বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

অঞ্জন রাস্তার ধারে গিয়ে রিকশা দাঁড় করায়। কাছে এসে হালিমা খাতুনকে টেনে তোলে। মা-মেয়ে দু’জনকে রিকশায় উঠিয়ে দিয়ে রিকশাওয়ালাকে বলে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড়াও। আমি আসছি, তোমার পেছনে পেছনে। রিকশাওয়ালা আস্তে আস্তে চালায়। অঞ্জন দ্রুত পায়ে হাঁটে। অল্পক্ষণে হাসপাতালে ঢোকে ওরা। ঘড়ি দেখে বিড়বিড়িয়ে বলে, ক্লাস তো শুরু হয়ে গেল। আজকে আর ক্লাস করা হবে না। থাক, একটা ক্লাস না করলে কিছু হবে না। এই গরিবের উপকারটুকু করে দিই। রিকশার পাশে এসে দাঁড়ালে কুকড়ি লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নামে। মেয়েটি খুব চঞ্চল। নেমেই অঞ্জনের হাত আঁকড়ে ধরে বলে, আমি কিছু খাব।


-কী খাবি?

-ভাত, রুটি, বিস্কুট যা পাওয়া যায়।

-দাঁড়া তোর মাকে নামাই।

হালিমা খাতুনের হাত ধরে রিকশা থেকে নামায় অঞ্জন। তারপর রিকশাওয়ালাকে ভাড়ার টাকা দেয়। হালিমা খাতুনকে জিজ্ঞেস করে, এখন কেমন লাগছে শরীর?

-খুব খারাপ। মনে হচ্ছে গায়ে কোনো শক্তি নেই।
অঞ্জন দু’জনকে সামনের দোকানে নিয়ে গিয়ে পাউরুটি, বিস্কুট কিনে দেয়। দু’জনকে বলে, এই কোনায় দাঁড়িয়ে আপনারা খান। এই পানির বোতলটা রাখেন।

-তুমি খাবে না বাবা?

-না, আমি বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে এসেছি।

-দুটো বিস্কুট খাও।

-না খালা, কিছু খাব না। কুকড়ির হাতে বিস্কুটের প্যাকেট থাকুক। ওর যখন ইচ্ছা হবে, খাবে। ওর কত বয়স হলো খালা?

-সাড়ে চার বছর। আমি হাসপাতালে ভর্তি হলে আমার মেয়ে কোথায় থাকবে? ওকে কি হাসপাতালে থাকতে দেবে?

-ভেতরে চলেন। কথা বলে দেখি।

-বাবারে আমার মেয়েরে যদি হাসপাতালে না রাখে তাহলে আমি ভর্তি হব না।

-না, না, এমন কথা ভাববেন না। দেখি কী ব্যবস্থা করা যায়।

কুকড়ি দু’হাতে অঞ্জনের হাত ধরে বলে, যদি আমাকে হাসপাতালে না রাখে তাহলে আমি ভাইয়ার কাছে থাকব। ভাইয়া তোমার বাড়িতে ঘর না থাকলে আমি বারান্দায় ঘুমাব।

-বলিস কি রে দুষ্টু মেয়ে। তুই তো অনেক কথা জানিস দেখি।

-বস্তিতে থাকি যে সবার কাছ থেকে কথা শিখি। কত লোক চারপাশে। সবাই অনেক কথা বলে।
হালিমা খাতুন ধমক দিয়ে বলে, হয়েছে থাম। আর কথা বলবি না।

-বলব, আমি অনেক কথা বলতে ভালোবাসি।

-থাম কুকড়ি। আর কথা বলিস না। খালা চলেন আমরা ইমার্জেন্সিতে যাই। আপনার কোনো ডাক্তার দেখানোর সুযোগ হয়েছে কি?

-না, রে বাবা। কেমন করে সুযোগ হবে? ভিক্ষার টাকায় ভাত খাই। ওষুধ খাওয়ার জন্য তো রাখতে পারি না।
-ঠিক আছে চলেন।

দু’হাতে দু’জনকে ধরে এগোয় অঞ্জন। বুকের ভেতর চনমন করে। আজ একটি অন্যদিন ওর সামনে। ও এই দায়িত্ব না নিলেও পারত। ওদের ছেড়ে চলে আসত কলেজে। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় পারেনি। মানবিক বোধ চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে বলেছিল, মানুষের জন্য মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হয়। যে দায়িত্ব নেয় না সে অমানুষ। নিজেকে শাসন করে দায়িত্ব নিয়েছে। ভবিষ্যতে নিজেও ডাক্তার হবে। দেখেশুনে রাখতে হবে এমন অসংখ্য মানুষকে। এই প্রতিজ্ঞা করলাম দু’জনের হাত ধরে। বুকের ভেতর কথা জমিয়ে রাখে অঞ্জন। ভাবে, বাড়িতে গিয়ে বাবা-মাকে এই কথা বলবে।

ইমার্জেন্সিতে গেলে ডাক্তার জিজ্ঞেস করেন, কী খবর অঞ্জন? কাকে নিয়ে এসেছ?

-তিনি একজন পথের ভিখারি।

-কোথা থেকে আনলে তাঁকে?

-শহীদ মিনার থেকে। এটি ওনার মেয়ে। দু’জনে ভিক্ষা করে জীবন চালায়। শহীদ মিনারে দেখা হলো আমার সঙ্গে।

-কী সমস্যা হয়েছে ওনার?

-খুবই অসুস্থ। সেজন্য আমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ওনার জ্বর এবং পেটে ব্যথা।

-যে অসুখের কথা বললে তার জন্য তো ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা নেই। এটা তো জরুরি বিভাগ।

-উনি তো রাস্তার মানুষ। বস্তিতে থাকেন। ডাক্তার দেখানোর সাধ্য নেই। সেজন্য আমি নিয়ে এসেছি যে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করব। মেডিকেল কলেজে পড়ি বলে আপনাদের চিনি। আপনাদের কাছ থেকে ভর্তির সহযোগিতা নেব। আপনাকে ব্যবস্থা করে দিতেই হবে ডাক্তার ভাই। আপনার মানবিক বিবেচনা এ ক্ষেত্রে কাজ করুক। অফিস ফরমালিটিজ দিয়ে আমরা সব দিক রক্ষা করতে পারব না।

-ঠিক আছে আমি দেখছি। তুমি দাঁড়াও।
কুকড়ি লাফিয়ে বলে, আমিও হাসপাতালে থাকব।

-তুমি কেন হাসপাতালে থাকবে? তোমার তো জ্বর হয়নি।

-আমার তো খিদা পায়। পেট চোঁ-চোঁ করে। এটা অসুখ না?

অঞ্জন দু’হাতে তার মাথা জড়িয়ে ধরে বলে, হ্যাঁ রে, অসুখ। অনেক বড় অসুখ।

-এর ওষুধ কী বলো তো?

-ভাত।

সবাই হো-হো করে হাসে। হাসতে হাসতে ডাক্তার হালিমা খাতুনের ভর্তির ব্যবস্থা করে দেয়। আট নম্বর ওয়ার্ডের পঁচিশ নম্বর বেড। অঞ্জনকে কাগজপত্র দিয়ে বলে নিয়ে যাও। হালিমা খাতুন ডাক্তারকে বলে, ডাক্তার সাহেব। কুকড়ি জিজ্ঞেস করে, আমি কোথায় থাকব?

-মায়ের সঙ্গে।

-ওহ, মায়ের সঙ্গে। মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমাব। মা-মাগো চলো, চলো।

লাফাতে লাফাতে ও বারান্দায় বেরিয়ে যায়। অঞ্জন হালিমা খাতুনের হাত ধরে এগোয়। কুকড়ি সামনে থেকে ছুটে এসে অঞ্জনের হাত ধরে। নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে পৌঁছে সব ব্যবস্থা করে দিয়ে অঞ্জন বেরিয়ে আসার সময় ওয়ার্ডের কর্মী বলে, এই বাচ্চাকে রেখে যাচ্ছেন কেন? কে ওকে দেখাশোনা করবে?

-ওর মা তো অসুস্থ। আমরা এখানে কোনো বাচ্চা রাখি না। রোগীর সঙ্গে আবার বাচ্চা কেন? ওকে বাড়িতে রেখে আসেন।

-ওরা তো রাস্তার মানুষ। বাড়ি নাই। ওর কেউ নাই।

-তাহলে, আপনি ওকে রাখার ব্যবস্থা করেন। আপনি আসুন আমার সঙ্গে আপনাকে বিছানায় দিয়ে আসি।

-হ্যাঁ, আমি বিছানায় যাব। আমার মাথা ঘোরাচ্ছে।

 

 

(চলবে..)

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত