সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

গরুর গাড়ির ওপর থেকে ভেসে আসে আসমানীর কান্না। গুনগুন শব্দ চারদিকে ছড়ায়। আকাশী ওর কপালে হাত রেখে বলে, থাম মা। এখন কাঁদিস না। তোর শরীর খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের আরও কত পথ হাঁটতে হবে কে জানে, ভারতের সীমান্তে গেলে আমাদের গরুর গাড়ি কি ঢুকতে দেবে?

–আমারও মনে হয় দেবে না। তুমি এখন শান্ত থাক মা। কান্নাকাটি করলে শরীর খারাপ হয়ে যাবে সোনামণি।

–চাচী, আপনি আমাকে অনেক মায়া করেছেন। এই গাড়িতে চড়ে যেতে না পারলে আমার আব্বা-আম্মা আমাকে নিয়ে গাছতলায় বসে থাকত।

–থাক মা, এসব কথা। আমরা বেনাপোল সীমান্তের কাছে এসেছি। আমরা একবার এই পথে কলকাতা ঘুরতে গিয়েছিলাম। রাস্তাটা আমার চেনা। দুপাশের গাছগুলোর দিকে তাকালে মন ভরে যায়। তাকিয়ে দেখ কত বড় গাছ। মনে হয় একশ বছর বয়স হয়েছে এই গাছগুলোর। এই গাছের ছায়ায় আমাদের দিন ভালো কাটবে।

আসমানী গাড়ির উপর উঠে বসে। যশোর রোডের গাছের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে যায়। সন্তানের মৃত্যু গাছের ছায়ায় মায়া ছড়ায়। দুঃখ চেপে রেখে মনে জোর ফিরিয়ে আনে। নিজেকে বলে, বেঁচে থাকার কঠিন সময় এখন। এই সময়কে পার করতে হবে। হেরে গেলে চলবে না।
গাড়ি এসে থামে সীমান্তে। মারুফ এগিয়ে এসে শাশুড়িকে ধরে বলে, আমি আপনাকে নামাই আম্মা। আপনি আমার ঘাড়ে হাত রাখেন।

আকাশী ওকে ধরে গরুর গাড়ি থেকে নামে। মারুফ আবার সাফিয়াকে বলে, আপনি আমাকে ধরেন চাচী।

সাফিয়া নেমে বলে, আমরা দুজনে এবার আসমানীকে নামাই।

–আমরা দুজনে ওকে কোলে করে নামাব। তুমি যাও।

মারুফ সরে যায়। আকাশী আর সাফিয়া দুজনে ওকে কোলে নিয়ে নামায়। ওর ব্যবহৃত যেসব কাপড় লাগবে সেই পোটলাটা আকাশী নিজের কাছে রাখে। প্রয়োজনে সেগুলো দিয়ে ওর সেবা করতে হবে। মেয়েটাকে নিয়ে এতবড় একটা বিপদ হতে পারে এটা আকাশীর মাথায় ছিলনা। ওর কষ্টে নিজের বুক তোলপাড় করে। তারপরও দুজনে আসমানীকে নামিয়ে দাঁড় করায়। মেয়ের হাত ধরে পার হয় সীমান্ত। এর আগে মারুফের সঙ্গে সীমান্ত পার হয়ে বড় গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে বাবুল, নজরুল আর আমিনা। তিনজন লাফালাফি করে বলে, কি সুন্দর, কি সুন্দর!

মারুফ ধমক দিয়ে বলে, এই থাম তোরা। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাক।

তিনজন চুপচাপ দাঁড়িয়ে যায়। বাবুল বলে, আমার খিদে পেয়েছে।

–আমারও খিদে পেয়েছে।

–আমরাও। আমিনা চেঁচিয়ে বলে, গরুর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে হয়েছে সেজন্য বেশি খিদে পেয়েছে।

–ওই যে সবাই আসছে। খাওয়ার ব্যবস্থা হবে।

রবিউল, মোবারক সবাইকে নিয়ে বর্ডার পার হয়। ছেলেমেয়েরা ছুটে আসে, মাগো খিদে পেয়েছে। মাগো ভাত দাও।

আকাশী বলে, আমার হাঁড়িতে ভাত আছে। সবাইকে ভাত দেব।

মারুফ বলে, বাবা-চাচা এই রাস্তার নাম যশোর রোড। এই রাস্তা অনেকদিন ধরে যশোর রোড নামে পরিচিত।

–কিন্তু আমরাতো এখন ভারতে ঢুকেছি?

–ভারতের অংশের নামও যশোর রোড। সামনে তাকিয়ে দেখেন কত শরণার্থী ক্যাম্প হয়েছে। আমরা নিশ্চয় একটা ক্যাম্প পাব। চলেন এগোই।

–গরুর গাড়ি চলে গেছে। দেখ কত লোক হেঁটে হেঁটে আসছে।

–বাব্বা দেখে মনে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ আসছে। এত মানুষকে কোথায় জায়গা দেয়া হবে।

–ইন্দিরা গান্ধী বুঝবেন কি করতে হবে। চল আমরা আগাই। একটা জায়গা খুঁজে নেই। নইলে আবার ফিরে যেতে হবে কিনা কে জানে?

–না, বাবা এভাবে ভাববেন না। আমরা যখন ঢুকেছি আমাদেরকে টিকে থাকতে হবে। বুকের ভেতর কষ্ট একটাই যে ছেলেটা মরে গেল।

দুহাতে চোখ মোছে মারুফ। কাছেই দাঁড়িয়ে আছে আসমানী। কিন্তু মুখে কোনো কথা নেই। ও এখন দরকার ছাড়া একদম কথা বলেনা।

সবাই এগিয়ে গিয়ে একটি বড় গাছের ছায়ায় বসে। শরণার্থীদের সাহায্য করার জন্য যারা আশেপাশে ছিল তারা এগিয়ে আসে। নির্মল বলে, এই গাছের নিচে আপনাদের দুটো তাঁবু করে দিচ্ছি।

–আমরা কি কিছু ভাত পাব?

–পাবেন। ডাল-ভাত-আলু ভর্তা এনে দিচ্ছি। এখানে এর বেশিকিছু খাওয়া হবে না।

–হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিক বলেছেন। আামদের বেঁচে থাকাটাই দরকার।

–আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মালামাল আসে। আমাদের সব সীমান্তে শরণার্থী ভরে গেছে।

–কি করব? পাক সেনারা গুলি ছাড়া আর কিছু বোঝে না। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া ছাড়া ওদের আর আনন্দ নেই। ওরা মানুষ চেনেনা। চেনে শুধু নিজেদের ছবি।

নির্মল সঙ্গে সঙ্গে বলে, আচ্ছা, ঠিক আছে চলুন। আপনাদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

–আমরা দুটো পরিবার একসঙ্গে এসেছি।

–ঠিক আছে, দুটো ক্যাম্প বানিয়ে দেব।

ওরা তিনজন সামনে হেঁটে যায়। বাকিরা সবাই পেছনে হাঁটে। ওরা সামনে গিয়ে এক জায়গায় থামলে ছেলেমেয়েরা ভাত খাবার জন্য কাঁদতে শুরু করে।

আকাশী বলে, এই তোরা গাছের নিচে বস। আমি তোদের ভাত খাওয়াব। পোটলায় বেঁধে আনা ভাতের হাঁড়ি বের করে ছেলেমেয়েদেরকে থালা দিয়ে বলে, সবাই হাত ধুয়ে নে। আমি ভাত-তরকারি দিচ্ছি।

তারপর আসমানীর দিকে তাকিয়ে বলে, মাগো তুই খেতে আয়। তোর খাওয়া দরকার।

–হ্যাঁ, আমার ভীষণ খিদে পেয়েছে মা।

–আয় বস।

–বসতে কষ্ট হয়। মনে হয় শুয়ে থাকি।

–আমাদেরকে তাঁবু দিলে তোকে শোওয়ার ব্যবস্থা করে দেব। ভাত খেয়ে নে।

আসমানী ঘাসের ওপর বসে এদিক-ওদিকে মোড়ামুড়ি করে। একসময় ভাতের থালা টেনে নেয়।

একটুপরে নির্মল আর যাদব এসে বলে আপনাদের জন্য একটা তাবু ঠিক করেছি। কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মারুফ বলে, আমি যাব আপনাদের সঙ্গে। বাবা ও চাচাকে নিয়ে যাব।

–হ্যাঁ, আসুন।

একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রবিউল ও মোবারককে নিয়ে মারুফ তাঁবুর কাছে যায়। একই ধরণের তাঁবুর পরিসর। কাছাকাছি করার কোনো সুযোগ নেই।

–বাবা, চাচা আপনারা এখানে থাকেন। আমি সবাইকে নিয়ে আসছি।

যাদব বলে, আপনাদেরকে শরণার্থী কার্ড দেয়া হবে। কাল সকালে নিয়ে আসব আমরা। এখন যাই।

–আচ্ছা বাবারা যাও। কাল দেখা হবে। তোমাদেরকে আশীর্বাদ করি।

নির্মল, যাদব, অসীম হাসতে হাসতে চলে যায়। ছোটদের খাওয়া হলে অবশিষ্ট ভাত সবাই একমুঠো করে খেয়ে ফেলে। তারপর জড়ো হয়ে যে যার তাঁবুর নিচে শুয়ে পড়ে। বেঁচে থাকার স্বস্তিতে আপ্লুত হয় সবাই। শুনতে পায় হেঁটে যাওয়া শরণার্থীর পায়ের শব্দ।

(চলবে)

এসএ/

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ