শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা


দ্রুতপায়ে তাঁবু থেকে বেরিয়ে ও কান্নারত আর এক শিশুর কাছে যায়। তাঁবুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালে বেরিয়ে আসে ওর বাবা।
- কি হয়েছে বাচ্চাটার? কাঁদে কেন?
-বলে যে পেট ব্যথা করছে।
এবং এই পর্যন্ত সংশোধণ করা হলো
-কি খাইয়েছেন?
-আমি জানিনা, ওর মা জানে।
হঠাৎ করে কান্না থেকে যায়। গড়িয়ে পড়ে ছেলেটি।
অঞ্জন আঁতকে উঠে বলে, কি হলো?
-কি আর হবে, কান্না বন্ধ করেছে।
-আপনি ওকে বাইরে নিয়ে আসেন।

মুজাফফর ভেতরে ঢুকে ছেলেকে কোলে করে বাইয়ে আনে। বুকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। অঞ্জন ওকে কোলে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখে যে, মরে গেছে বাচ্চাটি। ও মুখে কিছু বলেনা। শরণার্থী শিবিরে এমন মৃত্যু প্রায়ই দেখতে হয়। কিছু করার উপায় নাই। মুহূর্তে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে ওর বাবা। পেছন থেকে ওর মাও। মৃত শিশুটিকে ওদের কোলে দিতে হবে এই ভাবনা ওকে মর্মাহত করে। সেজন্য শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে রাখে। চোখ থেকে জল ঝরতে শুরু করে। অঞ্জন তাঁবুর সামনে এসে দাঁড়ায়। দুকান ভরে বাবা-মায়ের কান্নার শব্দ শোনে। এ কান্না থামানোর জন্য কিছু বলার নেই। এখন বুকের ভেতরে নদীর স্রোতের মতো বয়ে যাবে কান্নার ঢেউ।

ছেলেকে কোলে নিয়ে মুজাফফর এগিয়ে যেতে থাকে। ধানক্ষেতের পাশে গিয়ে বসে পড়ে। মৃত ছেলেকে কোলে রাখে। আশপাশের থেকে লোকজন আসতে শুরু করে। কেউ কেউ মুজাফফরের পাশে বসে। বাকিরা এদিক ওদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কোনো কথা বলে না। মৃত ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে থাকা বাবাকে কি বলবে? কবর দিতে হবে এটাতো বাবাই ভালো জানে। বলবে কি, একটা কি কবর খুঁড়ে দেব? না, সে কথা কেই বলবে না। এখানে খোঁড়া হবে না, গর্ত খুঁড়তে হবে। সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তখন মুজাফফর ছেলে ঘাসের ওপর শুইয়ে রেখে বলে, আসেন আমরা জানাজা পড়ি।

-এটাতো জানাজা পড়ার জায়গা না। সবাই একসঙ্গে দাঁড়াতে পারব না।
-সেটাতো আমিও দেখছি। যেখানে পারি এলোমেলোভাবে দাঁড়াই। তাও জানাজা হোক। সবাই ধানক্ষেতের পাশে এলোমেলোভাবে দাঁড়ায়। সবাই যারা যার মতো করে সুরা পড়ে। আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে সবার কন্ঠস্বর। সুরার শব্দ শুনে বিভিন্ন দিক থেকে এগিয়ে আসে অনেকে। তারাও মাথায় টুপি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। সকলের বুকের ভেতর তড়পায় শোক। ঘাসের ওপর রেখে দেয়া শিশুটির দিকে তাকালে পানিতে চোখ ভরে যায়।

একসময় শেষ হয় দাঁড়িয়ে থাকা। তারপর দা দিয়ে গর্ত খোঁড়ে কেউ কেউ। মাজাফফর ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে বসে থাকে। মৃদুস্বরে সুরা পড়ে ছেলের সারা গায়ে ফুঁ দিয়ে। চোখের পানি মুখে শেস করতে পারে না। মোছার চেষ্টাও করে না। লুৎফা তাঁবুতে গড়াগড়ি করে কাঁদে। ভাবে, তাঁবুতে ফিরলে ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখবে। বলবে, কেঁদো না গো। তোমাকে আর একটি ছেলে উপহার দিব। পরক্ষণে ভাবে, লুৎফা কি মানবে এমন কথা? ও বলবে আল্লাহর কাছে চাও। নামাজ পড় আর চাও। আল্লাহর রহমত হলে আমরা আর একটি ছেলে না হয় একটি মেয়ে পাব। মুজাফফর নিজের ভাবনায় ম্লান হয়ে যায়। লুৎফার কাছে এমন কথা শুনতে চায় না ও। সুতরাং ছেলে উপহার দেবে এমন কথা বলা মানে নিজের সঙ্গে প্রতারণা করা। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে মুজাফফর। সবাই ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউ কোনো কথা বলেনা। দেখতে পায় মুজাফফর ছেলেটিকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরে আছে কঠিনভাবে, যেন ওকে কবরে নামাবেনা। এভাবে নিজের বুকে রেখে দিন কাটাবে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাবিবুর ওর পাশে বসে বলে, ছেলেটিকে আমার কাছে দাও। আমি কবরে নামাই।

-না, আমি নামাব। আমি ওকে সুন্দর করে শুইয়ে দেব। যেন ওর কোনো কষ্ট না হয়।
-মাটিতে শোয়ালেতো কষ্ট হবে।
-তাহলে একটা ছোট চাদর নিয়ে আসি।
-না, খবরদার না, কবরে এসব চলবে না। তুমি কি আগে কখনো কবর দেয়া দেখনি?
-হাবিবুর চুপ করে থাক। আমার সঙ্গে কথা বলোনা।
-হ্যাঁ, চুপ করলাম। তুমিও চুপ করো। মরে যাওয়া একটি শিশুর আবার কষ্ট কি?
-তাতো ঠিকই বলেছো। কষ্ট থাকবে বেঁচে থাকা সবার। মৃত্যু মানে কষ্টের বাইরে চলে যাওয়া।
-এত কথা না বলে আমার মানিককে কবর দেই। গর্ত খুঁড়ি। তোমরা ওর জন্য দোয় কর। সবাই বসে পড়ে যে যার মতো দোয়া করো। মৃত ছেলেকে কিছুক্ষণ বুকে জড়িয়ে রেখে বাবা ওকে কবরে নামায়। তারপর দুহাতে মাটি টেনে দেয়। টানা শেস হলে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। দুহাতে মুখ ঢেকে রাখে। তার চিৎকার ছড়িয়ে যায় চারদিকে। আশপাশ থেকে অনেকে এসে তাকে ঘিরে দাঁড়ায়। পানিভরা চোখে সবার দিকে তাকায় মুজাফফর। দুহাতে চোখের পানি মুখে মাথা ঝাঁকায়। কেউ কোনো কথা বলেনা। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মুজাফফার একটুক্ষণ পরে বলে, আমি যাই। বউয়ের অবস্থা দেখি গিয়ে, ওতো কাঁদতে কাঁদতে বেহুঁশ হয়ে যায়।
-হ্যাঁ, হ্যাঁ, তাড়াতাড়ি যান মুজাফফর ভাই। ভাবীকে সামাল দেন।

মুজাফফর কারো সঙ্গে কথা না বলে দ্রæত পায়ে হাঁটতে শুরু করে। তাঁবুর কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুনতে পায় লুৎফা কাঁদছে। কান্নার ধ্বনি বুকের ভেতর গেঁথে নেয় মুজাফফর। তাঁবুর ভেতরে ঢুকে বুকে জড়িয়ে ধরে লুৎফাকে। দুই চোখে চুমু দিয়ে চোখের পানি মুছে দিতে চায়। কিন্তু মোছা হয়না। পানি গড়াতেই থাকে লুৎফার দুই চোখ বেয়ে। ওর মাথা বুকে জড়িয়ে রেখে মুজফফর বলে, আর কেঁদোনা। ছেলের জন্য দোয়া কর।
লুৎফা কথা বলেনা। চুপ করে থাকে।
-কিছু বলছ না কেন?

লুৎফা দুহাতে চোখের পানি মোছে। নিজের মাথা ধাম করে মুজাফফরের ঘাড়ের ওপর রেখে দুহাতে জড়িয়ে ধরে স্বামীকে। সন্তান হারানোর বেদনা কাটিয়ে ওঠা যাবেনা, এমন চিন্তায় নিজেকে ডুবিয়ে রাখে। মুজফফর লুৎফাকে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরে বলে, আমাদের ছেলে স্বাধীনতার স্বপ্ন হয়ে মরে গেছে। ওকে আমরা স্মরণ করে বলব, ও আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন, স্বপ্ন।
-ঠিক বলেছো।
লুৎফা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। আমি আমার মরণের আগ পর্যন্ত ওকে স্বাধীনতার স্বপ্ন বলতে থাকব। মুজফফর বউকে ছেড়ে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখ থেকে পানি গড়ায়। লুৎফা ওর দিকে তাকায়না। ওকে নাস্তা খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ভাবে প্রথমে এক চামচ সুজির হালুয়া নিজে ওর মুখে দেবে। মুহূর্তে মনে হয়, যুদ্ধ-জীবন এমনই। মৃত্যুও প্রাণের টান হয়ে দাঁড়ায়। পরক্ষণে নিজেকে বলে, এটা তো যুদ্ধ না স্বাধীনতার স্বপ্ন।

চলবে..

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি