সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

অঞ্জন রাস্তার ধারে গিয়ে রিকশা দাঁড় করায়। কাছে এসে হালিমা খাতুনকে টেনে তোলে। মা-মেয়ে দু’জনকে রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে রিকশাওয়ালাকে বলে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড়াও। আমি আসছি, তোমার পেছনে পেছনে। রিকশাওয়ালা আস্তে আস্তে চালায়। অঞ্জন দ্রুত পায়ে হাঁটে। অল্পক্ষণে হাসপাতালে ঢোকে ওরা। ঘড়ি দেখে বিড়বিড়িয়ে বলে, ক্লাস তো শুরু হয়ে গেল। আজকে আর ক্লাস করা হবে না। থাক, একটা ক্লাস না করলে কিছু হবে না। এই গরিবের উপকারটুকু করে দিই। রিকশার পাশে এসে দাঁড়ালে কুকড়ি লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নামে। মেয়েটি খুব চঞ্চল। নেমেই অঞ্জনের হাত আঁকড়ে ধরে বলে, আমি কিছু খাব।


-কী খাবি?

-ভাত, রুটি, বিস্কুট যা পাওয়া যায়।

-দাঁড়া তোর মাকে নামাই।

হালিমা খাতুনের হাত ধরে রিকশা থেকে নামায় অঞ্জন। তারপর রিকশাওয়ালাকে ভাড়ার টাকা দেয়। হালিমা খাতুনকে জিজ্ঞেস করে, এখন কেমন লাগছে শরীর?

-খুব খারাপ। মনে হচ্ছে গায়ে কোনো শক্তি নেই।
অঞ্জন দু’জনকে সামনের দোকানে নিয়ে গিয়ে পাউরুটি, বিস্কুট কিনে দেয়। দু’জনকে বলে, এই কোনায় দাঁড়িয়ে আপনারা খান। এই পানির বোতলটা রাখেন।

-তুমি খাবে না বাবা?

-না, আমি বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে এসেছি।

-দুটো বিস্কুট খাও।

-না খালা, কিছু খাব না। কুকড়ির হাতে বিস্কুটের প্যাকেট থাকুক। ওর যখন ইচ্ছা হবে, খাবে। ওর কত বয়স হলো খালা?

-সাড়ে চার বছর। আমি হাসপাতালে ভর্তি হলে আমার মেয়ে কোথায় থাকবে? ওকে কি হাসপাতালে থাকতে দেবে?

-ভেতরে চলেন। কথা বলে দেখি।

-বাবারে আমার মেয়েরে যদি হাসপাতালে না রাখে তাহলে আমি ভর্তি হব না।

-না, না, এমন কথা ভাববেন না। দেখি কী ব্যবস্থা করা যায়।

কুকড়ি দু’হাতে অঞ্জনের হাত ধরে বলে, যদি আমাকে হাসপাতালে না রাখে তাহলে আমি ভাইয়ার কাছে থাকব। ভাইয়া তোমার বাড়িতে ঘর না থাকলে আমি বারান্দায় ঘুমাব।

-বলিস কি রে দুষ্টু মেয়ে। তুই তো অনেক কথা জানিস দেখি।

-বস্তিতে থাকি যে সবার কাছ থেকে কথা শিখি। কত লোক চারপাশে। সবাই অনেক কথা বলে।
হালিমা খাতুন ধমক দিয়ে বলে, হয়েছে থাম। আর কথা বলবি না।

-বলব, আমি অনেক কথা বলতে ভালোবাসি।

-থাম কুকড়ি। আর কথা বলিস না। খালা চলেন আমরা ইমার্জেন্সিতে যাই। আপনার কোনো ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয়েছে কি?

-না, রে বাবা। কেমন করে সুযোগ হবে? ভিক্ষার টাকায় ভাত খাই। ওষুধ খাওয়ার জন্য তো রাখতে পারি না।
-ঠিক আছে চলেন।

দু’হাতে দু’জনকে ধরে এগোয় অঞ্জন। বুকের ভেতর চনমন করে। আজ একটি অন্যদিন ওর সামনে। ও এই দায়িত্ব না নিলেও পারত। ওদের ছেড়ে চলে আসত কলেজে। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় পারেনি। মানবিক বোধ চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে বলেছিল, মানুষের জন্য মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হয়। যে দায়িত্ব নেয় না সে অমানুষ। নিজেকে শাসন করে দায়িত্ব নিয়েছে। ভবিষ্যতে নিজেও ডাক্তার হবে। দেখেশুনে রাখতে হবে এমন অসংখ্য মানুষকে। এই প্রতিজ্ঞা করলাম দু’জনের হাত ধরে। বুকের ভেতর কথা জমিয়ে রাখে অঞ্জন। ভাবে, বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে এই কথা বলবে।

ইমার্জেন্সিতে গেলে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন, কী খবর অঞ্জন? কাকে নিয়ে এসেছ?

-তিনি একজন পথের ভিখারি।

-কোথা থেকে আনলে তাঁকে?

-শহীদ মিনার থেকে। এটি ওনার মেয়ে। দু’জনে ভিক্ষা করে জীবন চালায়। শহীদ মিনারে দেখা হলো আমার সঙ্গে।

-কী সমস্যা হয়েছে ওনার?

-খুবই অসুস্থ। সেজন্য আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ওনার জ্বর এবং পেটে ব্যথা।

-যে অসুখের কথা বললে তার জন্য তো ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা নেই। এটা তো জরুরি বিভাগ।

-উনি তো রাস্তার মানুষ। বস্তিতে থাকেন। ডাক্তার দেখানোর সাধ্য নেই। সেজন্য আমি নিয়ে এসেছি যে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করব। মেডিকেল কলেজে পড়ি বলে আপনাদের চিনি। আপনাদের কাছ থেকে ভর্তির সহযোগিতা নেব। আপনাকে ব্যবস্থা করে দিতেই হবে ডাক্তার ভাই। আপনার মানবিক বিবেচনা এ ক্ষেত্রে কাজ করুক। অফিস ফরমালিটিজ দিয়ে আমরা সব দিক রক্ষা করতে পারব না।

-ঠিক আছে আমি দেখছি। তুমি দাঁড়াও।
কুকড়ি লাফিয়ে বলে, আমিও হাসপাতালে থাকব।

-তুমি কেন হাসপাতালে থাকবে? তোমার তো জ্বর হয়নি।

-আমার তো খিদা পায়। পেট চোঁ-চোঁ করে। এটা অসুখ না?

অঞ্জন দু’হাতে তার মাথা জড়িয়ে ধরে বলে, হ্যাঁ রে, অসুখ। অনেক বড় অসুখ।

-এর ওষুধ কী বলো তো?

-ভাত।

সবাই হো-হো করে হাসে। হাসতে হাসতে ডাক্তার হালিমা খাতুনের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেয়। আট নম্বর ওয়ার্ডের পঁচিশ নম্বর বেড। অঞ্জনকে কাগজপত্র দিয়ে বলে নিয়ে যাও। হালিমা খাতুন ডাক্তারকে বলে, ডাক্তার সাহেব। কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় থাকব?

-মায়ের সঙ্গে।

-ওহ, মায়ের সঙ্গে। মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমাব। মা-মাগো চলো, চলো।

লাফাতে লাফাতে ও বারান্দায় বেরিয়ে যায়। অঞ্জন হালিমা খাতুনের হাত ধরে এগোয়। কুকড়ি সামনে থেকে ছুটে এসে অঞ্জনের হাত ধরে। নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে পৌঁছে সব ব্যবস্থা করে দিয়ে অঞ্জন বেরিয়ে আসার সময় ওয়ার্ডের কর্মী বলে, এই বাচ্চাকে রেখে যাচ্ছেন কেন? কে ওকে দেখাশোনা করবে?

-ওর মা তো অসুস্থ। আমরা এখানে কোনো বাচ্চা রাখি না। রোগীর সঙ্গে আবার বাচ্চা কেন? ওকে বাড়িতে রেখে আসেন।

-ওরা তো রাস্তার মানুষ। বাড়ি নাই। ওর কেউ নাই।

-তাহলে, আপনি ওকে রাখার ব্যবস্থা করেন। আপনি আসুন আমার সঙ্গে আপনাকে বিছানায় দিয়ে আসি।

-হ্যাঁ, আমি বিছানায় যাব। আমার মাথা ঘোরাচ্ছে।

 

 

(চলবে..)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমিনুল ইসলাম নামে পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরকে (এসআই) ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। একই সময়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে থাকা এক পুলিশের সোর্স শহীদুল ইসলাম জাহেদকেও আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (১৮ মে) বিকেলে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল খালেক জানান, তার ছোট ভাইয়ের পাঠানো ১৬ ভরি ওজনের ৮টি বালা নিয়ে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে নিয়ে ফিরছিলেন তিনি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে নগরীর টাইগারপাস এলাকায় তাকে পুলিশ পরিচয়ে বাস থেকে নামায় দুই যুবক। পরে তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ঘুরিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে উঠে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে নামিয়ে দেয়া হয়। এসময় চিৎকার শুরু করেন ভুক্তভোগী। ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সাধারণ মানুষেরা দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে।

এসময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিল পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি টহল দল। টহল দল দুই ছিনতাইকারীর মধ্যে একজন খুলশী থানার এস আই আমিনুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৯ মে) দুপুরে জেলার পোরশা ও মহাদেবপুর উপজেলায় পৃথক সময়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতরা হলো- পোরশা উপজেলার নিতপুর মনোহরপুর গ্রামের রুবেল ইসলামের ছেলে লালচাঁন ইসলাম (৭) এবং মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে সিফাত হোসেন (১২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- রোববার দুপুরে রুবেল ইসলাম তার ছেলে লালচাঁনকে সাথে নিয়ে পোরশা উপজেলার কপালী মোড় পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্যে আসেন। এসময় রাস্তা পারাপারের সময় মাসুদ বিড়ি বহনকারি একটি অটোরিশার লালচাঁনকে ধাক্কা দেয়। এতে লালচাঁন গুরুত্বর আহত হয়ে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে যায়। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে অটোরিকশার চালক আবুল কালামকে আটকসহ অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
অপরদিকে, রোববার বিকেল ৫টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের রানীপুকুর মাদ্রাসার অদূরে বাস চাপায় সিফাত হোসেন নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়সাল হোসেন নামের আরেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিহত সিফাত হোসেন মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের বুজরুক বড়াইল গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এবং রানিপুকুর ক্বেরাতুল কুরআন ক্বওমী মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডে’র মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

ইশরাকের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, এ মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন ইশরাক। সেই সময় শেষ হতে চলায় গত ২৩ এপ্রিল তিনি জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইশরাক হোসেন পল্টন থানাসহ ১২টি মামলায় স্থায়ী জামিন আবেদন করেন। আদালত ১১ মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকাণ্ডের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইশরাক বলেন, হাই কোর্টথেকে জামিনে থাকলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বেশিরভাগ মামলাতেই আদালত জামিন দিয়ে দেন। কিন্তু একটায় আটকানো হল আমাকে। এটা উদ্দেশ্যমূলক। সরকার তো গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে ফেলেছে।

গত ২৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন শিকদার নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় এ মামলা করেন। মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘উপদেষ্টা’ পরিচয় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা মিঞা জাহিদুল ইসলাম আরেফীর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ মোড় পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সে সময় বিচারপতির সরকারি বাসভবনসহ সরকারি স্থাপনা ও গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিএনপিকর্মীরা। তাতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন।

এজাহারে বলা হয়, বিএনপির ওই কর্মকাণ্ডের পর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে আসামি জাহিদুল ইসলাম আরেফী, চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে ২০ জন নেতাকর্মী কিছুসংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। মে সময় আরেফী নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেন। বাংলাদেশ পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তার সরকারের কাছে সুপারিশকরেছেন বলে তিনি বক্তব্য দেন।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, মামলার ২ নম্বর আসামি হাসান সারওয়ার্দী এবং ৩ নম্বর আসামি ইশরাক হোসেন আরেফীকে ‘মিথ্যা বক্তব্য দিতে সহযোগিতা’ করেন এবং তার বক্তব্য সমর্থন করে বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিতে ‘উসকানি’ দেন।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসীর স্বর্ণ ছিনতাইকালে আটক পুলিশের এসআই
নওগাঁয় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ শিশুর
বিএনপি নেতা ইশরাককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
ঘুষের দর-কষাকষির অডিও ভাইরাল, ফেঁসে যাচ্ছেন এএসআই
দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
১৭ মন্ত্রী-এমপির স্বজন চেয়ারম্যান প্রার্থী: টিআইবি
দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ৩ উপজেলায় নির্বাচন, আইন-শৃংখলা রক্ষায় জেলা পুলিশের ব্রিফিং
মিশা-ডিপজল দুজনেই মূর্খ: নিপুণ
পুকুর খননের মাটির ভেতর থেকে মিলল কষ্টি পাথরের লক্ষ্মী-নারায়ন মূর্তি
ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ