শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে শরণার্থী শিবির। অঞ্জন স্লোগান দিতে দিতে নিজের তাঁবুর দিকে হাঁটতে শুরু করে। অন্যদিকের লোকজন এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করে, কি হয়েছে? কোনো নতুন খবর আছে?
-নতুন খবরের জন্য আমরা স্লোগান দিচ্ছি। তবে এটাও ঠিক খবর না পেয়ে স্লোগান দিয়ে লাভ কি?
-তবে দিচ্ছেন কেন?
-মনের আনন্দের জন্য দেই। ভবিষ্যতের খুশির খবর নিয়ে আমরা স্বাধীন দেশে যাব। বঙ্গবন্ধুকে দেখব। এজন্য নিজেদের প্রস্তুত করছি। যেন কোনোভাবে কোনো দুঃখের খবর না পাই। আমাদের আনন্দ তোমরাও বুকে তুলে নাও।
সঙ্গে সঙ্গে স্লোগান দেয় কয়েকজন-জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। পেছনে দাঁড়ানো একজন তরুণ মামুন গেয়ে উঠে গানের লাইন- ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি, আকাশে বাতাসে ওঠে রণি।’ এক লাইন গান শুনে সবাই হাততালি দেয়। একজন বলে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমরাও এই গান শুনেছি, কিন্তু মুখস্ত করতে পারিনি।
মামুন বলে, আপনারা শিখতে চাইলে আমি গানটা সবাইকে শেখাব।
অঞ্জন উচ্চস্বরে বলে, সবাই শিখবে। আমিও শিখব।
একসঙ্গে উচ্চারিত হয়, আমরাও শিখব। আমরা গান গাইতে পারিনা, কিন্তু এই গানটি গাইলে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের বুকের ভেতর দেখতে পাব। তার অপূর্ব সুন্দর চেহারা ভেসে উঠবে চোখের সামনে। আমরা তার পায়ের উপর লুটিয়ে পড়ব।
-সাবাস। ভরে উঠেছে শরণার্থী শিবির। এখানে আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আমরা না খেয়ে থাকলেও মরে যাব না। সবার মনের শক্তি এভাবে ধরে রাখতে হবে।
-ঠিক, ঠিক। আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বঙ্গবন্ধু।
-চলো, এই স্লোগান দিতে দিতে রাস্তা ধরে এগোই। আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে সবাই। কেউ বসে থাকবে না।
অঞ্জন নিজে শুরু করে, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বঙ্গবন্ধু।
সবাই মিলে স্লোগান দিতে শুরু করলে সরব হয়ে উঠে যশোর রোডের শরণার্থী শিবির। চারদিক থেকে ছুটে আসে অন্যরা। পথজুড়ে বিশাল সমাবেশ স্লোগানে মুখর করে সবাই। সীমান্তের কাছে এসে শেষ হয়ে যায় মিছিল। কিন্তু স্লোগান ফুরোয় না। চলতে থাকে আরও কিছুক্ষণ। চারদিক থেকে শিশুরা দৌড়াতে দৌড়াতে আসে। একসময় বড়দের স্লোগান থেমে গেলে শিশুরা বলতে থাকে, আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বঙ্গবন্ধু। ওরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। এদিক-ওদিকে দৌড়াতে থাকে। ওদের কণ্ঠস্বরে স্লোগানের বলিষ্ঠতা মায়াবী উচ্চারণে ভরে থাকে। বড়রা তাকিয়ে থাকে ওদের দিকে। কাছে এলে মাথায় হাত দিয়ে আদর করে। ওরা হাসিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলে কণ্ঠস্বরে স্লোগানের ধ্বনি ব্যাপকতা লাভ করে, যেন শরণার্থী শিবিরে বেঁচে থাকার আনন্দের উচ্ছ্বাস প্রবাহিত হয়ে যাচ্ছে বসন্তের বাতাস হয়ে। অঞ্জন বুকভরে শ্বাস টানে। কাছে আসা শিশুদের বুকে টেনে ধরে। কাউকে কাউকে বলে, আয় একসঙ্গে স্লোগান দেই। আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বঙ্গবন্ধু। আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুরা সবাই ওর সঙ্গে গলা মেলায়। বসন্তের বাতাস আরও প্রবলভাবে প্রবাহিত হয় উঠে যায় নীল আকাশের তটরেখায়। অঞ্জন প্রবলভাবে আন্দোলিত হয়। ভাবে শরণার্থী শিবিরের সুবর্ণরেখা ওদের মাথায় ছুঁয়ে নীল আকাশে ছড়িয়ে আছে। এভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন গৌরব-দীপ্ত হয় শিবিরে বাস করা সবার কাছে। কয়েকজন বলে, আমাদের কোনো কষ্ট নেই। আমরা আনন্দের জোয়ারে আছি। ভেসে যাচ্ছি হাজার হাজার নৌকা ভরা ফুল নিয়ে। ফুলের গন্ধে ভরে আছে প্রকৃতি। আমাদের স্বাধীনতা আমাদের স্বপ্নের ঘর।
সবাই হাততালি দেয়। হাততালি থামলে অঞ্জন সবাইকে বলে, চলো আমরা সীমান্ত পার হয়ে নিজের দেশের মাটি ছুঁয়ে আসি।
-ঠিক, ঠিক। যাই আমরা। মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে আসব।
-অঞ্জন ভাই আপনি যাবেন না?
-যাব, যাব।
দুপা হেঁটে অঞ্জন উপুড় হয়ে মাটিতে মাথা ঠেকায়। ওর দেখাদেখি অন্যরাও তাই করে। অঞ্জন মাথা উঁচু করে বলে, বাংলার মাটি আমাদের প্রাণের মাটি। জন্ম হয়েছে এখানে, মৃত্যুও হবে এই মাটিতে। বাংলার মাটি আমাদের মাটি। কয়েকবার কথাটি বলে অঞ্জন নিজের দেশের মাটি ছেড়ে ভারতের মাটিতে ঢোকে। বলে, নিজেদের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এই মাটিও আমাদের প্রিয় মাটি। ঠাঁই দিয়েছে বেঁচে থাকার অধিকার সামলে নিয়ে। আবার স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করার মহান ব্রতে। সেজন্য আমাদের দায়িত্ব হবে স্বাধীনতার জন্য নিজের শক্তি কাজে লাগাতে। আমরা যেন সময়ের বরখেলাপ না করি।
-অঞ্জন ভাই আপনি আমাদের চেয়ে বেশি বোঝেন। আমরা শুধু বুঝি প্রশিক্ষণ নেওয়া আর যুদ্ধে যাওয়া।
-এটাইতো স্বাধীনতার যুদ্ধের বড় দিক। তোমরা ঠিকই বোঝ।
-আর কতদিন আমাদের যুদ্ধ করতে হবে অঞ্জন ভাই?
-যতদিন আমরা পাকসেনাদের হারাতে না পারি ততদিন। ধৈর্য রাখ সবাই।
সবাই হাততালি দিয়ে বলে, জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু। আমরা করব জয়।
-চলো, কে কেমন আছে জেনে দেখি। সব তাঁবুতে যেতে হবে।
-আপনি তো ডাক্তার, আপনি একা যান।
-কেন একা যাব? আপনারা কি সবার ভালোমন্দ জানতে চান না?
-আমরা জানতে চাই। কিন্তু আমরা চাই না যে একসঙ্গে গিয়ে ভিড় করি। আমরা সবাই সবার খোঁজ রাখব।
-ঠিক আছে, যে যার মতো চলে যান। সবাই এদকি-ওদিক চলে যায়। একটি তাঁবু থেকে শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে অঞ্জন সেদিকে যায়। দরজায় দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, মা আপনি কি ভেতরে আছেন?
-হ্যাঁ আছি। আপনি কে?
-আমি ডাক্তার অঞ্জন। বাচ্চা কাঁদছে কেন তা জানতে এসেছি।
-ওর পায়খানা হচ্ছে, পেট ব্যথা করছে।
-আপনি যত্ন করে রাখেন। আমি ওর জন্য ওষুধ আনতে যাচ্ছি।
অঞ্জন বুঝে যায় বাচ্চাটি কলেরায় আক্রান্ত হয়েছে। ওর মা সঙ্গে সঙ্গে বলে, ওর বাবা ওষুধ আনতে গেছে আপনাকে যেতে হবে না।
-ও আচ্ছা ঠিক আছে। তাহলে যাই। মাহমুদ ভাইকে বলবেন দরকার হলে আমাকে ডাকতে।
-আচ্ছা। আচ্ছা।
ওর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা বলে। মায়ের এই কণ্ঠস্বর অঞ্জনের বুকে বাধে। অন্যদিকে শিশুটির চিৎকার করে কান্নাও মেনে নিতে কষ্ট হয়। তারপরও দ্রুতপায়ে হেঁটে সরে আসে তাঁবুর কাছ থেকে। আর একটি তাঁবু থেকে বেরিয়ে আসে শরীফ। অঞ্জনকে দেখে দ্রুতপায়ে কাছে আসে।
-ডাক্তার সাহেব আমার মেয়েটির খুব জ্বর। মুষড়ে পড়ে আছে। কিছু খেতেও চায় না।
-ও কত বড়?
-পনেরো বছর হয়েছে।
-চলেন দেখি।
অঞ্জন পকেট থেকে থার্মোমিটার বের করে হাতে রাখে। দুজন দ্রুত হেঁটে গিয়ে তাঁবুতে ঢোকে। মেয়েটি মায়ের কোলে মাথা রেখে শুয়ে কঁকাচ্ছে। এক অদ্ভুত শব্দ ভেসে আসছে ওর মুখ থেকে। অঞ্জন ওকে দেখে বিব্রত হয়। বুঝে যায় যে মেয়েটির শুধু জ্বর নয়। থার্মোমিটার দিয়ে জ্বর মেপে বিস্মিত হয়। বুঝতে পারে ও টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। তাঁবু থেকে বেরিয়ে শরীফকে বলে, আমি যাই, ওষুধ আনার ব্যবস্থা করি।
শরীফ ঘাড় নেড়ে বলে, আচ্ছা।

চলবে…

আগের পর্বগুলো..

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৩ মাসে জ্বালানি খাতে ৩৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট নিয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। চলতি সপ্তাহে ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের দরপত্র দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে প্রতিযোগিতার অভাব রয়েছে। টিকে থাকতে হলে ঘুষ বাণিজ্য থেকে বের হতে হবে। সরকারি ক্রয়কে প্রতিযোগিতার মধ্যে আনার প্রয়োজন রয়েছে। সরকারের সঙ্গে সখ্য করে আর ব্যবসা হবে না। ভালো ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযোগিতা তৈরি করা হবে।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা