রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

দিন গড়ায়। পার হয়ে যায় মাস। সামনে স্বপ্নে দিন প্রবল হয়ে উঠতে থাকে। চারদিক থেকে মুক্তিযুদ্ধের নানা খবর জানতে পারে শরণার্থীরা। কোথায় কি হচ্ছে জেনে নিজেদের পরিস্থিতি ঝাঁকিয়ে তোলে। অনেকে কাছে-ধারে যুদ্ধের নানা জায়গায় চলে যায়। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে।

লুৎফা অনেক আগ্রহ নিয়ে মুজফফরকে ধরে চৌগাছা যায়। কাছাকাছি গেলেই টের পায় মুক্তিবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এসেছেন রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ-প্রস্তুতির এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। মুজফফর আর লুৎফা অন্যদের কাছ থেকে শুনে বুঝতে পারে যে তিনি কে। তাঁকে ঘিরে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। ওরাও এক জায়গায় দাঁড়ায়। শুনতে পায় তিনি কি বলছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘সেদিন আর দেরি নেই, যেদিন শত্রুর জেল থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসে আমাদের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর অভিবাদন গ্রহণ করবেন। মুক্তিবাহিনীর বীরযোদ্ধারা শিগগিরই হানাদারদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবেন। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ তার নিজের শক্তিতেই রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত আছে এবং থাকবে।’

চারদিক থেকে সবাই চিৎকার করে বলে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ। মুজফফর আর লুৎফা উদ্দীপ্ত হয়ে উঠে। সবার কণ্ঠের সঙ্গে নিজেদের কণ্ঠ মেলায়। দেখতে পায় একটু পরে তিনি চলে যাচ্ছেন। অনেকেই তাঁর পেছনে পেছনে হাঁটে, কিন্তু বেশিদূর যেতে পারে না। তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে সবাইকে নিষেধ করেন। মুজফফর আর লুৎফা সীমান্তের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। সামনের দিকে তাকিয়ে দূরে পাকিস্তানি বাহিনীকে দেখে দৌড়াতে দৌড়াতে অন্যদিকে চলে যায়। এক জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালে একজন বলে, ওই দেখেন, ওইটা ভারতের বয়ড়া গ্রাম। ওই গ্রামের পাশেই আমাদের চৌগাছা। মুজফফর লুৎফার হাত ধরে বলে, চলো ওখান থেকে ঘুরে আসি।

লুৎফা দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায়। মুজফফরের হাঁটার পেছনে থাকে না। বয়ড়ার মাটিতে পা রেখে দুজনে চারদিকে তাকায়। দেখতে পায় অনেক দূরে পাকিস্তানি বাহিনী স্কোয়াড্রন ট্যাঙ্ক বহর নিয়ে অপেক্ষা করছে। লুৎফা ওই দিকে তাকিয়ে বলে, ওরা কি শরণার্থীদের মেরে ফেলার জন্য তৈরি হয়েছে? আমাদের শত্রু ভাবছে, যে কোনো সময় ছুটে আসতে পারে।
-আসুক। এলে আমরা কি ছাড়ব নাকি? আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বাধা দেবে।
-তাই যেন হয়। আমরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে নতি স্বীকার করব না।
-কি যে বল এসব কথা। নতি স্বীকারের তো প্রশ্নই উঠে না। যদি শহীদ হতে হয় সবাই মিলে শহীদ হব। আমাদের ছেলেমেয়েরা স্বাধীন দেশের মানুষ হবে।
-স্বাধীনতার জন্য যা কিছু ঘটবে, ঘটুক। আমরা সবাইকে সালাম জানাই। দেখছিতো চৌগাছার এখানে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানি বাহিনী এগিয়ে এলে রেহাই পাবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হবে।
-হয়েছে থাক। চলো আমরা যাই। যুদ্ধ শুরু হলে আমরা এখানে আসব।
-আমিও আসব। আমি যুদ্ধের মানুষ হতে চাই। শূন্য হাতে স্বাধীনতা চাই না। স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিতে রেডি আছি।
-তুমি খুব সাহসী মহিলা লুৎফা।
-স্বাধীনতার জন্য সাহস তো থাকতেই হবে।
-আমার বউয়ের সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি।
-ভালোবাসা দেখে অবাক হওনি?
-বাব্বা, তোমার সঙ্গে কথা বলে আমি পারি না। তোমার ভালোবাসা আমাকে অবাক করেনি। জীবনকে ফুলবাগান করেছে। কত রঙের ফুল, আর কত সুন্দর সুবাস। নিশ্বাস টানলে বুক ভরে যায়। তোমার ভালোবাসা আমাকে এভাবে উৎফুল্ল করে।
-আমার প্রাণ ভরে গেল তোমার কথায়। চলো দুজনে ফিরে যাই।
-আমাদের শরণার্থী জীবনে আমরা দুজনে দুজনকে আবিষ্কার করলাম।
-ঘরে গিয়ে আমরা একটি বাচ্চা নেব। যেন ওর জন্ম হয় শরণার্থী শিবিরে।

মুজফফর জোরে জোরে বলে, না আমি চাই না। দেশ স্বাধীন হলে তারপর আমাদের অনেক স্বপ্ন পূরণ হবে। শরণার্থী শিবির মানে আমাদের এখন যুদ্ধের দিন। যুদ্ধ ছাড়া আমরা আর অন্যকিছু চিন্তা করব না।

লুৎফা এই কথায় দমে যায়। এটাইতো সঠিক কথা। ও নিজে কেন চিন্তা করল না। নিজের উপর রাগ হয়। লুৎফা আর কথা বলে না। নিশ্চুপ হয়ে যায়। নতুন ভাবনা ওকে আলোড়িত করে। ভাবে, এখান থেকে চৌগাছায় চলে যাবে। সেখানে থাকার জায়গা না পেলে গাছের নিচে থাকব, এমন ভাবনা ওকে আলোড়িত করে। মুজফফরের হাত ধরে দ্রুতপায়ে ফিরে আসে তাঁবুতে। মেঝেতে বসে পড়ে বলে, আমি আর এখানে থাকব না। চৌগাছায় যাব।
-হ্যাঁ, আমিও যাব। জীবনের মায়া নিয়ে পড়ে থাকব না।
-কবে যাব আমরা?
-দু’একদিনের মধ্যে।
-কালকেই যাই?
-হ্যাঁ, চলো। চাল-ডাল সব যা আছে গুছিয়ে নাও।
-তাতো নিতে হবেই। তুমি কিছু ভেবো না। আমি সব গুছিয়ে নেব। খাবারের জন্য কারো কাছে হাত পাততে হবে না।
-আমিতো জানি তোমার মাথায় এমন চিন্তাই থাকবে। তোমার কাছে পিছুটানের হিসাব নেই। লুৎফা হাসতে হাসতে বলে, তুমি আমাকে খুব ভালো করে বোঝ। এটাই তোমার ভালোবাসা।
কথা বলে উঠে বসে লুৎফা। তাঁবুর ভেতরের সবকিছু এক জায়গায় এনে গোছাতে শুরু করে।
মুজাফফর বাইরে ঘুরতে যায়।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশি নারীদের দিয়ে যৌন ব্যবসা চালানো একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে ভারতে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এক কিশোরীসহ অন্তত ২৩ তরুণী বাধ্য হয়ে সেখানে এসব কাজ করছেন। ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাজ্যটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশাটিভি রোববার (২৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তরুণীরা বৃহৎ মানবপাচারের শিকার হয়েছেন। তাদের দৈনিক ২ হাজার রুপি বেতনের কাজের লোভ দেখিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা শোষণ ও অন্যায়ের শিকার হয়েছেন।

এই যৌনব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকা দালালরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে খদ্দেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যখন কোনো খদ্দের আগ্রহ প্রকাশ করেন তখন তাদের বাংলাদেশি তরুণীদের ছবি পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে কোনো একজনকে বেঁছে নেয় তারা। এরপর আগেই অর্থ পরিশোধ করতে হয়। সবশেষে ওই খদ্দেরকে হোটেলের ঠিকানা দেওয়া হয় যেখানে নির্দিষ্ট তরুণী অপেক্ষা করেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কোটাক থেকে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে উদ্ধারের পর পুরো বিষয়টি সামনে আসে। ওই কিশোরীকে লিংক রোডের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্ত শুরু হয় কীভাবে বাংলাদেশি তরুণীদের ওড়িশায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া এক যৌনকর্মী জানান, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তিনি এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তিনি এখানে আটকা পড়ে গেছেন। উদ্ধারকৃত ওই যৌনকর্মী জানান, পুরো বিষয়টি পরিচালনা করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রতারণার শিকার এই তরুণীদের কয়েক বছর ধরে আটকে রেখেছে চক্রটি। যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয় যেসব দালাল এই ব্যবসা চালানোয় ভূমিকা রেখেছে তাদের শনাক্ত করতে সক্রিয় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ভুবনেশ্বরের ডিসিপি পিনাক মিশ্রা ওড়িশাটিভিকে বলেছেন, “আমরা টুইন সিটিতে এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের ওপর দৃষ্টি রাখছে। আমাদের কাছে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য আছে। যারা এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Header Ad

ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা

ছবি: সংগৃহীত

কনমেবল সাব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। পেরুর লিমার ভিলা এল সালভাদর স্পোর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চাপে রেখে ম্যাচটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পেরুর লিমাতে বসেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ১০ দলের ফুটসাল টুর্নামেন্ট। যদিও ব্রাজিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল। বিপরীতে আর্জেন্টিনা রার্নাসআপ হয়ে। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল ব্রাজিল। কিন্তু আর্জেন্টিনা জয় পায় দুইটিতে। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ঠিকই জয় তুলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।

আগামীকাল সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। কলম্বিয়াও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন প্যারাগুয়েকে একই ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন

নায়েব আলী জোয়ারদার এবং তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ারদার ২টি মামলায় ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। অন্যদিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ৩টি মামলায় ২০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. এমরান হোসেন চেীধুরী আগামী ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ জামিন আদেশ দেন।

জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান।

জানা যায়, সাবেক সংসদ সদস্য নায়ের আলী জোয়ারদারকে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাড়ি ও জেলা বিএনপির অফিসে হামলা অগ্নিসংযোগের অভিযোগের মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার দিন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আরপপুরের জামতলা এলাকার বাড়ি থেকে র‍্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকেই তিনি জেলে ছিলেন। ঝিনাইদহ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করলে বিনাভোটে নায়েব আলী জোয়ারদার এমপি নির্বাচিত হন।

এ দিকে ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গত ৬ অক্টোবর সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ২০১৩ সালে জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম হত্যা মামলা, জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জেলা বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, মেডিকেল গ্রাউন্ডে আদালত আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে জামিন দিয়েছেন। দীর্ঘদিন তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে আসামির আইনজীবী আদালতকে জানান। তারপরও তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জামিন মঞ্জুর করেছেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে বাংলাদেশি তরুণীদের
ব্রাজিলকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেল আর্জেন্টিনা
আওয়ামী লীগের ২ সাবেক সংসদ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন
পলাশবাড়ীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ যুবক গ্রেফতার
আইপিএল মেগা নিলাম সর্বশেষ: কোন দলে কোন ক্রিকেটার?
রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ