই হবে।

পাঁচজন দৌড় দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। অঞ্জন তাকিয়ে থাকে। নিজের শৈশবের কথা মনে হয়। এমন দীর্ঘ রাস্তাতো ওর শৈশবে ও দেখেনি। শহরের জীবনে রাস্তা মানে গাড়ি-রিকশা-লোকজনের হাঁটাহাঁটি। শিশুরা ওখানে কোনো ঠাঁই পেতনা। শিশুদের জন্য খেলার মাঠ ছিল। সেই মাঠে অনেকদিন একা একা দৌড়াদৌড়ি করেছে। সবুজ ঘাসের ওপর দৌড়াতে ওর খুব ভালোলাগত। মনে হতো এমন সবুজ রঙের নরম ঘাস দিয়ে জীবন সাজাবে। নিজের জীবনের চারদিকে এমন ঘাস লাগাবে। কিন্তু কিভাবে লাগাবে? পড়ালেখা দিয়ে। ওর পড়ালেখা হবে ওর জীবনের সবুজ ঘাস। অঞ্জন এমন ভাবনা নিজের বোধের জায়গায় রেখেছিল। কিন্তু বেঁচে থাকার এই পর্যন্ত সবুজ ঘাসের চিন্তা ও মাথায় তেমনভাবে থাকেনি। এখন ছেলেমেয়েদের দৌড়াতে দেখে সবুজ ঘাসের ভাবনা মাথায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এসব ভাবনার মাঝে দেখতে পায় ক্যামেরাম্যান রঘু রাই আসছে। কোথাও কোথাও দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। ওর তোলা ছবি দেখে বিস্মিত হয় অঞ্জন। এত নিখুঁত ছবি একটি সময়কে ধারণ করে ইতিহাসের দিকচিহ্ন হবে। মাথায় পোঁটলা-পুটলি নিয়ে স্রোতের মতো হেঁটে আসছে মানুষ। ওদের পেছনে মৃত্যুর তাড়া, সামনে শরণার্থী শিবিরের কষ্টকর জীবন। সবকিছু ছাপিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন। নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধার প্রেরণায় ধারণ করার মানসিক ভরসা। রঘু রাইয়ের ছবি দেখে নিজের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইতিহাস সংরক্ষিত হচ্ছে, এই চেতনায় অঞ্জন খুব অনুপ্রাণিত হয়। রঘু রাইকে আসতে দেখে উঠে দাঁড়ায়। কাছে এলে জিজ্ঞেস করে, কেমন আছেন?

-ভালো। একটা অন্যরকম ছবি তুলেছি। তোমাকে দেখাব।

রঘু রাই ক্যামেরা থেকে ছবি বের করে। ছবি দেখে চেঁচিয়ে ওঠে অঞ্জন, ওহ দারুণ ছবি।

 

চলবে..

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত