শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৩৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা

কলকাতা থেকে শরণার্থীদের দেখতে যশোর রোডে এসেছেন আমেরিকার কবি অ্যালেন গিনসবার্গ। সঙ্গে সুনীল গঙ্গ্যোপাধ্যায়। শরণার্থী শিবিরের দিকে তাকিয়ে মর্মাহত হন গিনসবার্গ। শিশুরা রাস্তার ধারে কিংবা মাঠের এখানে-ওখানে গড়াগড়ি দিচ্ছে। খিদায় কাঁদছে। ওরা খেলাধুলার মধ্যে নেই। গিনসবার্গ চারদিকে তাকিয়ে মর্মাহত হয়।

মানুষের দুঃখ-কষ্টের জীবনযাপন তাদের চেহারায় প্রতিফলিত হয়ে আছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষদের দিকে তাকিয়ে দৃষ্টি ধরে রাখা যায়না। মানুষের কষ্টের চেহারা এভাবে দেখতে পাওয়া এক ভিন্নতর অভিজ্ঞতা। আগে কখনো দেখা হয়নি। এইসব দেখার অনুভব তার কবিতার লাইনে উঠে আসবে। মনে মনে ঠিক করে কবিতার নাম হবে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। শরণার্থী মানুষের চেহারা দেখে বুকের ভেতর কাঁপন ধরে। সুনীলের দিকে ঘুরে তাকিয়ে বলে, বুঝতে পারছি ওদের খুব কষ্টে দিন কাটছে।
-কাটবেইতো। সুনীল সার্পোট করে বলে। তারা নিজের দেশের থেকে চলে এসেছে পাকিস্তানিদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে নিজেদের সাধ্যমতো।
-বুঝেছি। থাক আর বলতে হবে না। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এমন হবেই। আমি আমেরিকায় ফিরে গিয়ে কবিতা লিখব।
-বেশ, বেশ। সুন্দর ধারণা। আমিও লিখব।
-মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছি কি অবস্থা। সবার চেহারায় আছে দুঃখ-কষ্টের ছাপ। আরও নানা বর্ণনা করতে পারব। কষ্টের সীমারেখায় কবিতা লেখা হবে। আরও কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে তারপর চলে যাব। যশোর রোডের শরণার্থী শিবির আমার জীবনের নতুন শিক্ষা। জীবনযাপন দেখার নতুন বৈচিত্র্য। এই সময় কলকাতায় না এলে আমার দেখা হতো না। তোমাকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই সুনীল।
-পূর্ববঙ্গ স্বাধীন বাংলাদেশ হবে এটা আমার বিশাল প্রত্যাশা। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব বাঙালিকে সচেতন করে তুলেছে। বাঙালি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হবে এ বড় গৌরবের জায়গা। আমিতো মনে করি স্বাধীনতার পরে বাংলা ভাষা হবে রাষ্ট্রের ভাষা। সুনীলের এমন প্রত্যাশা মুগ্ধ করে অ্যালেন গিনসবার্গকে। বাঙালির সেই স্বপ্ন পূরণ হবে এটা নিয়ে নিজেও উদ্বুদ্ধ হয়। ও সুনীলকে বলে, এমন স্বপ্ন পূরণের জন্য মানুষের দুঃখ-কষ্ট প্রকৃতির নিয়ম। তোমার মতো আমিও বাংলা ভাষাকে নিয়ে এই স্বপ্ন দেখছি। কবিতায় ধরে রাখব সময়ের পরিধি।
-তোমাকে অভিনন্দন জানাই। কবিতার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করেছ।
-থ্যাঙ্কু। চলো কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্টের চেহারা আটকে থাকুক বুকের ক্যানভাসে।
সুনীল কথা বাড়ায়না। হাঁটতে শুরু করে। দুজনে এগিয়ে যায়। দেখতে পায় নানাদিকের দৃশ্য একরকমই। সবার চেহারায় কষ্টের ছাপ। ওদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অনেক লোক। একইসঙ্গে হাঁটছে। অ্যালেন গিনসবার্গ বুঝতে পারে কোনোরকমে বাস করার ঠাঁই করে নিয়েছে সবাই। কিন্তু পর্যাপ্ত খাবার নেই, বিশুদ্ধ পানি নেই, স্যানিটেশনের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। এতকিছু দেখে ভীষণ মর্মাহত হলেন তিনি। মানুষের এভাবে দিনযাপন মানবিকতার ছোঁয়া না। কিন্তু কিছু করারও নই। যুদ্ধ শেষ হলে স্বাধীনতার বরণডালা মাথায় নিয়ে ঘরে ফিরবে সবাই। এই শুভ ধারণা নিয়ে ফিরে যায় দুজনে। মাঝপথে দেখা হয় অঞ্জনের সঙ্গে। অঞ্জন সুনীলকে চিনতে পারে। কাছে গিয়ে বলে, সুনীলদা আপনি শরণার্থী শিবির দেখতে এসেছেন?
-ইনি আমেরিকার কবি অ্যালেন গিনসবার্গ। তাঁকে দেখাতে নিয়ে এসেছি। তিনি আমেরিকা ফিরে ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ নামে কবিতা লিখবেন।
-ওহ দারুণ! আপনাকে ধন্যবাদ।
অঞ্জন হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে। অভিভূত হয়।
-আমিও শরণার্থী ক্যাম্পে থাকি স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে। এখানে থাকার কষ্ট অনুভব করিনা।
-দারুণ চিন্তা। আপনাকে অভিনন্দন জানাই। সবার মাঝে এমন চিন্তা ছড়াবেন। কেউ যেন কষ্ট করে না থাকে।
-হ্যাঁ, আমি সবাইকে এটা বোঝাই। তবে সবাইতো একরকম না। অনেকের কাছে কষ্ট প্রধান হয়ে উঠে। তবে স্বাধীনতার স্বপ্ন সবার বুকের ভেতর আছে।
-আমিও তাই মনে করি। কষ্ট সাময়িক। স্বপ্ন থাকে জীবনভর।
-ঠিক, ঠিক। অঞ্জন হাসতে হাসতে মাথা ঝাঁকায়। অ্যালান গিনসবার্গকে দৃষ্টিতে নন্দিত করে। সুনীলকে বলে, দাদা, আপনাদের জন্য কি করতে পারি?
-এখানে কিছু করা যাবে না। আমরা কিছু খাব না।
-কবি কি কারো সঙ্গে কথা বলবেন?
-না, দরকার নেই। আমরা চলে যাই এখন।
-আচ্ছা, আপনাদের সঙ্গে আমিও এগোব।
-কতদূর যাবেন?
-যশোর রোডের শেষ মাথায়।
-চলেন, যাই।
তিনজনে হাঁটতে শুরু করে। দেখতে পায় চারপাশে দুঃখী মানুষরা ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ তাদের পেছনে আসছে। অঞ্জন অতিথি দুজনের সঙ্গে কথা বলে না। নিজের থেকে কিছু বলার ইচ্ছা হয় না। যারা দেখতে এসেছে তারা দেখুক চারদিক। নিজেদের উপলব্ধি দিয়ে মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

যশোর রোডের শেষ মাথা এসে দাঁড়িয়ে পড়ে তিনজনে। অ্যালেন বলে, আমার এই শরণার্থী শিবির দেখার অভিজ্ঞতা আমি আজীবন মনে রাখব।

সুনীল বলে, আমিও মনে রাখব। আমার দেখা পূর্ববঙ্গ স্বাধীন বাংলাদেশ হবে, এটা আমার কাছে গৌরবের অহঙ্কার। বিদায় ডক্টর অঞ্জন।
-গুড বাই ডক্টর অঞ্জন। আপনার সঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লেগেছে।
-আপনিও আমার প্রিয় কবি হয়ে থাকবেন, অ্যালেন গিনসবার্গ।
-থ্যাঙ্কু।
দুজনে সামনে এগিয়ে গিয়ে বাসে উঠে। ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে অঞ্জন। ভাবে, ও নিজেও একদিন বাসে উঠে কলকাতার সল্টলেকের শরণার্থী শিবির দেখতে যাবে। পরক্ষণে মনে হয়, কেমন করে যাবে? ওর কাছে তো ইন্ডিয়ান রুপি নেই। মুহূর্তে পেছনে ফিরে হাঁটতে শুরু করে। দেখতে পায় মাঠের ভেতরে বেশকিছু লোক জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে স্লোগান দিচ্ছে। নিজেও স্লোগান দিতে দিতে ওদের কাছে চলে যায়। ওদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ওদের মতো দুহাত উপরে তুলে স্লোগান দেয়। উদ্দীপিত হয়। একসময় লোকেরা ওকে জিজ্ঞেস করে, বঙ্গবন্ধুকে আমরা কবে দেখতে পাব ডাক্তার সাহেব?
-জানিনা ভাইয়েরা আমার। আমার মনে হয় পাকিস্তানিদের লাত্থি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার পরে পাকিস্তানের জেলখানা থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসা যাবে।
-হুররে.... ঠিক ঠিক। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।

চলবে…

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা। পর্ব- ৩৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব-৩২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা পর্ব: ২৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১১

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১০

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৯

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৮

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৭

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৬

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৫

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৪

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ৩

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ২

শরণার্থীর সুবর্ণরেখা: পর্ব ১

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা

আজিনুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ফের উত্তেজনা। সীমান্ত এলাকায় ভুট্টাক্ষেতে কাজ করার সময় ভারতের কয়েকজন নাগরিক এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গিয়ে সোপর্দ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে। এ ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের জমগ্রাম ডাঙ্গার পার এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ৮০১-এর ১০/১১ নম্বর সাব-পিলারের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

ধৃত যুবকের নাম আজিনুর রহমান (২৬)। তিনি ওই ইউনিয়নের জমগ্রাম ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজিনুর তার মায়ের সঙ্গে ভুট্টা জমিতে পাতা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। তখন ভারতের কোচবিহার জেলার ছোট কুচলীবাড়ি এলাকার অন্তত ১০-১২ জন ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে আজিনুরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়।

এরপর তাকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির ঠ্যাংঝাড়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, আজিনুরকে ভারতীয় নাগরিকরা ধরে নিয়ে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের চেষ্টা করছি।"

তিনি আরও জানান, ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত আজিনুরকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে শনিবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকে বসছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মুশফিক উস সালেহীন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির প্রতিনিধি দল অংশ নেবে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খুলেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সদ্য অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে যৌথ অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক পরিবেশে। আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার নানা দিক।

বৈঠকে দুই দেশ বাণিজ্য, কৃষি, শিক্ষা এবং পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বেশ কিছু দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও।

পাকিস্তান তাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ মৎস্য ও সামুদ্রিক খাতে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

দুই দেশ চট্টগ্রাম-করাচি রুটে সরাসরি নৌ চলাচল চালুর ব্যাপারে একমত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভ্রমণ ও ভিসা সহজীকরণের ক্ষেত্রেও অগ্রগতির প্রশংসা করে উভয়পক্ষ।

বৈঠকে শিক্ষাখাতে গভীর সহযোগিতা ও পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গণমাধ্যম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা হয়।

সার্ক বিষয়েও উভয়পক্ষ একমত হয় যে, আঞ্চলিক এই জোটকে পুনরুজ্জীবিত করা দরকার এবং তা যেন রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে থাকে।

বৈঠকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় দুই দেশ। কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর জোর দেয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই দেশের মধ্যে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০২৬ সালে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী মেসি, সিদ্ধান্ত নেবেন সময়মতো
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’: ভারত
দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
দাদা ও চাচার বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে বিষ প্রয়োগে হত্যার অভিযোগ
গত ৯ মাসে এক আকাশ ভালোবাসা অর্জন করেছি : প্রেসসচিব
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজে আগ্রহ দেখায়নি বেসরকারি চ্যানেল, দেখাবে বিটিভি