শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

পরক্ষণে এক চামচ সুজির হালুয়া মুজফফরের মুখের সামনে ধরে বলে, খাও। মুজফফর চট করে খেয়ে নেয়। ভাবে, এটা একরকম খাওয়া না, অন্যরকম। হাসতে হাসতে বলে, বেশ করে খাওয়ালে। পেট ভরে না, কিন্তু মন ভরে যায়।
-মন ভরাতেইতো চেয়েছি। চাইলে পেটও ভরাতে পারব। দেব?
-না, না। তোমার ভালোবাসায় মন ভরিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই।
-বাব্বা, এতবড় কথা বললে।
-বলবইতো। তুমি আমাকে পরীর মতো ভালোবাস। তোমার ভালোবাসায় আমি বাতাসে উড়ি, নদীতে ভাসি, মাটিতে গড়াই।
খিলখিলিয়ে হাসে লুৎফা। হাসতে হাসতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।
-হাসছ কেন?
-আনন্দে হাসছি। তোমার কথায় আমার বুক ভরে গেছে। কত সুন্দর করে ভালোবাসার কথা বললে তুমি।
-বলবইতো। ভালোবাসা পেলে বলব না কেন? তুমিওতো আমার ভালোবাসা পাও।
-হ্যাঁ, পাইতো। তোমার কথা আমারও কথা। আমরা দুজনে এক হয়ে দাঁড়িয়েছি সংসারের কাঠগড়ায়।
মুজফফর হা-হা করে হাসে। কাঠগড়া শব্দ শুনে মাথা দপদপ করে ওঠে। লুৎফা হা করে তাকিয়ে থেকে বলে, হাসছ কেন?
-হাসব না কেন? ভালোবাসার সংসারকে তুমি কাঠগড়া বানালে। আমরা কি আসামি?
লুৎফাও হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ, আমরা ভালোবাসার সংসারে আসামি। দুজনে দুজনকে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু পারি না। দুজনে দুজনকে ভালোবাসায় খুন করেছি। ঠিক না?
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। আমিতো আমার পুরো শরীরের ভালোবাসার রক্ত মেখে আছি।
আমিও ভালোবাসার রক্ত মেখে আছি। এই রক্তের রঙ লাল না গোলাপি।
-আমি মনে করি রক্তের রঙ সবুজ। জীবনভর গাছ-গাছালি, অনেকর রকম ফুল, কত পাখি ডানা মেলে ঘুরে বেড়ায়। আমার সবুজ রঙের ভালোবাসায় সবুজ ছবি ভেসে থাকে। মন ভরে যায় ছবি দেখে। চোখ জুড়িয়ে যায়। তুমি আমার সবুজ প্রকৃতি।
-বাব্বা অনেক কথা বললে।
-এটাতো শুধু কথা না।
-জানি কথা না, ভালোবাসার রক্ত। এই রক্তকে গায়ে মেখে ভালোবাসার বসন্ত বাতাস করি। চলো শুয়ে থাকি। গভীর নিশ্বাস ফেলে ভরিয়ে দেব তাঁবুর ছোট জায়গাটি। বলব, স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে এই নিশ্বাস আমার বসন্ত বাতাস।
-বাব্বা, আজ তোমার মনের দরজা খুলে গেছে। হু-হু করে বেরিয়ে আসছে ভালোবাসার বসন্ত বাতাস। যাই, বাইরে দেখি অন্যরা কি করছে।

মুজফফর তাঁবু থেকে বেরিয়ে গেলে লুৎফা মাটিতে বিছানা মাদুরের উপর শুয়ে পড়ে। মাথার নিচে বালিশ নেই। ওর মাথা মাটিতে গড়ায়। নিজেকে বলে, মাথায় মাটি নিয়ে স্বাধীন দেশে যাব। আমার দেশের মাটি আমার বুকে থাকবে। আর সব দেশের মাটি মাথায় থাকবে। আমি মাটি থেকে দূরে থাকবনা। মাটি হবে বেঁচে থাকার উৎস। ভাবতে ভাবতে উপুড় হয়ে মাথা দোলায়। বিড়বিড় করে বলে, আমার মাটি আমার দেশ। আমার মাটি আমার স্বাধীনতা, আমার মাটি আমার স্বপ্ন। মাটিতে মাথা ঘঁষতে ঘঁষতে দুচোখ পানিতে ভরে যায়। লুৎফা একসময় গুণগুণ করে গায়

-‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।’ একটি লাইনই অনেকক্ষণ ধরে গাইতে থাকে। মাটি আর গানের সুরে ওর শরণার্থী জীবন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। ওর মাথা সোজা করার ইচ্ছা হয় না। একটুপরে মুজফফর ফিরে এসে তাঁবুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। লুৎফার কন্ঠ থেকে ভেসে আসা গানের মাধুর্য ওকে বিমোহিত করে রাখে। ওর ভেতরে ঢোকার ইচ্ছা হয় না। কারণ ওকে দেখলে থেকে যাবে লুৎফার প্রাণঢালা সংগীত। ও তখন ওর সঙ্গে নানা কথা বলা শুরু করবে। তারচেয়ে এই গুণগুণ ধ্বণি অনেক বেশি আনন্দের। মুজাফফর চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। নিজেও মাটির ভাবনায় আপ্লুত হয়। এক সময় থেমে যায় লুৎফার কন্ঠস্বর। মুজফফর সঙ্গে সঙ্গে তাঁবুর ভেতর ঢোকে। লুৎফা তখনো মাটিতে শুয়ে আছে। মুজফফর পাশে গিয়ে বসে পিঠে হাত রেখে বলে, চল দুজনে মিলে গানের লাইনটা গাই। তোমার গান আমার বুকের ভেতর নাড়িয়ে দিয়েছে। এই মাটির টানে আমরা স্বাধীন দেশে যাব।
-স্বাধীন দেশের জন্য তোমাকে যুদ্ধ করতে হবে।
-যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র চালানো শিখতে হবে। কোথায় শিখব জানি না তো।
-আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখনা।
-তাহলে আমি কালকে চৌগাছায় যাব। দেখব কি করতে পারি।
-হ্যাঁ, যাও যাও। আমিও যাব তোমার সঙ্গে।
-তুমি গিয়ে কী করবে?
-যুদ্ধ করব। তোমার সঙ্গে থেকে যা করতে হয় তার সব কাজ করব।
-ঠিক আছে। তাহলে আমরা একসঙ্গেই যাব।
খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে লুৎফা। হাসতে হাসতে বলে, আমার ভাগ্য ভালো যে তুমি আমাকে না বলোনি। তুমি না বললে আমি কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে যেতাম।
-চল, যশোর রোডে হেঁটে আসি।
-চল, দেখি চারদিকের অবস্থা কী।
দুজনে তাঁবু থেকে বেরিয়ে পড়ে। হাত ধরে হাঁটে। মুজফফর মৃদু হেসে বলে, দূর থেকে কেউ দেখলে বলবে আপনার বউ কি হারিয়ে যাবে?
-তাহলে হাত ছেড়ে দাও।
-না, ছাড়ব না। তুমি হারাবে কেন? এটা আমার মাথায় নাই। আমি ভালোবাসার হাত ধরেছি।

লুৎফা দুজনের হাত বুকে চেপে ধরে। মুজফফর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, আর হাত ধরে হাঁটব না। লোকে হাসবে। দুজনে চুপচাপ হেঁটে এগোয়। দেখতে পায় অঞ্জন গাছের নিচে বসে খবর শুনছে। মুজফফর আর লুৎফা ওর সামনে গিয়ে বসে।
-কি খবর শুনছেন অঞ্জন ভাই?
-খবরটা আমেরিকার। ওখানে নিউইয়র্কে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। বলা হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। সব টিকিট বিক্রি হয়েছে।
লুৎফা চেঁচিয়ে বলে, দারুণ খবর জানালেন অঞ্জন ভাই।
-আরও বড় খবর আছে ভাবী। এই টাকা ইউনিসেফের মাধ্যমে শরণার্থীদের দেওয়া হবে। ওখানে একজন গায়ক একটি গান গেয়েছেন যে গানের লাইনে ছিল বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

মুজফফর লাফ দিয়ে দুহাত উপরে তুলে বলে, আমরা এখনও স্বাধীন হইনি। কিন্তু দুনিয়ার মানুষের কাছে বাংলাদেশ নাম পৌঁছে গেছে। ওহ গানটা শুনলে আমরাও গাইতাম বাংলাদেশ বাংলাদেশ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সবাই হাততালি দিয়ে লাফালাফি করে। চিৎকার করে বলতে থাকে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ। চারদিক থেকে লোকজন এগিয়ে আসে

-সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। তিনটি শব্দ আকাশ-বাতাস তোলপাড় করে। যারা শব্দ তিনটি বুঝতে পারেনা তারা অঞ্জনকে বলে, অঞ্জন ভাই আমাদেরকে বলেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ কী? অঞ্জন ওদেরকে বুঝিয়ে দিলে সবাই একসঙ্গে বলে, দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ ফুটে উঠেছে। আমাদের স্বাধীনতার দেরি নাই। আমরা যশোর রোড থেকে মিছিল করে স্বাধীন দেশে ঢুকব। হুররে, বাংলাদেশ. বাংলাদেশ।
চলবে...

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা