শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

পরক্ষণে এক চামচ সুজির হালুয়া মুজফফরের মুখের সামনে ধরে বলে, খাও। মুজফফর চট করে খেয়ে নেয়। ভাবে, এটা একরকম খাওয়া না, অন্যরকম। হাসতে হাসতে বলে, বেশ করে খাওয়ালে। পেট ভরে না, কিন্তু মন ভরে যায়।
-মন ভরাতেইতো চেয়েছি। চাইলে পেটও ভরাতে পারব। দেব?
-না, না। তোমার ভালোবাসায় মন ভরিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই।
-বাব্বা, এতবড় কথা বললে।
-বলবইতো। তুমি আমাকে পরীর মতো ভালোবাস। তোমার ভালোবাসায় আমি বাতাসে উড়ি, নদীতে ভাসি, মাটিতে গড়াই।
খিলখিলিয়ে হাসে লুৎফা। হাসতে হাসতে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।
-হাসছ কেন?
-আনন্দে হাসছি। তোমার কথায় আমার বুক ভরে গেছে। কত সুন্দর করে ভালোবাসার কথা বললে তুমি।
-বলবইতো। ভালোবাসা পেলে বলব না কেন? তুমিওতো আমার ভালোবাসা পাও।
-হ্যাঁ, পাইতো। তোমার কথা আমারও কথা। আমরা দুজনে এক হয়ে দাঁড়িয়েছি সংসারের কাঠগড়ায়।
মুজফফর হা-হা করে হাসে। কাঠগড়া শব্দ শুনে মাথা দপদপ করে ওঠে। লুৎফা হা করে তাকিয়ে থেকে বলে, হাসছ কেন?
-হাসব না কেন? ভালোবাসার সংসারকে তুমি কাঠগড়া বানালে। আমরা কি আসামি?
লুৎফাও হাসতে হাসতে বলে, হ্যাঁ, আমরা ভালোবাসার সংসারে আসামি। দুজনে দুজনকে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু পারি না। দুজনে দুজনকে ভালোবাসায় খুন করেছি। ঠিক না?
-হ্যাঁ, ঠিক বলেছ। আমিতো আমার পুরো শরীরের ভালোবাসার রক্ত মেখে আছি।
আমিও ভালোবাসার রক্ত মেখে আছি। এই রক্তের রঙ লাল না গোলাপি।
-আমি মনে করি রক্তের রঙ সবুজ। জীবনভর গাছ-গাছালি, অনেকর রকম ফুল, কত পাখি ডানা মেলে ঘুরে বেড়ায়। আমার সবুজ রঙের ভালোবাসায় সবুজ ছবি ভেসে থাকে। মন ভরে যায় ছবি দেখে। চোখ জুড়িয়ে যায়। তুমি আমার সবুজ প্রকৃতি।
-বাব্বা অনেক কথা বললে।
-এটাতো শুধু কথা না।
-জানি কথা না, ভালোবাসার রক্ত। এই রক্তকে গায়ে মেখে ভালোবাসার বসন্ত বাতাস করি। চলো শুয়ে থাকি। গভীর নিশ্বাস ফেলে ভরিয়ে দেব তাঁবুর ছোট জায়গাটি। বলব, স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে এই নিশ্বাস আমার বসন্ত বাতাস।
-বাব্বা, আজ তোমার মনের দরজা খুলে গেছে। হু-হু করে বেরিয়ে আসছে ভালোবাসার বসন্ত বাতাস। যাই, বাইরে দেখি অন্যরা কি করছে।

মুজফফর তাঁবু থেকে বেরিয়ে গেলে লুৎফা মাটিতে বিছানা মাদুরের উপর শুয়ে পড়ে। মাথার নিচে বালিশ নেই। ওর মাথা মাটিতে গড়ায়। নিজেকে বলে, মাথায় মাটি নিয়ে স্বাধীন দেশে যাব। আমার দেশের মাটি আমার বুকে থাকবে। আর সব দেশের মাটি মাথায় থাকবে। আমি মাটি থেকে দূরে থাকবনা। মাটি হবে বেঁচে থাকার উৎস। ভাবতে ভাবতে উপুড় হয়ে মাথা দোলায়। বিড়বিড় করে বলে, আমার মাটি আমার দেশ। আমার মাটি আমার স্বাধীনতা, আমার মাটি আমার স্বপ্ন। মাটিতে মাথা ঘঁষতে ঘঁষতে দুচোখ পানিতে ভরে যায়। লুৎফা একসময় গুণগুণ করে গায়

-‘ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।’ একটি লাইনই অনেকক্ষণ ধরে গাইতে থাকে। মাটি আর গানের সুরে ওর শরণার্থী জীবন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। ওর মাথা সোজা করার ইচ্ছা হয় না। একটুপরে মুজফফর ফিরে এসে তাঁবুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। লুৎফার কন্ঠ থেকে ভেসে আসা গানের মাধুর্য ওকে বিমোহিত করে রাখে। ওর ভেতরে ঢোকার ইচ্ছা হয় না। কারণ ওকে দেখলে থেকে যাবে লুৎফার প্রাণঢালা সংগীত। ও তখন ওর সঙ্গে নানা কথা বলা শুরু করবে। তারচেয়ে এই গুণগুণ ধ্বণি অনেক বেশি আনন্দের। মুজাফফর চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। নিজেও মাটির ভাবনায় আপ্লুত হয়। এক সময় থেমে যায় লুৎফার কন্ঠস্বর। মুজফফর সঙ্গে সঙ্গে তাঁবুর ভেতর ঢোকে। লুৎফা তখনো মাটিতে শুয়ে আছে। মুজফফর পাশে গিয়ে বসে পিঠে হাত রেখে বলে, চল দুজনে মিলে গানের লাইনটা গাই। তোমার গান আমার বুকের ভেতর নাড়িয়ে দিয়েছে। এই মাটির টানে আমরা স্বাধীন দেশে যাব।
-স্বাধীন দেশের জন্য তোমাকে যুদ্ধ করতে হবে।
-যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র চালানো শিখতে হবে। কোথায় শিখব জানি না তো।
-আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখনা।
-তাহলে আমি কালকে চৌগাছায় যাব। দেখব কি করতে পারি।
-হ্যাঁ, যাও যাও। আমিও যাব তোমার সঙ্গে।
-তুমি গিয়ে কী করবে?
-যুদ্ধ করব। তোমার সঙ্গে থেকে যা করতে হয় তার সব কাজ করব।
-ঠিক আছে। তাহলে আমরা একসঙ্গেই যাব।
খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে লুৎফা। হাসতে হাসতে বলে, আমার ভাগ্য ভালো যে তুমি আমাকে না বলোনি। তুমি না বললে আমি কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে যেতাম।
-চল, যশোর রোডে হেঁটে আসি।
-চল, দেখি চারদিকের অবস্থা কী।
দুজনে তাঁবু থেকে বেরিয়ে পড়ে। হাত ধরে হাঁটে। মুজফফর মৃদু হেসে বলে, দূর থেকে কেউ দেখলে বলবে আপনার বউ কি হারিয়ে যাবে?
-তাহলে হাত ছেড়ে দাও।
-না, ছাড়ব না। তুমি হারাবে কেন? এটা আমার মাথায় নাই। আমি ভালোবাসার হাত ধরেছি।

লুৎফা দুজনের হাত বুকে চেপে ধরে। মুজফফর হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, আর হাত ধরে হাঁটব না। লোকে হাসবে। দুজনে চুপচাপ হেঁটে এগোয়। দেখতে পায় অঞ্জন গাছের নিচে বসে খবর শুনছে। মুজফফর আর লুৎফা ওর সামনে গিয়ে বসে।
-কি খবর শুনছেন অঞ্জন ভাই?
-খবরটা আমেরিকার। ওখানে নিউইয়র্কে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গানের আসর অনুষ্ঠিত হয়। বলা হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। সব টিকিট বিক্রি হয়েছে।
লুৎফা চেঁচিয়ে বলে, দারুণ খবর জানালেন অঞ্জন ভাই।
-আরও বড় খবর আছে ভাবী। এই টাকা ইউনিসেফের মাধ্যমে শরণার্থীদের দেওয়া হবে। ওখানে একজন গায়ক একটি গান গেয়েছেন যে গানের লাইনে ছিল বাংলাদেশ বাংলাদেশ।

মুজফফর লাফ দিয়ে দুহাত উপরে তুলে বলে, আমরা এখনও স্বাধীন হইনি। কিন্তু দুনিয়ার মানুষের কাছে বাংলাদেশ নাম পৌঁছে গেছে। ওহ গানটা শুনলে আমরাও গাইতাম বাংলাদেশ বাংলাদেশ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সবাই হাততালি দিয়ে লাফালাফি করে। চিৎকার করে বলতে থাকে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ। চারদিক থেকে লোকজন এগিয়ে আসে

-সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। তিনটি শব্দ আকাশ-বাতাস তোলপাড় করে। যারা শব্দ তিনটি বুঝতে পারেনা তারা অঞ্জনকে বলে, অঞ্জন ভাই আমাদেরকে বলেন কনসার্ট ফর বাংলাদেশ কী? অঞ্জন ওদেরকে বুঝিয়ে দিলে সবাই একসঙ্গে বলে, দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশ ফুটে উঠেছে। আমাদের স্বাধীনতার দেরি নাই। আমরা যশোর রোড থেকে মিছিল করে স্বাধীন দেশে ঢুকব। হুররে, বাংলাদেশ. বাংলাদেশ।
চলবে...

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি