শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কয়েক মাস পরই চৌগাছায় যুদ্ধ শুরু হয়। অঞ্জন দ্রুত চৌগাছায় পৌঁছে যায়। ওর সঙ্গে মুজফফর আর লুৎফাও আসে। অঞ্জন ওদেরকে বলে, আমাদের তো অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নাই। তাই আমরা আহতদের চিকিৎসা করব। সুস্থ করব সবাইকে। কারো যদি মৃত্যু হয় তাহলে কবর দেব তাকে। কেউ কোথাও পড়ে থাকবে না।
লুৎফা চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। বলে, আমিও আপনার সঙ্গে সবার সেবা করব। কবর দেয়ার আগে দোয়া পড়ব। জানাজা তো হবে না।
- ঠিক বলেছেন ভাবী।
অঞ্জন লুৎফার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে। লুৎফা আবার বলে, আমরা একটা বড় গর্ত করব। যার যার ধর্ম তার থাকবে, কিন্তু সবাইকে এক গর্তে রেখে মাটি টেনে দেব।
- বাব্বা, আপনি তো বেশ-
- আমরা হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান খুঁজব না। সবাই আমাদের সামনে স্বাধীনতার শহীদ। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে।
- তাতো হতেই হবে। শরণার্থী শিবিরে এসে আমরা এই সত্য গভীরভাবে বুঝতে পারছি। ধর্ম যার যার দেশ সবার। শরণার্থী শিবিরে আমরা একসঙ্গে দিন কাটাচ্ছি। এখানে ধর্ম নিয়ে আমাদের কোনো বাড়াবাড়ি নাই। এখানে আমরা একটি স্বপ্ন পূরণের জায়গায় জড়ো হয়েছি। সবাই আমরা এক স্বপ্ন দেখার মানুষ। এর বাইরে আমরা আর কিছু চিন্তা করিনা।
অঞ্জনের কথা শুনে লুৎফা উৎফুল্ল হয়ে বলে, ঠিক বলেছেন দাদা। খুব সুন্দর করে বলেছেন। এমন কথা শুনলে আমার মাথা ভরে যায়। শরণার্থী শিবিরে থাকার সব কষ্ট বুলে যাই। বেঁচে থাকা ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ফুলের গন্ধে শ্বাস টানি।
চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই শব্দ করে হাসে। হাসতে হাসতে সিরাজ বলে, ভাবী নতুন করে কথা বলে।
মাসুম হাসতে হাসতে বলে, বুঝতে পারছি ভাবী ঢাকায় থাকলে কবিতা লিখতেন।
সবাই একসঙ্গে বলে, ঠিক ঠিক।
কারো মুখ থেকে হাসি বন্ধ হয়না। কিছুক্ষণ হাসির স্রোত বয়ে যায়। লুৎফা চুপ করে থেকে সবার মুখের দিকে তাকায়। অঞ্জন বলে, আমি আপনাকে কাগজ কলম দেব। আপনি স্বাধীনতা নিয়ে এক লাইন কবিতা লিখবেন।
- না, না, আমি পারবনা। আমিতো কখনো কবিতা পড়ি নাই।
- পারবেন, পারবেন। আপনার চিন্তা সুন্দর।
- এখন থাক। এখন এসব ভাবব না। আগে যুদ্ধে জিতব আমরা। আমার সামনে যুদ্ধ এখন কবিতা। কঠিন কবিতা। যেটা লেখা সহজ না। এটা লিখতে জীবন দিতে হয়।
মুজফফর লুৎফার পিঠে হাত রেখে বলে, এখন থাম গো। এতকথা বলার দরকার নাই।
- না, আর কথা বলব না। থামলাম।
পাশে দাঁড়ানো সবাই হাততালি দেয়। জোরে জোরে বলে, যুদ্ধ আমাদের কবিতা। কবিতা দিয়ে স্বাধীনতা আনব।
লুৎফা কথা বলে না। মুজফফর সীমান্তের ওপারে তাকিয়ে থাকে। দেখতে পায় পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের সীমান্ত গ্রাম বয়ড়ার দিকে এগিয়ে আসছে। কিছুক্ষণ পরই তীব্র আক্রমণ চালায়। বয়ড়া গ্রামের ঢোকার চেষ্টা করছে। চৌগাছায় মুক্তিবাহিনী প্রতিরোধ করে। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। মুজফফর লুৎফার হাত ধরে বলে, আমরা যুদ্ধের পেছনের শক্তি হয়ে থাকব। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যা কিছু করা দরকার তা করব। আমরা আড়াল হয়ে থাকবনা।
অঞ্জন বলে, চলো ওই পাশে যাই। ওখঅনে গিয়ে দাঁড়ালে যুদ্ধের পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যাবে।
মুজফফর কড়কড় শব্দে চেঁচিয়ে বলে, পাকিস্তানি সেনারা ষোলটা ট্যাংক নিয়ে এগিয়েছে। আমি গুণেছি।
- আমিও গুনেছি। আমাদের মুক্তিবাহিনীও সমান ট্যাংক আর ভারী কামান নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে আক্রমণ করেছে।
- চলো, কতজন পাকিস্তানি সৈন্য আছে আমরা গুণে দেখি।
- গোণার কি দরকার?
- এজন্য গুণব যে কতজনের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ হচ্ছে তা দেখব।
মুজফফর বলে, আমরা ওই দিকে দাঁড়িয়ে গুণতে পারব। চলো। গুণে ফেলি।
লুৎফা চেঁচিয়ে বলে, যুদ্ধের সময় এটা তোমাদের একটা খেলা হবে। তখন প্রবল গুলির শব্দে মুক্তিযোদ্ধা সালাম মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। অঞ্জন একদৌড়ে কাছে গিয়ে বসে পড়ে। দেখতে পায় বুকে গুলি লেগেছে। মুজাফফর কাছে এসে বলে, আপনি আর আমি ওনাকে নিয়ে ওপাশে যাই। আপনি মাথা ধরেন, আমি পায়ের দিক ধরছি। ওখানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করব। দুজনে সালামকে তুলে নিয়ে চলে যায়। লুৎফা নিজের শাড়ির আঁচল দিয়ে গড়িয়ে পড়া রক্তের ধারা মুছতে থাকে। সালামকে ঘাসের ওপর শুইয়ে দিলে অঞ্জন ওর কাছে রাখা যে ওষুধ আছে তা দিয়ে পরিচর্যা শুরু করে। বুকে গুলি লেগে জ্ঞান হারিয়েছে সালাম। অঞ্জন বুঝতে পারে ওকে বাঁচানো যাবে না। যতক্ষণ বেঁচে থাকবে এইটুকুই ওর যুদ্ধের সময়। ও কাউকে কিছু বলে না। কিন্তু নিজে সরে যায় না। নানাভাবে পরিচর্যা করতে থাকে। একসময় লুৎফা এসে ওর কাছাকাছি বসে। বলে, এখনও জ্ঞান ফিরল না? আমার ভয় করছে? আমি কোনো সেবা করতে পারি?
- না, কিছু করতে পারবে না। আমি যা করছি এটাই ঠিক আছে।
লুৎফা কথা বলে না। সালামের কপালে হাত রাখে। বলে, জ্ঞান ফিরলে আমি প্রথম কথা বলব। আপনি বলবেন না।
- আপনি চুপচাপ বসে থাকেন। কথা বলার দরকার নাই।
- আমি আস্তে আস্তে ওনার জন্য দোয়া পড়ব।
- পড়েন। আল্লাহতালা ওকে বাঁচিয়ে দেবে। আমাদের সামনে একজন মুক্তিযোদ্ধা মরে যাবে এটা আমরা ভাবতে পারি না।
লুৎফা মৃদু স্বরে দোয়া পড়ে। ওর কণ্ঠস্বর চারদিকে ছড়িয়ে যায়। সবাই খুব স্বস্তি বোধ করে। আহত মুক্তিযোদ্ধাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই অঞ্জনের বুক শীতল হয়ে আসে। বুঝতে পারে সালামকে বাঁচানো যাবে না। ওর শরীর শীতল হয়ে আসছে। জ্ঞান ফিরবে বলে মনে হচ্ছে না।
একটু পরে মুজফফর এসে বলে, পাকিস্তানি সেনারা পাঁচশ জন আছে।
লুৎফা দাঁড়িয়ে উঠে বলে, ওরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি মেরেছে। ওদের সবগুলোকে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা শেষ করবে।
দাঁড়িয়ে থাকা সবাই লুৎফার দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউ কোনো কথা বলে না। চারদিকে গোলাগুলির শব্দ প্রবল হয়ে ওঠে। দূর থেকে দেখা যায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। দূরে দাঁড়িয়ে শরণার্থীরা উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। সবাই মিলে স্লোগান দেয়, জয় বাংলা - জয় বাংলা।
অঞ্জন দেখতে পায় মরে গেলেন মুক্তিযোদ্ধা সালাম। উপুড় হয়ে ওর বুকের ওপর মাথা রাখে অঞ্জন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সবাই এসে সালামকে ঘিরে বসে।
লুৎফা বলে, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা শহীদ সালাম - জয় বাংলা।

চলবে...

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৪০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি